গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনের বিষয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) থেকে দুই দিনের শুনানি শুরু হয়েছে।
শুনানিতে অংশ নিয়ে নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূত ভুসিমুজি ম্যাডোনসেলা বিচারকদের বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণকে অব্যাহতভাবে নিশ্চিহ্ন করার কারণে তার দেশ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গাজার ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং বেশিরভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে।’
ফিলিস্তিনি জনগণের মৌলিক অধিকার রক্ষায় দক্ষিণ আফ্রিকার অব্যাহত আহ্বানের কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, 'ইসরায়েল দায়মুক্তির চেষ্টা করে ফিলিস্তিনিদের জীবনের প্রতি চরম অবজ্ঞা প্রদর্শন করে চলেছে।’
২০২৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইসিজেতে প্রথম আবেদনের পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের ক্রমাগত গণহত্যা বন্ধে অতিরিক্ত 'অস্থায়ী ব্যবস্থা' গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেছে।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় শত শত মানুষের মৃত্যু, নিখোঁজ অনেক
নতুন আবেদনে, ‘গাজার পরিস্থিতির গুরুত্ব’ বৃদ্ধি এবং ‘গাজায় যে মাত্রায় ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হচ্ছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে এমন চিত্র দেখা যায়নি’ বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত ম্যাডোনসেলা।
রাফাহসহ গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে এবং পুরো গাজা উপত্যকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানান ম্যাডোনসেলা।
এছাড়া জাতিসংঘ ও মানবিক সহায়তার জন্য গাজায় অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে ইসরায়েলকে 'সব ধরনের কার্যকর ব্যবস্থা' নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইসরায়েলের যুক্তিতর্ক শুক্রবার আইসিজেতে উপস্থাপন করা হবে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে একটি রায় দেওয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে।