অধ্যাপক ইউনূস
গণ-অভ্যুথানে সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে: অধ্যাপক ইউনূস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই আগস্টের গণ-অভ্যুথানে সব শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে।
তিনি বলেন, সব আহত শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতার চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় সরকার বহন করবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এগোনো হবে: জাতিসংঘে ইউনূস-মোদির বৈঠকের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আহতদের দীর্ঘমেয়াদি, ব্যয়বহুল চিকিৎসা এবং শহিদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এখন নতুন তথ্য পাওয়ার ভিত্তিতে এই তালিকা হাল নাগাদ করা চলবে।
তিনি বলেন, এই গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের স্মৃতি ধরে রাখতে সরকার তার যাত্রালগ্নে ‘জুলাই গণহত্যা স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়। এখন সে ফাউন্ডেশন তৈরি হয়েছে। সব শহীদ পরিবার এবং আহতদের সর্বোত্তম চিকিৎসাসহ তাদের পরিবারের সম্পূর্ণ দায়িত্ব এই ফাউন্ডেশন গ্রহণ করছে।
গঠিত ফাউন্ডেশনে দান করার জন্য দেশের সব মানুষ এবং বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের আমরা আহ্বান জানান তিনি।
ড. ইউনূস আগস্টে কুমিল্লা-নোয়াখালী সিলেট অঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় মানুষের দুর্ভোগের কথা বলেন। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশপ্রেমিক সশস্ত্রবাহিনী, সাধারণ মানুষ, এনজিওগুলোর ভূমিকার প্রশংসা করেন তিনি।
দেশের স্বাধীনতার ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিগত জুলাই থেকে শুরু হওয়া গণ-অভ্যুত্থান, বন্যা, নিরাপত্তা প্রদান, অস্ত্র উদ্ধারসহ সব কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিনি বলেন, বন্যার্তদের সহযোগিতায় দেশের ব্যবসায়ী, অর্থবান ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসায় জনজীবনে আরেকটি দিক উন্মোচন করেছে। সবার সহযেগিতায় আমরা পুনর্বাসনের কাজটি সফলভাবে সমাধান করতে চাই।
বক্তব্যের শুরুতে জুলাই-আগস্ট মাসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থানে নিহত সব শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে: ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূতকে অধ্যাপক ইউনূস
'মর্যাদাপূর্ণ ও অনন্য' বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান ইউনূসের
অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন সরকারবিরোধী বিক্ষোভে জড়িত থাকার গুজব উড়িয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-প্রধান মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল সাংবাদিকদের বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের রূপরেখা নির্ধারণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত ও আগ্রহী।’
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ঘটনাবলী নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র বিক্ষোভে চীনের প্রভাব ছিল এমন দাবির প্রসঙ্গে জানতে চান একজন সাংবাদিক।
উত্তরে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, তিনি এসব বিষয়ে জল্পনা করতে চান না।
ওই সাংবাদিক আবারও বলেন, ক্ষমতাচ্যুত সরকারের ঘনিষ্ঠ মিত্র ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের জড়িত থাকার কথা বলছে।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতিতে সম্পৃক্ততা আবারও অস্বীকার যুক্তরাষ্ট্রের
এমন কোনো প্রতিবেদন তিনি দেখেননি উল্লেখ করে প্যাটেল বলেন, ‘আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে পারি যে, এগুলো সত্য নয়। এ কারণেই আমি এগুলো দেখিনি।’
নোবেলবিজয়ী এবং বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করবে এবং বিভিন্ন ইস্যুতে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করবে।
এছাড়াও স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শ্রম, সুশাসন ও রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলা হয়, তারা একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতসহ এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র
কারখানাগুলোকে সহিংসতা-হামলা থেকে রক্ষায় সরকার বদ্ধপরিকর: অধ্যাপক ইউনূস
বাংলাদেশের শিল্প নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তার সরকার কারখানাগুলোকে সহিংসতা ও হামলা থেকে রক্ষা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে এই শিল্পকে সুরক্ষা দেওয়া।’
