হার্ট অ্যাটাক
সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক: কারণ, লক্ষণ ও প্রতিরোধ
সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক, চিকিৎসা শাস্ত্রে যেটি এসএমআই (সাইলেন্ট মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন) নামে পরিচিত। আশঙ্কাজনিত কোনো উপসর্গ না থাকায় এই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতাটি অগোচরেই থেকে যায়। হৃদরোগ জনিত এই সমস্যা আগে থেকে টের পাওয়ার কোনো উপায় বা মেডিকেল টেস্ট নেই।
কয়েক সপ্তাহ বা মাস পরে বারবার শ্বাসকষ্ট বা বুক জ্বালাপোড়ার কারণে ডাক্তারের সরণাপন্ন হলে পরীক্ষা-নিরিক্ষায় তখন ধরা পড়ে। এই স্বাস্থ্য সমস্যা বড় ধরনের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এমনকি হার্ট ফেইলিউরের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
তাই চলুন, পূর্ব সতর্কতার জন্য সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক সম্বন্ধে জরুরি বিষয়গুলো জেনে নেওয়া যাক।
বিশ্বজুড়ে সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু
প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ২ কোটি মানুষ নানা ধরনের হৃদরোগে মারা যায়। এগুলোর মধ্যে ৬০ শতাংশেরই মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক।
জেএএমএ (জার্নাল অফ অ্যামেরিকান মেডিকেল অসোসিয়েশন) কার্ডিওলজিতে ২০১৮ সালে নীরব হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি নিয়ে একটি সমীক্ষা প্রকাশিত হয়। সেখানে দেখা যায় যে, পূর্ব উপসর্গ দেখা দিয়ে যে হার্ট অ্যাটাকগুলো হয় তার ৫ বছরের মধ্যে মারা যাওয়া লোকের সংখ্যা ৮ শতাংশ। আর উপসর্গ বিহীন হার্ট অ্যাটাকের পর ৫ বছরের মধ্যে মারা যাওয়া লোকের সংখ্যা ১৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: উচ্চ রক্তচাপ (হাই প্রেশার) হলে যা এড়িয়ে চলা উচিত: ক্ষতিকর খাবার, পানীয়, অভ্যাস
কেবল নিউজ নেটওয়ার্কের একটি গবেষণায় দেখা যায়, আকস্মিক কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে মারা যাওয়া লোকদের ৪২ দশমিক ৪ শতাংশেরই পূর্বে এসএমআইয়ের রেকর্ড আছে।
সাইলেন্ট ইস্কিমিয়া হিসেবে পরিচিত এই হার্ট অ্যাটাকের পরে বিভিন্ন হৃদরোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ৩৪ শতাংশে বেড়ে যায়।
সিডিসি (সেন্টার্স ফর ডিজিস কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেন্শন) অনুসারে, প্রতি ৫ টিতে ১টি হার্ট অ্যাটাক সাইলেন্ট হয়ে থাকে, যেখানে ব্যক্তি বুঝতেই পারেন না যে তার হৃৎপিণ্ডটি নষ্ট হয়ে গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর নতুন হার্ট অ্যাটাক হওয়ার রোগীর সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৫ হাজার এবং একাধিকবার হার্ট অ্যাটাক হওয়া রোগীর সংখ্যা ২ লাখ। এদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজারই এই নিরব ঘাতকের শিকার।
আরও পড়ুন: জিমে অনুশীলনের সময় সম্ভাব্য দুর্ঘটনা এড়ানোর উপায়
ভারতে সমস্ত হার্ট অ্যাটাকের প্রায় ৪৫ শতাংশ সাইলেন্ট ইস্কিমিয়া।
৮ মাস আগে
হার্ট অ্যাটাক করে সিসিইউতে অভিনেতা আফজাল হোসেন
বরেণ্য অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতালে ভর্তির পর তার হার্ট অ্যাটাকও হয়।
সোমবার (৪সেপ্টেম্বর) রাতে শারীরিক অবস্থার হঠাৎ অবনতি হলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন একুশে পদক পাওয়া এই অভিনেতা।
আরও পড়ুন: ‘কোলাহলে’ জীবনের গল্প বললেন আফজাল হোসেন
খবরটি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আফজাল হোসেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাসুম বাশার।
তিনি জানান, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেও সোমবার রাতে হার্ট অ্যাটাক হয় আফজালের। পরে দ্রুত তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা।
জানা গেছে, বেশ ক’দিন ধরেই নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন আফজাল হোসেন। কিন্তু হঠাৎ করেই এ সমস্যা বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: আফজাল হোসেনের চলচ্চিত্রে তানভীর তারেক
১ বছর আগে
ভাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে হার্ট অ্যাটাকে বোনের মৃত্যু
ঝিনাইদহের মহেশপুরে ভাইয়ের মৃত্যু খবর শুনে হার্ট অ্যাটাকে বোনও ঢলে পড়লো মৃত্যুরকোলে। শনিবার রাতে উপজেলার ভালাইপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফসিয়ার রহমান ও রশিদা খাতুন সহোদর ভাই-বোন।
খবরটির সত্যতা নিশ্চত করেছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বাবলুর রহমান।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে বন্দির মৃত্যু
তিনি জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পান মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের শামছুল ইসলামের স্ত্রী রশিদা খাতুন। তার ভাই যশোরের চৌগাছা উপজেলার চাঁনপাড়া গ্রামের ফসিয়ার রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। খবরটি মুঠোফোনে শোনা মাত্রই রশিদা খাতুন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। দ্রত তাকে মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
তিনি আরও জানান, রবিবার বেলা ১১টার দিকে ভাই ফসিয়ার রহমানের দাফন সম্পন্ন হয় নিজ গ্রামে। অন্যদিকে ভাইয়ের দাফনের তিন ঘন্টা পর বোন রশিদার দাফন হয় মহেশপুর উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের পারিবারিক গোরস্থানে।
কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে ভাই ও বোনের মৃত্যুতে দুই পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু
মুন্সীগঞ্জে শাপলা তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে মামা-ভাগনে-ভাগনির মৃত্যু
২ বছর আগে
খালেদা জিয়ার হার্টে রিং বসানো হয়েছে: ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হওয়ার পর তার হার্টে রিং বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করে করোনারি আর্টারিতে ব্লকেজ দেখতে পান। পরে তারা সফলভাবে সেখানে একটি রিং স্থাপন করেছেন।’
শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান মির্জা ফখরুল।
এর আগে এক জরুরি বৈঠকে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় এভারকেয়ার হাসপাতালে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড এনজিওগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেয়।
আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া: মেডিকেল বোর্ড
তিনি বলেন, হার্ট অ্যাটাকের পর বিএনপি চেয়ারপার্সন শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, রিং বসানোয় তিনি হার্টের সমস্যা থেকে সাময়িক রিলিফ পাবেন বলে আশা করছেন চিকিৎসকরা।
উন্নত চিকিৎসা নিতে না পারলে খালেদার জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে উল্লেখ করে তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সনের জীবন বাঁচাতে তাকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়ার দাবি আবারও জানান।
আরও পড়ুন: খালেদার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মেডিকেল বোর্ড
ফখরুল বলেন, ‘অন্যথায় তার সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটলে তারা দায়ী থাকবে।’
এর আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় খালেদা জিয়াকে শনিবার ভোরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
২ বছর আগে
দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি: কারণ এবং ঝুঁকি কমাতে করণীয়
শারীরিক অনুশীলনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি যেটি দেখা যায় সেটি হচ্ছে দৌড়। একদম ছোট থেকে শুরু করে বৃদ্ধ; নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই ব্যায়াম বলতে দৌড়ানোকেই বুঝে থাকেন। প্রতিদিন সকাল এবং সন্ধ্যায় উদ্যানগুলোতে তাই তাদেরক ব্যস্ত-সমস্ত দেখা যায় এই অনুশীলনটিতে। বিশেষজ্ঞরাও এ ব্যাপারে ইতিবাচক পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই দৌড়ের সময় দেহের ভেতর যে কার্যকলাপ ঘটে তার উপকারিতার পাশাপাশি রয়েছে ভয়ানক কিছু অপকারীতাও। বিশেষত দৌড়ের সময় তরুণ, মধ্য বয়স্ক ও বার্ধক্য-পীড়িত লোকদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি থাকে। আজকের ফিচারটিতে তার কারণের পাশাপাশি জানা যাবে এই ঝুঁকি কমাতে করণীয়গুলো সম্পর্কে।
দৌড়ের সময় দেহের অভ্যন্তরে ঘটিত কার্যকলাপ
দৌড়ের সময় মস্তিষ্ক ও দেহের পেশীগুলোতে অক্সিজেন পাঠানোর উদ্দেশ্যে শরীরের মাধ্যমে রক্ত দ্রুত পাম্প করার সাথে সাথে হৃদস্পন্দনের গতি বাড়তে থাকে।
গতির সর্বোচ্চ অবস্থায় শরীর এন্ডোরফিন নামক এক ধরনের হরমোন নিঃসরণ করে। এন্ডোরফিন দৌড়ের সময় পেশীগুলোতে ব্যথা হতে দেয় না এবং মেজাজ উন্নত রাখে।
দৌড়ানোর সময় শুধু পা নয়; কাজ করে গোটা শরীর। প্রথম পদক্ষেপ ফেলার মুহূর্তে দেহের কোয়াড্রিসেপ অর্থাৎ উরুর সামনের বড় পেশীগুলো সবচেয়ে বেশি কাজ করে। শরীর এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে কোয়াড্রিসেপ থেকে গ্যাস্ট্রোকনেমিয়াস পেশীতে স্থানান্তরিত হয়। পায়ের গোড়ালি থেকে উপরের দিকে এবং হাটুর পেছন থেকে একটু নীচের অংশ যাকে পায়ের গুল বলা হয়। এই গুলের চামড়ার নীচেই থাকে গ্যাস্ট্রোকনেমিয়াস পেশী।
আরও পড়ুন: হার্ট অ্যাটাক: করণীয় এবং প্রতিরোধে যে সকল পদক্ষেপ নিতে হবে
দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকির কারণ
দৌড়বাজদের প্রায় ২৫ শতাংশের কার্ডিওমায়োপ্যাথির ঝুঁকিতে থাকতে পারে, যা মূলত হৃৎপিণ্ডের পেশীর একটি রোগ। এর ফলে হৃদপিণ্ডের জন্য শরীরের বাকি অংশে রক্ত পাঠানো কঠিন হয়ে যায় এবং যার চূড়ান্ত ফল হার্টফেল।
এ ধরনের দৌড়বাজদের ক্ষেত্রে ডান অলিন্দ এবং ডান ভেন্ট্রিকল প্রসারিত হয়। হৃদপিণ্ডের ট্রোপোনিন পেশীর সক্রিয়তা এবং হৃদপিণ্ড নিঃসৃত বি-টাইপ নেট্রিউরেটিক পেপটাইড পদার্থের বৃদ্ধি সেই প্রসারিত কুঠুরিতে একটি অস্থায়ী আঘাতের কারণ হয়। টানা ৩ থেকে ৫ ঘণ্টা দৌড়ে সেই পেপটাইডের পরিমাণ পাতলা কুঠুরির তুলনায় অতিরিক্ত হয়ে যায়। সময়ের সাথে এই ক্ষতির পুনরাবৃত্তি ঘটলে হৃদপিণ্ডের পেশীতে ক্ষতের সৃষ্টি হয়, যা আকস্মিক মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
এছাড়া রেসিংয়ের উত্তেজনা এবং চাপ হৃদযন্ত্রে সঞ্চালিত হয়। দৌড়বাজ যখন তার সর্বোচ্চ ক্ষমতা অতিক্রম করেন এবং ভারসাম্যপূর্ণ হার্ট-রেট ছাড়িয়ে যান, তক্ষুণি চাপ পড়ে হৃদযন্ত্রে। সাথে সাথে বৃদ্ধি পায় হৃদস্পন্দন, যা ক্রমাগত কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের দিকে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: স্বামী হার্টের রোগী, সাইকেলে ফেরি করে সংসারের হাল ধরেছেন স্ত্রী
দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে করণীয়
রেসের আগে পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ নেয়া
পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ছাড়া দৌড়ানো সবচেয়ে বড় ভুল। প্রথমেই চিকিৎসকের কাছ থেকে দৌড়ের জন্য শারীরিক যোগ্যতার পরীক্ষা করে নিতে হবে। ছাড়পত্র পেলে তবেই একজন যোগ্য প্রশিক্ষকের সাথে দৌড়বাজদের দলে যোগ দেয়া যেতে পারে। শুরুটা হতে হবে অবশ্যই ধীরে ধীরে। দৌড়ের সময় বুকে ব্যথা বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা হলে সেখানেই সেদিনের জন্য প্রশিক্ষণ থামিয়ে দিতে হবে। প্রশিক্ষণের শুরু থেকেই প্রশিক্ষণার্থীদের সাথে প্রতিযোগিতা করা যাবে না। প্রশিক্ষণে সহনশীলতা এবং অধ্যাবসায় দীর্ঘমেয়াদে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সামগ্রিক ঝুঁকির মাত্রা কমাতে সাহায্য করবে।
রেসে যাওয়ার আগ মুহূর্তে ওয়ার্ম-আপ ও কিছু টেস্ট
চূড়ান্ত রেসে যাওয়ার আগে, ট্রেডমিলে বা অন্য জায়গায় হাল্কা ওয়ার্ম-আপ করে নেয়া উচিত। স্ট্রেস, কার্ডিওলজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি এবং আল্ট্রাসাউন্ড টেস্টগুলো করে নিতে হবে। এগুলো বিশদ স্বাস্থ্য মূল্যায়ন যেমন রক্তে শর্করার মাত্রা, রক্তচাপ, কার্ডিয়াক চেক-আপ, লিপিড নাম্বার প্রভৃতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নেয়া যাবে। রেসের জন্য আরামদায়ক পোশাক পরা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: শিক্ষা সনদপত্র হারিয়ে গেলে করণীয়
ছোট শারীরিক সমস্যাকেও গুরুত্ব সহকারে নেয়া
দৌড়ানোর সময় বুকে অস্বস্তি, মাথা ঘোরা, ব্যথা বা শ্বাসকষ্ট স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হলে সাথে সাথে দৌড় বন্ধ করে দিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। প্রাথমিক সতর্কতা যে কোন খারাপ দিকে মোড় নেয়া থেকে রক্ষা করতে পারে। অপরদিকে এই ধরনের উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও রেসে যোগ দেয়াটা জীবনের জন্য হুমকি হতে পারে।
শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে দূরে রাখা
দৌড়বিদকে অতিরিক্ত গরম বা হাইপারথার্মিয়া এড়াতে পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। মাঝে মাঝে মাথা ও সারা শরীরে পানি ঢালা উত্তম। ডিহাইড্রেশন এবং লবণের ক্ষতি এড়াতে দৌড়ানোর সময় উপযুক্ত তরল এবং লবণ গ্রহণ বাঞ্ছনীয়।
প্রতি দুই ঘণ্টা অন্তর অন্তর কিছু না কিছু খাওয়া উচিত। দৌড়ের আগে অবশ্যই চর্বি ও কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার পরিহার করা উচিত। গলা যেন শুকিয়ে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। শীতকালে পানিশূন্যতার দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
দৌড়ের আদর্শ মান
প্রতি সপ্তাহে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লোকে দৌড়ের জন্য আদর্শ দূরত্ব হচ্ছে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মাইল। আর ধৈর্য্য ধরে পুরোটা পথ এক টানা দৌড়ানোর চেয়ে গতি পরিবর্তন করে করে দৌড়ানো হৃদপিণ্ডের জন্য স্বাস্থ্যকর।
পড়ুন: রাজু ভাস্কর্যের সামনে নৃত্যরত ইরা: সপ্রতিভ উত্থানে এক বাংলাদেশি ব্যালেরিনা
দৌড় পরবর্তী প্রয়োজনীয় চেক-আপ
কার্ডিওমায়োপ্যাথির সাথে দৌড়বাজের বয়স, লিঙ্গ, শারীরিক অবস্থা বা দৌড়ের গতির সাথে সম্পর্কিত নয়। তাই ঝুঁকির মাত্রার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার একমাত্র উপায় কার্ডিয়াক এমআরআই করা এবং দৌড়ের শেষে রক্ত পরীক্ষা করা।
শেষাংশ
ভারসাম্যপূর্ণভাবে পরিমিত পরিমাণে দৌড়ের অনুশীলন দৌড়ের সময় হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে দিতে পারে। মূলত এটি প্রতিটি ব্যয়ামের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পরিমিত পরিমাণে সঠিক সুষম খাদ্য গ্রহণ যেমন দেহের জন্য উপকারী ঠিক তেমনি অতিরিক্ত ও অনিয়মিত দৌড়াদৌড়িতে হীতে বিপরীত হতে পারে। দিন দিন পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে খাদ্যে ভেজাল বৃদ্ধির কারণে স্বাস্থ্যের প্রতি আলাদাভাবে সতর্ক হতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে, তা করতে যেয়ে যেন স্বাস্থ্যের উপর অতিরিক্ত বোধা চাপিয়ে দেয়া না হয়।
পড়ুন: মুকেশ আম্বানিকে হারিয়ে এশিয়ার শীর্ষ ধনী গৌতম আদানি
২ বছর আগে
যথাযোগ্য মর্যাদায় ক্যাপ্টেন নওশাদের দাফন সম্পন্ন
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতের নাগপুরে মৃত্যুবরণ করা বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিমানের ফ্লাইট বিজি-০২৬ তার মরদেহ ভারতের নাগপুর থেকে সকাল ৯ টা ১২ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে আসে।
