চুক্তি সই
ভারত ও নেপালের সঙ্গে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি সই
নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারত ও নেপালের সঙ্গে একটি ঐতিহাসিক ত্রিপক্ষীয় চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ।
চুক্তির আওতায় জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ মাসের জন্য নেপাল থেকে ভারত হয়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ। নেপালের
রাজধানী কাঠমান্ডুতে ত্রিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বিক্রয় চুক্তি সই হয়।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পরিবেশ, বন, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি), নেপালের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ (এনইএ) এবং ভারতের এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যবসা নিগম লিমিটডের (এনভিভিএন) প্রতিনিধিরা চুক্তি সই করেন।অনুষ্ঠানে নেপালের জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচমন্ত্রী দীপক খাড়কা, বাংলাদেশের পানিসম্পদ সচিব নজমুল আহসান এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই চুক্তি আঞ্চলিক জ্বালানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি শুধু তাৎক্ষণিক বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণের বিষয় নয়, বরং আমাদের দেশগুলোর দীর্ঘমেয়াদি এবং পরিবেশবান্ধব জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াও।’
এর আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির সঙ্গে সিংহ দরবারে সাক্ষাৎ করেন পরিবেশ উপদেষ্টা।
দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তারা।এই ঐতিহাসিক বিদ্যুৎ চুক্তি সইয়ের সাক্ষী হতে পরিবেশ উপদেষ্টা দুই দিনের সফরে নেপালে অবস্থান করছেন। এটি বাংলাদেশ, নেপাল ও ভারতের মধ্যে জ্বালানি সম্পর্ক জোরদারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতের দুর্নীতি তদন্তে অভিযোগ জানানোর আহ্বান এনআরসির
২ মাস আগে
টেকসই-নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের চুক্তি সই
টেকসই খাদ্য উৎপাদনকে আরও সুসংহত করার লক্ষ্যে ‘স্ট্রাটেজিক সেক্টর কোঅপারেশন (এসএসসি)’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্প চুক্তি সই করেছে ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ।
প্রকল্পটি খাদ্য উৎপাদনের বিভিন্ন সমস্যা যেমন অ্যান্টিবায়োটিকের অপব্যবহার এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ক্ষমতা নিয়ে কাজ করবে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এই চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: ত্রাণ নয় টেকসই বেড়িবাঁধ চান খুলনার ১৪ গ্রামের মানুষ
চুক্তিতে ডেনমার্কের পক্ষে সই করেন ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) পক্ষে সই করেন চেয়ারম্যান জাকারিয়া।
রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিক্স মোলার বলেন, ‘ডেনমার্ক ও বাংলাদেশ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে কাজ করছে। এই নতুন চুক্তি আমাদের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে এবং নিরাপদ ও টেকসই খাদ্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা উভয় দেশের মানুষের স্বাস্থ্য উন্নয়নের জন্য সহায়ক হবে।’
বিএফএসএ’র চেয়ারম্যান জাকারিয়া বলেন, ‘সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপদ বিষয়ক কার্যক্রম আরও জোরদার হবে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশি খাদ্যপণ্যের প্রবেশাধিকারে সহায়তা করবে।’
চুক্তির সঠিক বাস্তবায়নের মাধ্যমে দুই দেশ একসঙ্গে খাদ্য এবং কৃষিক্ষেত্রে আরও নিরাপদ এবং টেকসই উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করবে।
ডেনিশ ভেটেরিনারি অ্যান্ড ফুড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিভিএফএ) ডেনমার্কের পক্ষে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। আর বাংলাদেশের পক্ষে থাকবে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (ডিজিডিএ) এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস)।
এই প্রকল্পের তিনটি প্রধান লক্ষ্য হলো- প্রথমত, ডেইরি শিল্পে খাদ্য নিরাপদতা বাড়ানো। দ্বিতীয়ত, প্রাণিসম্পদ খাতে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করা এবং তৃতীয়ত ডেইরি খামারিদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে আরও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: হাতুড়িপেটা করে পদত্যাগপত্রে সই নেওয়ার ঘটনায় অধ্যক্ষের মামলা