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশের শিল্প প্রবৃদ্ধিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ব্যবসায়ী নেতাদেরকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এক ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'আমরা এই শিল্পকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে চাই।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লব দেশে আশার নতুন যুগের সূচনা করেছে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শিল্প, অর্থ ও উৎপাদন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, ব্যবসায়ী নেতারা পোশাক ও ওষুধ খাতে সাম্প্রতিক অস্থিরতার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, তারা সন্দেহ করেন যে দেশের বাইরে বসবাসরত গোষ্ঠীসহ বহিরাগতদের প্ররোচনায় কারখানাগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আপনার সহমর্মিতা ও উপলব্ধি গভীরভাবে স্পর্শ করেছে: ইউএই প্রেসিডেন্টকে ড. ইউনূস
শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, কারখানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।
অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ড ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে আরও ক্রয়াদেশ পাওয়ার প্রচেষ্টায় শ্রম সংস্কার গ্রহণের জন্য শিল্প নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করার বড় সুযোগ আমাদের রয়েছে। আমাদের শ্রম আইনকে আইএলও স্ট্যান্ডার্ডে উন্নীত করতে হবে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি বিশ্বের শীর্ষ ব্যবসায়িক প্রধান নির্বাহীদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে এবং দেশের উৎপাদনকারীদের আরও ক্রয়াদেশ(অর্ডার) দিতে আগ্রহী।
বৈঠকে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসের এজাজ বিজয় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: ইউএনএইচসিআরের সহায়তা চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস
অধ্যাপক ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেবেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ছোট ও কার্যকরী একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, 'তিনি (সিএ) বড় প্রতিনিধি দলের পরিবর্তে একটি ছোট প্রতিনিধি দল সঙ্গে নেবেন।’
উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা সেখানে তার কাজ সম্পন্ন করে যত দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে আসতে চান।
আরও পড়ুন: অধ্যাপক ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ
হোসেন বলেন, শুধুমাত্র ইউএনজিএ-তে সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্তরাই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যাবেন।
তবে সফরের সুনির্দিষ্ট তারিখ ও সময়কাল এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান তিনি।
রবিবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাইডলাইনে কিছু বৈঠক হতে পারে, তবে নিউইয়র্কে তার সীমিত অবস্থানের কারণে পরিধিও সীমিত হবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন আগামী ১০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার শুরু হবে। উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ আলোচনা শুরু হবে ২৪ সেপ্টেম্বর।
চলতি বছরের সামিট অব দ্য ফিউচার অনুষ্ঠিত হবে ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর। আমাদের আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা কীভাবে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা আরও ভালভাবে মেটাতে পারে তা নির্ধারণের জন্য এই ধরনের প্রথম শীর্ষ সম্মেলনটি সব বয়সের নেতা, শুভাকাঙ্ক্ষী এবং কর্মীদের একত্রিত করবে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টার অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান এর আগে বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোন কোন ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে সেসব বিষয়ে তার সরকারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বিনিময়ের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ।
ওয়াশিংটন ডিসির উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক কুগেলম্যান রাইট টু ফ্রিডম-আরটুএফ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বলেন, 'যদি তিনি তা করেন(অধিবেশনে যোগ দেন), তাহলে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিউইয়র্কে সবচেয়ে বড় বৈশ্বিক প্ল্যাটফর্মে বক্তব্য দেবার সুযোগ পাবেন।’
এর ফলে অধ্যাপক ইউনূস বেশ কিছু কাজ করতে পারতেন, বেশ কিছু কথা তিনি বলতে পারতেন বলেও উল্লেখ করেছিলেন কুগেলম্যান।
তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, সর্বোপরি তার উচিত দেশ পরিচালনার জন্য একটি দৃষ্টিভঙ্গি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের লক্ষ্য, সংস্কারের জন্য তার পরিকল্পনা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তার প্রচেষ্টাগুলো তুলে ধরা।’
