প্রদর্শনী
‘রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি’ নিয়ে দৃক গ্যালারিতে চলছে প্রদর্শনী
রাজধানীর দৃক গ্যালারিতে চলছে ‘রানা প্লাজার দশ বছর পর’ শীর্ষক ৯ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী।
রানা প্লাজা ভবন ধসে যারা বেঁচে গেছেন এবং তাদের পরিবারের ছবি নিয়ে ২১ জুলাই এই প্রদর্শনী শুরু হয় চলবে ২৯ জুলাই পর্যন্ত।
ফটোসাংবাদিক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ইসমাইল ফেরদৌস মর্মান্তিক ঘটনার স্মরণে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন।
একবিংশ শতাব্দীর আন্তর্জাতিক মহিলা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ইউনিয়ন হেরিটেজ ফান্ড এবং বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি সহযোগিতায় প্রদর্শনীটি আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলীখেলা শুরু
ছবি, ভিডিও, আখ্যান এবং পোস্টারের মাধ্যমে প্রদর্শনীটি রানা প্লাজা দুর্ঘটনার স্মৃতি মানুষের স্মরণে রেখে বাংলাদেশি গার্মেন্টস শ্রমিকদের শ্রম অধিকার রক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায়।
ইসমাইল তার ‘আফটার রানা প্লাজা’ শিরোনামের ছবিতে এবং ‘দ্য কস্ট অফ ফ্যাশন’ ডকুমেন্টারি ফিল্মটিতে বেঁচে থাকা এবং নিহতদের পরিবারের অকথিত গল্পগুলো ধারণ করেছেন।
প্রদর্শনীটি প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ও মহিষের ১০ গাড়িতে করে বরযাত্রা!
হাজার বছরের পুরনো দুর্লভ সামগ্রীর প্রদর্শনী
প্রাচীন মুদ্রা ও যুদ্ধাস্ত্র, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানিতে ব্যবহৃত বিষমিশ্রিত বেয়নেট, মোগল সাম্রাজ্যে ব্যবহৃত ঢাল ও আঙুলের বর্ম, সপ্তদশ শতাব্দীতে রৌপ্য ও তামার সংমিশ্রণে হাতে তৈরি প্লেট, সোভিয়েত ইউনিয়নের নৌবাহিনীর সাবমেরিনে ব্যবহৃত চাবি দেয়া ঘড়ি, প্রাচীন পেপার, পত্রিকাসহ শত শত প্রাচীন দুর্লভ সামগ্রী সাজিয়ে রাখা হয়েছে। যা দেখে মুগ্ধ হচ্ছে দর্শনার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার এনজিও ফোরাম মিলনায়তনে খুলনা কালেক্টরস সোসাইটি তিনদিন এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে।
শৌখিন সংগ্রাহকদের সামগ্রীর এই প্রদর্শনীর দ্বিতীয় দিন শুক্রবার দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পরার মতো।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দায় চিংড়ির চাহিদায় রদবদল, জনপ্রিয় হচ্ছে ভেনামি চিংড়ি
সাতক্ষীরায় বিশ্বের সর্ববৃহৎ হাতে লেখা কোরআন শরীফের প্রদর্শনী শুরু
সাতক্ষীরার হাবিবুর রহমানের হাতে লেখা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোরআন শরীফের দুইদিনব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় সাতক্ষীরার মেহেদীবাগ এলাকায় ইসলামী সংস্কৃতি ও সেবা কেন্দ্র ‘মসজিদের কূবা’কমপ্লেক্স ভবনে এ কোরআন শরীফ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম।
এছাড়া প্রদর্শনী চলবে আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ‘মসজিদে কূবা’পরিচালনা কমিটির সভাপতি দৈনিক দৃষ্টিপাত সম্পাদক জিএম নূর ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, লেখক হাবিবুর রহমান, ফিফার রেফারী তৈয়ব হাসান শামছুজ্জামান বাবু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, মসজিদে কুবা’র ইমাম সাইফুর রহমান, মসজিদে কুবা’র পরিচালনা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হাবিবুর রহমান মানবতার কল্যাণে ২০১৬ সালের পহেলা জানুয়ারি কোরআন শরীফ হাতে লেখা শুরু করে চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর শেষ করেন।
