নেতা-কর্মী
নিরপরাধ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধের আহ্বান আওয়ামী লীগের
নিরপরাধ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি বন্ধ করতে দেশপ্রেমিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দলের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এই আহ্বান জানায় দলটি।
সেনাবাহিনী, নৌ- বিমান বাহিনী এবং র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তাদের জনগণের বন্ধু হয়ে ওঠার আহ্বান জানানো হয় ফেসবুক পোস্টটিতে।
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইমন হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
এতে বলা হয়, নিরপরাধ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ করুন। যে সন্ত্রাসীরা আন্দোলনের নামে পুলিশ সদস্যদের থানার ভিতরে পুড়িয়ে মেরেছে, থানা লুট করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করুন।
দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে যেসব জঙ্গি সংগঠন আপনাদের চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।
কোনো দল বা কারো নির্দেশে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হয়রানি করবেন না। জনগণের বন্ধু হয়ে উঠুন, কোন দলের না।
এতে আরও বলা হয়, থানা থেকে লুট হওয়া বেশিরভাগ অস্ত্র কিন্তু এখনো উদ্ধার হয়নি। যারা এই অস্ত্র লুট করেছে তাদের এখনি রুখে দিতে না পারলে সেই অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধে নামবে আপনাদেরই বিরুদ্ধে। দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব কিন্তু আপনাদেরই।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলের বিরুদ্ধে অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ ববি হাজ্জাজের
২ মাস আগে
বিএনপি নেতা অমিতসহ ৫১ নেতা-কর্মী কারাগারে
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ যশোর জেলা বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের ৫১ নেতা-কর্মীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
নাশকতা মামলায় তারা রবিবার যশোর দায়রা ও জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী দেবাশীষ দাস জানান, যশোরের বিভিন্ন থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় আসামি করা হয় এসব নেতা-কর্মীদের।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ২টি ওয়ান শুটারগান জব্দ, গ্রেপ্তার ১
নেতা-কর্মীর হলেন-জেলা বিএনপির সদস্যসচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুনীর আহমেদ সিদ্দীকি বাচ্চু, সদর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর, সাধারণ সম্পাদক কামরুজামান বাপ্পি প্রমুখ।
জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তি, আব্দুস সালাম আজাদ, সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, এ কে শরফুদ্দৌলা ছোটলু ও আনিসুর রহমান মুকুল।
জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন বলেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতসহ বেশিরভাগ নেতা-কর্মীরা উচ্চ আদালতের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা যশোর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুর স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের প্রধান আসামি ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
৮ মাস আগে
বিএনপি নেতা-কর্মীরা কারাগারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বিরোধী দলের সক্রিয় নেতা-কর্মীদের দমন করতে কারাগারের ভেতরে ও বাইরে নানাভাবে অমানবিক নির্যাতন করা হচ্ছে। কারাবন্দিদের ওপর অবর্ণনীয় ও নৃশংস নির্যাতন করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভীর সমাবেশ থেকে গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ পিকেটারদের
ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি আরও বলেন, কারাবন্দি বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে হত্যা করা হচ্ছে। অসুস্থ বন্দিদের হাসপাতালে না পাঠিয়ে হাত-পায়ে শিকল দিয়ে কারাগারে রেখে দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, বিএনপির কারাবন্দি নেতা-কর্মীদের দিন-রাত কারাগারে দমবন্ধ কক্ষে আটকে রাখা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের অসুস্থতার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অত্যন্ত নিম্নমানের খাবার দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে... বন্দিদের মৃত্যুর পর সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দায় এড়াতে গল্প তৈরি করছে।’
রিজভী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কারা হেফাজতে মৃত্যুর দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কারা কর্মকর্তারা এড়াতে পারবেন না। প্রতিটি মৃত্যু ও হত্যার জন্য তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানের সাম্প্রতিক ‘Full prison and false charges: Bangladesh opposition faces pre-election crackdown' শিরোনামে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, সরকার কীভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম ও কারারুদ্ধ করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশের ৬৮টি কারাগারে ৪৩ হাজারেরও কম বন্দি রাখার সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে এসব কারাগারে প্রায় ৮৮ হাজার বন্দি রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অবৈধ দখলদার সরকার পুরো দেশকে নরকে পরিণত করেছে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য। বাড়ির বাইরে কোথাও মানুষের নিরাপত্তা নেই। দেশের মানুষ অজানা ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।’
