ব্যর্থ
যেসব কারণে ব্যর্থ হচ্ছে পলিথিন নিষিদ্ধের উদ্যোগ
অবৈধ পলিথিন ব্যাগ বন্ধে সরকারের উদ্যোগের তেমন কোনো সফলতা চোখে পড়ছে না। সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী মূল্যের বিকল্প শপিং ব্যাগ না থাকায় এ উদ্যোগ ব্যর্থ হতে চলেছে।
গত ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন ব্যাগের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞার এক মাস পেরিয়ে গেলেও বিভিন্ন কাঁচাবাজার, মুদি দোকান ও বিক্রেতাদের ওপর পলিথিন ব্যাগের বিরুদ্ধে সরকারের অভিযানের দৃশ্যমান কোনো প্রভাব দেখা যায়নি।
পরিবেশকর্মী, সাধারণ মানুষ ও দোকান মালিকরা বলছেন, পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন বন্ধ এবং পলিথিনের কাঁচামাল আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা উচিত সরকারের। পাশাপাশি উপযুক্ত ও সাশ্রয়ী বিকল্প উদ্ভাবনের দিকে মনোনিবেশ করা দরকার।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) নির্বাহী সভাপতি ড. লেলিন চৌধুরী বলেন, পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধের সিদ্ধান্ত সঠিক পদক্ষেপ। কিন্তু যতই চাপ প্রয়োগ করা হোক না কেন, জনগণকে কার্যকর বিকল্প না দিয়ে এটি বন্ধ করা কঠিন হবে।’
পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি সরকারকে পাটের ব্যাগকে সস্তা ও সহজলভ্য করার পরামর্শ দেন। প্রয়োজনে সরকারকে পাটের ব্যাগকে প্রতিযোগিতামূলক করতে ভর্তুকি দিতে হবে, কারণ এগুলো প্রকৃতিবান্ধব ও পরিবেশবান্ধব।
২০০০ এর দশকের গোড়ার দিকে পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে সরকারের ব্যর্থ প্রচেষ্টা সম্পর্কে এই পরিবেশকর্মী বলেন, তৎকালীন সরকার পলিথিন নিষিদ্ধ করার পর কার্যকর বিকল্প দিতে ব্যর্থ হয়। এ কারণে তা সফল হয়নি।
তিনি বলেন, পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারের দীর্ঘদিনের অভ্যাস পরিবর্তন করা সহজ কাজ নয়।
তিনি বলেন, 'আমাদের জনগণকে পলিথিন ব্যাগের কার্যকর বিকল্প দিতে হবে; তা না হলে এবারও এ উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হবে না।’
পরিবেশকর্মী অধ্যাপক আহমদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, ২০০২ সালে যখন প্রথম পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়, তখন মানুষ শাস্তির ভয়ে কিছু দিন তা ব্যবহার থেকে বিরত ছিল। তবে উপযুক্ত বিকল্প ব্যাগ না পাওয়ায় আবারও পলিথিন ব্যবহার শুরু করেন তারা।
তিনি বলেন, 'এবার শুধু পলিথিন ব্যাগ নিষিদ্ধ করার দিকেই নজর দেওয়া হচ্ছে। বিকল্প উৎপাদনের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।’
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মজুমদার বলেন, ঢাকা ও ঢাকার বাইরে প্রায় এক হাজার ছোট কারখানায় পলিথিন ব্যাগ তৈরি হয়। তাই কারখানা বন্ধ করে কাঁচামাল আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির দিকে সরকারকে আরও নজর দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাটমোস্ফেরিক পলিউশন স্টাডিজের (ক্যাপস) প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ড. মজুমদার বলেন, আইনের কঠোর প্রয়োগ, জনসচেতনতা তৈরি, পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন বন্ধ করা এবং সস্তায় বিকল্প ব্যাগ উৎপাদন একযোগে করতে হবে।
রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়ার বাসিন্দা মঈন উদ্দিন বুধবার পশ্চিম শেওড়াপাড়ার কাঁচাবাজার থেকে ফিরছিলেন। এ সময় চারটি পলিথিন ব্যাগের করে সবজি ও মুদি সামগ্রী বহন করতে দেখা যায় তাকে।
