খেলা
নড়াইলে সাপের ঝাপাং খেলা
নড়াইলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে সাপের ঝাপাং খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার জেলা শিল্পকলা একাডেমিরর আয়োজিত যন্ত্রসংগীত উৎসব-২০২৩ এর প্রথম পর্বে শিল্পকলা অডিটোরিয়ামে এ খেলা দেখানো হয়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে ১৫ ফুট ও ১৭ কেজি ওজনের অজগর সাপ অবমুক্ত
চুয়াডাঙ্গা জেলার সাপুড়িয়া খোকন মোল্যা সাতটি বিষধর গোখরা সাপের খেলা দেখান।
খেলা দেখতে অডিটোরিয়ামে প্রচুর দর্শকের সমাগম ঘটে।
এর আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. যোবায়ের চৌধুরী, জেলা কালরাচাল অফিসার মো. হামিদুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ মো. হানিফ, মুন্সী আসাদুর রহমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় বসত ঘর থেকে ৬ ফুট লম্বা সাপ উদ্ধার, বনে অবমুক্ত
শেখ রাসেল যুব র্যাপিড দাবা শুক্রবার থেকে শুরু
বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে শেখ রাসেল চেস একাডেমি আয়োজিত প্রথম শেখ রাসেল যুব র্যাপিড চেস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩ শুরু হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে এই বুদ্ধির খেলার আসরটি।
ঢাকায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন হল রুমে দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতায় শুধুমাত্র ২০ বছরের কম বয়সী খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
একই দিন বিকালে চ্যাম্পিয়নশিপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু এশিয়ান সেন্ট্রাল জোন অনূর্ধ্ব-২৩ ভলিবল চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের মহাসচিব ও বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সহ-সভাপতি কে এম শহীদুল্লাহ।
এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বিশ্ব দাবা ফেডারেশন (এফআইডিই) জোন ৩.২ -এর সভাপতি সৈয়দ শাহাব উদ্দিন শামীম।
প্রতিযোগিতাটি সাত রাউন্ডের সুইস লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা মোট ২০ হাজার টাকা নগদ প্রাইজমানি পাবেন।
আরও পড়ুন:ইবি শিক্ষার্থীর স্বর্ণপদক জয়
বাংলাদেশ একদিন বিশ্বকাপ ফুটবল খেলবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের তরুণ খেলোয়াড়দের তাদের খেলাধুলায় আন্তরিকভাবে মনোনিবেশ করতে বলেছেন যাতে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ফুটবল বিশ্বকাপ জিততে পারে।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি ধীরে ধীরে আমাদের খেলোয়াড়রা বিশ্বকাপে খেলবে, তার জন্য তোমাদের নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। তোমরা হবে আমাদের সোনার ছেলে। আমরা বিশ্বকাপ জিতব।’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বয়েজ অনূর্ধ্ব-১৭ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট গার্লস অনূর্ধ্ব-১৭ এর গ্র্যান্ড ফাইনালের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, খেলাধুলার মাধ্যমে শরীর ও মন ফিট থাকে এবং একাগ্রতা বিঘ্নিত হয় না।
তিনি বলেন, ‘আপনি যত বেশি খেলাধুলার অনুশীলন করবেন তত বেশি আপনি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবেন। তাই আমি তোমাদের আন্তরিকতা নিয়ে খেলতে বলবো।’
দেশের খেলাধুলার মানোন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি এলাকায় ক্রীড়া সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিজয়ের মাসে ১০০ মহাসড়ক জাতির জন্য উপহার: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, সরকার দেশের ঘরোয়া খেলাধুলার বিকাশে পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে জেলা পর্যায়ে এ পর্যন্ত প্রায় ৫৬টি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারের প্রতিটি জেলায় সুইমিং পুল, শুটিং রেঞ্জ, স্পোর্টস কমপ্লেক্স ও ইনডোর স্টেডিয়াম স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশে ভালো ক্রীড়াবিদ নিশ্চিত করতে আমরা আটটি বিভাগেই বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করব।