এ কোরআন শরিফের দৈর্ঘ্য ৩৩৫ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ২৬৪ সেন্টিমিটার, ওজন ৪০৫ কেজি।
দীর্ঘ ছয় বছর আট মাস ২৩ দিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৪২ পাতার কোরআন শরীফ হাতে লিখেছেন তিনি।
ইউটিউব দেখে তিনি এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুবাই এক্সপো ২০২০ শেষে জেফারসনের কোরআন যুক্তরাষ্ট্রের পথে
বক্তারা আরও বলেন, আজ ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে আমরা আনন্দিত। সারা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের সাতক্ষীরায় হাতে লেখা বৃহৎ একটি কোরআন রয়েছে যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।
হাবিবুর রহমান বলেন, তিনি প্রায় সাত বছর আগে ইউটিউব দেখে এ ব্যাপারে অভিজ্ঞতা নিয়েছেন। কোন সহৃদয় বিত্তবান ব্যক্তি যদি অর্থ দিয়ে এ কোরান শরীফ সংগ্রহ করেন তাহলে সেই অর্থ দিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য হাসপাতাল তৈরি করাই তার এই কঠোর পরিশ্রমের উদ্দেশ্য।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ হাতে লেখা কোরান শরীফের প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ইতিহাসের সাক্ষী হতে পেরে ভাল লাগছে।
আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, সর্ববৃহৎ এই কোরআন শরীফটি দেখতে ইতোমধ্যে দুর দুরান্ত থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ পুরুষ ও নারীরা দেখতে আসছেন।
আরও পড়ুন: ২০০ কেজি সোনায় কারুকার্যমণ্ডিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পবিত্র কোরআন
কসমস ফাউন্ডেশনের প্রদর্শনীতে আলেকজান্দ্রু পোটেকা ও নিপার শিল্পকর্ম
রোমানিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি এবং রোমানিয়ার ১০৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন উপলক্ষে কসমস ফাউন্ডেশন এক বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।
সোমবার রাতে রাজধানীতে বাংলাদেশে রোমানিয়ার অনারারি কনসাল এবং ইউএনবি ও ঢাকা কুরিয়ার-এর প্রধান সম্পাদক এবং কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতউল্লাহ খানের বারিধারার বাসভবনের গার্ডেন গ্যালারিতে বিশেষ এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।
এনায়েতউল্লাহ খান এবং ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশে রোমানিয়ার রাষ্ট্রদূত ড্যানিয়েলা সেজোনভ টেনের আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে রোমানিয়ার শিল্পী-ভাস্কর আলেকজান্দ্রু পোটেকা পরিদর্শন করা সাতটি অনন্য শিল্পকর্ম এবং প্রখ্যাত বাংলাদেশি শিল্পী মাকসুদা ইকবাল নিপার দশটি চিত্রকর্ম প্রদর্শন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক ও ব্যবসায়ী নেতারাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা যোগ দেন।
ইভেন্টটি সম্পর্কে এনায়েতউল্লাহ খান বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, কারণ আমরা আমাদের বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপন করছি। রোমানিয়ার সঙ্গে আমাদের অংশীদারিত্ব উদযাপন করছি। শিল্পীরা একটি মহান জাতি, চিত্রশিল্পীরাও একটি মহান জাতি এবং এটি আমাদের।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে মুগ্ধ বৃটেন ও তুরস্কের রাষ্ট্রদূত
বিড়াল প্রদর্শনী: বরিশালে ভিন্নধর্মী এক আয়োজন!