অবৈধ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সস্তায় বিকল্প কোনো ব্যাগ পাওয়া যায় না।
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি সত্যিই পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ করতে চায়, তাহলে প্রথমে আমাদের বিকল্প ব্যাগ সরবরাহ করা উচিত এবং পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন বন্ধ করা উচিত।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী আনিসুল ইসলাম। মৌচাকে সবজি কিনলে বিক্রেতারা তিনটি পলিথিন ব্যাগের করে তা দেন। বিকল্পের অভাবকেই দায়ী করেছেন তিনিও।
শেওড়াপাড়ার আনন্দবাজারের নুরুল হক নামে এক সবজি বিক্রেতা বলেন, ক্রেতাদের পলিথিন ব্যাগ সরবরাহ করলে তার বিক্রি অনেক কমে যাবে।
নুরুল বলেন, ‘সরকার যদি পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করতে পারত তাহলে আমার আয় বাড়ত। প্রতিদিন পলিথিন ব্যাগ কিনতে আমার ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা খরচ করতে হতো না। দোকানের জন্য প্রতিদিন ১৭০-২০০ পলিথিন ব্যাগ লাগে।’
পশ্চিম শেওড়াপাড়ার মুদি দোকানি শফিকুল ইসলামও বিকল্প ব্যাগ তৈরি না করে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘পলিথিন ব্যাগ না দিলে ক্রেতারা আমার দোকান থেকে কিনবে না।
তিনি বলেন, তার প্রতিদিনের বিক্রির জন্য প্রায় ২৫০-৩০০ পলিথিন ব্যাগ লাগে।
এই মুদি দোকানে অবশ্য বাজার থেকে পলিথিন ব্যাগ বর্জনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন। তাদের উৎপাদন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
শফিকুল বলেন, 'ক্রেতাদের অভ্যাস আগে বদলাতে হবে। উপযুক্ত বিকল্প ব্যাগ পাওয়া গেলে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করা যেতে পারে।’
একক ব্যবহারের পণ্য যেমন ব্যাগ, বোতল, স্ট্র ও প্যাকেজিং উপকরণের অতিরিক্ত ব্যবহারের অন্যতম প্রধান কারণ হলো এগুলো পুনঃপ্রক্রিয়া না করা, যার ফলে এগুলো শেষ পর্যন্ত ভাগাড়, জলাশয় ও প্রাকৃতিক পরিবেশে চলে যায়।
আরও পড়ুন: পলিথিনবিরোধী অভিযানে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা: মনিটরিং কমিটির সভাপতি
প্লাস্টিক পণ্যের অনিয়ন্ত্রিত উৎপাদন
বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান প্লাস্টিক বর্জ্যের অব্যবস্থাপনার পেছনে প্লাস্টিক শিল্প সবচেয়ে বেশি দায়ী। বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ হাজার প্লাস্টিক প্রস্তুতকারক কাজ করছে। এসব স্থানে প্রায় ১২ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে (বিডা, ২০২১)।
শহরাঞ্চলে বাংলাদেশের বার্ষিক মাথাপিছু প্লাস্টিকের ব্যবহার ২০০৫ সালে ছিল ৩ কেজি। সেখান থেকে ২০২০ সালে তিনগুণ বেড়ে ৯ কেজিতে দাঁড়িয়েছে।
২০০৫ সালের তুলনায় ২০২০ সালে এলডিপিই প্যাকেজিং উপকরণের (প্লাস্টিক ব্যাগ ইত্যাদি) ব্যবহার পাঁচগুণ বেড়েছে। ২০২০ সালে ব্যবহৃত ৯ লাখ ৭৭ হাজার টন প্লাস্টিকের মধ্যে মাত্র ৩১ শতাংশ পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে।
প্লাস্টিক দূষণের শীর্ষ ১০টি হটস্পট:
• চীন: প্রতি বছর ২৮ লাখ টন
• পাকিস্তান: প্রতি বছর ২৬ লাখ টন
• বাংলাদেশ: প্রতি বছর ১৭ লাখ টন
• রাশিয়া: প্রতি বছর ১৭ লাখ টন
• ব্রাজিল: প্রতি বছর ১৪ লাখ টন
• থাইল্যান্ড: প্রতি বছর ১০ লাখ টন
• ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো: প্রতি বছর ১০ লাখ টন।
আরও পড়ুন: যৌথবাহিনীর অভিযানে ২৪৬০ কেজি পলিথিন জব্দ, ৩ কারখানা সিলগালা
৩ সপ্তাহ আগে
চেন্নাই টেস্টে ব্যর্থ কী বাংলাদেশ?
পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই টেস্টে জয়ের পর আশা করা হচ্ছিল চেন্নাইয়ে ভারতকে আরও শক্তিশালী চ্যালেঞ্জ দেবে বাংলাদেশ। কিন্তু তারা ব্যর্থ হয়, দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৮০ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায়।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেন, ভালো ফলাফলের জন্য ব্যাটসম্যানদের আরও ভালো করা দরকার ছিল, কিন্তু তারা পারেননি। তবে তিনি আশা করছেন, কানপুরে পরের ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরবে।
বাংলাদেশের প্রথম চমকপ্রদ বিষয়টি ছিল টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেওয়া। ১৯৮২ সালের পর চেন্নাইয়ে এরকম সিদ্ধান্ত নিতে দেখা যায়নি কাউকে। নাজমুল জানান, সকালে উইকেটের আর্দ্রতা কাজে লাগানোর আশা করেছিলেন তারা।
এই সিরিজে বাংলাদেশ দল তিনজন পেসারকে মাঠে নামায়। এমন একটি সিদ্ধান্তই পাকিস্তানের বিপক্ষে ভাল ফলাফল এনে দিয়েছিল। এটি অবশ্যই তাদের একই ধরনের ফলাফলের প্রত্যাশায় ভারতেও উৎসাহিত করেছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটি ভালো ফল বয়ে আনেনি।
ভারতীয় ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ও সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার মনে করেন, তিন পেসারের আক্রমণ ভারতের বিপক্ষে যৌক্তিক নয়। পিচ কিছুটা বাঁক থাকলে স্পিনের বিপক্ষে ভারতের অস্বস্তি থাকায় আরেকজন স্পিনারকে দলে নিলে বাংলাদেশ ভালো করত বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: চালকের আসনে থেকেই দিনশেষ ভারতের
ইএসপিএন ক্রিকইনফোর বিশেষজ্ঞ হিসেবে সঞ্জয় বলেন, 'আপনি যখন ভারতে খেলবেন, তখন আপনি তিন পেসার খেলাতে চাইবেন না। ‘প্রথম দিন, তৃতীয় বা চতুর্থ দিনের মধ্যে সবুজ পিচ পেলেও পিচ স্পিনের জন্য বেশি উপযোগী, স্পিনকে আরও উৎসাহিত করে। তাই আমি মনে করি দুজনই (পেসার) যথেষ্ট।’
সঞ্জয় আরও বলেন, তিনি তাইজুল ইসলামকে পরবর্তী খেলায় অন্তভুর্ক্ত করতে দেখছেন, যা ২৭ সেপ্টেম্বর কানপুরে শুরু হবে।
সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের দুর্বল পারফরম্যান্সের তিনি উন্নতি দেখতে চান।
তিনি বলেন, ‘সাকিব, মুশফিকুর রহিম... আমি জানি তারা তরুণ নয়, কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে খেলছে, তবে যখন একটি বড় সিরিজ আসে তখন তাদের মানসিকভাবে আরও শক্ত হতে হবে, বিশেষ করে মুশফিক এবং লিটন দাসকে।’আরও পড়ুন: হাসানের তিন শিকারে চেন্নাই টেস্টে টাইগারদের গর্জন
এই সিরিজের আগে ভারতের বিপক্ষে ৫০-এর বেশি গড়ে ব্যাট করেছেন মুশফিক। কিন্তু চেন্নাইয়ে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ টেস্টে দলের যখন তাকে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল তখন তিনি ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হন।
চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ষষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরির সুবাদে ৩৭৬ রান করে ভারত। ভারত বড় সংগ্রহ করলেও বাংলাদেশের হাসান মাহমুদ তার দ্বিতীয় পাঁচ উইকেটের জন্য স্পটলাইটের কিছুটা অংশ দখল করতে সক্ষম হন, যা ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশি বোলারদের প্রথম পাঁচ উইকেটও ছিল।
বাংলাদেশের হয়ে গত কয়েকটি সিরিজে পেসাররা ভালো করলেও ব্যাটসম্যানরা তাদের ধারাবাহিকতা রাখতে পারেননি। তারা তাদের প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানের ছোট স্কোর নিয়ে করেছিল। যা তাদের পিছনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। যেখান থেকে তারা আর উঠে আসতে পারেনি। প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানের লিড দিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেয় ভারতের হাতে।
তাই কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টে ভালো ফলের জন্য বাংলাদেশি ব্যাটারদের পরিকল্পিতভাবে খেলতে হবে। যদি তারা আবার তা করতে ব্যর্থ হয় তবে এই সিরিজ থেকে তাদের এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ খুব কমই থাকবে।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দিন শেষে পরাজয়ের শঙ্কায় বাংলাদেশ
২ মাস আগে
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সংস্কারের পথ ধরে বাংলাদেশ নির্বাচনি রোডম্যাপে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের কিছু কর্মকাণ্ড সবার কাছে সফলতা হিসেবে বিবেচিত নাও হতে পারে। কিন্তু আমাদের সবাইকে মনে রাখতে হবে, এই সরকারের ব্যর্থতা আমাদের সবার ব্যর্থতা এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রপন্থী মানুষের ব্যর্থতা। তাই এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী-আন্দোলনকারীদের তারেক রহমানের অভিনন্দন
বিএনপির এই নেতা বলেন, তবে বর্তমান সরকার যাতে নিজেরাই নিজেদের ব্যর্থতার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়, সে ব্যাপারে তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক জনসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তারেক রহমান এসব কথা বলেন।
আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের সাবেক পিএস অপু জামিনে মুক্ত
বিএনপির এই নেতা বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, মাফিয়া চক্রের প্রধান হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তাদের সুবিধাভোগী ও অশুভ শক্তি প্রশাসনের ভেতর থেকে বা রাজনীতির ছদ্মবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া অব্যাহত রেখেছে।
তারেক বলেন, দেশ-বিদেশের নানা উসকানিতে জনগণ সরকারকে ব্যর্থ হতে দেবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হাজার হাজার শহীদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ এবং লাখো মানুষের গণঅভ্যুত্থানের ফসল।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তার দলের নেতাকর্মীদের তাদের কাজের মাধ্যমে জনগণের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ছাত্রদল নেতার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
তিনি বলেন, 'আমি বলতে চাই, দেশ সংস্কারের পথ ধরে নির্বাচনি রোডম্যাপে থাকবে। তাই আসুন আমরা সবাই কাজের মাধ্যমে মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করি। আমাদের উচিত জনগণের পাশে দাঁড়ানো এবং আমাদের সঙ্গে রাখা।
৩ মাস আগে
পাহাড় সামলাতে ব্যর্থ সরকার: জি এম কাদের
পাহাড় সামলাতে সরকার ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের।
তিনি বলেন, পাহাড়ের সামান্য ঘটনায় যদি সরকার হিমশিম খায়, তাহলে দেশে বড় ধরনের বিপদ হলে জনগণ দাঁড়ানোর রাস্তা খুঁজে পাবে না।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের হতাশা ভুলে টাইগাররা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: জি এম কাদের
রবিবার (৭ এপ্রিল) বিকালে রংপুর সার্কিট হাউসে তিনি এ কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের হামলা নতুন কিছু নয়। এর আগেও হয়েছে, সেটি আবার সমাধানও হয়েছে। কিন্তু এবারের ঘটনা একেবারেই আলাদা।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংক ডাকাতি, অপহরণ ও খুনসহ বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে। এতে সরকারের গোয়েন্দা বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে। এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
তিনি বলেন, সরকারি বাহিনীর সব ধরনের সুযোগ সুবিধা আছে। কিন্তু কাজের ব্যাপারে জবাবদিহি নেই। যে যার ইচ্ছে মতো কাজ করছে।