তিনি বলেন, ‘সবার জন্য খেলাধুলা’ সরকারের লক্ষ্য। ‘আমাদের বিবেচনায় সেই লক্ষ্যটি নিয়ে আমরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন যে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার ৫৫২ খেলোয়াড় টুর্নামেন্টে যোগ দিয়েছেন এবং এটি বিশাল।
‘এই টুর্নামেন্টের প্রতিভাবান ৪০ জন ছেলে ও ৪০ জন মেয়ে বিকেএসপিতে তিন মাসের নিবিড় প্রশিক্ষণ পাবে। এছাড়া আমরা খেলোয়াড়দের বিদেশে পাঠানোর মাধ্যমে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ নৌবাহিনী 'ক্রেতা' থেকে 'নির্মাতা' হতে চলেছে: প্রধানমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন।
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট গার্লস অনূর্ধ্ব-১৭ রংপুর বিভাগ ও খুলনা বিভাগের মধ্যকার ফাইনাল খেলাও উপভোগ করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট বয়েজ অনূর্ধ্ব-১৭ তে সিলেট বিভাগ চ্যাম্পিয়ন এবং বরিশাল বিভাগ রানার্সআপ হয়েছে।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট গার্লস অনূর্ধ্ব-১৭ এর শিরোপা জিতেছে রংপুর বিভাগ এবং রানার্সআপ হয়েছে খুলনা বিভাগ।
গ্র্যান্ড ফাইনালের পর দু’টি টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের পাশাপাশি সেরা পারফরমার এবং সর্বোচ্চ গোলদাতাদের মধ্যে পুরস্কার ও পদক বিতরণ করেন হাসিনা।
এছাড়াও, তিনি টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষক এবং গ্র্যান্ড ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়দের পদক প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সরকার মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি চায়: প্রধানমন্ত্রী
বিশ্বকাপ জয়, আর্জেন্টিনার হয়ে আরও খেলতে চান মেসি
লিওনেল মেসি বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের পর আর্জেন্টিনা থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন না।
রবিবার লুসেইল স্টেডিয়ামে ফাইনালে আর্জেন্টিনা ফ্রান্সকে পেনাল্টিতে ৪-২ গোলে পরাজিত করার ফলে ফুটবলের সর্বোচ্চ ট্রফি অর্জন তাকে তার ক্যারিয়ারে উচ্চতাকে আরও বাড়িয়েছে।
ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে ৩-৩ ব্যবধানে শেষ হয় মেসি দুবার গোল করে এবং শুটআউটে তার পেনাল্টিতে রূপান্তর করে।
৩৫ বছর বয়সে এটি সম্ভবত ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টে তার শেষ উপস্থিতি। তবে ম্যাচ জয়ের পরে নিশ্চিত করেছেন যে তিনি আরও খেলতে চান।
মেসি বলেছেন, ‘অবশ্যই আমি এটি দিয়ে আমার ক্যারিয়ার শেষ করতে চেয়েছিলাম, (আমি) এর বেশি কিছু চাইতে পারি না।’ ‘এভাবে আমার ক্যারিয়ার শেষ করা চিত্তাকর্ষক। এর পরে, আর কী? আমার একটি কোপা আমেরিকা, একটি বিশ্বকাপ আছে। প্রায় শেষের দিকে।
‘আমি ফুটবল ভালবাসি, আমি যা করি। আমি জাতীয় দল, গ্রুপের অংশ হতে উপভোগ করি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য আমি আরও কয়েকটি ম্যাচ উপভোগ করতে চাই।’
সাতবার বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়ের ব্যালন ডি’অর পুরস্কার জিতেছেন মেসি।
আরও পড়ুন: এমবাপ্পে বিশ্বকাপের মহাকাব্যে চমক, শেষ পর্যন্ত হার
প্রাক্তন ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে চারবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগও জিতেছেন, তবে বিশ্বকাপই খেলার সবচেয়ে বড় পুরস্কার।
আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি বলেন, ‘যদি সে খেলা চালিয়ে যেতে চায়, তাহলে সে আমাদের সঙ্গে থাকতে পারে, সে আমাদের সঙ্গে থাকতে চায় কিনা সে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার তার বেশি।’ ‘তাকে কোচ করাটা অনেক আনন্দের, সে তার দলে যা কিছু প্রেরণ করে তা অতুলনীয়। এটা এমন কিছু যা আমি আগে কখনো দেখিনি।’
