শিল্প
পাট, বস্ত্র ও জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিশ্বব্যাংককে বিনিয়োগের আহ্বান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াতের
পাট ও বস্ত্র এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিশ্বব্যাংককে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে এ আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, পাট ও পাটজাত পণ্য অত্যন্ত পরিবেশবান্ধব এবং দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্যের অংশ। একটা সময় ছিল দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান খাত ছিল পাট। বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহার বৃদ্ধিতে এ ধারায় কিছুটা ছেদ পড়লেও জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পরিবেশ বিপর্যয়রোধে পাটজাত পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আরও পড়ুন: অভিন্ন নদীতে পানির অধিকার ও হিস্যা নিয়ে শিগগিরই ভারতের সঙ্গে আলোচনা হবে: পানিসম্পদ উপদেষ্টা
উপদেষ্টা আরও বলেন, পলিথিন ও প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব সোনালী ব্যাগ ও জুট জিও টেক্সটাইল বহুমুখী পাটপণ্য ইত্যাদি উদ্ভাবনের ফলে দেশে-বিদেশে পাটের ব্যাপক চাহিদার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে উৎপাদিত পাটের ৭০ ভাগ বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় একটি খাত।
এম সাখাওয়াত বলেন, আমাদের ২৫টি সরকারি পাটকল ও ২৫টি বস্ত্রকল উৎপাদন কার্যক্রম কয়েক বছর পূর্বেই বন্ধ হয়েছে। বর্তমানে মিলগুলোতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আমাদের শিল্প কারখানাগুলো কৌশলগতভাবে যোগাযোগের জন্য অত্যন্ত সুবিধাজনক স্থানে অবস্থিত। সে কারণে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা অত্যন্ত সহজে এখানে বিনিয়োগ করতে পারে। এছাড়াও বাংলাদেশের বস্ত্র ও পোশাক শিল্প ক্রমশ উন্নতি করছে।
বিশ্ব বিখ্যাত মসলিন কাপড়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মসলিন কাপড় একসময় জগৎ বিখ্যাত ছিল। সরকার মসলিনের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে একটি প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করেছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে মসলিন কাপড় তৈরির সুতা তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। শিগগিরই কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: সম্পর্কের ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু করতে প্রধান উপদেষ্টাকে ইতালির প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
উপদেষ্টা বলেন, জাহাজ নির্মাণ দেশের একটি সম্ভাবনাময় ও ক্রমবিকাশমান শিল্প। স্থানীয়ভাবে তৈরি জাহাজ রপ্তানি করার মাধ্যমেই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে জাহাজ নির্মাণ প্রধান প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেক অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী। বিশ্বব্যাংক দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশের জনগণের জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে বিশ্বব্যাংক অঙ্গীকারাবদ্ধ। দুটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করায় আবদৌলায়ে সেক উপদেষ্টাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
এসময় তিনি বলেন, পাট, বস্ত্র, শিপিংসহ সব সেক্টরেই নতুন নতুন প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক আগামীতে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে আগ্রহী।
বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় পরিচালিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয় এবং উপদেষ্টা চলমান প্রকল্পগুলোকে যথাসময়ে সমাপ্ত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায়ে সেকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিকসহ মন্ত্রণালয়, দপ্তর ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নতুন যাত্রা সফল করতে বিদেশি বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা প্রধান উপদেষ্টার
১ মাস আগে
রপ্তানি প্রণোদনা কমালে দেশীয় শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে: ব্যবসায়ী নেতারা
চলতি অর্থবছরে প্রায় সব খাতে রপ্তানি প্রণোদনা কমানোর সরকারি সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
তারা বলছেন, সরকার এই পদক্ষেপের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে ২০২৬ সালে দেশ স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণের পরে রপ্তানি ভর্তুকি পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হবে।
আইএমএফের পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় ব্যয়ের ওপর চাপ কমানো এবং রপ্তানিকারকদের সক্ষমতা বাড়িয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে প্রস্তুত হতে উৎসাহিত করাও এ পদক্ষেপের লক্ষ্য।
তবে এ বিষয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
তার মতে, এই পদক্ষেপের প্রভাব পড়বে দেশের প্রধান রপ্তানি আয়ের উৎস পোশাক খাতের ওপর।
হাতেম এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে বলেন, ‘পোশাক খাত এখন আইসিইউতে রয়েছে। যথাযথ চিকিৎসা না দিলে শিগগিরই লাইফ সাপোর্টে রাখতে হবে।’
তার মতে, এই মুহূর্তে রপ্তানি প্রণোদনা কমানো মানে এ খাতকে গলা টিপে হত্যা করা।
তবে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম কিছুটা ভিন্ন মত পোষণ করেছেন।
সোমবার এ বিষয়ে তিনি ইউএনবিকে বলেন, বৈশ্বিক প্রতিযোগীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করতে সরকার রপ্তানি ভর্তুকি কমিয়েছে।
তবে দেশীয় শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে রাষ্ট্রীয় সহায়তা এবং প্রণোদনা উভয়ই প্রয়োজন।
এই সিদ্ধান্তের প্রভাব কিছু খাতকে প্রভাবিত করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার বিকল্প উপায়ে এটি কভার করতে পারে।
আরও পড়ুন: ‘বাজারের এই মাথা-ওই মাথা ঘুরছি, কিছু কিনতে পারছি না’
তবে তিনি উল্লেখ করেন, অনেক স্থানীয় শিল্প উচ্চ সুদের হার এবং উচ্চ ইউটিলিটি বিলের কারণে হিমশিম খাচ্ছে, যা উৎপাদন ব্যয় বাড়াচ্ছে।
তাই রপ্তানি খাতে টিকে থাকতে হলে স্থিতিশীল বিনিময় হার ও স্বস্তিদায়ক হারে জ্বালানি সরবরাহ অপরিহার্য।
গত ৩০ জুন এক প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে রপ্তানি প্রণোদনার সর্বোচ্চ হার ১০ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সব বাজারে পোশাক প্রস্তুতকারকদের নগদ সহায়তা শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে অর্ধেক করে শূন্য দশমিক ৩০ শতাংশ করা হয়েছে। নতুন বাজারে প্রবেশের জন্য নগদ ভর্তুকি ৩ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা হয়েছে।
এই কম রপ্তানি প্রণোদনা পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ ও কৃষিজাত পণ্যসহ অন্যান্য বিভিন্ন খাতের জন্য প্রযোজ্য হবে। ৩০ জুন পর্যন্ত এটির হার ছিল ১৫ শতাংশ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির আগে তারা ২০ শতাংশ প্রণোদনা পেতেন। তবে ক্রাস্ট চামড়া রপ্তানিতে ৬ শতাংশ প্রস্তাব করেছে সরকার।
বর্তমানে ৪৩টি খাত এই সহায়তা পেয়ে থাকে। গত তিন বছরে সরকার বার্ষিক প্রায় ৯ হাজার ২৫ কোটি টাকা ব্যয় করেছে।
আরও পড়ুন: নিত্যপণ্যের দাম নাগালে রাখতে সাপ্লাই-চেইন স্থিতিশীল রাখুন: এফবিসিসিআই
৪ মাস আগে
বাড়তি সম্পূরক শুল্ক আরোপে টেলিকম শিল্পের ওপর চাপ বাড়ছে: অ্যামটব
মোবাইল সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক অতিরিক্ত ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ করার সরকারি সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (অ্যামটব)।
বৃহস্পতিবার(৬ জুন) অ্যামটবের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই পদক্ষেপটি টেলিকম শিল্প এবং মোবাইল গ্রাহক উভয়ের জন্য উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুল্কের এই বৃদ্ধি ভয়েস এবং ইন্টারনেট পরিষেবার ব্যয় বাড়াবে। যা ব্যবহারকারীদের উপর বিশেষ করে প্রান্তিক সম্প্রদায়ের উপর অতিরিক্ত আর্থিক চাপ সৃষ্টি করবে। সংস্থাটি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে এটি সম্ভাব্যভাবে মোবাইল পরিষেবা ব্যবহার হ্রাস করতে পারে। ফলে ব্যবসায়কে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় হ্রাস করবে।
আরও পড়ুন: যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০ প্রকল্পের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সিম কার্ডের ওপর উচ্চ ভ্যাট নতুন ব্যবহারকারীদেরকে নিরুৎসাহিত করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে দেশে মোবাইল সংযোগের প্রবৃদ্ধিকে আরও কমিয়ে দেবে, যেখানে জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ মানুষ এখনো মোবাইল ব্যবহার করে না।
এমটব জোর দিয়ে বলেছে, এই পদক্ষেপগুলো দেশের সামগ্রিক ডিজিটালাইজেশনকে বাধাগ্রস্ত করবে, জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বিরূপ প্রভাব ফেলবে এবং সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
এই উদ্বেগ থেকে এমটব সরকারকে এই দায়িত্বগুলো পুনর্বিবেচনা করার এবং তাদের পূর্ববর্তী টেলিকম বাজেটের সুপারিশগুলো বিবেচনায় নিয়ে শিল্পকে সহযোগিতা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার দিকে অব্যাহত অগ্রগতি নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২৪-২৫: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ল
৪ মাস আগে
সংবাদপত্র শিল্পকে জনগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি
সংবাদপত্র শিল্পকে জনগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআইর প্রেস ও মিডিয়া বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটি।
এছাড়া সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইনসহ গণমাধ্যমের উপর আরোপিত করের বোঝা সহনীয় করার দাবি জানিয়েছে এই কমিটি।
মঙ্গলবার (মে ২১) সকালে এফবিসিসিআই আইকনে এক সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে দেশের গণমাধ্যম।
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রেস ও মিডিয়াকে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এজন্য সংবাদপত্র শিল্পের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।
পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে গণমাধ্যম মালিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ মাধ্যমের চ্যালেঞ্জ সমূহ চিহ্নিতকরণ ও সমাধানে এই শিল্পের সব অংশীজনকে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে সম্পৃক্ত করে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির তাগিদ দেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী।
সংবাদ মাধ্যমের মালিক, সংবাদকর্মী ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন আনার উপর গুরুত্ব দেন তিনি।
স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এম. শোয়েব চৌধুরী বলেন, অন্যান্য শিল্পের মতো সংবাদ মাধ্যমকেও ব্যবসা করে টিকে থাকতে হয়। কাজেই অন্যান্য খাতের ন্যায় সংবাদ মাধ্যমকেও কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, কাগজ, কালি, ছাপার যন্ত্রাংশের উপর আরোপিত কর কমিয়ে আনা দরকার। টেলিভিশনের ব্যান্ডউইথের উপরও বিদ্যমান কর কমানো প্রয়োজন।
সম্পূরক বাজেটে প্রেস ও মিডিয়ার জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখাসহ এই শিল্পকে জনগুরুত্বপূর্ণ শিল্প হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হোন্ডার বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিনিয়োগ ঘোষণা, লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্র-চীনের বাজার
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. রাকিবুল আলম (দিপু) বলেন, সংবাদ মাধ্যমের সংকট দূর করতে কমিটির উদ্যোগে একটি কৌশলপত্র তৈরি করে তথ্যমন্ত্রী ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট নীতি নির্ধারক এবং অংশীজনদের নিয়ে শিগগিরই সেমিনার আয়োজন করা হবে।
এজন্য কমিটির সদস্যদের সুনির্দিষ্ট মতামত লিখিত আকারে জমা দিতে হবে।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে- সংবাদ মাধ্যমের জন্য কর সহনীয় করা, সহজ শর্তে ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন-বোনাস ও আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত, এ খাতে ব্যবহৃত উপকরণ ও যন্ত্রাংশ প্রাপ্তি সহজীকরণ, ক্রোড়পত্র ও বিজ্ঞাপন প্রাপ্তিতে পত্রিকা সমূহের সমঅধিকার নিশ্চিতকরণ, সরকারের কাছে বিজ্ঞাপন বাবদ প্রাপ্ত বিল দ্রুত পরিশোধ করাসহ বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা।
এছাড়া, বেসরকারি খাতের সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের সম্পৃক্ততা বাড়াতে এফবিসিসিআইর উদ্যোগে প্রতি ৩ মাস পর পর সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের মালিক, সম্পাদকসহ, ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত সৌজন্য সভা আয়োজনের আহ্বান জানান তারা।
পাশাপাশি, সংবাদ মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশে উৎসাহ ও ইয়েলো জার্নালিজমকে (হলুদ সাংবাদিকতা) নিরুৎসাহিত করা ও সচেতনতা বাড়ানোর বিষয়ও মুক্ত আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পায়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং এফবিসিসিআইর সাবেক পরিচালক এম. শোয়েব চৌধুরী।
ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক মো. রাকিবুল আলম (দিপু)।
সভায় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশিদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রেস সচিব একেএম শামীম চৌধুরী, এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের বোর্ড অব গভর্নরসের (পিডিবিএফ) সদস্য বোরহান উদ্দিন আহমেদ, দ্য ব্লেজার বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী রাজিব ইউ. এ. চপল, এফবিসিসিআইর ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান জাফর ইকবাল এনডিসি, কমিটির কো-চেয়ারম্যান আক্কাস মাহমুদ, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন জিটু, তাওহিদা সুলতানা ও এজাজ মোহাম্মদ।
আরও পড়ুন: ৩ দিন পর সুন্দরবনে আগুন নেভানোর ঘোষণা
৫ মাস আগে
ইউএসআইটিসির শুনানিতে তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন বিজিএমইএ সভাপতি
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশনের (ইউএসআইটিসি) গণশুনানিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাককে তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
বাংলাদেশ, কম্বোডিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের পোশাক শিল্পের রপ্তানি প্রতিযোগিতা সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য ইউএসআইটিসি’র গৃহীত একটি নতুন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ভার্চুয়াল শুনানিতে বিজিএমইএ'র সহ-সভাপতি মিরান আলী, পরিচালক আসিফ আশরাফ ও আবদুল্লাহ হিল রাকিব এবং শ্রম ও আইএলও বিষয়ক বিজিএমইএ’র স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ন ম সাইফুদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নারীদের দক্ষতা উন্নয়নে বিশেষায়িত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: সিমিন হোসেন
ইউএসআইটিসির চেয়ারম্যান ডেভিড এস জোহানসন তার সহকর্মীদের নিয়ে গণশুনানি পরিচালনা করেন।
গণশুনানিতে ফারুক হাসান তার উপস্থাপনায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতের একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র তুলে ধরেন। এসময় কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, সবুজ প্রবৃদ্ধি, শ্রমিক অধিকার এবং শ্রম আইন সংস্কারের মতো ক্ষেত্রগুলোতে শিল্পের অগ্রগতির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বর্তমান পোশাক বাণিজ্যের চিত্রও তুলে ধরেন। বিশেষ করে বিশ্ববাজারে এরমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ভালো পারফর্ম করা বৈশ্বিক বিপর্যয় মোকাবিলায় যেসব শক্তি ও ফ্যাক্টর অবদান রেখেছে সেগুলোর চিত্রও তুলে ধরেন।
তিনি বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
শ্রমিকদের অধিকার বৃদ্ধিতে বিশেষ করে শ্রম আইন সংশোধনের মাধ্যমে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন শুনানিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিত্ব করা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ সফিউল্লাহ।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ নির্বাচন-২০২৪: ভোট পড়েছে ৮৯ শতাংশ, গণনা চলছে
৭ মাস আগে
স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পে ১০ বছরের কর মওকূফ চায় বাজুস
স্বর্ণ শোধনাগার শিল্পের জন্য ১০ বছরের কর মওকূফ এবং সারাদেশে ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানে ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) স্থাপনের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
দেশের জুয়েলার্সদের শীর্ষ সংগঠন বাজুস এনবিআরের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ প্রস্তাব দেয়।
বৃহস্পতিবার(২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে এই প্রাক-বাজেট আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় এনবিআর সদস্য, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায়সহ বাজুস নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১১ দফা রোডম্যাপ
বাজুস স্বর্ণের ওপর ৩ শতাংশ ভ্যাট, অলঙ্কারের ওপর কর অব্যাহতি এবং অপরিশোধিত বা আংশিক পরিশোধিত স্বর্ণ আমদানিতে শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক ইউএনবিকে বলেন, পর্যটকদের জন্য স্বর্ণের বার আনা বন্ধে তারা স্বর্ণ নীতিমালা সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে স্বর্ণ আমদানির করমুক্ত সীমা ১০০ গ্রামের পরিবর্তে ৫০ গ্রাম করার প্রস্তাব করেন তিনি।
ব্যাগেজ নিয়মের সমন্বয় সাধন করে যাত্রীকে ওয়ান টাইম ব্যাগেজ রুলের সুবিধা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বাজুস।
এর আগে এনবিআর কর মওকূফ স্বর্ণ ২০০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ১০০ গ্রাম করে। এনবিআরের এ সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মীরা। কিন্তু স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখনও সন্তুষ্ট নয়। তাই তারা আবারও ভ্রমণকারী ও অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য করমুক্ত স্বর্ণ আমদানির সীমা কমাতে চান।
আরও পড়ুন: ১৪ এপ্রিল থেকে বস্তায় চালের জাত ও মূল্য লিখতে হবে: খাদ্য মন্ত্রণালয়
৮ মাস আগে
প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান রুগ্ণ শিল্পের মালিকরা
শিল্প মন্ত্রণালয়ের চিহ্নিত করা রুগ্ণ শিল্পগুলোর জন্য সরকার ঘোষিত এক্সিট সুবিধা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন এরূপ শিল্পের মালিকরা।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
রুগ্ণ শিল্পের পুনর্বাসন সংক্রান্ত এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় শিল্প মালিকরা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর রুগ্ণ শিল্পের পুনর্বাসন ও দায়দেনা নিষ্পত্তির জন্য ২০০৯ সালে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠন করেছিল।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকবান্ধব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পরবর্তীতে টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কারখানার দায় দেনা অবসায়ন প্রকল্পে সরকার সার্কুলার জারি করেছে, কিন্তু ব্যাংকের অসহযোগিতার কারণে এক্সিট নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেন তারা।
এসকল শিল্প রুগ্ণ হলেও, ব্যাংকগুলোর মালিকদের খেলাপি দেখিয়ে অর্থঋণ আদালতে মামলা করেছে। এতে নতুন ব্যবসায়িক উদ্যোগও গ্রহণ করতে পারছেননা তারা।
এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চেয়েছেন রুগ্ণ শিল্পের মালিকরা।
কমিটির চেয়ারম্যান ছাদেক উল্ল্যাহ চৌধুরী জানান, রুগ্ণ শিল্পের পুনর্বাসনের জন্য ১৯৯৮ সালে মুন্সেফ কমিটি গঠিত হয়েছিল। রুগ্ণ শিল্প পুনর্বাসনে ১০০ কোটি টাকার তহিবল গঠন করেছিল তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। পরে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০০৮ সালে এফবিসিসিআই’র উদ্যোগে নতুন করে রুগ্ণ শিল্পের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে রুগ্ন শিল্পের এক্সিট সুবিধা বাস্তবায়নসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবনা নিয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠকে বসার আশ্বাস দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।
কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজনু বলেন, রুগ্ণ শিল্প ব্যবসার ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু রুগ্ণ শিল্পগুলোর মালিকরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও বিমসটেক একসঙ্গে কাজ করবে: প্রধানমন্ত্রী
অবকাঠামো নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামীণ উন্নয়নে গুরুত্ব দিন: একনেক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী
৮ মাস আগে
তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্য দেশে নিয়ে যেতে চায় সরকার: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্য দেশে স্থানান্তরের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকার তৈরি পোশাক খাতকে ধ্বংস করছে।
রবিববার (১২ নভেম্বর) ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ ছাড়া ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি পোশাক শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শিথিল করা এবং চার শ্রমিককে হত্যা করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের উদ্যোগ জনগণই বানচাল করবে: রিজভী
তিনি বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় খাত গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) ১৯৭৪ সালের মতো আবারও দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করতে চান এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে চান।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকারের প্ররোচনায় মালিকরা শনিবার ১৫০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যে পুলিশ তৈরি পোশাক শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়েছে তারা ১১ হাজার তৈরি পোশাক শ্রমিককে আসামি করে মামলা করেছে।
রিজভী বলেন, ‘জনগণ বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৈরি পোশাক ব্যবসা অন্য দেশে স্থানান্তর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি চান।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের হাতে শুধু বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই নয়, পেশাদার গার্মেন্টস শ্রমিকরাও নিরাপদ নয়। এ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে চারজন গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত হয়েছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, বিরোধী দলের চলমান আন্দোলন দমনে সরকার আবারও সাদা পোশাকে পুলিশ ব্যবহার করে গুম করতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা কালো গ্লাসে ঢেকে মাইক্রোবাসে করে ‘নাৎসি বাহিনীর’ মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং গণতন্ত্রপন্থী শক্তিকে তুলে নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি সাধারণ মানুষও রেহাই পাচ্ছে না। তারা র্যাব-পুলিশের নামে গণতান্ত্রিক শক্তির বাবা-মা, ছেলে, সন্তান, ভাই-বোনসহ আত্মীয়-স্বজনদের তুলে নিয়ে গুম করছে।’
ভোটের অধিকার ফিরে পেতে যারা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন করছে তাদের বিরোধী না হতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
তিনি দাবি করেন, রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির ৩৬৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ, হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার ৭৭০ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
বাংলাদেশ এখন ‘নিষ্ঠুর একদলীয় শাসনের’ অধীনে: রিজভী
১১ মাস আগে
আঞ্চলিক শিল্প মূল্য শৃঙ্খল তৈরির উপর জোর অর্থনীতিবিদদের
বাংলাদেশ-জাপান এবং উত্তর-পূর্ব ভারতকে সংযুক্ত করে একটি আঞ্চলিক শিল্পে মূল্য শৃঙ্খল (ভ্যালু চেইন) তৈরি করতে সরকারি সংস্থা, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ও বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করে একটি ত্রিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্ম গঠনের উপর জোর দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা।
বুধবার(২৭ সেপ্টেম্বর) এক আলোচনায় প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদরা এই পরামর্শ দেন।
