উপেক্ষা
নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ ধরায় ৯ জেলের কারাদণ্ড
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জের পদ্মায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইলিশ ধরার অপরাধে ৯ জেলেকে আটক করে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দিনব্যাপী পদ্মা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়। এ সময় জেলেদের কাছে থাকা দুটি মাছ ধরার নৌকা ও ৪০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে ভিক্টর ক্লাসিকের ১২ বাস আটক
আটক জেলেদের প্রত্যেককে ১৫ দিনের করে কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর জব্দ করা কারেন্ট জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, ইলিশ রক্ষায় নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে প্রত্যেককে ১৫ দিন করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এসময় জেলেদের কাছ থেকে দুটি নৌকা ও ৪০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ৯৪ জেলের কারাদণ্ড
১ মাস আগে
চট্টগ্রামে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বিক্ষোভ
পুলিশি বাধা ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৯ দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
শুক্রবার নগরীর আন্দরকিল্লা চত্বর থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে হাজার হাজার ছাত্র ও অভিভাবকরা বের হন। মিছিল নিয়ে টেরি বাজার, লালদীঘি পাড়, কোতোয়ালী হয়ে নিউ মার্কেট চত্বরে অবস্থান নেন বিক্ষোভকারীরা।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দেশব্যাপী প্রার্থনা ও গণমিছিল আজ
সেখানে প্রায় ৩০ মিনিটের মতো সমাবেশ করেন তারা। সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, ‘আমাদের ভাইদের হত্যার বিচারসহ ৯ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। হত্যা, গ্রেপ্তার, হামলা ও মামলা দিয়ে এই আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। কোনো শিক্ষার্থী আক্রান্ত হলে তার পুরো পরিবারসহ শত শত শিক্ষার্থী আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন।’
আন্দোলন ঘিরে আন্দরকিল্লা মোড়সহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়। পুলিশ প্রথমদিকে মিছিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও ছাত্রদের মারমুখি অবস্থানের কারণে পিছু হটে। আন্দরকিল্লা মোড়ে পুলিশের সামনে গিয়ে কটূক্তি করে স্লোগান দেয় অনেক শিক্ষার্থীরা। তবে পুলিশ ছিল শান্ত।
বেলা ৩টার দিকে নিউ মার্কেট থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে স্টেশন রোড, বিআরটিসি মোড়, কদমতলী অতিক্রম করে টাইগার পাস মোড়ে গিয়ে সমাবেশ করে। সেখানে আধঘণ্টা ধরে সমাবেশ করে মিছিল নিয়ে নগরীর ওয়াসার মোড়ে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করে বিকেল ৪টায়। তবে নগরীর দামাপাড়া পল্টন রোড়ে অবস্থিত আওয়ামী লীগ নেতার বাসার সামনের গলিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগের শতাধিক নেতাকর্মী পুলিশ পাহারায় অবস্থান করতে দেখা গেলেও কোননো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
আরও পড়ুন: ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে শিক্ষার্থীদের গণমিছিল
শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার (২ আগস্ট) দেশব্যাপী বিক্ষোভ মিছিল ও দোয়ার কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। একই সঙ্গে শিক্ষক, আইনজীবী, ডাক্তার, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন ছাত্রদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করছে দেশব্যাপী।
বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চট্টগ্রামের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ‘প্রার্থনা ও ছাত্র জনতার গণমিছিল’ এর ডাক দেন। তিনি তাদের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, আইনজীবী, ডাক্তার, বুদ্ধিজীবী, সংস্কৃতিকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, মানবাধিকারকর্মী, আলেম-ওলামা, শ্রমিক, অভিভাবকসহ চট্টগ্রামের সর্বস্তরের নাগরিকদের অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে হাজারো মানুষ অংশ নেন। মিছিলে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও ছিল উল্লেখযোগ্য।
আরও পড়ুন: ডিবি আমাদের জোর করে আটকে রেখেছিল, আন্দোলন চলবে: মুক্তির পর কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক
৩ মাস আগে
সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
জননিরাপত্তার স্বার্থে সরকারের জারি করা নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও নেতিবাচক বিবৃতি দেওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
তিনি বলেন, সরকারের নিরাপত্তাবিষয়ক সংস্থা পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য যে নির্দেশনা জারি করেছিল সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান করা ছিল হঠকারী ও দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: প্রবাসী কর্মীদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ দিতে হবে: প্রতিমন্ত্রী
তাদের এই আচরণে সরকার খুবই ব্যথিত ও মর্মাহত।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তার দপ্তর কক্ষে সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পহেলা বৈশাখে উদীচীর অনুষ্ঠান করা ও এ বিষয়ে বিবৃতি দেওয়া প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে ও যশোরের উদীচীর অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় অনেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং অনেকে পঙ্গু হয়েছে। হলি আর্টিজান, শোলাকিয়া ময়দান ও সিলেটে ঈদের জামাতের জঙ্গি হামলা প্রতিরোধ করতে গিয়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন এবং জনগণের জীবন বাঁচিয়েছেন। প্রতিটি অনুষ্ঠানে সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে সবসময় সতর্ক থাকায় অতীতের মতো বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি হামলা বা সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটতে পারেনি। এই বিষয়ে সরকার সবার সহযোগিতা কামনা করে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৯৩ সালে ১৪০০ বঙ্গাব্দে, বাংলা বর্ষবরণ করার সময় বেগম খালেদা জিয়া সরকার বাধা দিয়েছিল। তাদের বাধা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল নিরাপত্তাজনিত নয় বরং বাঙালির সার্বজনীন, অসাম্প্রদায়িক এই উৎসবকে নিরুৎসাহিত করা। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব সংগঠনসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা আমরা সবাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করেছিলাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের কর্তব্য। আশা করব এক্ষেত্রে সবাই সবসময় সহযোগিতা করবেন যাতে আনন্দের অনুষ্ঠান বিষাদে পরিণত না হয়ে যায়।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যে অনুষ্ঠান উদীচী করেছে সেখানে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটতো তার দায়-দায়িত্ব কে নিত- এ প্রশ্ন রেখে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমরা মনে করি নিয়ম বা নির্দেশ না মেনে অনুষ্ঠান যারা করবেন তাদেরই সেই দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে যথাযথভাবে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয় উল্লেখ করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পহেলা বৈশাখ উদযাপনের জন্য বাংলা নববর্ষ ভাতা ব্যবস্থা করেছে। তার সরকারের সময়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইউনেস্কো ২০১৬ সালে বাংলাদেশের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রাকে’ বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে।
আরও পড়ুন: এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা ২০ এপ্রিলের মধ্যে দুবাই পৌঁছাবেন: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সমুদ্রপথ নিরাপদ করতে প্রস্তাবনা তৈরির কাজ চলছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
৭ মাস আগে