আরও পড়ুন: চলতি মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেবেন ইউনূস: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ইউএনজি’র ৭৯তম অধিবেশন ড. ইউনূসের সরকারের জন্য বড় সুযোগ: কুগেলম্যান
অধ্যাপক ইউনূসকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোন, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ শাহবাজ শরীফ।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ফোনালাপে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার ওপর জোর দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণ করায় অধ্যাপক ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের অপার সম্ভাবনা রয়েছে।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যকার সৌহার্দ্য তাদের জনগণের কল্যাণে যথেষ্ট সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কে রূপান্তরিত হবে।
অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বাধীন বিপ্লবের পর বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণের পর শরীফের কাছ থেকে ফোন কল পাওয়া এবং তার কাছ থেকে অভিনন্দন বার্তার জন্য ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ইমরান খানের ওপর হামলার নিন্দা পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের
বাংলাদেশের বন্যার্তদের জন্য পাকিস্তানের জনগণের সহানুভূতি ও সংহতি জানিয়ে বার্তা পাঠানোর জন্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।
শরীফ বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি ঢাকা ও ইসলামাবাদের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের আলোচনা এবং যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের মতো প্রক্রিয়া পুনরায় চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি সার্ক প্রক্রিয়া কার্যকর করার ওপরও জোর দেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে শীর্ষ আঞ্চলিক ফোরাম হিসেবে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করতে তিনি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি নিয়মিত সার্ক শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। যত দ্রুত সম্ভব সার্কভুক্ত দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠক আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন ইউনূস।
অধ্যাপক ইউনূস দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও উভয় দেশের জনগণের মধ্যে সংযোগ জোরদারের আহ্বান জানান।
আর পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. ইউনূসকে শাহবাজ শরীফের অভিনন্দন
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চাইলেন অধ্যাপক ইউনূস
বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ ফিরিয়ে আনতে সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতা চেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেংগলি অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বিষয়টি উত্থাপন করেন।
অধ্যাপক ইউনূস তার কাছে জানতে চান 'টাকা ফেরতের কোনো উপায় আছে কি?’‘চুরি করা অনেক টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ।’
পারস্পরিক আইনি সহায়তার বিষয়ে রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ড সবসময়ই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি ও মানদণ্ড মেনে চলতে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেশ করা প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক।আরও পড়ুন: ভোলায় আরও ৫ গ্যাসকূপ অনুসন্ধানে আগ্রহী গ্যাসপ্রম, বাংলাদেশের প্রতি রাশিয়ার সমর্থন অব্যাহত থাকবে: রাষ্ট্রদূত
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘তার কাছ থেকে সরকারের অগ্রাধিকার সম্পর্কে জানতে পারাটা ছিল আনন্দের। সামনে সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ বিবেচনায় বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণে সুইজারল্যান্ড অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তা করবে।’
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত রেংগলি ড. ইউনূসকে সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের লেখা একটি চিঠি হস্তান্তর করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, সুইজারল্যান্ড অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন করবে এবং দেশটির সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করবে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, 'আমি সত্যিই আশা করি বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ আরও বৃদ্ধি পাবে।’