বরিশালে প্রথমবারের মত আয়োজিত হলো বিড়াল প্রদর্শনী। শুক্রবার সন্ধ্যায় বরিশাল নগরীর একটি কনভেনশন হলে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
বিড়ালপ্রেমীদের অংশগ্রহণ আর প্রতিযোগীতার মধ্য দিয়ে আড়ম্বরপূর্ণ হয়ে ওঠে এই আয়োজন।
এছাড়া সযত্নে লালিত বিড়ালদের মনের মতো করে সাজিয়ে সেখানে নিয়ে এসেছেন তাদের অভিভাবকেরা।
এতে প্রতিযোগী হিসেবে অংশ নেন শাকিব খান, অপু বিশ্বাস ও বুবলী নামের তিনটিসহ মোট ৪০টি বিড়াল।
মেলার আয়োজক ক্যাট/পার্সিয়ান ক্যাট সোসাইটি অব বরিশালের সমন্বয়ক আবির বিন মিজান বলেন, পশুপ্রেমের জায়গা থেকে আমি ও আমার স্ত্রী প্রথমে গ্রুপ খুলে বিড়াল প্রেমিদের একত্র করার চেষ্টা করি এবং অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাই।
তিনি বলেন, সকলের সম্মতিতে শুক্রবার বরিশালে প্রথম বিড়ালের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছি। এখানে বিড়ালগুলো বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ নিচ্ছে এবং জয়ীদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে।
মেলার প্রধান অতিথি জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. নূরুল আলম বলেন, আজকের মিলনমেলা একটি চিত্তবিনোদনেরও বিষয়। নাগরিক জীবনে আমরা হাপিয়ে উঠেছি বিভিন্ন যান্ত্রিক কারণে। সেই সময়ে জীবে প্রেমের নিদর্শন হিসবে এই আয়োজন মানুষকে প্রাণীদের প্রতি আরও সদয় করবে। এছাড়া প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর সব সময় এমন মানুষদের পাশে থাকবে।
মেলায় অংশগ্রহণকারী রাখি বলেন, একজন পশুপ্রেমী হিসবে আমি বিড়াল পুষছি। আজকে মেলায় এসে খুব ভালো লাগছে। চমৎকার আয়োজন। মানুষকে আরও আগ্রহী করে তুলবে পশুপ্রেমে।
অপর অংশগ্রহণকারী নিপা বলেন, এক বছর ধরে আমি বিড়াল পুষছি। আমার ছেলেমেয়েদের জন্য পুষছি। কারণ প্রযুক্তির এই সময়ে সন্তানদের মোবাইলসহ অন্য ডিভাইসে আসক্ত না করে জীবেপ্রেম শিখাতে পারলে মনে করি সঠিক শিক্ষা দিতে পারছি। এই জায়গা থেকেই আমি উদ্যোগী হয়ে বিড়াল পুষছি।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে বিরল প্রজাতির উড়ন্ত কাঠবিড়ালী উদ্ধার
লা গ্যালারিতে অভিজিৎ চৌধুরীর একক চিত্র প্রদর্শনী
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকার লা গ্যালারিতে শুরু হলো শিল্পী অভিজিৎ চৌধুরীর ১৫তম একক চিত্রপ্রদর্শনী।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ‘নন হায়ারার্কিক্যাল অর্ডার অব ফর্মস’ শিরোনামে এই প্রদর্শনী উদ্বোধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। এছাড়াও ছিলেন খ্যাতনামা অভিনেতা আফজাল হোসেন ও জাহিদ হাসান।
অভিজিৎ চৌধুরী বাংলাদেশের একজন প্রকৃষ্ট ও প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী হিসেবে পরিচিত। তিনি তার শিল্প অনুভূতির দ্বারা প্রকৃতির সব ধরনের উপাদান সযত্ন ও প্রতীতির সঙ্গে গ্রহণ করে তার চিত্রকলায় সেগুলিকে অভিরূপ উপায়ে ফুটিয়ে তোলেন।
আরও পড়ুন: কাল থেকে শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী লালন সাঁই’র তিরোধান উৎসব
‘আঁরা রোহিঙ্গা’ বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের যৌথ আয়োজনে কক্সবাজারে আঁরা রোহিঙ্গা বিষয়ের ওপর ১৪ দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার সংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন বিষয়ক কমিশনার অতিরিক্ত সচিব শাহ রেজওয়ান হায়াত।
আরও পড়ুন: ‘ব্রেভহার্ট’: বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে গ্যালারি কসমস
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ইউএনএইচসিআর এর বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জোহানেস ভন ডার ক্ল। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার আর্ট ক্লাবের সভাপতি তানভীর সরওয়ার রানা সূচনা বক্তব্য রাখেন।
প্রদর্শিত আলোকচিত্র বিষয়বস্তু হচ্ছে ‘আঁরা রোহিঙ্গা’। কক্সবাজারে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরের ১০ জন মেধাবী রোহিঙ্গা আলোকচিত্রী তাদের সামষ্টিক কর্ম ও কুশলতা এই প্রদর্শনীতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আমরা রোহিঙ্গা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী
প্রদর্শনীতে একটি শরণার্থী সম্প্রদায়ের দৈনন্দিন জীবনের দৃশ্যগুলো তুলে ধরে রোহিঙ্গাদের আত্মপরিচয় ঘিরে প্রদর্শনীটি আবর্তিত হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্মৃতি, তাদের প্রত্যাশা, বিশ্বাস, সৌন্দর্য্য, কর্মযজ্ঞ, সন্তাপ (মানসিক যন্ত্রণা), বেদনা এবং ভালোবাসার সমুজ্জ্বল অনুভূতিসমূহ মেলে ধরে এই যৌথ আয়োজন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সামর্থ্য, সহনশীলতা ও ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তিকে শ্রদ্ধা জানায়।
আরও পড়ুন: গ্রিসে বিশেষ প্রদর্শনীতে 'হাসিনা: এ ডটারস টেল'
প্রদর্শনীটি কিউরেট করেছেন আন্তর্জাতিক শিল্পী ডেভিড পালাজন, রোহিঙ্গা আলোকচিত্রী সাহাত জিয়া হিরো, এবং বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের কিউরেটর আমেনা খাতুন। প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে রোহিঙ্গা আলোকচিত্রীদের তোলা ৫০টি ছবি, এবং ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাস্তুচ্যুত হওয়া বাংলাদেশীদের ১০টি ছবি।
হাওয়ার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ
বণ্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে হাওয়া সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধে আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছে।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং তথ্য সচিব মো. মকবুল হোসেন ও সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মুহ. সাইফুল্লাহ বরাবর এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশ পাওয়ার সাত দিনের মধ্যে হাওয়া সিনেমাটির ছাড়পত্র বাতিল করে বাংলাদেশে এবং বাংলাদেশের বাইরে প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পাশাপাশি সেন্সরবোর্ড পুনঃগঠন করে বন্যপ্রাণি অপরাধ দমন ইউনিটের সদস্য, আইনজীবী ও পরিবেশবিদদের সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ভবিষ্যতে কোনো সিনেমার ছাড়পত্র দেয়ার আগে চলচ্চিত্রটিতে যেন ভায়োলেন্স পূর্ণ খুনের দৃশ্য, গালি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর কোনো ধারার লঙ্ঘন না হয় সে ব্যাপারে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়েছে, সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়ে গত ২৯ জুলাই দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে মুক্তি পাওয়া মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত ‘হাওয়া’ সিনেমায় ট্রলারে থাকা একটি খাঁচায় শালিক পাখি বন্দি অবস্থায় দেখা যায়। এক পর্যায়ে সেটিকে হত্যা করে খাওয়ার দৃশ্য দেখানো হয়েছে।
'হাওয়া’ সিনেমার কয়েকটি দৃশ্য রয়েছে যা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করেছে। বন্যপ্রাণী সংক্রান্ত এ ধরনের অপরাধের ফলে সাধারণ মানুষ পাখি শিকার, খাঁচায় পোষা ও হত্যা করে খাওয়ায় উৎসাহিত হবে। এই দৃশ্য ধারণের জন্য বনবিভাগের কোনো অনুমতিও নেয়া হয়নি। বন্যপ্রাণী হত্যা এবং খাওয়ার দৃশ্য দেখে মানুষ মনে করতে পারেন যে, এটা করা যায়। তারা এগুলো দেখে উৎসাহিত হতে পারেন। সিনেমা নাটকে ধূমপানের দৃশ্যে যেমন লেখা থাকে যে, এটা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কিন্তু ‘হাওয়া’ সিনেমার ওই অংশে এই ধরনের কোনো বার্তা ছিল না।
আরও পড়ুন:‘হাওয়া’ এপিঠ ওপিঠে এরফান মৃধা শিবলু
এছাড়া ‘হাওয়া’ সিনেমায় বেশ কয়েকটি খুনের দৃশ্য রয়েছে যা অতি ভয়ঙ্কর তথা ভায়লেন্স পূর্ণ। এছাড়া পুরো সিনেমায় নারী চরিত্রকে নেতিবাচক হিসেবে তুলে ধরার পাশাপাশি অসংখ্য গালি ব্যবহার করা হয়েছে। যা পরিবারের সদস্যরা বিশেষ করে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা মোটেও উচিত নয়। এহেন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শিশু-কিশোররা, তরুণ-তরুণীরা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে পারে। যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অথচ ‘হাওয়া’ সিনেমার কোথাও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের দেখা নিষেধ এই কথাটিও উল্লেখ নেই। এই ধরনের চলচ্চিত্র শুধু বাংলাদেশেই নয় বর্হিবিশ্বেও প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন হলে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেবে।
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘হাওয়া’ সিনেমাটিতে ভায়লেন্স পূর্ণ খুনের দৃশ্য, গালি এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮(১), ৩৮(২), ৪০ ও ৪৬ ধারা লঙ্ঘন হলেও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড এর সদস্যরা পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনকে হাওয়া সিনেমার বিতর্কিত দৃশ্যগুলো কর্তন বা আইন লঙ্ঘনের চিত্র সংস্কার করতে না বলে, বরং হাওয়া সিনেমাটিকে দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ছাড়পত্র দিয়ে বাংলাদেশের প্রচলিত আইন লঙ্ঘনে এবং সমাজে নেতিবাচক প্রভাব তৈরিতে উৎসাহ দিয়ে সমঅপরাধ সংঘটিত করেছেন।