দেশে গণতন্ত্র না থাকায় সাধারণ মানুষের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে এনেছে জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ায় গণতন্ত্র ভেঙেছে।
তিনি বলেন, মানুষ তার অধিকার হারিয়েছে। জাতীয় পার্টি চেষ্টা করছে অধিকার নিয়ে কথা বলার। কিন্তু সরকার ভেতর থেকে কলকাঠি নেড়ে দলকে দুই ভাগ করার চেষ্টা করছে।
কাদের বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিভেদ তৈরির অপচেষ্টা চলছে। জাতীয় পার্টিকে ধরে রাখতে দলীয় নেতা-কর্মীদেরও শক্ত অবস্থান তৈরি করার আহ্বান জানান তিনি।
এসময় রংপুর জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক আলাউদ্দিন মিয়া মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীরসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান পরিস্থিতিতে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: জিএম কাদের
রংপুর-৩ আসনে জাপার মনোনয়ন ফরম নিলেন জিএম কাদের
৮ মাস আগে
আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে শোক মিছিল করেছে বিএনপি: কাদের
ঢাকা, ২৫ আগস্ট (ইউএনবি)- আন্দোলন করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে বিএনপি শোক মিছিল করছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতা, নৈরাজ্য ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ঢাকা দক্ষিণ মহানগর শাখার আয়োজনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে এক শান্তি সমাবেশে বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আন্দোলনে ব্যর্থতার পর বিএনপি শোক মিছিল করছে। দলটি অলস বসে থাকার স্বপ্ন দেখে, নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা নীতির আতঙ্ক ছড়ায়।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের ২১ নেতা বহিষ্কার
আ.লীগ নেতা বলেন, আ.লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে এমন কোন রাজনৈতিক শক্তি নেই যে আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবে।
বিএনপি কেন কালো পতাকা মিছিল করছে এবং তাদের কোনো নেতা মারা গেছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সাঈদীর মৃত্যুতে ফেসবুকে পোস্ট: কিশোরগঞ্জে ছাত্রলীগের ৭ নেতাকে অব্যাহতি
তিনি আরো বলেন, এখন বিএনপি নেতারা শোক মিছিল বের করে আন্দোলনকে ধ্বংস করছে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টন ও শ্যামলী এলাকায় কালো পতাকা হাতে পৃথক দুটি মিছিল বের করে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর মহানগর শাখা তাদের এক দফা দাবির মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সাধারণ নির্বাচন।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
১ বছর আগে
শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে ২ শিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ১
বরগুনায় শ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইলিয়াস নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা দুই শিশু হলো- হাফিজুর (১৩) ও তাইফা (৩)। হাফিজুল একই এলাকার গোলাম খবিরের ছেলে এবং তাইফা ভুক্তভোগীর মেয়ে।
আরও পড়ুন: রাবি অধ্যাপক তাহের হত্যা মামলা: ২ আসামির ফাঁসি কার্যকর
এদিকে পুলিশ অভিযুক্ত ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করেছে। ইলিয়াস সদর উপজেলার খাজুরতলা আবাসনের বাসিন্দা।
অভিযুক্ত ভুক্তভোগীর আপন বড় বোনের স্বামী।
জানা যায়, গভীর রাতে শ্যালিকাকে ধর্ষণের মতলবে তার ঘরে যান ইলিয়াস। কিন্তু তাতে বাধা দিলে শ্যালিকাকে এবং তার মেয়ে তাইফা ও প্রতিবেশী হাফিজুরকে কুপিয়ে জখম করেন তিনি।
