বন্যপ্রাণী
নিজেদের পাতানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ গেল দম্পতির
শরীয়তপুরের জাজিরায় বন্যপ্রাণী সজারুর থেকে নিজেদের ভুট্টাখেত বাঁচাতে নিজেদের পাতানো বৈদ্যুতিক ফাঁদে প্রাণ হারিয়েছে এক দম্পতি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন— ওই গ্রামের ইদ্রিস খাঁ (৬৫) ও তার স্ত্রী শেফালী বেগম (৬০)।
স্থানীয়রা জানান, আজ (শনিবার) সকালে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করেই ইদ্রিস ও তার স্ত্রী জমিতে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন: সিলেট-তামাবিল সড়কে বিদ্যুতের খুঁটিতে প্রাইভেটকারের ধাক্কা, নিহত ৩
এ সময় অসাবধানতাবশত ইদ্রিস বিদ্যুতায়িত হয়ে মাটিতে পড়ে গেলে স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে শেফালীও বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা তাদের দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নকিব আকরাম হোসেন বলেন, ‘লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৫৩ দিন আগে
চিড়িয়াখানা থেকে ১০ প্রজাতির ৩১ বন্যপ্রাণী উদ্ধার ও অবমুক্ত
শরীয়তপুরের নড়িয়ার মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম অ্যান্ড মিনি চিড়িয়াখানায় অবৈধভাবে রাখা ১০ প্রজাতির ৩১টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার কলুকাঠি এলাকার ওই চিড়িয়াখানায় দিনব্যাপী বনবিভাগ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রাণীগুলো উদ্ধার ও অবমুক্ত করে।
বনবিভাগ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট জানায়, মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম অ্যান্ড মিনি চিড়িয়াখানায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী প্রদর্শনের জন্য খাঁচায় রাখা হয়েছিল। এর মধ্যে ভালুক, মিঠা পানির কুমির, বার্মিজ অজগর, সজারু, মেছো বিড়াল, কালিম পাখি, ঘুঘু পাখি ও বালি হাঁস রয়েছে, যা বন্যপ্রাণী আইন ২০১২ অনুযায়ী অনুমতিব্যতীত সংগ্রহ, দখলে রাখা, প্রদর্শন ও সংরক্ষণ করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
বিষয়টি অবগত হলে বনবিভাগ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট অভিযান চালিয়ে প্রাণীগুলো উদ্ধার করে। এগুলোর কিছু গাজীপুরের সাফারি পার্কে, আর কিছু পাখি আকাশে অবমুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বন্যপ্রাণী শিকার ও পাচার বন্ধ করতে হবে: পরিবেশ উপদেষ্টা
মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম অ্যান্ড মিনি চিড়িয়াখানার ব্যবস্থাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যপ্রাণীগুলো এভাবে রাখা যাবে না—বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। যদি জানতাম তাহলে আমরা ছেড়ে দিতাম। ওনারা এসে আমাদের অবগত করার পর আমরা এসব প্রাণী তাদের হাতে তুলে দেই।’
এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ্র কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল, এখানে অবৈধভাবে বন্যপ্রাণী খাঁচায় প্রদর্শন করা হচ্ছে। এরপর আইন অনুযায়ী সেসব প্রাণী আমরা উদ্ধার করে অবমুক্ত করি।’
৫৯ দিন আগে
বন্যপ্রাণী পাচার-শিকার রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বাংলাদেশে বন্যপ্রাণী পাচার ও শিকারের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
রবিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এবং অবৈধ পাচার প্রতিরোধের কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশে সহযোগিতা বাড়াবে এডিবি: পরিবেশমন্ত্রী
এ সময় বন্যপ্রাণী পাচারকারীদের জন্য ট্রানজিট পয়েন্ট এবং অভ্যন্তরীণ বাজার হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন পরিবেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, অপরাধীদের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় কঠোর শাস্তি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ইউনিটকে শক্তিশালী করা হবে।