বলপূর্বক গুম নিয়ে আন্তর্জাতিক কনভেনশনে সই করলো বাংলাদেশ
৩ মাস আগে
১০ হাজার দক্ষ কর্মী তৈরি করতে অর্থ মন্ত্রণালয়-রিহ্যাবের চুক্তি সই
আবাসন খাতে ১০ হাজার শ্রমিকের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (সিএসআইপি) সঙ্গে একটি চুক্তি সই করেছে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (রিহ্যাব)।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর প্রবাসী কল্যাণ ভবনে এই চুক্তি সই হয়। রিহ্যাবের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন সংগঠনটির সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান। এ সময় রিহ্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি-৩ আব্দুল লতিফ, সহ-সভাপতি (অর্থ) আব্দুর রাজ্জাক এবং এসইআইপি-রিহ্যাব প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী কাজী আবুল কাশেম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে ২৪ দিনে দেশে ঢুকেছে ১৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স
সিসিআইপির পক্ষে চুক্তিতে সই করেন নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন। অনুষ্ঠানে সিসিআইপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণার্থীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এছাড়াও প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হবে। প্রকল্পের আওতায় ইলেকট্রিক্যাল ইন্সটলেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স, প্লাম্বিং অ্যান্ড পাইপ ফিটিংস, মেশিনারি অ্যান্ড স্টিল বাইন্ডিং, টাইলস অ্যান্ড মার্বেল ওয়ার্কস- এই চারটি কোর্সে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
চার মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
আরও পড়ুন: বুধবার থেকে নিয়মিত সময়সূচিতে ফিরছে ব্যাংকও
৪ মাস আগে
কোইকার সঙ্গে ১১৭ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা চুক্তি সই প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের
কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (কোইকা) সঙ্গে ১১৭ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা চুক্তি সই করেছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বুধবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একই মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিনের সঙ্গে কোইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর তাইয়ং কিম এ চুক্তি সই করেন।
আরও পড়ুন: ভিসার সময় বাড়াতে মালয়েশিয়া সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে কোইকা চট্টগ্রামের বাংলাদেশ-কোরিয়া কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি আধুনিকায়ন ও চাহিদানির্ভর দক্ষ জনশক্তি গড়তে আর্থিক সহায়তা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আশা করি, এ প্রকল্পের সঠিক সময়ে সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোক আরও যুগপোযোগী করবে। পাশাপাশি, এসব কেন্দ্রে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ জনবল কোরিয়াসহ অন্যান্য দেশে কর্মসংস্থানের নিশ্চিত সুযোগ তৈরি হবে।’
এসময় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও কোইকার প্রতিনিধিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, গত ৭ জুলাই কোইকা বাংলাদেশকে ১১৭ কোটি টাকার (১০ মিলিয়ন ডলার) আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছিল।
আরও পড়ুন: দক্ষ কর্মী তৈরিতে ১০০ কোটি টাকা সহায়তা দিতে চায় কোরিয়া: প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
বিদেশে দক্ষ জনশক্তি পাঠাতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান প্রবাসীকল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর
৫ মাস আগে
ইকোনোমিক জোনে ২১.৮৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে চীনের কোম্পানির চুক্তি সই
বেপজার অর্থনৈতিক অঞ্চলে ক্যারি ব্যাগ ও লাগেজ উৎপাদন শিল্প স্থাপনে ২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে চীনের কোম্পানি ইউনিকর্ন হ্যান্ডব্যাগ লিমিটেড।
বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকায় বেপজা কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের উপস্থিতিতে বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবির এবং ইউনিকর্ন হ্যান্ডব্যাগ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ঝেং শুয়ং নিজ নিজ পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল: ৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ৪ কোম্পানি
চীনের এই কোম্পানি বছরে ১৭ লাখ ব্যাকপ্যাক, হ্যান্ডব্যাগ, মানিব্যাগ, ব্যাগ, ক্যাপ, বেল্ট ও লাগেজ উৎপাদন করবে। এতে ২ হাজার বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ইউনিকর্ন হ্যান্ডব্যাগ লিমিটেডকে স্বাগত জানিয়ে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আশা প্রকাশ করেন, তাদের বিনিয়োগ বাংলাদেশের সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) খাতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব রাখবে।আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ রপ্তানি, বিনিয়োগ ও চাকরি দেখলো ইপিজেড: বেপজা
৫ মাস আগে
ভারতের টাইটান ও বাংলাদেশের রিদম গ্রুপের চুক্তি সই
বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে যাচ্ছে ভারতের অন্যতম প্রধান লাইফস্টাইল কোম্পানি টাইটান।
বিখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড তানিষ্কের ঘড়ি, চশমা, পারফিউম বাংলাদেশে বাজারজাত করবে রিদম গ্রুপ।
শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে টাইটানের সদর দপ্তরে টাইটান কোম্পানি লিমিটেড এবং বাংলাদেশের রিদম গ্রুপের মধ্যে এ সংক্রান্ত এক যৌথ উদ্যোগ চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: ভারত থেকে ২০০ ব্রডগেজ বগি কেনার চুক্তি সই
টাইটান কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সি.কে. ভেঙ্কটরামান এবং রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন চুক্তিতে সই করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাইটানের আন্তর্জাতিক ব্যবসা বিভাগের সিইও কুরুভিলা মার্কোস।
চুক্তির আওতায়, নারায়ণগঞ্জের মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চলে তানিষ্কের গয়না তৈরির একটি অত্যাধুনিক কারখানা স্থাপন করা হবে। এই কারখানা স্থানীয় বাজারের জন্য গয়না তৈরি করবে এবং পরে খুচরা বাজারে পণ্য বিক্রি করবে।
গত তিন বছরে, তানিষ্ক সফলভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান, যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরে কার্যক্রম শুরু করেছে। রিদম গ্রুপের সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগ তানিষ্কের বাংলাদেশি বাজারে প্রবেশের একটি বড় পদক্ষেপ।
বাংলাদেশে তৈরি গয়না স্থানীয় চাহিদা মেটাবে এবং ভারতের ৪৫০টি আউটলেট ও অন্যান্য দেশে রপ্তানি করা হবে, যা বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
আরও পড়ুন: রেল যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য ঢাকা-দিল্লির মধ্যে ১০ চুক্তি সই
কুরুভিলা মার্কোস বলেন, ‘আমরা রিদম গ্রুপের সঙ্গে এই নতুন অধ্যায় শুরু করতে পেরে উচ্ছ্বসিত। আমাদের সম্মিলিত শক্তি কাজে লাগিয়ে আমরা কারিগর, বিক্রেতা ও গ্রাহকদের কাছে সেরা মূল্য দিতে চাই।’
সি.কে. ভেঙ্কটরামান বলেন, ‘বাংলাদেশি বাজারে টাইটানের প্রবেশের এই গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক উদযাপন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমরা একসঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্পকে উঁচুতে নিয়ে যেতে এবং তানিষ্কের পণ্য তৈরি কেন্দ্র হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’
রিদম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহাগ হোসেন বলেন, ‘টাটা গ্রুপের অধীনে ভারতের প্রধান লাইফস্টাইল কোম্পানি টাইটানের সঙ্গে অংশীদারত্ব আমাদের দেশ ও ব্যবসার জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ তৈরি করবে।’
তিনি আরও জানান, অর্থনৈতিক অঞ্চলে কারখানা স্থাপনের পর শিগগিরই তারা ঢাকায় তানিষ্কের পাঁচটি জুয়েলারি আউটলেট খোলার পরিকল্পনা করছেন।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে, টাটা গ্রুপের অধীনে টাইটানের জুয়েলারি ব্র্যান্ড তানিষ্ক গ্যারান্টিযুক্ত পণ্যের মানের জন্য পরিচিত।
আরও পড়ুন: দ্রুত নগরায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় টেকসই নগর উন্নয়ন অপরিহার্য: বিশেষজ্ঞরা
৫ মাস আগে
ভারত থেকে ২০০ ব্রডগেজ বগি কেনার চুক্তি সই