এতে ঘটনাস্থলেই হাফিজুর মারা যায়। আর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় তাইফা। আহত ভুক্তভোগী নারীকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত ইলিয়াসকে আমরা আটক করেছি।
তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নিজ বন্দুকের গুলিতে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা
শিকাগোতে গুলি করে নারীকে হত্যা, শিশুসহ আহত ৩
১ বছর আগে
সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান সোমবার বলেছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জনগণের দাবিকে সরকার দমাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে এবং তারা আমাদের আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে, কারণ তারাও ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। যুগে যুগে মানুষের দাবি কেউ দমাতে পারেনি। এই সরকারও তা করতে পারবে না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে মুসলিম লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
তিনি বলেন, জনগণ শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য সেই পরিবর্তন চায়।
নজরুল বলেন, সরকার গত তিন মাসে প্রায় ১৩ বিএনপি নেতা-কর্মীকে হত্যা ও দলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করলেও বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে তাদের দলের প্রতিটি কর্মসূচি সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় এই বিএনপি নেতা বলেন, ১৯৬৯ সালের আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল এবং আমেনা বেগম নামে একজন অজ্ঞাত নেতা দল চালাতেন। সেই আন্দোলনের পর নির্বাচনে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। সুতরাং, এটা সঠিক ধারণা নয় যে আন্দোলনে জয়ী হওয়া যাবে না, বিরোধী নেতাদের কারাগারে রাখলে ক্ষমতা অর্জন করা যাবে না।’
সরকার জোর করে ক্ষমতায় থেকে ভুল করছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (আ.লীগ নেতা) জেনেও একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করছে। ক্ষমতা কি মানুষকে এত অন্ধ করে? সব রাজনৈতিক দলই মানুষের জীবনের মতো ভালো-খারাপ সময় পার করে। আমরা আশা করি ক্ষমতাসীন দল বিষয়টি বুঝতে পারবে।’
নজরুল বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমান সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ভোট কারচুপি ও রাতে ব্যালট ভরে ক্ষমতা দখলের পর সরকার নিজেকে নির্বাচিত শাসনামল দাবি করে সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে এবং স্বাধীনভাবে তাদের ইচ্ছামতো তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ দিতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নজরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্পের নামে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সবারই হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে তিন/চার বছরে প্রায় ১৩/১৪ হাজার নতুন কোটিপতি তৈরি হয়েছে। এটাকে অগ্রগতি হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু এটাও সত্য যে একই সময়ে ৩৫ মিলিয়ন থেকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: ১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়
১ বছর আগে
আইনি প্রক্রিয়া বা রাজনৈতিক চাপে খালেদাকে মুক্ত করতে ব্যর্থ বিএনপি
দুই বছরেও দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে আইনি প্রক্রিয়া বা রাজনৈতিক চাপে কারাগার থেকে মুক্ত করতে ব্যর্থ হয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। এমন অবস্থায় নেতা-কর্মীদের হতাশার মধ্যেই শনিবার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দলীয় প্রধানের কারাবাসের দ্বিতীয় বার্ষিকী পালন করছে তারা।
৪ বছর আগে