এসময় বিমান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব আলী, এমপি, সচিব জনাব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ালাইন্স লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ও বিমানের পাইলটসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মীগণ এ সময় উপস্থিত থেকে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আরও পড়ুন: পাইলট নওশাদের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
এরপর ক্যাপ্টেন নওশাদ এর মরদেহ তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুর ২ টায় বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকা ভবন প্রাঙ্গণে তার মৃত দেহ আনা হলে সেখানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লি. এর পক্ষ থেকে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান সিনিয়র সচিব (অবঃ) সাজ্জাদুল হাসান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামাল ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম এর প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। অতঃপর মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিমানের পরিচালকবৃন্দ ও সর্বস্তরের কর্মীগণ উক্ত জানাজায় অংশগ্রহণ করেন এবং মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত পাইলট, নাগপুরে বিমানের জরুরি অবতরণ
জানাজা শেষে ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউম এর মরদেহ বিকাল ৪ টায় বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) নওশাদ মাস্কট থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকা আসার সময় মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের নাগপুরে নিরাপদে বিমান অবতরণের জন্য প্রশংসিত হন। ৪৪ বছর বয়সী এই পাইলট তখন থেকেই নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
৩ বছর আগে
দেশে ফিরেছে ভারতে জরুরি অবতরণকারী বিমানের যাত্রীরা
অবশেষে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে ভারতে জরুরি অবতরণ করা বিমানের অপেক্ষমান যাত্রীরা। শনিবার প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ৫১ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে আটকে পড়া যাত্রীরা দেশে ফেরেন।
বাংলাদেশ বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ওমানের মাস্কাট থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটের ভারতের নাগপুরে জরুরি অবতরণের ফলে আটকে পড়া যাত্রীদের নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটটি ভারতীয় সময় ১০টা ২৫ মিনিটে উড্ডয়ন করে।
আরও পড়ুন: মাঝ আকাশে হৃদরোগে আক্রান্ত পাইলট, নাগপুরে বিমানের জরুরি অবতরণ
উল্লেখ্য, মাঝ আকাশে পাইলট হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় ঢাকাগামী বিমান বাংলাদেশের একটি যাত্রীবাহী ফ্লাইট শুক্রবার ভারতের মহারাষ্ট্র প্রদেশের নাগপুরে জরুরি অবতরণ করে। বোয়িং ৭৩৭-৮ বিমানটি মাস্কাট থেকে ১২৬ জন যাত্রী নিয়ে রওনা দিয়েছিল।
বিমান পরিবহনের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরের কাছাকাছি থাকাকালীন বিমানটির সহ-পাইলট জরুরি অবতরণের জন্য কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সাথে যোগাযোগ করে।
আরও পড়ুন: কাবুলে ইউক্রেনের বিমান ছিনতাই!
পরবর্তীতে কলকাতা এটিসি সহ-পাইলটকে কাছের বিমানবন্দরে অবতরণ করতে বললে স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে যাত্রীবাহী বিমানটি নাগপুর বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।
অবতরণের পর পাইলট নওশাদ আতাউল কাইয়ুমকে দ্রুত কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়।
৩ বছর আগে
হার্ট অ্যাটাক: করণীয় এবং প্রতিরোধে যে সকল পদক্ষেপ নিতে হবে