মেসি পেনাল্টি স্পট থেকে আর্জেন্টিনাকে এগিয়ে রাখেন এবং অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার গোলে ভূমিকা রাখেন যা ৩৬ মিনিট পরে ২-০ গোলে এগিয়ে যায়।
এমবাপ্পে ৯৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে দু’টি গোল করে খেলাকে অতিরিক্ত সময়ে নিয়ে যান।
১০৮তম মিনিটে মেসি আর্জেন্টিনাকে সামনে ফিরিয়ে আনেন, কিন্তু ১১৮তম মিনিটে প্যারিস সেন্ট-জার্মেই তারকা এমবাপ্পের পেনাল্টিটি ৫৬ বছরের মধ্যে বিশ্বকাপের ফাইনালে প্রথম হ্যাটট্রিক সম্পূর্ণ করেছিলেন।
মেসি বলেছিলেন, ‘কেবল পাগলামিতে এইভাবে এটি বাস্তবে পরিণত হয়েছে। আমি এজন্য অনেক প্রার্থনা করেছি। আমি জানতাম যে ঈশ্বর আমার জন্য এই উপহারটি আনবেন, আমার অনুভূতি ছিল যে এটি (বিশ্বকাপ) ছিল।’ ‘এতে এত সময় লেগেছিল, কিন্তু এখানেই। আমরা অনেক কষ্ট পেয়েছি, কিন্তু আমরা এটি করতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: মেসির ভাগ্য পূরণ, তৃতীয় বিশ্বকাপ জিতল আর্জেন্টিনা
কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২: স্বপ্নের শিরোপা জয়ী মেসির আর্জেন্টিনা
বিশ্বকাপের সব খেলা বড় পর্দায় দেখাবে ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, মাঠে একসঙ্গে সবাই মিলে খেলা দেখার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্যপূণ সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
তিনি বলেন, বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ফলে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া ডিএনসিসির সব এলাকায় মাসব্যাপী বিশ্বকাপের সব খেলা বড় পর্দায় (ডিজিটাল স্ক্রিন) দেখানো হবে।
মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর ২০২২) বিকালে মিরপুর ১১নং সেকশনের প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠে কাতার ফুটবল বিশ্বকাপ ২০২২ এর খেলা বড় পর্দায় (ডিজিটাল স্ক্রিন) মাসব্যাপী প্রদর্শনের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, দলবেঁধে খেলা দেখার আনন্দ অনেক বেশি। সবার আনন্দের কথা চিন্তা করে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করেছি। অনেকে অফিস থেকে ফেরার পথেই খেলা দেখার সুযোগ পাবেন।
আরও পড়ুন: ৪০০ কোটি টাকার বিল বকেয়া: ডিএনসিসি এলাকায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছে তিতাস
উল্লেখ্য, ডিএনসিসি এলাকায় নয়টি স্থানে বড় পর্দায় খেলা দেখানো হচ্ছে। স্থানগুলো হলো-
১)রবীন্দ্র সরণি, উত্তরা
২)মানিক মিয়া এভিনিউ
৩)মুজিব চত্ত্বর, হাতিরঝিল, মধুবাগ
৪) নগর ভবন, গুলশান-২
৫)বছিলা, মোহাম্মদপুর (লাউতলা খাল সংলগ্ন)
৬)প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠ
৭)কাচকুড়া কলেজ মাঠ
৮)শ্যামলী পার্ক
৯) খিলগাও তালতলা মার্কেট
আরও কয়েকটি স্থান নির্বাচন করে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের সুযোগ-সুবিধা ও সমস্যার কথা শোনার জন্য আমি প্রতি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে পরিদর্শন ও মতবিনিময় সভা শুরু করেছি। জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সমস্যার কথা সরাসরি শোনার জন্য আমি নিজে তাদের কাছে যাচ্ছি। জনগণের দাবি পূরণ করে ও সমস্যা সমাধান করে সুন্দর নগর গড়ে তোলাই আমার লক্ষ্য। জনগণকে সম্পৃক্ত করে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি।'
শিশুদের খেলাধূলার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে মেয়র বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে যেমন প্রয়োজন শারীরিক সুস্থতা, তেমনই প্রয়োজন মানসিক সুস্থতা। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধূলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ শহরে প্রয়োজনীয় খেলার মাঠ নেই। চারপাশে শুধু ভবন নির্মাণ হচ্ছে। শুধু ভবন নির্মাণ করলে হবে না। শিশুদের বিকাশের জন্য খেলার সুযোগ করে দিতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র আরও বলেন, ছোট শিশুদের কথা চিন্তা করতে হবে। শিশুরা যখন খেলার মাঠের জন্য অনশন করে সেটা সত্যি দুঃখজনক। মাঠের অভাবে তারা খেলতে পারে না। মানুষ হাঁটার সুযোগ পাচ্ছে না। ডায়বেটিস রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। মাঠের জায়গায় প্লট এটা মানা যায় না। এই প্যারিস রোড মাঠে শিশুরা উৎসবমুখর পরিবেশে আজকে খেলা দেখছে। এবং প্যারিস রোডের এই মাঠে শিশুরা খেলবে। এই স্থানটি মাঠ হিসেবেই থাকবে।
বড় পর্দায় সরাসরি খেলা প্রদর্শনীর শুভ উদ্বোধন শেষে ডিএনসিসি মেয়র শিশুদের সঙ্গে মাঠে বসে আর্জেন্টিনা বনাম সৌদি আরবের খেলাটি উপভোগ করেন এবং শিশুদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বড় পর্দায় মাঠে একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষ একসঙ্গে খেলা দেখার কারণে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। শিশুদের আনন্দের কথা ভাবতে হবে। তাদের জন্য খেলার মাঠের ব্যবস্থা করতে হবে। এই প্যারিস রোড মাঠ প্লট হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। এখানে কিছুতেই প্লট বরাদ্দ দেয়া যাবে না। প্লট যারা পেয়েছিলেন তাদের জন্য অন্য জায়গায় প্লটের ব্যবস্থা করা হবে। এটি খেলাধুলার জন্য মাঠ হিসেবেই থাকবে।
৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম মানিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কাউন্সিলররা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক
রায়েরবাজারে শতাধিক অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করেছে ডিএনসিসি
বগুড়ায় ‘বিলিয়ার্ড’ খেলতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত
বগুড়া জেলা শহরের নামাজগড় মোড়ে বিলিয়ার্ড খেলার জের ধরে শুক্রবার রাতে ছুরিকাঘাতে ২১ বছর বয়সী এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত হাবিবুর রহমান বিপুল ওই এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) শরাফত ইসলাম জানান, ওই এলাকায় অবস্থিত ‘ব্রেক অ্যান্ড রান’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানে বিপুলসহ ছয় থেকে সাত জন বিলিয়ার্ড খেলছিল।।
একপর্যায়ে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বিপুলের অন্য খেলার সাথীদের সঙ্গে তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয়।
পরে তাদের দলে থাকা শাকিল বিপুলকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে আহত করে বলে এসপি জানান।
তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শরাফত বলেন, ‘পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের ধরার চেষ্টা করছে।’
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ছুরিকাঘাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিদর্শকসহ আহত ২
সিলেটে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা খুন
বগুড়ায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত
টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ রানে জয় পেল ভারত
অ্যাডিলেডে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার-১২ পর্বে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ রানে জয় পেয়েছে ভারত। বাংলাদেশ দল ১৫১ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৬ ওভারে ১৪৫ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়।
এর আগে বুধবার(বাংলাদেশ সময়) অ্যাডিলেডে বাংলাদেশ টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়। বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬ উইকেটে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে ভারতীয় ক্রিকেট দল।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশের নতুন টার্গেট ১৬ ওভারে ১৫১ রান
বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংযের সময় বৃস্টির কারণে ম্যাচে কিছুটা পরিবর্তন আসে। ম্যাসে ডি/এল মেথড কার্যকর করা হয়। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে বাংলাদেশকে জয় পেতে ১৬ ওভারে ১৫১ রান করতে হবে। অর্থাৎ বাকি ৯ ওভারে ৮৫ রান ঘরে তুলতে হবে।
তবে এই প্রথম অ্যাডিলেডে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ তাদের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়লাভ করে। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যায়।
আজ বাংলাদেশের মুখোমুখি হওয়ার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছে ভারত। এই ম্যাচের আগে, বাংলাদেশ ও ভারত ১১ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয়। যার মাত্র একটিতে বাংলাদেশ জয়ের স্বাদ নেয়।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশকে ১৮৫ রানের টার্গেট দিল ভারত
বাংলাদেশের একাদশ:
নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, ইয়াসির আলী, মোসাদ্দেক হোসেন, শরিফুল ইসলাম, নুরুল হাসান (উইকেট-রক্ষক), মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ।
ভারতের একাদশ:
লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পান্ডিয়া, দীনেশ কার্তিক (উইকেট-রক্ষক), অক্ষর প্যাটেল, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, ভুবনেশ্বর কুমার, মোহাম্মদ শামি, অর্শদীপ সিং।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: ভারতের বিপক্ষে টাইগারদের বল করার সিদ্ধান্ত
আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
দামামা বাজছে আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২-এর। আগামী ১৬ অক্টোবর এ ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে প্রত্যাশিত উৎসবটির উদ্বোধনের অপেক্ষায় এখন গোটা পৃথিবী। যাদেরকে ঘিরে এই অনুষ্ঠানের এতো আবেগ-উৎকন্ঠা, সেই ১৬টি দলের মধ্যেও পুরোদমে চলছে প্রস্তুতির তোড়জোড়। সুপার ১২ পর্বের আটটি দলের তালিকায় ইতোমধ্যে নিজের নামটি উঠিয়ে নিয়েছে গর্বিত বাংলাদেশ। পুরো সুপার ১২ জুড়ে বাংলাদেশের একে একে খেলা হবে দক্ষিণ আফ্রিকা, প্রথম রাউন্ডের গ্রুপ বি বিজয়ী, ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে। কিন্তু এই ক্রিকেট লড়াইয়ে বাংলাদেশের অবস্থানটা ঠিক কোথায়? চলুন, বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণের মাধ্যমে তা জেনে নেয়া যাক।
আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২-এ বাংলাদেশ স্কোয়াড
বাংলা টাইগারদের টি-২০ বিশ্বকাপের এই অষ্টম আসরে যাত্রা শুরু হবে আগামী ২৪ অক্টোবর প্রথম রাউন্ডে গ্রুপের রানার্স-আপ দলের বিপক্ষে হোবার্টের ব্যালেরিভ ওভালে নামার মধ্য দিয়ে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি ) কর্তৃক নির্ধারিত বাংলাদেশের অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ১৫ সদস্য বিশিষ্ট স্কোয়াডে থাকছে তিন জন ব্যাট্সম্যান, দুজন উইকেট কিপার, পাঁচ জন অল রাউন্ডার এবং পাঁচ জন বোলার। অভিজাত এই অভিযানে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য থাকছেন বিশ্বমানের অল রাউন্ডার শাকিব আল হাসান। সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন নুরুল হাসান সোহান। ১৫ সদস্যের বাইরে অপেক্ষমান হিসেবে দলের সফর সঙ্গী হবেন সৌম্য সরকার, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন এবং মেহেদি হাসান।
মূল বিশ্লেষণে যাবার আগে চলুন এক নজরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের এবারের স্কোয়াডটি দেখে নেয়া যাক।
সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদ, সাব্বির রহমান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, নাজমুল হোসেন শান্ত, আফিফ হোসেন, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, ইয়াসির আলী, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, নুরুল হাসান, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন এবং নাসুম আহমেদ।
আরও পড়ুন: ত্রিদেশীয় সিরিজ: ৮ উইকেটের বড় হার বাংলাদেশের
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