আরও কার্যকর ব্যবস্থা প্রয়োগের জন্য বিধিমালা সংশোধন করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন সাবের হোসেন চৌধুরী।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ রোধে ২০ বছরের পুরোনো বাস প্রত্যাহার করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন্যপ্রাণী রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সুন্দরবন সংরক্ষণে বাঘ সংরক্ষণ অতীব গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এছাড়াও সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বৈশ্বিক জীববৈচিত্র্যের হটস্পট পার্বত্য চট্টগ্রামকে রক্ষা করার ওপর জোর দেন পরিবেশমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: সম্পদের বিভাজন রোধে সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী
৩৮১ দিন আগে
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
সরকার বন্যপ্রাণীর টেকসই সংরক্ষণ ও বৈধ বন্যপ্রাণীর বাণিজ্য এবং মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সহাবস্থান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তি ও পরিষেবা ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণকে ত্বরান্বিত করতে বৈচিত্র্যময় ডিজিটাল প্রযুক্তির অন্বেষণ করা হচ্ছে। প্রকৃতির টেকসই অভিযোজন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবনী প্রয়োগে নাগরিক সমাজ, প্রযুক্তিবিদ এবং সংরক্ষণবাদীসহ সবাইকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বুধবার (৬ মার্চ) বন অধিদপ্তরে মানুষ ও ধরিত্রীর বন্ধন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ডিজিটাল উদ্ভাবন শ্লোগানে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ক্যামেরা ট্রাপিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের বাঘ জরিপ, বাঘের শিকার প্রাণীর বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে ড্রোন প্রযুক্তি ও স্মার্ট পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে সুন্দরবনের অপরাধ মনিটরিং ও ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ৩৫ হাজার কোটি টাকা যথেষ্ট নয়: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, উন্নত ট্র্যাকিং সিস্টেম, রিয়েল টাইম ডেটা অ্যানালিটিক্স এবং রেডিও কলারিং প্রভৃতির মাধ্যমে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও বন্যপ্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য রোধের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের আওতাধীন ওয়াইল্ডলাইফ ফরেনসিক ল্যাব এ ট্রফি বা বন্যপ্রাণীর নমুনা থেকে প্রজাতি চিহ্নিতকরণ এবং জিনগত সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ডিএনএ বারকোড ডেটাবেস তৈরি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যক্রমের একটি মাইলফলক।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ২০২২ সালে হাতির রেডিও কলারিংয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার বনাঞ্চলে হাতির বিস্তৃতি ও চলাচল পথ নির্ণয়ের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বেগবান করার লক্ষ্যে বন অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত ব্যবহারের জন্য একটি বন্যপ্রাণী অপরাধ রিপোর্টিং টুল তৈরি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, যার মাধ্যমে সারাদেশে বন্যপ্রাণী অপরাধ সংঘটনের চিত্র খুব সহজেই পাওয়া যাবে। আমাদের দেশের বন্যপ্রাণীগুলোকে রক্ষার জন্য অঙ্গীকার ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে: জাতিসংঘ পরিবেশ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
প্লাস্টিক দূষণ মোকাবিলায় বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৪০৭ দিন আগে
বন্যপ্রাণী পাচার রোধে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করবে ভারত: পরিবেশমন্ত্রী
বন্যপ্রাণী পাচার রোধে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাঘ সংরক্ষণে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্বাক্ষরিত প্রটোকলের বাস্তবায়ন এবং সুন্দরবন সংরক্ষণে দুই দেশের যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা জানান।
এ উপলক্ষে ভারতীয় ওয়ার্কিং গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দল খুব শিগগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় দুই দেশ একযোগে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: ঢাকার উন্নয়নে সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস ফরাসি-জার্মানির
মন্ত্রী বলেন, মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ও জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনাও একই সঙ্গে বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ, ইকো-ট্যুরিজম এবং সক্ষমতা বিনির্মাণেও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, পরিবেশ, বন সংরক্ষণ ও উন্নয়নে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে চাই।
আরও পড়ুন: নির্বাচন পরবর্তী প্রথম সরকারি সফর হিসেবে মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
৪৪৮ দিন আগে
সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
তিনি বলেছেন, সাফারি পার্ক নির্মাণের ফলে দেশ-বিদেশের পর্যটক আসবে, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং সর্বোপরি এলাকার মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন হবে। সাফারি পার্ক এলাকায় বসবাসরতদের সুরক্ষা দিয়েই এখানে সাফারি পার্ক নির্মাণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) একনেক সভায় মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় একটি সাফারি পার্ক নির্মাণের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, মৌলভীবাজার (প্রথম পর্যায়)’- প্রকল্পটি অনুমোদনের পর তার সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, একনেক সভার মন্ত্রী ও সদস্যরা, পরিবেশ সচিব, বন অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এসময় পরিবেশমন্ত্রী বলেন, এ সাফারি পার্কে বাংলাদেশের বিপদাপন্ন ও বিপন্ন বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। লাঠিটিলার বনভূমিকে জবরদখলমুক্ত করে বন্যপ্রাণী বিশেষ করে হাতি, মেছো বিড়াল, বনরুই, খাটলেজি বানর, আসামি বানর, গন্ধগকুল, মায়া হরিণ, চশমাপরা হনুমান, ভল্লুক, সজারু ইত্যাদির বসবাস উপযোগী প্রাকৃতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।
আরও পড়ুন: পরিবেশদূষণ রোধে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
তিনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি করা হবে। হাতি উদ্ধার কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে অসহায় এতিম ও উদ্ধার করা মহাবিপন্ন হাতির চিকিৎসা দেওয়া হবে। বিপদাপন্ন প্রজাতির বাঘ, গণ্ডার, সিংহ, কুমির, ঘড়িয়াল, প্যারা হরিণ, সম্বর হরিণ, নীলগাই, ভাল্লুক ইত্যাদি বন্যপ্রাণীর জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে তোলা হবে।
বনমন্ত্রী বলেন, আহত ও উদ্ধার করা বন্যপ্রাণী চিকিৎসার নিমিত্তে বন্যপ্রাণী হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিষয়ে জনগণের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি করা হবে। জলচর ও পরিযায়ী পাখির আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য পুকুর ও লেক খনন এবং বন্যপ্রাণীর জন্য খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও আবাসস্থল উন্নয়নের জন্য ফলের গাছ, তৃণভূমি ও বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণ করা হবে।
তিনি জানান, বিরল ও বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ প্রজাতির সংরক্ষণের জন্য এক লাখ চারা রোপণ, ভূমিক্ষয় রোধে পাহাড়ের ঢালে ও পাদদেশে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়াও, এখানে নেচার হিস্ট্রি মিউজিয়াম ও প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে দুই কিলোমিটার বেশি কেবল কার স্থাপনের প্রকল্প একনেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে।
আরও পড়ুন: জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পকে নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করতে কাজ করছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদনকারীদের প্রণোদনা দেবে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
৫২৫ দিন আগে
সুন্দরবনে বন্ধ হচ্ছে না হরিণ শিকার
বন্যপ্রাণী শিকার আইন প্রণয়নের পরও বন্ধ হচ্ছে না সুন্দরবনের হরিণ শিকার। মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে অনেক শিকারি হরিণ শিকার করছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এতে একদিকে যেমন সুন্দরবনের প্রধান আকর্ষণ হরিণ অস্তিত্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে বাঘের প্রধান খাদ্য হরিণ হওয়ায় বনের ইকো সিস্টেম নষ্ট হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে হরিণের মাংস-গুলিসহ এক ‘শিকারি’ আটক
