ইসরায়েলি
সিরিয়ার একাধিক স্থানে ইসরায়েলি বিমান হামলা
সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার মধ্যরাতের পর এসব হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
এসময় শিল্প নগরী হাসিয়ায় একটি কারখানা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে একজন আহত এবং ত্রাণ সামগ্রী ও ত্রাণবোঝাই বেশ কয়েকটি গাড়ি ধ্বংস হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়াও হামা প্রদেশের মারিন শহরে পৃথক এক হামলায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। এ হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: লেবাননে গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত ৩৬, আহত ১৫০
এদিকে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে ইসরায়েল উত্তর লেবাননের দিক থেকে হোমসের গ্রামাঞ্চলের হাসিয়া শিল্পাঞ্চলের একটি গাড়ি মেরামতের কারখানা এবং হামার একটি সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালায়।
দারা শহরেও বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
এছাড়াও দামেস্কের নিকটবর্তী আল-কিসওয়াহ এলাকায় ইরানসংশ্লিষ্ট দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি স্থাপনায় হামলার খবর দিয়েছে সৌদি আল-হাদাথ টেলিভিশন।
পরপর একাধিক এলাকায় আঘাত হানার এই হামলাগুলো এই সংঘাতে আরও এক দফা উত্তেজনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ বৈরুতে ইসরায়েলের ব্যাপক বিমান হামলা
২ মাস আগে
গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আপিলের শুনানি চলছে আইসিজেতে
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে দুই দিনের শুনানি শুরু হয়েছে।
শুনানিতে অংশ নিয়ে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ভুসিমুজি ম্যাডোনসেলা বিচারকদের বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণকে অব্যাহতভাবে নিশ্চিহ্ন করার কারণে তার দেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গাজার ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে।’
ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় দক্ষিণ আফ্রিকার অব্যাহত আহ্বানের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, 'ইসরায়েল দায়মুক্তির চেষ্টা করে ফিলিস্তিনিদের জীবনের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করে চলেছে।’
২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইসিজেতে প্রথম আবেদনের পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ক্রমাগত গণহত্যা বন্ধে অতিরিক্ত 'অস্থায়ী ব্যবস্থা' গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় শত শত মানুষের মৃত্যু, নিখোঁজ অনেক
নতুন আবেদনে, ‘গাজার পরিস্থিতির গুরুত্ব’ বৃদ্ধি এবং ‘গাজায় যে মাত্রায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এমন চিত্র দেখা যায়নি’ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ম্যাডোনসেলা।
রাফাহসহ গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে এবং পুরো গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানান ম্যাডোনসেলা।
এছাড়া জাতিসংঘ ও মানবিক সহায়তার জন্য গাজায় অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে 'সব ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা' নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইসরায়েলের যুক্তিতর্ক শুক্রবার আইসিজেতে উপস্থাপন করা হবে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে একটি রায় দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাফাহর আরও গভীরে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী
৭ মাস আগে
ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে পুলিশের হামলার নিন্দা জবিরিইউর
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লস অ্যাঞ্জেলেস ক্যাম্পাসে গাজায় ইসরায়েলি হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদে সোচ্চার ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো হামলায় যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি (জবিরিইউ)।
শুক্রবার (৩ মে) দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলামের সই করা এক বিবৃতিতে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় জবিরিইউ।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে শনিবার
বিবৃতিতে জবিরিইউর সভাপতি অমৃত রায় ও সাধারণ সম্পাদক শশী বলেছেন, গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ এবং ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার নীতির বিরুদ্ধে দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ এবং তাদের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি আমরা। সেই সঙ্গে ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞ ও দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার নীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এই প্রতিবাদের সংবাদ যেসব গণমাধ্যম গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করছে, তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশের হস্তক্ষেপকে স্পষ্টভাবে আমরা বাকস্বাধীনতা হরণ বলে মনে করি। পুলিশের হস্তক্ষেপসহ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক সব কার্যক্রমের তীব্র নিন্দাও জানান নেতারা।
বিবৃতিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, যেকোনো দেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে ওঠে তাদের নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে। অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত জ্ঞান ও বুদ্ধি চর্চার মাধ্যমে ভবিষ্যতে তারা দেশের নীতি নির্ধারণী বিষয়ে নেতৃত্ব দেবেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্ত জ্ঞান ও বুদ্ধির চর্চা এবং প্রতিবাদ জানানোর ক্ষেত্রে বাধা প্রদান নিন্দনীয়। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করে মানবাধিকার রক্ষা ও বাকস্বাধীনতার বিষয়ে তারা সোচ্চার। আর সেই যুক্তরাষ্ট্রেই শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের এমন দমন কার্যক্রমের তীব্র প্রতিবাদ জানাই আমরা।
ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করা, গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবিতে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ-আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনপন্থী শিক্ষার্থীরা। অস্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে ক্যাম্পাস চত্বরেই অবস্থান করছিলেন তারা।
আরও পড়ুন: তাপপ্রবাহের কারণে খুলনা ও রাজশাহীতে শনিবার মাধ্যমিকের ক্লাস বন্ধ
চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ ১২ মে
৭ মাস আগে
ইসরায়েলি আগ্রাসন বিষয়ক ওআইসির বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের অব্যাহত আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার জন্য আগামী ৫ মার্চ জেদ্দায় ওআইসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের বিশেষ বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সৌদি আরবের জেদ্দায় ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) জেনারেল সেক্রেটারিয়েটের সদর দপ্তরে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, বৈঠকে যোগ দিতে তুরস্ক থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জেদ্দা যাবেন।
১-৩ মার্চ তুরস্কে অনুষ্ঠিত আনাতোলিয়া কূটনীতি ফোরামে অংশগ্রহণকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানকে আন্তর্জাতিক সংলাপের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বর্ণনা করেন।
ফোরামে হাছান মাহমুদ গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টার জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মানবতাবিরোধী অপরাধ ও জাতিগত নিধনের জন্য ইসরাইলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
ওআইসি সদর দপ্তর জানিয়েছে,ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা ওআইসি সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে সোমবার (৪ মার্চ) খসড়া এজেন্ডা এবং কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা ও গ্রহণ এবং খসড়া রেজুলেশনটি বিবেচনার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাউন্সিলে জমা দেবেন।
গত বছরের নভেম্বরে সৌদি আরব রিয়াদে ওআইসি ও আরব রাষ্ট্রসমূহের লীগ যৌথভাবে আয়োজিত বিশেষ যৌথ আরব ও ইসলামিক শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: ১৭ মার্চ ঢাকায় আসছেন আয়ারল্যান্ডের এন্টারপ্রাইজ, বাণিজ্য, কর্মসংস্থানমন্ত্রী সাইমন কোভেনি
সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে সফরের জন্য সদস্য দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর ইসরায়েলের বর্বর আগ্রাসন বন্ধে অব্যাহত প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে গত বছরের ১৮ অক্টোবর ওআইসির সদর দপ্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে একটি উন্মুক্ত নির্বাহী কমিটির বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাছান মাহমুদ গাজায় সহিংসতা ও নৃশংসতা বন্ধে পর্যাপ্ত বৈশ্বিক পদক্ষেপের অভাবের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে তা স্রেফ মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। শুধু মানবতাবিরোধী অপরাধ নয়, জাতিগত নিধন চলছে।’ এই সংঘাতে ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিমস্টেকের পাঁচ দিনব্যাপী ফ্যাকাল্টি এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম উদ্বোধন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা এই 'যুদ্ধ ও গণহত্যা' বন্ধে যথেষ্ট প্রচেষ্টা দেখছেন না এবং ইসরায়েল যুদ্ধের সমস্ত নিয়ম লঙ্ঘন করছে।
তুরস্কে অনুষ্ঠিত ফোরামে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন হাছান মাহমুদ। এসব নৃশংসতা মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সমবেত বিশ্ব সম্প্রদায়কে ভূমিকা পালনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ভিডিও সাক্ষাৎকারে তাকে বলতে শোনা যায়, 'আমি মনে করি, গাজায় এসব নৃশংসতা, জাতিগত নিধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করতে এবং ইসরায়েলকে থামাতে আমরা আমাদের ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে পারি।’
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবং প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের পৃষ্ঠপোষকতায় ফোরামটির বৈঠক ৩ মার্চ শেষ হয়।
'অ্যাডভান্সিং ডিপ্লোম্যাসি ইন টাইমস অব টার্ময়েল’ শীর্ষক এবারের আয়োজনে রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন খাতের প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানের সঙ্গে হাছান মাহমুদের বৈঠক
৯ মাস আগে