১ হাজার ২০৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০টি ব্রডগেজ বগি আমদানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এ লক্ষ্যে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আরআইটিইএস লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি চুক্তি সই হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) ঢাকার রেলভবনে এই চুক্তিটি সই হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ রেলওয়ে: ঢেলে সাজানোর বিস্তর পরিকল্পনা সরকারের
এ সময় রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকীম বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে ২ হাজার ১৬টি বগি এবং ৩ হাজার ৯৫টি ওয়াগন রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে পদ্মা রেলওয়ে সেতু চালুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে রেলওয়ে নেটওয়ার্ক সম্প্রসারিত হয়েছে।
রেলপথমন্ত্রী আরও বলেন, দক্ষিণাঞ্চলে নতুন ট্রেন সরবরাহ করার পাশাপাশি পুরাতন বগিগুলো প্রতিস্থাপন করার জন্য নতুন ব্রডগেজ যাত্রীবাহী বগি প্রয়োজন। চুক্তিতে বগি হস্তান্তরের সময় উল্লেখ থাকলে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করা যেত।
আগামী দুই মাসের মধ্যে দুই সেট ক্যারেজ দেওয়া হলে ও বাকিগুলো শিডিউল করে নিলে আমাদের জন্য ভালো হবে বলে জানান রেলপথমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) এর অর্থায়নে প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। বগিগুলো স্টেইনলেস স্টিলের, দ্রুত গতি সম্পন্ন, বগির ছাদে এসি থাকবে, অটোমেটিক এয়ার ব্রেক পদ্ধতি ও পরিবেশবান্ধব হবে।
বগিগুলো পরবর্তীতে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেনগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এ প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বাংলাদেশে রেলপথে যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী, ভারতীয় কোম্পানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহুল মিত্তাল, ভারতীয় রেলওয়ের প্রোডাকশন ইউনিটের অতিরিক্ত সদস্য সঞ্জয় কুমার পংকজ ও ইউরোপিয় ইউনিয়নের হেড অব করপোরেশন মিচেল ক্রেজা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২৩: ১৩৮৫ জনকে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ রেলওয়ে
১৫ নভেম্বরে বাংলাদেশ রেলওয়ে’র সেবা সপ্তাহ শুরু
৭ মাস আগে
দ্বৈত কর এড়াতে বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডসের নতুন চুক্তি সই
দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে নতুন একটি চুক্তি সই হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং নেদারল্যান্ডসের কর ও কর প্রশাসনমন্ত্রী এমএলএ ভ্যান রিজ নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ঢাকায় অর্থ মন্ত্রণালয়ে এই চুক্তি সই হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে প্রায় ৩০ বছর আগে ১৯৯৩ সালের ১৩ জুলাই প্রথমবারের মতো একটি চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: রেলের খাবার মানসম্মত না হলে চুক্তি বাতিল: রেলমন্ত্রী
এরই মধ্যে দ্বৈত কর পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধে আন্তর্জাতিক রীতিনীতিতে নানা পরিবর্তন এসেছে, যেমন ওইসিডি মডেল বা জাতিসংঘের মডেল।
এছাড়া স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সময়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।
নতুন চুক্তিতে ৩৩টি ধারা রয়েছে। এর মধ্যে করের পরিধি বাড়ানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে, আবার নতুন বিষয় উৎপত্তির জন্য কিছু নতুন অনুচ্ছেদ সংযোজন করা হয়েছে।
চুক্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসেবে বলা হয়েছে, নতুন চুক্তিতে বিদ্যমান বিধান সংশোধন করে শুধু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে করমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে এবং কারিগরি সেবা ফি সংযোজনের ফলে সেবার বিপরীতে সেবা ও বিল পরিশোধের ওপর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ হারে কর আদায় নিশ্চিত করা হবে।
নতুন চুক্তিতে শেয়ার হস্তান্তরে মূলধনী মুনাফা বাংলাদেশে করযোগ্য বলে বিধান রাখা হয়েছে। ফলে উৎস দেশে বাংলাদেশের অর্জিত মূলধনী মুনাফা থেকে কর আদায় করা সম্ভব হবে।