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুন্দরবনের হরিণসহ সব বন্য সম্পদ রক্ষায় আরও কঠোরভাবে নজরদারি বাড়াতে হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আবারও খুলনার কয়রা থেকে হরিণের ৫৩ কেজি মাংস উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৯ জুলাই) ভোরে উপজেলার ৪ নম্বর কয়রায় শাকবারিয়া খালের পাশে অভিজান চালিয়ে এ মাংস উদ্ধার করা হয়।
এ ছাড়া খালে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায় পাচারকারী।
উপজেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্য মতে, সুন্দরবনসংলগ্ন কয়রা উপজেলায় হরিণ শিকারিদের দৌরাত্ম্য সব চেয়ে বেশি।
গত ৩ মাসে এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৩২ কেজি হরিণের মাংস, একটি গলাকাটা হরিণ, ৫টি চামড়া ও মাথা জব্দ করে প্রশাসন।
এ সময় মামলা হয়েছে ১০টি, গ্রেপ্তার হয়েছেন ৬ জন। এ ছাড়া গত এক বছরে এর সংখ্যা ৫০ জনের বেশি।
সম্প্রতি ৩ মণ হরিণের মাংসসহ এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ অবস্থার মধ্যে গত ২৫ এপ্রিল কয়রা উপজেলা পরিষদের সম্মেলনকক্ষে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় নির্বিচারে হরিণ নিধনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ পায়।
জানা যায়, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ এই চিত্রা হরিণ। কিন্তু দিনের পর দিন প্রশাসনের রেড এলার্টসহ বিভিন্ন অভিযানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে হরিণ নিধন করে যাচ্ছে পাচারকারীরা।
আরও পড়ুন: ভোলায় ১৫ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার ১
স্থানীয়রা বলছে, সুন্দরবনসংলগ্ন উপজেলা ও আশপাশের এলাকায় দাম কম হওয়ায় এই বন্যপ্রাণীর মাংসের চাহিদা বেড়েছে। এ কারণে হরিণ শিকার বন্ধ করা যাচ্ছে না। অনেকেই অগ্রিম ‘দাদন’নিয়ে জেলের ছদ্মবেশে মাছ ধরার অনুমতি নিয়ে বনে ঢুকে চোরা-শিকারিরা।
তাদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকে ‘এজেন্ট ব্যবসায়ীদের’। এই এজেন্টদের মাধ্যমে কখনো অগ্রিম, আবার কখনো মাংস এনেও বিক্রি করা হয়।
এই চক্রের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানেও পৌঁছে যায় হরিণের মাংস।
সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির বলেন, বন্যপ্রাণী শিকার নিষিদ্ধ হলেও আইন অমান্য করে হরিণ শিকার করছে একটি চক্র। এতে সুন্দরবনে দিন দিন কমে যাচ্ছে হরিণের সংখ্যা।
সম্প্রতি সময়ে হরিণ শিকার বেড়ে যাওয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যেখানে বনদস্যু আটক হয়ে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হচ্ছে। সেখানে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার বেড়ে যাচ্ছে।
এর পেছনে বনবিভাগ ও আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয়হীনতা রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
এ ছাড়া যে পরিমাণ হরিণের মাংস ও চামড়া জব্দ হয়, তার থেকে কয়েকগুণ বেশি হরিণ শিকার হয়।
অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির আরও বলেন মাঝেমধ্যে দুই-একটা অভিযানে হরিণের মাংস, চামড়া, মাথা জব্দ হলেও মূল চোরাশিকারি ও পাচারকারীরা থেকে যায় ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাংস বহনকারীরাই ধরা পড়ে। তারা দুর্বল আইনের কারণে কয়েক দিন পর জেল থেকে ফিরে একই কাজে লিপ্ত হন।
কয়রার দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের বাসিন্দা সোলায়মান গাজী বলেন, সুন্দরবন প্রভাবিত কয়রার গ্রামগুলোতে বেশির ভাগই শ্রমজীবী মানুষের বসবাস।
এসব গ্রামের প্রতিটি পরিবারের কেউ না কেউ সুন্দরবনকেন্দ্রিক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এ উপজেলার ৩০টির বেশি চোরাশিকারি চক্র নির্বিচারে সুন্দরবনের হরিণ নিধন করছে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মমিনুর রহমান বলেন, সুন্দরবনসংলগ্ন কয়রায় সুন্দরবনকেন্দ্রিক অপরাধ প্রবণতার চিত্র তাদের উদ্বিগ্ন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বিশেষত হরিণ শিকারিদের দৌরাত্ম রুখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বন বিভাগকে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে।
সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, অল্প জনবল দিয়ে এত বড় বনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয় বন বিভাগের।
তারপরও হরিণ শিকার আগের তুলনায় অনেকাংশে কমেছে। র্যাব, কোস্ট গার্ড, বিজিবি ও বন বিভাগের নিয়মিত টহলের কারণে এখন বনে হরিণ শিকারের সুযোগ কম।
আরও পড়ুন: খুলনায় ১২০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, আটক ১
মোহসিন বলেন, বনে জলদস্যুরাই বেশি হরিণ শিকার করে খেত। ২০১৮ সালে সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হওয়ায় পর এবং গত কয়েক বছর রাসমেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বনে হরিণ শিকার কমেছে।
তা ছাড়া সাম্প্রতিক বন্যপ্রাণী রক্ষায় অপরাধে জড়িতদের তথ্য প্রদানকারীকে পুরস্কার দেয়ার ঘোষণার ফলে চোরা শিকারিদের ব্যাপারে সাধারণ মানুষ তথ্য দিতে উৎসাহিত হয়েছে।
এখন মাংসসহ হরিণ শিকারি বেশি ধরা পড়ছে।
৬৩৫ দিন আগে
সুন্দরবনে কুমিরসহ ১৮ বন্যপ্রাণী অবমুক্ত
সুন্দরবনে কুমির ও তক্ষকসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১৮টি বন্যপ্রাণী অবমুক্ত করা হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে বুধবার বিকালে ওই সব বন্যপ্রাণী অবমুক্ত করা হয়। বন্দী থাকা এসব বন্যপ্রাণী ফিরে পেয়েছে আবাসস্থল। বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালিয়ে এসব বন্যপ্রাণী উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরবনে অবমুক্ত করা এসব বন্যপ্রাণীর মধ্যে রয়েছে- দুটি লোনা পানির কুমির, একটি তক্ষক, একটি বক, ১১টি কালিম পাখি, একটি ভুবন চিল ও দুটি মাছকুড়াল।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে র্যাবের বিশেষ অভিযান
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির জানান, খুলনা বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এবং আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নভেম্বর মাসে যশোর ও মাদারীপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ১৮টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার করে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ এসব বন্যপ্রাণী সুন্দরবনের করমজলে আনার পর অবমুক্ত করা হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় উদ্ধারকরা নানা প্রজাতির বেশকিছু বন্যপ্রাণী সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সুন্দরবন ঘুরলেন প্রধানমন্ত্রী কন্যা
সুন্দরবনে পর্যটকের খরা, হতাশায় ট্যুর অপারেটররা
৮৪০ দিন আগে
ছেলে-মেয়েকে নিয়ে সুন্দরবন ঘুরলেন প্রধানমন্ত্রী কন্যা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে অটিজম বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ পুতুল সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্র ও পর্যটন স্পট ঘুরে দেখেছেন।
পুতুল তার ছেলে ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সুন্দরবন পূর্ব বনভিাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। সেখানে ঘণ্টাখানেক থেকে দুপুর ১টার দিকে করমজল ত্যাগ করেন তিনি। লঞ্চযোগে তিনি সুন্দরবনে প্রবেশ করেন। তিনদিন ধরে তিনি বনের বিভিন্ন পর্যটন এলাকা ঘুরে দেখেন।
আরও পড়ুন: জৈন্তাপুরে আলোচিত পুতুল হত্যা মামলায় স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজননকেন্দ্র ও পর্যটন স্পটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার আজাদ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল আসার আগাম কোনো খবর আমাদের কাছে ছিল না। এখানে আসার পর তার নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিষয়টি আমাকে জানান। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীকন্যা করমজলে একঘণ্টা অবস্থান করে দুপুর ১টায় চলে যান।
সুন্দরবনে অবস্থানকালে সায়মা ওয়াজেদ করমজলের বিভিন্ন স্পট এবং সেখানকার বন্যপ্রাণী ঘুরে দেখেন বলে ওসি।