যখন হার্টের পেশীর একটি অংশ পর্যাপ্ত রক্ত পায় না, ঠিক তখনি হার্ট অ্যাটাক হয়। রক্ত প্রবাহ স্বাভাবিক হতে যত বেশি সময় যায়, হার্টের পেশীর তত বেশি ক্ষতি হয়। সাধারণত করোনারি ধমনীর মারাত্মক খিঁচুনি বা আকস্মিক সংকোচনের ফলে হৃদপিণ্ডের পেশীতে রক্ত প্রবাহ বন্ধ হতে পারে। চলুন, ভয়াবহ এই হৃদরোগটির লক্ষণ ও প্রতিরোধের পাশাপাশি জেনে নিই- হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হলে তাৎক্ষণিকভাবে কি করবেন।
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণসমূহ
দেহের বিভিন্ন অংশে ব্যথা বা অস্বস্তি
বেশিরভাগ হার্ট অ্যাটাক-এর সময় বুকের মাঝখানে বা বাম দিকে ব্যথা বা অস্বস্তি শুরু হয়, যা কয়েক মিনিটের বেশি স্থায়ী হয় অথবা কখনো হঠাৎ চলে যেয়ে আবার ফিরে আসে। কখনও কখনও এই অস্বস্তি ঘন্টাখানেক পর বা এমনকি এক দিন পরে ফিরে আসে। এমনটা হলে বুঝতে হবে যে, আপনার হার্টের পেশী পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাচ্ছে না।
বুক ব্যথা হার্ট অ্যাটাকের একটি সাধারণ লক্ষণ। অনেকে এই ব্যথাকে ব্যথা বলে না বলে বুকে চাপ অনুভব করছে বলে। কিন্তু এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, বুক ব্যথা প্রতিটি হার্ট অ্যাটাকের সময় নাও হতে পারে।
অনেকেই হার্ট অ্যাটাকের সময় তলপেটের উপরের দিক, কাঁধ, পিঠ, ঘাড়/গলা, দাঁত বা চোয়াল ইত্যাদি স্থানে ব্যথা অনুভব করে। মহিলাদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে তলপেটে এবং বুকের নিচের অংশে ব্যথা করে। পিঠের উপরের দিকে ব্যথা সাধারণত পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের ক্ষেত্রেই বেশি দেখা যায়।
পড়ুন কোলেস্টেরল কমানোর কার্যকরী ঘরোয়া উপায়
সারাদিন ধরে প্রচণ্ড ঘাম
আপনি যদি ব্যায়াম না করেন, তাহলে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ঘাম হওয়া আপনার হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক কারণ হতে পারে। জমে থাকা ধমনীর মধ্য দিয়ে রক্ত পাম্প করতে যেয়ে আপনার হৃদযন্ত্র বেশি পরিশ্রম করে, কাজেই শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য ঠিক রাখতে আপনার শরীর বেশি ঘাম ছেড়ে দিতে থাকে।
অনেক সময় রাতের বেলা অতিরিক্ত ঘামের জন্য চাদর ভিজে যায় বা ঘুম হয় না। এটিও হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ হতে পারে, বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে।
পড়ুন করোনা মহামারি থেকে শিশুকে নিরাপদ রাখবেন কীভাবে?
প্রচণ্ড ক্লান্তি ও নিঃশ্বাসের দূর্বলতা
হার্ট অ্যাটাকের সময় বুকে অস্বস্তির সাথে অথবা আগে নিঃশ্বাসের দুর্বলতাও অনুভূত হতে পারে। মুলত রক্ত প্রবাহের একটি এলাকা বন্ধ থাকার কারণে আপনার হৃদযন্ত্র অতিরিক্ত চাপের ফলে পাম্প করার চেষ্টা করে। ফলে আপনার প্রচন্ড অবসন্ন অনুভূত হয়। যদি আপনি প্রায়শই বিনা কারণে ক্লান্ত হন, তাহলে ব্যাপারটিকে কোনভাবেই উপেক্ষা করা চলবে না।
ক্লান্তি এবং শ্বাসকষ্ট পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বেশি দেখা যায় এবং এমনকি হার্ট অ্যাটাকের কয়েক মাস আগে থেকেও শুরু হতে পারে।
আপনার শ্বাস -প্রশ্বাস এবং হৃদযন্ত্রের কার্যকরীভাবে রক্ত পাম্পিং; পরস্পর খুব ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। আপনার হৃদযন্ত্র রক্ত পাম্প করে যাতে এটি আপনার টিস্যুতে রক্ত সঞ্চালন করতে এবং ফুসফুস থেকে অক্সিজেন পেতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে যখন আপনার হার্ট ভালভাবে রক্ত পাম্প করতে পারে না, তখনি শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
পড়ুন কঠোর ডায়েটের স্বাস্থ্য ঝুঁকিসমূহ জেনে নিন
দ্রুত হৃদস্পন্দন
দ্রুত হৃদস্পন্দনের সময় মনে হয় হৃদযন্ত্রটা বুকের ভেতর জোরে জোরে ধাক্কা মারছে বা বুক ধড়ফড় করছে। আপনার হৃদযন্ত্র এবং শরীর আপনার শরীরের সর্বত্রে রক্ত সঞ্চালনের জন্য একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ও নিরবচ্ছিন্ন বিটের উপর নির্ভর করে। যে কোন একটি ছন্দপতন আপনার হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে।