শক্তি (Strength)
অস্ট্রেলিয়ায় পেস বোলিং পিচের জন্য মুস্তাফিজ, তাসকিন, সাইফুদ্দিন, এবাদত এবং হাসানের বোলিং অর্ডারটা বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ। আর সিডনি, ব্রিসবেন, অ্যাডিলেডের মত পিচের জন্য রীতিমত বুদ্ধিদ্বীপ্ত নির্বাচন বলা যেতে পারে। সুপার ১২ পর্বের দক্ষিণ আফ্রিকানদের জন্য ব্যাপারটি খুব আশ্চর্যজনক না হলেও, এ কথা অনস্বীকার্য যে বাংলাদেশ দ্রুত গতি বোলিংয়ে দক্ষ হয়েছে।
অন্যদিকে, স্পিনারদের সংখ্যা লঘিষ্ঠতাটি পূরণ করে দিতে পারে অলরাউন্ডাররা। নাসুম, মিরাজ এবং শাকিবের সমর্থনে, আফিফ এবং মোসাদ্দেক বেশ ভালো স্পিন বুহ্য তৈরি করতে পারে।
এশিয়া কাপ স্কোয়াডের অন্যতম স্পিনার ছিলেন হলেন মাহেদী হাসান। কিন্তু এবার ১৫ তে তিনি জায়গা করে নিতে পারেননি। এশিয়া কাপে বাংলাদেশের কোচ শ্রীরামের মতে নাসুম এবং মেহদির মাঝে অনায়াসেই অদল-বদল করা যায়। এবারো সে সুযোগ থাকায় নিদেনপক্ষে অফ-স্পিন নিয়ে বাংলাদেশকে তেমন মাথা ঘামাতে হবে না।
তাছাড়া বিশাল সাপোর্ট হিসেবে সাকিব তো থাকছেই। এবারে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শক্তি সাকিব আর মুস্তাফিজু। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে উল্লেখযোগ্য চড়াই-উৎড়াই থাকলেও, দলে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ অল-রাউন্ডার থাকা মানে এক বিরাট নির্ভরতা। যে কোন সময় ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন ব্যাট ও বল উভয় হাতেই ম্যাচজয়ী এই ক্রিকেটার। অধিনায়কত্বের চাপ সামলিয়ে নিজের সেরাটা উপহার দিতে পারলে তিনি একাই যথেষ্ট সেমিফাইনাল পর্যন্ত দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
সাকিবের মতো মুস্তাফিজও বল হাতে ম্যাচজয়ী। তার মাঝারি পেস বোলিংয়ের নৈপুণ্যে তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যানদের ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যেতে দেখতে অভ্যস্ত তার ভক্তরা। এছাড়া তার কম ডেলিভারি দেয়া দ্রুত গতির বলগুলোও বেশ বিধ্বংসী হয়ে থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় পিচে বল হাতে মুস্তাফিজের ঝলসে ওটা শুধু দর্শকদের জন্যই নয়; দলের জন্যও দারুণ চমক হতে পারে। সম্প্রতি কয়েকটি ম্যাচে তার যথেষ্ট প্রমাণ দিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে ক্রিকেটপ্রেমিরা এও বুঝে গেছে যে যেকোন পরিস্থিতিতে দল তার ওপর পূর্ণ আস্থা রাখতে পারে।
সাইফুদ্দিন, মেহেদি ও আফিফরা ফুল ফর্মে থাকায় শাকিবের নেতৃত্বে চমৎকার কোয়াড্রুপলেট তৈরি হতে পারে ব্যাটিং ও বোলিং দুই ইনিংসেই। পাওয়ার প্লেতে তাদের সাম্প্রতিক বোলিং ও ব্যাটিং আক্রমণগুলো বেশ বৈচিত্র্যপূর্ণ ছিল।
আরও পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ: ভেন্যু ও প্রাইজ মানি
দুর্বলতা (Weakness)
মেধা বা অভিজ্ঞতা; বাংলাদেশের এর কোনটার কমতি আছে বলা হলে ভুল হবে। সাব্বির, মিরাজ, আফিফ, মোসাদ্দেক, লিটন দাস, তাসকিন আর এবাদতকে অনেক বছর ধরেই বাংলাদেশ একাদশে দেখা যাচ্ছে। তাই বেশ তরুণ হলেও তাদের কেউই অনভিজ্ঞ নন। তবে সমস্যা হলো এ দীর্ঘ সময়ে তাদের পারফরম্যান্স এখনো নির্দিষ্ট মাত্রায় এসে দাঁড়ায়নি। দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই অসংলগ্নতা বাংলাদেশ ক্রিকেটের চিরায়ত সঙ্গী।
প্রতিবারই দুর্দান্ত সূচনাকারি খেলোয়াররা নানা ধরনের আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলোতে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছে। সৃষ্টি হয়েছে ফুলেল সম্ভাবনার। অথচ এই সম্ভাবনাগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ পারফরম্যান্সে রূপান্তর হয়নি। আগে বলা হয়েছিল তাদের অভিজ্ঞতার অভাব ছিল। কিন্তু সেই অজুহাত এখন দেয়া যাবে না, কারণ তারা বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। দুর্ভাগ্যবশত প্রত্যেকেরই নামের পাশে দুয়েকটি সেরা ম্যাচ থাকছে, কিন্তু সেগুলোকে ছাপিয়ে সামনের খেলাগুলোতে তারা অধিক ভালো করা তো দূরে থাক; বিগত পারফরমেন্সটিই ধরে রাখতে পারছে না। ফলে ম্যাচ জিততে এখনও নির্ভর করতে হচ্ছে শুধু শাকিব ও মুস্তাফিজের ওপর।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তাদের ব্যাটিং অর্ডার। মুলত দলের প্রয়োজনের সময় টিকে থাকতে না পারলে পাহাড়সম স্ট্রাইক রেট কোনো কাজে আসে না। পাশাপাশি টাইগারদের স্পিনার ভীতি আছে। তাই তারা অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়গায় বড় বাউন্ডারির সুবিধা নিতে পারবে না।
এশিয়া কাপ মিস করায় অস্ট্রেলিয়ায় টুর্নামেন্টের জন্য নাজমুল হোসেন শান্তকে ১৫ জনের দলে নিয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনিং অর্ডারে তার দুর্দান্ত রেকর্ড নেই। আর সর্বসাকূল্যে ৯টি টি-২০ তে তার সংগৃহীত রানের গড় ১৮ দশমিক পাঁচ, যেখানে একটিও ৫০শের বেশি স্কোর নেই।
নুরুল হাসান এবং ইয়াসির আলী মিডল-অর্ডারে যোগ হয়েছেন। ফলে বাংলাদেশের কাছে ওপেনিং অর্ডারে বিকল্পের অভাব পড়ছে। নাজমুল অথবা এশিয়া কাপের সময়ের ন্যায় মিরাজ লিটন দাসের সঙ্গে ওপেন করতে পারে। কিন্তু তাতে নির্ভরযোগ্য কোনো ইনিংসের সূচনা হবে কিনা তা দেখার বিষয়।
নাজমুল বেশ ভালো বিকল্প, কিন্তু এশিয়া কাপে বাদ পড়ার কারণে বাংলাদেশের শীর্ষ একাদশে তার অবস্থানটা একটু নড়বড়ে হতে পারে। আর মূল স্কোয়াডের বাইরে থাকায় ওপেনার সৌম্য সরকারের কথা ভাবার কোনো অবকাশই নেয়।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
সম্ভাবনা (Opportunity)
সাম্প্রতিক মাসের ম্যাচগুলোর কথা ধরা হলে দল হিসেবে বাংলাদেশ খুবই হতাশাজনক। তাদের জিম্বাবুয়ে সফরের অনাকাঙ্ক্ষিত ফলাফল এবং আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়া কাপ থেকে ফিরে আসাটা খুব ভালো ব্যাকগ্রাউন্ড রাখেনি। সেই হিসেবে অবশ্য এবারে বিশ ওভারের বিশ্বকাপে সুপার ১২ স্টেজে তালিকাভুক্ত হওয়া বাংলাদেশের জন্য বিরাট পাওয়া।
কিন্তু দর্শকদের আকস্মিক চমকে দেয়াটা বাংলাদেশের জন্য নতুন নয়। বরঞ্চ বাংলাদেশের বর্তমান দলটি সেই চমক দেয়ার জন্য পুরোদস্তুর ইতিবাচক অবস্থায় রয়েছে। খেলার ফরম্যাট যখন ২০-২০, তখন আকাশচুম্বী স্ট্রাইক রেট আর বলের ভেল্কিতে ব্যাট্সম্যানকে ধরাশায়ী করাটাই আসল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি অনলাইনে বিক্রির পরিকল্পনা বিসিবির
হুমকি (Threat)
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ যে পারফরম্যান্স ধস হয়েছে তার একটি প্রধান কারণ হলো আত্মবিশ্বাসের অভাব। মাঠে নামাকালীন তাদের বিভ্রান্তিকর চেহারা শুধু তাদের ভক্তদেরই কষ্ট বাড়ায় না, অপর পক্ষের সমর্থকদেরও বুঝিয়ে দেয় যে তারা হয়ত চমকপ্রদ কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখতে যাচ্ছে না। এছাড়া সমসাময়িক খেলাগুলোতে অধিনায়কত্ব নিয়ে বাড়তে থাকা জটিলতা এই সমস্যাগুলোকে আরও বেগবান করেছে।
বর্তমান সময়কার তাদের স্পিন বোলিংয়ের রেকর্ডগুলো ক্রমেই অবদমিত হচ্ছে। অন্যদিকে, প্রতিপক্ষের আক্রমণাত্মক মানসিকতায় বাংলাদেশিদের নিজের জায়গায় শক্ত হয়ে দাঁড়ানোর অবস্থা নেই। এ অবস্থায় বিশাল রানের টার্গেট তাদের ব্যাটিং অর্ডার সুসজ্জিত থাকলেও নিমেষেই ভেঙে গুড়িয়ে যেতে পারে।
আশা করা হচ্ছে যে তাসকিন, মুস্তাফিজ এবং সাইফুদ্দিন শীর্ষ একাদশে থাকবেন আর এই থাকাটা অবশ্যই তারা নিজের সেরাটা দিয়ে আরও মজবুত করবেন। কিন্তু তাদের কাছাকাছি সময়ের আন্তর্জাতিক ২০ ওভারের ইনিংসগুলো তেমন ভালো আশা দেখায় না।
আর বাংলাদেশি পেসারদের অস্ট্রেলিয়ার পিচ থেকে অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হওয়া উচিত। তবে পৃথিবী কাঁপানো কিছু পাওয়ার হিটারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য তাদের ভালোভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: আমাদের উন্নতি করতে হবে: সাকিব
পরিশিষ্ট
