নারায়ন চন্দ্র চন্দ
২০২৬ সালের মধ্যে বিডিএস কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
২০২৬ সালের মধ্যে এস্টাব্লিশমেন্ট অব ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইডিএলএমএস) প্রকল্পের আওতায় চলমান বিডিএস কার্যক্রম শেষ করার জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
এ সময় এক ব্যক্তি, এক খতিয়ান ও এক দাগ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভূমি সেক্টরে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ
ভূমিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপের (বিডিএস) আওতাভুক্ত ইডিএলএমএস প্রকল্প এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা এই প্রকল্পের সহযোগী সংস্থার কর্মকর্তারা বুধবার (১০ জুলাই) প্রকল্পের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে জানাতে ভূমিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ভূমিমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন।
প্রকল্প কর্মকর্তারা ভূমিমন্ত্রীকে জানান, বিডিএস কার্যক্রমের ৩৭ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। ইডিএলএমএস প্রকল্প এলাকায় পিলার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। প্লট টু প্লট জরিপ কাজ শুরু হবে। তারা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন, নির্ধারিত এলাকায় সময়ের মধ্যেই ইডিএলএমএস প্রকল্পের আওতায় বিডিএস অপারেশনের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ডিজিটাল জরিপ বিশেষজ্ঞরা ভূমিমন্ত্রীকে জানান, তারা বাংলাদেশে অন্যান্য এলাকায় ডিজিটাল ভূমি জরিপ পরিচালনার পাশাপাশি ল্যান্ড ভ্যালুয়েশন (ভূমি মূল্যায়ন) নিয়েও কাজ করতে ইচ্ছুক। এ সময় ভূমিমন্ত্রী সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খলিলুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ, ইডিএলএমএস প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. জহুরুল হকসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্যামসাংয়ের প্রকল্প ব্যবস্থাপক জিহওয়ান মিন ও জিওমেক্সসফটের সিইও ড. জেয়ইয়ং ইউ।
আরও পড়ুন: ন্যায্যতার ওপর ভিত্তি করে ভূমিসেবা দিতে এসিল্যান্ডদের ভূমিমন্ত্রীর নির্দেশ
ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের সময়কাল হবে প্রতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত: ভূমিমন্ত্রী
৪ মাস আগে
নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প পৌঁছে দিতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
নতুন প্রজন্মের কাছে অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গল্প পৌঁছে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ।
রবিবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত ‘স্বাধীনতা উৎসব ২০২৪’এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানের আধুনিকায়ন গুরুত্বপূর্ণ: সমবায় প্রতিমন্ত্রী
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে বীর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতীয় মুক্তির জন্য ঐতিহাসিক সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। বিজয়ের পর তারা জাতির পিতার নেতৃত্বে শুরু করেছিলেন সোনার বাংলা গড়ার কাজ।’
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মকেই এর নেতৃত্ব দিতে হবে।
এসময় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে রাশিয়া ও ভারতের সহায়তার কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে তিনি বলেন, রাশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক ও ভারতের ট্যাকটিক্যাল সহায়তা মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয় ত্বরান্বিত করেছিল।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকা এবং মুক্তিযুদ্ধ একাডেমি ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান, ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজের পরিচালক পাভেল দভয়চেনকভ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মুক্তিযোদ্ধা একাডেমি ট্রাস্ট চেয়াররম্যান ড. আবুল কালাম আজাদ।
আরও পড়ুন: তামাকজাত পণ্যে অতিরিক্ত কর আরোপ করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী
গাজায় গণহত্যা মানব সভ্যতার কলঙ্কজনক অধ্যায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৭ মাস আগে