তারা বলেন, চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করে এই অঞ্চলটি একটি বড় প্রবৃদ্ধির কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। তারা বলেন, এই অঞ্চলে শিল্প, অবকাঠামো ও জ্বালানি সংযোগ স্থাপনের জন্য ব্যাপক বিনিয়োগ, বাণিজ্য নীতি ও কর সংস্কার, পণ্য সমন্বয় এবং শুল্ক ব্যতীত অন্য বাধা অপসারণ প্রয়োজন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর প্রতিষ্ঠার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় বাংলাদেশ উত্তর-পূর্ব ভারতের শান্তি ও স্থিতিশীলতায় সহায়তা করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক উন্নয়নে কৌশলগত সহযোগিতা বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: রাষ্ট্রদূত ইয়াও
তিনি বলেন,‘এখন সময় এসেছে আঞ্চলিক শিল্প ও উন্নয়নকে আরও এগিয়ে নেওয়ার।’
মঙ্গলবার(২৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় জাপান দূতাবাস আয়োজিত বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতসহ বঙ্গোপসাগরে আঞ্চলিক সংযোগ উন্নয়ন এবং শিল্পে মূল্য শৃঙ্খল প্রতিষ্ঠার সেমিনারে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলমও বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশে একটি প্রধান বিদেশি সরাসরি বিনিয়োগকারী হলো জাপান। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর, একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বন্দরের সঙ্গে সংযোগকারী সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনে সহায়তা করছে দেশটি।
জাপান ২০১৪ সাল থেকে বে অব বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বেল্ট (বিআইজি-বি) উদ্যোগের অধীনে ৬ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার অঞ্চলে এবং এর বাইরে শিল্প ও অবকাঠামো ত্বরান্বিত করতে কাজ করছে।
এ ছাড়াও উত্তর-পূর্ব ভারতে পরিকাঠামো ও শিল্প নির্মাণে ভারতকে সহায়তা করছে জাপান।
রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজের অধ্যাপক ড. প্রবীর দে বলেন, 'এই অঞ্চলে একটি শিল্প মূল্য শৃঙ্খল এখন খুবই প্রয়োজন।’
যেহেতু এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে অনেকগুলো উপাদান জড়িত থাকবে, তাই আঞ্চলিক শিল্প মূল্য শৃঙ্খল প্রতিষ্ঠায় অগ্রগতির জন্য বাংলাদেশ, ভারত ও জাপানকে একটি ত্রিপক্ষীয় কাঠামোগত সহযোগিতা চুক্তির আওতায় আসার পরামর্শ দেন তিনি।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যদিও এটি একটি সম্ভাব্য এবং গুরুত্বপূর্ণ ধারণা, কিন্তু এটি এমন কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি যা মোকাবিলা করা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, 'প্রকল্পের ব্যয় বেশি হচ্ছে কি না তাও মাথায় রাখতে হবে।
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর ২০২৬ সালের মধ্যে সম্পূর্ণ হবে উল্লেখ করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, বন্দরের চাহিদা মূল্যায়ন করা গুরুত্বপূর্ণ। যদি বন্দরে পর্যাপ্ত পরিমাণে কার্গো আসে তবেই এর সর্বোত্তম ব্যবহার হবে। সেই চাহিদা তৈরির জন্য এখনই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রয়োজনীয় শিল্প স্থাপন করা গুরুত্বপূর্ণ, নেপাল ও ভুটানকে কীভাবে মূল্য শৃঙ্খলে সংযুক্ত করা যায় তাও ভাবতে হবে।
আরও পড়ুন: পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণ নির্মূলে বৈশ্বিক অঙ্গীকার আরও জোরদারের আহ্বান মোমেনের
তিনি বলেন, নেপাল ও ভুটানের সংযোগ ছাড়া মাতারবাড়ী কার্যকর হতে পারে না।
দেবপ্রিয় বলেন, প্রায়শই প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা ভূ-রাজনৈতিক ইস্যুরা মাধ্যমে তৈরি হয়। ভারত একটি ফেডারেল ব্যবস্থা এবং বৈদেশিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক দিল্লির মাধ্যমে নির্ধারণ হয়। এই বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া দরকার বলে জানান তিনি।
অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘জাপান তার শিল্প চীন থেকে বাংলাদেশে স্থানান্তর করবে কি না সেটিও একটি বিষয় হবে।’
ভারতভিত্তিক এশিয়ান কনফ্লুয়েন্সের নির্বাহী পরিচালক সব্যসাচী দত্ত অনলাইনে যুক্ত হয়ে বলেন, জাপান ইতোমধ্যেই উত্তর-পূর্ব ভারত ও বাংলাদেশে অনেক সংযোগ পরিকাঠামো তৈরি করেছে, তবে আরও অনেক কিছু করা দরকার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মাতারবাড়ী ও চট্টগ্রাম থেকে ত্রিপুরার সাব্রুম ও আগরতলা পর্যন্ত চার লেনের মহাসড়ক ও রেলপথের মধ্যে মাল্টিমোডাল কানেক্টিভিটির উন্নয়নে একটি আমূল পরিবর্তন আনতে পারে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক অত্যন্ত মধুর, কিন্তু কিছু গোষ্ঠী তিক্ততা সৃষ্টির চেষ্টা করছে: মোমেন