বিদ্যমান চুক্তির কোনো অনুচ্ছেদের আওতাভুক্ত নয় এমন কোনো আয়ের ক্ষেত্রে করদাতার উপর তার নিজ দেশে কর আরোপের বিধান রয়েছে। বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় নতুন চুক্তিতে সংশোধন করে করদাতার এ ধরনের আয় যে দেশে উৎপন্ন হয়, সেখানে করারোপ করা হয়েছে।
দাবি করা কর আদায়ে সহায়তার জন্য একটি অনুচ্ছেদ নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে চুক্তিবদ্ধ উভয় রাষ্ট্রকে রাজস্ব আদায়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করতে হবে।
বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদারিত্বের সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত। নেদারল্যান্ডসের ১৫টি অংশীদার দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
আরও পড়ুন: গঙ্গা চুক্তি নবায়ন ও তিস্তা চুক্তি সই করতে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির আহ্বান
অন্যদিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নেদারল্যান্ডে ২০০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ। দেশটি বাংলাদেশের নবম বৃহত্তম রপ্তানি অংশীদার।
বাংলাদেশ থেকে নেদারল্যান্ডসে রপ্তানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে নিটওয়্যার, ওভেন, গার্মেন্টস, গলদা চিংড়ি, জুতা, টেক্সটাইল, চামড়াজাত পণ্য এবং বাইসাইকেল।
অন্যদিকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে নেদারল্যান্ডস থেকে মূলধনী যন্ত্রপাতি, শাকসবজি, প্রস্তুতকৃত খাদ্য উপাদান, জীবন্ত প্রাণী (পশু ও পাখি), খনিজ, রাসায়নিক, ওষুধ, জৈব রাসায়নিক, প্লাস্টিক ও রাবারসহ ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) দিক থেকে নেদারল্যান্ডসের অবস্থান চতুর্থ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে ২ হাজার ৫৬০ মিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে নেদারল্যান্ডস।
জ্বালানি, বাণিজ্য, চামড়া খাত, চামড়াজাত পণ্য ও সিমেন্ট খাতে নেদারল্যান্ডসে বিনিয়োগ বাড়ছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, অসঙ্গতি দূর করতে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি সংশোধনের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তারই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডস নতুন চুক্তি সইয়ের উদ্যোগ নিয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, অর্থ সচিব, নেদারল্যান্ডসের চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স সোনজা কুইপ।
আরও পড়ুন: ইইসি’র সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সইয়ে বেলারুশের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
৯ মাস আগে
বাংলাদেশে খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে এফএও ও ইআরডির ৪ প্রকল্প চুক্তি সই
বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সঙ্গে চারটি চুক্তি সই করেছে বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) এই চুক্তিগুলো সই করা হয়।
চুক্তি চারটি হলো- টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স টু দ্যা ডাইভার্সিফাইড রেজিলিয়েন্ট এগ্রিকালচার ফর ইম্প্রোভড ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন সিকিউরিটি প্রজেক্ট (রেইনস-টিএ), একসেলারেটিং ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন অব স্মলহোল্ডার ফার্মার্স থ্রু স্ট্রং প্রোডিউসার্স’ অর্গানাইজেশন (অ্যাক্সেস), জলবায়ু সহনশীল ধানী জমির জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তা এবং কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ক্ষুদ্র কৃষকদের পুষ্টি ও আয়ের উন্নয়নে উন্নত কৃষি পদ্ধতি এবং বাজার সংযোগ স্থাপন করা।
আরও পড়ুন: কৃষ্ণ সাগর চুক্তি বাতিলের পর বিশ্বব্যাপী খাদ্যের দাম বেড়েছে: এফএও
চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী এবং বাংলাদেশে এফএও-এর অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিনিধি আর্নউ হ্যামিলার্স।
৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের রেইনস প্রকল্পের মেয়াদ ৪ বছর।
সর্বমোট ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের রেইনস প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটি বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল এগ্রিকালচার অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি প্রোগ্রাম (জিএএফএসপি) থেকে অর্থায়িত এবং এর তত্ত্বাবধানে আছে ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (ইফাদ)।
রেইনস এর কারিগরি সহায়তার বাজেট ৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যা জিএএফএসপি থেকে অর্থায়নকৃত একটি অনুদান। এর তত্ত্বাবধানে কাজ করছে ইফাদ এবং কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে এফএও।
বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতা ও সংকট নিরসন
একসেলারেটিং ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন অব স্মলহোল্ডার ফার্মার্স থ্রু স্ট্রং প্রোডিউসার্স’ অর্গানাইজেশন ( অ্যাক্সেস ) প্রকল্পটি জিএএফএসপি’র অধীনে ৩ দশমিক ২৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান পেয়েছে। প্রকল্পটি যৌথভাবে বাস্তবায়ন করবে এফএও এবং উৎপাদক সংস্থাগুলোর একটি জাতীয় নেটওয়ার্ক- সারা বাংলা কৃষক সোসাইটি (এসবিকেএস)।
প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারে সহায়তা প্রদান
কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলায় ক্ষুদ্র কৃষকদের পুষ্টি ও আয়ের উন্নয়নে উন্নত কৃষি পদ্ধতি এবং বাজার সংযোগ স্থাপন করা প্রকল্পটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার বাজেটে বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী ও তাদের পরিবারের মধ্যে জলবায়ু-স্মার্ট, পুষ্টি-সংবেদনশীল কৃষি সম্পর্কে প্রচার করা এবং এর মাধ্যমে কৃষকদের জীবিকার উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: তথ্য সভায় এফএও বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সাফল্য উপস্থাপন
প্রকল্পটি এফএও এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডাব্লিউএফপি) এর একটি যৌথ উদ্যোগ, যা অর্থায়ন করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের ম্যাকগভর্ন-ডোল ফুড ফর এডুকেশন প্রোগ্রাম এবং সমন্বিতভাবে বাস্তবায়ন করছে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ (ডিএই) ও বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)।
ধানী জমির জন্য আঞ্চলিক প্রকল্প
জলবায়ু সহনশীল ধানী জমির জন্য সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সহায়তা একটি আঞ্চলিক প্রকল্প। এটি বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে বাস্তবায়িত হবে; এবং এর অর্থায়ন করছে গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (জিইএফ)।
১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার বাজেটের এই প্রকল্প একটি নতুন মিশ্রিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে সহায়তা করবে। এটি জলবায়ু-সহনশীল ধানী জমি, মূল্য শৃঙ্খল এবং জীবিকার জন্য সরকারি ও বেসরকারি অর্থায়নে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে। এশিয়া মহাদেশের ধানী জমির অভিযোজন এবং সহনশীলতা বৃদ্ধিতে এটি সরকারি ও বেসরকারি খাতের বিনিয়োগেও সহায়তা করবে।
এফএও’র সহকারী প্রতিনিধি (কর্মসূচি) নূর আহমেদ খন্দকার বলেন, ‘বিশেষ করে পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় সহনশীলতা অর্জনের চাবিকাঠি হচ্ছে পারস্পরিক সহযোগিতা।’
আরও পড়ুন: ইআরডিএফবি আয়োজিত ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত
১ বছর আগে
নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ-ইইউ'র ৪০০ কোটি ইউরোর চুক্তি সই
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও উন্নয়নে নতুন অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (২৫ অক্টোবর) বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে শীর্ষ পর্যায়ের এই আলোচনা শুরু হয়।
সেই উপলক্ষে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের টেকসই সবুজ রূপান্তরে অবদান রাখতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পের জন্য ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর চুক্তি সই করেছে ইইউ’র ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) ও বাংলাদেশ। এটি দেশের জলবায়ু প্রশমন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের লক্ষ্যেও করা হয়েছে।
শিক্ষা সহায়তা, নিরাপদ কাজ, সবুজায়ন, ই-গভর্নেন্স ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে সহায়তার জন্য ৭০ কোটি ইউরো মূল্যের পাঁচটি অতিরিক্ত সহযোগিতামূলক পদক্ষেপও চালু করা হয়েছে।