গত ৫ অক্টোবর এই বিশ্বনন্দিত স্পোর্টস ইভেন্টটির জন্য বাংলাদেশ দলের স্কোয়াডও ঠিক হয়ে গেলো। এবার শুধু মাঠে নামার পালা। ২০-২০ ওভারের দুই ইনিংসে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে। পাশাপাশি এও ঠিক যে সারা পৃথিবীর কোটি জোড়া চোখ তাকিয়ে এই ২২ গজের মঞ্চে। তাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে বহুজাতির বিশ্বকাপ চলছে, সে চাপটিকেও সুনিপুনভাবে সামলানোর গুরুদায়িত্বটা পালন করতে হবে টাইগারদের। ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণের নির্যাসে যে কথাটি উঠে আসে তা হচ্ছে পুরোনো অভিজ্ঞতাকে ছাপিয়ে যেতে হলে দলের প্রতিটি সদস্যের সম্মিলিত ভূমিকা অবধারিত।
ভূরুঙ্গামারী খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে খেলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিম ভোটহাট গ্রামে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশু যোবায়ের হোসেন (৫) ওই গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলামের ছেলে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় নছিমনচাপায় শিশুর মৃত্যু
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রতিবেশী ফরমান আলীর আঙ্গিনায় বন্ধুদের সঙ্গে খেলছিল শিশুটি।
এ সময় আঙ্গিনায় ব্যাটারিচালিত ভ্যানের ব্যাটারি বৈদ্যুতিকভাবে চার্জ দেয়া হচ্ছিল। অসাবধানতাবশত শিশুটি সেখানে স্পর্শ করলে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যায়।
এছাড়া ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: চট্টগ্রামে শিশুর মৃত্যু
পুকুরে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
এশিয়া কাপ খেলতে সিলেটে জাহানারা-জ্যোতিরা
প্রায় চার বছর পর মাঠে গড়াচ্ছে মেয়েদের এশিয়া কাপ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে সিলেটে পৌঁছায় বাংলাদেশ দল।
এক অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করবে এশিয়ার সাতটি দেশের খেলোয়াড়রা।
স্টেডিয়ামের মিডিয়া ইনচার্জ ফরহাদ কোরেশী জানান, নিগার সুলতানা জ্যোতি ও লতা মণ্ডলদের নিয়ে যাওয়া হয় বিমানবন্দরের কাছে গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে।
আরও পড়ুন: আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ
তারপর দুপুর ১২টার পর আসেন দুবাই ও মালয়েশিয়ার নারী ক্রিকেটাররা। একই দিন বিকালে সিলেটে পৌঁছায় শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড ও পাকিস্তান নারী ক্রিকেটাররা।
এছাড়া পুরো টুর্নামেন্টটি চলবে নয়নাভিরাম সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
তিনি আরও জানান, এশিয়া কাপকে ঘিরে সংস্কারকাজসহ সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে কর্তৃপক্ষ। মাঠ পুরোপুরি প্রস্তুত। এই টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো দেখতে টিকিট লাগবে না, দীর্ঘদিন পর সবাই সুযোগ পাবে স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার।
ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল গ্রাউন্ডের পাশাপাশি প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক ম্যাচ গড়াবে আউটার স্টেডিয়ামে। রাস্তা সংস্কার, উইকেট প্রস্তুত, ফ্লাড লাইটসহ ভেন্যু পরিপূর্ণ প্রস্তুত ম্যাচের জন্য।
মোট ২৪ ম্যাচের ৯টি হবে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড-২ এ। বাকি ১৫টি ম্যাচ হবে মূল ভেন্যুতে।
রাউন্ড রবিন পদ্ধতিতে প্রতিটি দল ছয়টি করে ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। সেখান থেকে টেবিলের শীর্ষ চারটি দল খেলবে সেমিফাইনাল।
সেমিফাইনাল হবে ১৩ অক্টোবর। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ হবে ১৫ অক্টোবর। এছাড়া বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় গ্রাউন্ড-২ এ অনুশীলন করবে বাংলাদেশ দল।
প্রথম দিন থাইল্যান্ডের বিপক্ষে উদ্বোধনী ম্যাচ খেলবে স্বাগতিকরা।
আরও পড়ুন: নারী টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপ: বাংলাদেশের দল ঘোষণা
বিপিএল: ‘বিশ্বের দ্বিতীয় সেরা’ থেকে ‘সেরা ঘরোয়া’ লিগ