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত লাগোয়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উন্নয়নে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে তরুণ নেতৃত্ব গড়ে তুলতে চায়।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফরাসি, কানাডা ও মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ধৈর্য ধরুন, রাতারাতি এই পর্বতসম পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ কঠিন: অধ্যাপক ইউনূস
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এখনই সবকিছুর দাবিতে শক্তি দেখানোর পরিবর্তে পর্বতসম চ্যালেঞ্জগুলো ধীরে ধীরে মোকাবিলায় জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন।
বিভিন্ন মহল দাবি আদায়ে কী করছে এবং অভিযুক্তদের আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় কী ঘটছে তা উল্লেখ করে টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: 'অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ গণতন্ত্র' অর্জনে সরকারের প্রচেষ্টা সমর্থন করে জাতিসংঘ: অধ্যাপক ইউনূসকে গুতেরেস
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি শুধু বলব, আপনাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। এখনই সব দাবি পূরণ করার জন্য জোর করা, প্রতিষ্ঠানে ঢুকে ব্যক্তিবিশেষকে হুমকির মধ্যে ফেলা, মামলা গ্রহণের জন্য চাপ সৃষ্টি করা এবং বিচারের জন্য গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে আদালতে হামলা করে আগেই এক ধরনের বিচার করে ফেলার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
এসব কারণে নতুন বাংলাদেশ গড়ার গৌরব ও সম্ভাবনা ম্লান হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন ২০০৬ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারবিজয়ী।
আরও পড়ুন: বন্যা সংকটে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে এমনভাবে গড়তে চাই যেন জনগণই সব ক্ষমতার উৎস হয়।’
তরুণ প্রজন্ম, শিক্ষার্থী ও জনতার আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানাতে রাষ্ট্র সংস্কারে সফল হওয়ার কোনো বিকল্প নেই বলে ভাষণে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের মাধ্যমে বিদেশ সফর শুরু হবে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের
ঢাকার অধিকাংশই বিশ্বের গ্রাফিতি রাজধানীতে পরিণত হয়েছে: অধ্যাপক ইউনূস
তৃতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট ২০২৪-এর মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিদেশি বন্ধুদের শিগগিরই ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা গুরুত্বপুর্ণ কিছু তথ্য নাও পেতে পারেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার অধিকাংশই বিশ্বের দেয়ালচিত্রের রাজধানীতে পরিণত হয়েছে। ১২-১৩ বছর বয়সি শিক্ষার্থী ও শিশুরা ৪০০ বছরের পুরোনো এই শহরের দেয়ালে নতুন গণতান্ত্রিক পরিবেশবান্ধব বাংলাদেশের চিত্র আঁকছে।’
উদ্বোধনী অধিবেশনে ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নোবেল এ বিজয়ী বলেন, এ বিষয়ে কোনো কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা বা দিকনির্দেশনা নেই। ‘কারো কাছ থেকে অর্থ সহায়তাও পায়নি।'
আরও পড়ুন: আমাদের কৌশলের কেন্দ্রবিন্দুতে তরুণ ও শিক্ষার্থীদের স্থান দিতে হবে: অধ্যাপক ইউনূস
তিনি বলেন, এটি দ্বিতীয় বিপ্লবের উদ্দেশ্যগুলোর প্রতি তাদের আবেগ ও অঙ্গীকারের বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
ইউনূস বলেন, তরুণ শিক্ষার্থী ও শিশুরা দোকান থেকে তাদের জন্য রং ও ব্রাশ কিনে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, ‘তারা তাদের নিজস্ব বিষয় এবং নিজস্ব বার্তা ফুটিয়ে তোলে। তারা যেসব বার্তাসহ গ্রাফিতি আঁকছেন তা যে কাউকে শিহরিত করবে। তরুণরা কী স্বপ্ন দেখছে তা যে কেউ এসবের মধ্যে পড়তে পারে। তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া আমাদের দায়িত্ব।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ১৯৫২ সালে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা মাতৃভাষার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন এবং এটি সারা বিশ্বে মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকারের জন্য সংগ্রামকে অনুপ্রাণিত করেছিল।
তিনি বলেন, ‘প্রায় সাত দশক পরে আমাদের ছাত্রদের নেতৃত্বে দ্বিতীয় বিপ্লব গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মর্যাদা, সমতা ও অংশীদারিত্বমূলক সমৃদ্ধির জন্য তাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে গ্লোবাল সাউথ জুড়ে যুবকদের অনুপ্রাণিত করছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি সবচেয়ে বয়স্ক 'তরুণ' হিসেবে এই বিপ্লবে অংশ নিতে পেরে এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। তাদের আপনাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। তাদের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করি।”