ব্রাসেলসের বক্তব্যে প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন বলেন, 'ইইউ ও বাংলাদেশ ৫০ বছর ধরে নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত অংশীদার। এখন, গ্লোবাল গেটওয়ের অধীনে সবুজ রূপান্তরের সুযোগগুলো কাজে লাগাতে আমরা এই অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। ইউরোপীয় কমিশন, ইআইবি ও বাংলাদেশ নবায়ণযোগ্য জ্বালানি সহায়তা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একযোগে কাজ করবে। এই ৪০০ মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগ বাংলাদেশের জনগণ ও অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা আত্মবিশ্বাসী যে এই উদ্যোগ বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, অবকাঠামোগত ঘাটতি দূরীকরণ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, ডিজিটাল উদ্ভাবন, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং আরও অনেক কিছুতে বিনিয়োগ করতে সক্ষম করবে। গ্লোবাল গেটওয়ে বন্ধুত্বের, অংশীদারিত্বের, বিশ্বাসের, স্বার্থসংশ্লিষ্ট পারস্পরিক নির্ভরশীলতার একটি প্রতীক।
নবায়ণযোগ্য জ্বালানি প্রকল্পগুলোর জন্য ইইউ এবং ইআইবি (৩৯৫ মিলিয়ন) ইউরোর মধ্যে ঘোষিত ৪০০ মিলিয়ন ইউরোর অংশীদারিত্বের মধ্যে সাড়ে ৩০০ মিলিয়ন ইউরোর ইইউ-গ্যারান্টিযুক্ত ইআইবি ঋণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং বিনিয়োগ অনুদানসহ ৪৫ মিলিয়ন ইউরোর মিশ্রণ সহায়তা প্যাকেজের পরিপূরক।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বেলজিয়াম সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী
উপরন্তু, ১২ মিলিয়ন ইউরো মূল্যের গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশন প্রকল্প, যার মধ্যে ৭ মিলিয়ন ইউরো রয়েছে যা জার্মানির সহ-অর্থায়নে পরিচালিত হয়, যার লক্ষ্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ জ্বালানি রূপান্তরকে সহজতর করার নীতি, আইনি কাঠামো এবং বিনিয়োগের পরিবেশে কাজ করা।
প্রকল্পগুলো মূলত ইউটিলিটি স্কেল সৌর ফোটোভোলটাইক এবং উপকূলীয় বায়ু প্রকল্প এবং সম্ভাব্য সম্পর্কিত ব্যাটারি শক্তি সঞ্চয় ব্যবস্থার সমন্বয়ে সমগ্র বাংলাদেশে জ্বালানি ও গ্রামীণ উন্নয়নে অ্যাক্সেস বাড়াতে অবদান রাখবে।
এই কার্যক্রম বাংলাদেশে আনুমানিক ৭৫০ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য জ্বালানি সক্ষমতা স্থাপনে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিনিয়োগগুলো বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিকেন্দ্রীকরণের উন্নতি করবে, শেষ পর্যন্ত জাতীয় ও সম্ভাব্য আঞ্চলিক, সংযোগ ও সহনশীলতা বাড়াবে।
কারিগরি সহায়তার অংশ হিসেবে, ইইউ একই জমিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং খাদ্য উৎপাদন, সৌর শক্তি, হাইব্রিড সৌর শক্তি/বায়ু ও ব্যাটারিচালিত সৌরশক্তি একত্রিত করার উপায়সহ প্রকল্প প্রস্তাবগুলো পরীক্ষা করতে সহায়তা করবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সব অংশীজনদের সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শন থেকে বিরত থাকার আহ্বান অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে সৌর প্রকল্প ও উপকূলীয় বায়ু প্রকল্প জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে।
গ্রিন এনার্জি ট্রানজিশনের জন্য অংশীদারিত্ব বাংলাদেশি আইনি কাঠামো তৈরিতে সহায়তা করবে যা অন্তর্ভুক্তিমূলক সবুজ জ্বালানি রূপান্তরের জন্য বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে এবং জ্বালানি খাতে নারী পেশাদারদের কর্মসংস্থানের সুযোগও উন্নত করবে।
গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে ইইউ ও বাংলাদেশের মধ্যে শিক্ষা খাতের (৩০ মিলিয়ন ইউরো), নিরাপদ কাজের কর্মসূচির উন্নয়নে, সবুজ নির্মাণ, কার্যকর ডিজিটাল গভর্নেন্স জোরদার এবং দেশের উন্মুক্ত স্থানে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা রোধে (প্রতিটি ক্ষেত্রে ১০ মিলিয়ন ইউরো) সহযোগিতার জন্য অতিরিক্ত ৭০ মিলিয়ন ইউরোর একটি প্যাকেজ সই হয়।
এ বছর ইইউ-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী। এই সময়ে ইইউ বাংলাদেশের বিশ্বস্ত উন্নয়ন, বাণিজ্য ও মানবিক অংশীদার হয়েছে।
এই পাঁচ দশকে রাজনীতি, বাণিজ্য, উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন ও কানেক্টিভিটির সমন্বয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক বহুমাত্রিক হয়ে উঠেছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের সঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
১ বছর আগে