বাগেরহাট জেলা পুলিশের মিডিয়া সেলের পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলম জানান, বুধবার বেলা পোনে ১২টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল বিলাসবহুল পাগমার্কের লঞ্চ এমএল বাওয়ালি যোগে মোংলা থেকে সুন্দরবনে প্রবেশ করেন। বনের কটকা, করমজল ও কচিখালীসহ বিভিন্ন পর্যটন এলাকা তিনি ঘুরে দেখেন। এ সময় তার সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে মেয়েসহ ছয় জন ছিলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুতে জয়-পুতুলের সঙ্গে উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাইরাল
৮৪৫ দিন আগে
নিম্নচাপে প্লাবিত সুন্দরবন, বন্যপ্রাণী নিয়ে শঙ্কায় বনবিভাগ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপের পরিণত হওয়ায় মোংলা বন্দরসহ সুন্দরবন উপকূলে তিন নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রেখেছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে,টানা বৃষ্টি আর বৈরি আবহাওয়ার কারণে পশুর চ্যানেল ও বনের নদ-নদীতে ৩-৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত তিন দিন যাবত প্লাবিত হচ্ছে সুন্দরবনের সরকারি বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন পর্যটক স্পট এবং গোটা সুন্দরবন। করমজলের রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সুন্দরবনে ভ্রমনে আসা দর্শনার্থীদের।
বন বিভাগ বলছে, রক্ষিত সকল প্রাণীই নিরাপদে রয়েছে, তবে পানি আরও বৃদ্ধি পেলে কেন্দ্রে রাখা প্রাণীসহ বনের গহিনের বন্যপ্রাণীর ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
জানা যায়, পানি বৃদ্ধির কারণে বন্দরের বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাস কাজ ব্যাহত হচ্ছে। ঝুঁকি নিয়ে নদী ও খাল পাড়ি দিয়ে চলাচল করছে কর্মজীবী সাধারণ মানুষ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।
জানা গেছে,বনের করমজলে বন্যপ্রাণী সংরক্ষনের জন্য ১২টি আধা পাকা সেড রয়েছে। যার মধ্যে বাচ্চাসহ ৩৬ টি হরিণ, ৯১ টি ছোট বড় কুমির ও বিলুপ্ত প্রজাতির ৪৩৬টি বাটাগুর বাস্কা কচ্ছপ রযেছে। এছাড়াও এর আশপাশে উম্মুক্তভাবে রয়েছে হরিণ, বানর, গুইসাপ ও আজগর সাপ, তক্ষকসহ নাম না জানা বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী ও হরেক রকমের পাখি রয়েছে। এদিকে নদীতে পানি আরও বৃদ্ধি পেলে আর জোয়ারের পানিতে বন্যপ্রাণী সম্ভাব্য চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বন বিভাগ।
বনবিভাগ বলছে, গত শনিবার থেকে এবারের পূর্ণিমার গ্রহণের কারণে সুন্দরবনে এবার বেশি পানি হয়েছে। গত তিন দিন প্রায় চার ফুট পানিতে তলিয়েছে বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রসহ পুরো বন। এতে যে সকল বন্যপ্রাণী গাছে উঠে বসবাস করতে পারেনা এবং মাটিতে ডিম পাড়ে সে সকল বন্যপ্রাণী বা তাদের বাচ্চাগুলো মারা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশী বলে জানান তারা।
তারা আরও বলেন, বনে পানি ঢুকে যাওয়ায় উম্মুক্ত ভাবে থাকা বিভিন্ন বন্যপ্রাণীকে বনের মধ্যে উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। করমজলেও এসে আশ্রয় নিয়েছে বনের হরিণ, বানর, শুকরসহ অন্যান্য প্রাণী। তবে এখন পর্যন্ত বনের কোথাও তেমন কোন প্রাণীর মৃত্যু বা ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সুন্দরবনে পর্যটক আসতে পারছেনা। ফলে গত তিন দিনে প্রায় ১০ থেকে ১৫ লক্ষাধিক টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে করমজল, হারবাড়িয়া, কটকা-কচিখালী, দুবলা, নিলকমলসহ অন্যান্য পর্যটক স্পটগুলো।
তবে বিপুল পরিমাণ দর্শনার্থীদের আসার আগ্রহ রয়েছে বলে জানায় কমরজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরেস্টার হওলাদার আজাদ কবির।
অপরদিকে, বন্দরে অবস্থানরত বিভিন্ন পণ্য বোঝাই দেশি-বিদেশি বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক জাহাজ পণ্য খালাসের অপেক্ষায় রয়েছে। জাহাজের কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতে চললেও সার ও খাদ্যবাহী জাহাজের পণ্য খালাস-বোঝাই কাজ বৃষ্টির সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
বন্দরকেন্দ্রিক চলাচলরত বিভিন্ন নৌযান ও সুন্দরবন সংলগ্ন সাগর নদীতে মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। মোংলা বন্দরের ও পশুর নদীর দুই পাড়ে কয়েকশ’ পণ্যবাহী কার্গো জাহাজ ও ট্যুরিস্ট বোর্ডও নিরাপদে ও শক্ত অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া বন্দর সংলগ্ন আশপাশের বিভিন্ন খালেও নৌযানগুলো নিরাপদে নোঙ্গর করে রয়েছে।
৯৪৬ দিন আগে