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ড. ইউনূসকে সম্মেলনে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
অন্তবর্তীকালীন সরকার প্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এটাই ছিল ইউনূসের প্রথম বহুপাক্ষিক বৈঠক।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আয়োজনে উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান পর্যায়ের অতিথিরা ছিলেন।
এর আগে বাংলাদেশ ভ্রমণে ইচ্ছুক সাংবাদিকদের দ্রুত ভিসা অনুমোদনের জন্য বিদেশে তার সব মিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশে স্বাগত জানান, যাতে তারা মাঠ পর্যায় থেকে প্রতিবেদন করতে পারেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার বলেন, 'গৌণ কোনো উৎস বা অতিরঞ্জিত কোনো প্রতিবেদনের মাধ্যমে প্রভাবিত না হয়ে তারা নিজেরাই পরিস্থিতি দেখে প্রতিবেদন তৈরি করাই ভালো।’
শফিউল আলম বলেন, সাংবাদিকদের ভিসার আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তিনি ব্যক্তিগতভাবে নয়াদিল্লি ও হংকংয়ে বাংলাদেশ মিশনের কর্মকর্তাদের ফোন করেছেন।
আলম বলেন, 'আমরা উন্মুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে চাই যেখানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে কোনো আপস করা যাবে না।’
তাই বাংলাদেশ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে কেউ প্রতিবেদন করতে চাইলে তাকে স্বাগত জানানো হবে বলে জানান প্রেস সচিব।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানালেন নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী
ইসরায়েলির পুরস্কার নিয়ে গণহত্যার পক্ষ নিয়েছেন ড. ইউনূস: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউনূস সেন্টারের ‘মিথ্যাচার’ ও ইসরায়েলি ভাস্করের কাছ থেকে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের পুরস্কার পাওয়াকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এ মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘আমি খুব অবাক হয়েছি..... এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
তিনি বলেন, গাজায় শিশু ও নারীসহ মানুষ হত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে অধ্যাপক ইউনূসের কাছ থেকে প্রতিবাদের একটি শব্দও শোনা যায়নি।
হাসান বলেন, ‘গাজার এই পরিস্থিতিতে অধ্যাপক ইউনূস একজন ইসরায়েলির কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন। এটা কী? এটার কী মানে? এর মানে কি তারা গাজায় ইসরাইলি হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করছে?’
তিনি বলেন, অধ্যাপক ইউনূসকে ইউনেস্কো পুরস্কৃত করেনি, এটা ইউনূস সেন্টার মিথ্যা প্রচার করেছে।
ইউনূস সেন্টারের মিথ্যাচারের ঘটনা এটিই প্রথম নয়, এর আগেও তারা একই ধরনের মিথ্যাচার করেছে বলে মন্তব্য করেন ড. হাছান।
আরও পড়ুন: ইউনেস্কো পুরস্কার পাননি ড. ইউনূস: মহিবুল হাসান
এর আগে গত বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাংলাদেশ ইউনেস্কো কমিশনের চেয়ারম্যান ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে 'দ্যা ট্রি অব পিস' পুরস্কার দেয়নি ইউনেস্কো।
তিনি বলেন, আজারবাইজানের গঞ্জাভি ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে ড. ইউনূসকে একজন ইসরায়েলি ভাস্কর 'ট্রি অব পিস’ পুরস্কারে ভূষিত করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, ইউনেস্কো থেকে পুরস্কার পেয়েছেন বলে ড. ইউনূস যে দাবি করেছেন তা অসত্য।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে ইউনূস সেন্টার যে তথ্য প্রচার করেছে তা অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। সঠিক রেকর্ড তুলে আনা জরুরি; যাতে কোনো ভুল তথ্য আমাদের দেশের সুনাম নষ্ট না করে। এটা বাংলাদেশের জন্য অপমানজনক বিধায় এ বিষয়ে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে ব্যাখ্যা পাঠানো হবে।’
আরও পড়ুন: ইউনূসকে নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, বিবৃতি নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ইউনূস সেন্টার ইউনেস্কো পুরস্কার নিয়ে মিথ্যা দাবি অব্যাহত রাখলে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেন মন্ত্রী। তিনি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ড. ইউনূস এবং বাংলাদেশ উভয়ের সুনাম যাতে ক্ষুণ্ন না হয় সেজন্য অবিলম্বে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার বন্ধ করার আহ্বান জানান।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে ইউনূস সেন্টারের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: কোনো অপরাধ করিনি, শঙ্কিত কেন হবো: দুদক কার্যালয়ে ড. ইউনূস