মাথা ঘোরা ও বমি বমি ভাব বা বমি
হার্ট অ্যাটাকের আগে মাথা ঘোরা অনুভূত হতে পারে। অতিরিক্ত পরিশ্রম করার সময় আপনি মাথা ঘুরে পড়ে যেতে পারেন। হার্ট অ্যাটাকের অন্যান্য উপসর্গগুলোর মধ্যে বমি বমি ভাব বা বমিও অন্তর্ভুক্ত। বিশেষত মহিলাদের এই উপসর্গ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা বেশি।
পড়ুন বর্ষা মৌসুমে যেসব পুষ্টিকর সবজি খেতে পারেন
হার্ট অ্যাটাকের সময় তাৎক্ষণিকভাবে করণীয়
তাৎক্ষণিকভাবে হার্ট অ্যাটাক বন্ধ কোন মতেই সম্ভব নয়। কিন্তু এসময় জরুরি চিকিৎসার সরণাপন্ন হওয়ার পাশাপাশি নিচের পদক্ষেপগুলো নেওয়া যেতে পারে।
১৬২৬৩-তে কল করা
এটি হার্ট অ্যাটাকের সময় সেবা পাওয়ার দ্রুততম ও নিরাপদ উপায়। ১৬২৬৩ তে কল করে ২ প্রেস করে সরাসরি অ্যাম্বুলেন্সের পরিষেবা নিতে পারেন।
দরজা-জানালা খুলে আরামদায়ক বিশ্রামের ব্যবস্থা
হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত ব্যক্তি বাড়ির ভেতর থাকলে তার আশেপাশের লোকজন ঘরের দরজা-জানালা খুলে বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। এছাড়া এতে অ্যাম্বুলেন্স দল যতদ্রুত সম্ভব বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে যেতে পারবে।
অ্যাম্বুলেন্স আসা পর্যন্ত আক্রান্ত ব্যক্তিটিকে একটি আরামদায়ক অবস্থানে বিশ্রাম নেয়ার ব্যবস্থা করুন। বিশ্রাম হার্টের চাপ কমায় কারণ এটি শরীরের সর্বত্র রক্ত পাম্প করার চেষ্টা করে।
পড়ুন মশার উপদ্রব থেকে সুরক্ষিত থাকার কিছু সহজ ঘরোয়া উপায়
আঁটসাঁট পোশাক আলগা করা
আঁটসাঁট পোশাক, যেমন নেকটি বা বেল্টগুলি আলগা করে দিন। এতে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বাস নেওয়া সহজ হবে। এছাড়া অ্যাম্বুলেন্স দলের জন্যও ঢিলেঢালা জামাকাপড় পরিহিত ব্যক্তিকে দ্রুত অ্যাম্বুলেন্সে নেয়া সহজ হবে।
প্রাথমিক সিপিআর
আক্রান্ত ব্যক্তিতে ঘুমিয়ে পড়া থেকে বিরত রাখুন। তার সাথে অবিরত কথা বলতে থাকুন। মাথাটি দেহের সাথে ৩০-৪৫ ডিগ্রি কোণ করে উচু অবস্থায় রাখুন। এতে তার শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া সহজ হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে চিৎ করে শুইয়ে দিন। তারপর আপনার এক হাতের আঙ্গুলগুলোর ফাঁকে হাতের উল্টো পিঠ দিয়ে অন্য হাতের আঙ্গুলগুলো ঢুকিয়ে (এই পদ্ধতি কার্ডিয়াক পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) হিসেবে বহুল পরিচিত) আপনার পুরো শরীরের ভর আলিঙ্গনবদ্ধ দুই হাতের উপর চাপিয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির বুকের মাঝখানে পাম্প করতে থাকুন। ১৬-১৮ সেকেন্ড ধরে ৩০ বার এভাবে পাম্প করুন। রোগীর নাক দু’আঙ্গুলে চেপে চিবুক উচু করে দিন। তারপর আবার বুকে পাম্প শুরু করুন। কমপক্ষে পাঁচবার প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন।
পড়ুন সাইক্লিং, দৌড় কিংবা সাঁতার: ওজন কমাতে কোনটি বেশি কার্যকরী?
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়
সুষম খাদ্য গ্রহণ
সুষম খাদ্য খাওয়া আপনার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে। সুষম খাবারের তালিকায় ফল, সবজি, শাকসবজি, বাদাম, চর্বিহীন প্রোটিন এবং মাছ অন্তর্ভুক্ত থাকে। পাশাপাশি প্রতিদিনের খাবারে প্রক্রিয়াজাত মাংস, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট এবং মিষ্টি পানীয়ের পরিমাণও সীমিত করা উচিত।
শারীরিক ব্যায়াম
শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করে। প্রাপ্তবয়স্কদের সম্ভব হলে প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে ১৫০ মিনিট মাঝারি বা ৭৫ মিনিট জোরালো ব্যায়াম করার চেষ্টা করা উচিত।
আর যারা ইতিমধ্যে সক্রিয়, তাদের কার্যকলাপের মাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি করতে পারেন।
পড়ুন জেনে নিন ত্বক ফর্সাকারী ক্রিমের ক্ষতিকর দিকগুলো!
পরিমিত ওজন বজায় রাখা
পরিমিত ওজন বজায় রাখা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। আপনার উচ্চতা এবং বয়স অনুসারে আপনার ওজন কতটা হওয়া উচিত তা পরীক্ষা করে নিতে পারেন। এটি আপনার ক্যালোরি গ্রহণ এবং প্রয়োজনে ব্যায়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করবে।
ধূমপান পরিত্যাগ
যে কোন মূল্যেই ধূমপান বন্ধ করা উচিত। সিগারেট বা বাষ্পের মতো তামাকজাত দ্রব্যের ধোঁয়া হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে।
অন্যান্য শারীরিক সমস্যার চিকিৎসা
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়াতে পারে এমন স্বাস্থ্যের অবস্থার চিকিৎসা করা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের আরেকটি উপায়। এই অবস্থার মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, উচ্চ কোলেস্টেরল, এবং ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্ত শর্করা অন্তর্ভুক্ত।
পড়ুন যদি স্লিম থাকতে চান রোজ ৫ রকমের বাদাম খান
পর্যাপ্ত ঘুম
সুস্বাস্থ্যের জন্য সঠিক পরিমাণে ঘুমের কোন বিকল্প নেই। এমনকি এর ফলে উচ্চ রক্তচাপ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়, যা হার্ট অ্যাটাকের কারণগুলোর মধ্যে একটি। ১৮-৬০ বছর বয়সী বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে ৭ বা তার বেশি ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন।
পর্যাপ্ত পানি পান করা
প্রচুর পানি পান ডিহাইড্রেশন এড়াতে সাহায্য করে। রক্তরসে পানির পরিমাণ ৯০-৯২ শতাংশ তাই পানিশূন্যতাতে হৃদযন্ত্র ও সারা দেহে রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে যা হার্ট অ্যাটাকের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
হার্ট অ্যাটাক নারী -পুরুষ উভয়েরই যেকোন বয়সে হতে পারে। কিন্তু বয়স বাড়ার সাথে সাথে এর ঝুঁকি বাড়তে থাকে। কিন্তু জীবন ধারণ নিয়ে একটু সতর্ক হলেই আপনি এই ঝুঁকি এড়াতে পারবেন। স্বাস্থ্য প্রত্যেকের কাছেই মহামূল্যবান সম্পদ। তাই শত কষ্ট হলেও এই সম্পদটি রক্ষার জন্য রুটিন মাফিক চলা উচিত।
পড়ুন জেনে নিন ডেঙ্গু জ্বর থেকে সুরক্ষার উপায় ও করণীয়
৩ বছর আগে
বিশ্বনাথে ছেলেদের ঝগড়া থামাতে গিয়ে বাবার মৃত্যু
সিলেটের বিশ্বনাথে দুই ছেলের ঝগড়া থামাতে গিয়ে এক পিতার মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের বড় ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের চন্দ্রগ্রাম গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত ফুরকান আলী (৬৫) উক্ত গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে দুই বন্ধুর ঝগড়া থামাতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ফুরকান আলীর বড় ছেলে নাসির (২৩) মেমোরি কার্ডের গান শুনতে তার বোনকে দেয়, কিন্তু ভুলবসত বোন এটি ফরমেট করে দেয়। এতে রেগে গিয়ে বোনকে অকথ্য ভাষায় গাল-মন্দ করে সে।এ সময় তার ছোট ভাই আজম (১৪) প্রতিবাদ করলে দু’জনের মধ্যে ঝগড়া বাধে। ছেলেদের ধস্তাধস্তি থামাতে গিয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ফুরকান আলী। পরে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক নাসিরকে আটক করে পুলিশ।তার এক ছেলের দাবি, ‘ঝগড়া থামানোর জন্য উচ্চস্বরে কথা বলতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন আমার বাবা’।
আরও পড়ুনঃ দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে চাচি নিহতস্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. বখতিয়ার আহমদ জানান, সামান্য মেমোরি কার্ড নিয়েই দুই ভাইয়ের ঝগড়া থামাতে গিয়ে মারা যান ফুরকান আলী।তিনি বলেন, পুলিশ তার এক ছেলেকে আটক করেছে। লাশ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে নেয়া হয়েছে । ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে তার মৃত্যুর কারণ জানা যাবে ।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের এসআই অলক দাস সাংবাদিকদের বলেন, বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তার এক ছেলেকে হেফাজতে নিয়েছি আমরা। পর্যায়ক্রমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুনঃ চাঁদপুরে পারিবারিক কলহে মৃত ২এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
৩ বছর আগে
হাসপাতাল ছাড়লেন সৌরভ গাঙ্গুলি
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান সৌরভ গাঙ্গুলিকে বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
৩ বছর আগে