বাংলাদেশ ও ভারতের পাশাপাশি জাপানের মধ্যে বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতাগুলোও দূর করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিস্তৃত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সই, বিনিয়োগের পরিবেশের উন্নতি, সীমান্তের ওপারে পণ্যের নির্বিঘ্ন চলাচল এবং তৃতীয় দেশের বাণিজ্যকে সহজতর করার কিছু অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
আরও পড়ুন: মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা: গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করেননি স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র
১ বছর আগে
দেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘আমাদের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতির হাজার বছরের যে ঐতিহ্য রয়েছে, সেগুলোকে আরও সমৃদ্ধ করতে হবে। এজন্য আমাদের দেশের শিল্পী, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীদের আরও বেশি মনযোগী হতে হবে।
শুক্রবার (২১ জুলাই) সিলেটে ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০২২’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সাংস্কৃতিক ইতিহাস অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সিলেট অঞ্চলের অনেক মনীষী আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে বিশিষ্টতা দিয়েছেন। বিশেষ করে হাসন রাজার গান, শাহ আব্দুল করিমের গান — ওনাদের সৃষ্টিশীল কর্ম মানুষের মনে চিরস্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। এর কারণ সম্ভবত এসব গুণীজন একাধারে গান রচনা, সুরারোপ, সংগীত চর্চায় আত্মনিবেদিত ছিলেন। সে কারণে তাদের সৃষ্টি অনন্য ও অমর হয়ে আছে।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ৬ দিনের সফরে যাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড
তিনি বলেন, ‘শুধু সিলেট অঞ্চলের নয়, আমাদের বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম, সাহিত্যিক মীর মোশাররফ হোসেন — এরকম অনেক গুণীজন তাদের অনন্য সৃষ্টি রেখে গেছেন। এদের মতো করে শিল্প-সংস্কৃতির চর্চায় মনোনিবেশ করলে আমাদের সংস্কৃতি আরও সমৃদ্ধ হবে, আরও বৈচিত্র্যময় হবে। আর সেজন্য আজ যারা শিল্পকলার বিভিন্ন শাখায় অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন এবং আগামীতে যারা পাবেন তারা এসব সৃষ্টিশীল কাজে আরও বেশি মনোনিবেশ করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সরকার আমাদের সংস্কৃতি চর্চায় সবধরনের সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে যাচ্ছে। জেলা, উপজেলা পর্যায়ে শিল্পকলার নিয়মিত কর্মকাণ্ড আয়োজনে সরকারি ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে এখন অনেক বাড়ানো হয়েছে।’
গুণীজনদের কাজের সরকারি স্বীকৃতি হিসেবে শিল্পকলা একাডেমির সম্মাননা সংস্কৃতি কর্মীদের উৎসাহিত করতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে ৫ গুণীজনের হাতে ‘জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা ২০২২’ তুলে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।
সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন- লোকসংস্কৃতিতে মিহিরকান্তি চৌধুরী, কণ্ঠসংগীতে পূর্ণিমা দত্ত রায়, নাট্যকলায় চম্পক সরকার, আবৃত্তিতে জ্যোতি ভট্টাচার্য, যন্ত্রসংগীতে (বাঁশি) মো. মিনু মিয়া।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ, সিলেটের চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন খান এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, সিলেট জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে সিলেটের গুণীজন, শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিলেটের জেলা সংস্কৃতিবিষয়ক কর্মকর্তা অসিত বরণ দাশ গুপ্ত।
আরও পড়ুন: সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর রহমানের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক
রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা শুনলেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
১ বছর আগে