উল্লেখ্য, এরইমধ্যে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের চার কর্মকর্তা ‘হাওয়া’ সিনেমাটি দেখে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর ধারা ৩৮(১), ৩৮(২), ৪০ ও ৪৬ ধারা লঙ্ঘনের সত্যতা পেয়ে ১৭ আগস্ট আদালতে মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন:‘হাওয়া’য় মেতেছে দর্শক
মুক্তির আগেই আলোচনায় ‘হাওয়া’
‘ব্রেভহার্ট’: বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে গ্যালারি কসমস
জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে গ্যালারি কসমস শুক্রবার রাজধানীর কসমস সেন্টারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্রেভহার্ট’- শিরোনামে দিনব্যাপী চিত্রশিল্প, আলোকচিত্র ও ভাস্কর্য প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি মফিদুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করবেন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে এতে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা ও শিল্পী রফিকুন নবী, বীরেন সোম এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী শাহাবুদ্দিন আহমেদ।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও যোগ দেবেন গ্যালারি কসমসের পরিচালক তাহমিনা এনায়েত এবং কসমস গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ জামিল খান।
বহুমাত্রিক এই প্রদর্শনীতে সহযোগী হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান কসমস গ্রুপের জনহিতকর সংস্থা কসমস ফাউন্ডেশন। এ আয়োজনে মিডিয়া ও নলেজ পার্টনার হিসেবে থাকছে ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) এবং এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ঢাকা ক্যুরিয়ার।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনের আগে ১২ জন শিশু শিল্পী ও চিত্রশিল্পীদের একটি দল প্রদর্শনীর স্থানে এক বিশেষ গ্রুপ আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করবে এবং জাতির পিতার প্রতি তাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন করবে।
প্রদর্শনীতে শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বীরেন সোম, অলকেশ ঘোষ, নাসির আলী মামুন, আফরোজা জামিল কঙ্কা, ভাস্কর রাশা, শাহাজাহান আহমেদ বিকাশ, আজমীর হোসেন, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, আবু কালাম শামসুদ্দিন, দেবদাস মালাকার, দিলীপ কর্মকার, সৌরভ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল বশির, ইকবাল বাহার চৌধুরী, মানিক বনিক, কামরুজ্জোহা, আজমল হোসেন, মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম মজুমদার শাকিল ও মো. রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হবে।
দর্শকরা আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত রাজধানীর মালিবাগের কসমস সেন্টারে আয়োজিত এই প্রদর্শনীটি উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: গ্যালারি কসমসের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে প্রথম ভার্চুয়াল প্রদর্শনী শুরু
শনিবার ‘দ্য প্যাশন অব ড্রয়িং-২’ আয়োজন করবে গ্যালারি কসমস
অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘আমরা রোহিঙ্গা’ শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আয়োজনে ‘আমরা রোহিঙ্গা’ শীর্ষক একটি আলোকচিত্র প্রদর্শনী সোমবার উদ্বোধন করা হবে।
ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের অস্থায়ী প্রদর্শনী হলে সকাল ১১টায় প্রদর্শনীটি উদ্বোধন করা হবে।
বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে, এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে ১০ জন রোহিঙ্গার কাজ উপস্থাপন করা হয়েছে যারা কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরে বসবাসকারী মানুষদের জীবন চিত্র তুলে ধরেছেন।
আরও পড়ুন: ১৯ দফা দাবিতে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভ
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর থেকে ডেভিড পালাজন ও আমেনা খাতুনের করা কিউরেটে ডিসপ্লেটিতে ৫০টি ফটোগ্রাফ রয়েছে যা মিয়ানমারের সহিংসতা ও নিপীড়ন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া শরণার্থীদের সংস্কৃতি, পরিচয়, আশা ও স্বপ্নকে তুলে ধরে।
প্রদর্শনীতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের সংরক্ষণাগার থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ১১টি আলোকচিত্রও রয়েছে যা বাংলাদেশি নাগরিকদের জীবন ও গল্প তুলে ধরে।
ইউএনএইচসিআর বলছে,এই প্রদর্শনীটি দেখায় কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের সময় উৎখাত হওয়া লাখ লাখ বাংলাদেশি তাদের অবস্থান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের প্রতি সাহায্য প্রসারিত করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রীর