রিজভী বলেন, কারাগারগুলো মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে এবং কারাগারগুলো হিটলারের গ্যাস চেম্বারের মতো শেখ হাসিনার গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘দেশের ৬৮টি কারাগারের প্রতিটিই টর্চার সেলের মতো, যেখানে রাজনৈতিক বন্দিরা প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ভয় পায়। সুস্থ নেতা-কর্মীদের মিথ্যা ও কাল্পনিক মামলায় নির্যাতন করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে এবং লাশের মতো বের করে আনা হচ্ছে।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, এ বছর বিএনপি নেতা-কর্মীসহ প্রায় ১০০ জন কারাগারে মারা গেছেন।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার জন্য সরকারের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর ডাল ও চালের দাম নিয়ে দেশে নৈরাজ্য চলছে।
তিনি বলেন, সরকারি কর্তৃপক্ষের কোনো তদারকি না থাকায় ব্যবসায়ীরা সব নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করে তাদের ইচ্ছানুযায়ী পণ্যের দাম নির্ধারণ করছেন। সরকারের যদি জনগণের ভোটের প্রয়োজন হতো, তাহলে তারা বাজারের নিয়ন্ত্রণ তার দলের ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দিত না।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতারা কারাগারে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার: রিজভী
আগামী ১০ ডিসেম্বর মানববন্ধন করবে বিএনপি: রিজভী
১ বছর আগে
নাশকতার মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মীর কারাদণ্ড
নাশকতার দুটি মামলায় বিএনপির ২৯ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার দুটি আদালত।
এর মধ্যে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েলসহ ২০ জনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২০১৭ সালে শাহজাহানপুর থানায় দায়ের করা এ মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, ভাসানী চাকলাদার, মহসিন, হানিফ হোসেন বাবু, বেলাল উদ্দিন, তরিকুল ইসলাম জিকির, মো. বাতেন, কাজী মো. জামাল, ইমরান খান ইমন, সোহাগ ভূঁইয়া, এ সালাম খান, আরিফুর রহমান সুজন, শেখ শহীদুল্লাহ টিপু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, আবদুল্লাহ জামাল চৌধুরী, মো. সেলিম, আহমেদ ও হুমায়ুন কবির নাহিদ।
আরও পড়ুন: ফখরুলকে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
আদালত ১৪৮ ও ৩৪ ধারায় ২০ জনকে দুই বছর এবং ৪২৭ ও ৩৪ ধারায় আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন। যেহেতু উভয় দণ্ড একযোগে চলবে, তাই দোষীদের কেবল দুই বছর কারাগারে থাকতে হবে। আর এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় ৪৪ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
এদিকে ২০১৮ সালে গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিন বিএনপির ৯ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন।
তারা হলেন- মেহেদী বাপ্পি, মাইনুল হাসান ওরফে মিশু, শরিফুল, জাকির হোসেন, মজিবুর রহমান, মামুন চৌধুরী, রুবেল হোসেন, আতিকুর রহমান ও বিল্লাল হোসেন।
একই সঙ্গে প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
এ মামলায় দোষী সাব্যস্ত না হওয়ায় আমিনুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে প্রাথমিক নিয়োগ পরীক্ষায় নকলে সহায়তার ডিভাইসসহ গ্রেপ্তার ২
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে বাসে আগুন: ছাত্রদলের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
বিএনপি- জামায়াতের চলমান অবরোধে চলাকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর খুলশী থানাধীন দামপাড়া এলাকায় বাসে অগ্নিসংযোগ, গাড়ি ভাঙচুর এবং চালক ও হেলপারের গায়ে আগুন দিয়ে হত্যাচেষ্টার মামলায় ছাত্রদলের তিন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মোসা. সাদিরা খাতুন এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায়।
আরও পড়ুন: আমানসহ ৪৫ জনের বিচার শুরু, রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
গ্রেপ্তারেরা হলেন- মো. হৃদয় (২২), মো. নাজির শরীফ (২১) ও মো. রায়হান।
উপপুলিশ কমিশনার জানান, গত ৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১০টায় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক শরীফুল ইসলাম তুহিনের নির্দেশে খুলশী থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব নূর আলম সোহাগের নেতৃত্বে গ্রেপ্তারেরাসহ আরও ১০/১২ জন খুলশী থানার দামপাড়ার সোহাগ বাস কাউন্টারের সামনে থেকে অবরোধের সমর্থনে মশাল মিছিল শুরু করে।
তিনি জানান, এসময় পুলিশ লাইন্স আবাসিক গেট সংলগ্ন রিলাক্স বাস কাউন্টারের সামনে অবস্থানরত একটি বাস ভাঙচুর করে এবং বিস্ফোরক পদার্থ দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাসটির চালক তারেক ও হেলপার নাজিম উদ্দিন গুরুতরভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়। তারা বর্তমানে বার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তার হৃদয় মশাল দিয়ে বাসে আগুন দেয়; নাজির শরীফ ও রায়হানসহ অন্যান্য আসামি মশাল মিছিলে অংশগ্রহণসহ বাস ভাঙচুর করে।
তবে পুলিশ তাদের কোন দলীয় পদ পদবী উল্লেখ করেনি।
গ্রেপ্তার হৃদয় জানায়, বাসে আগুন দেওয়ার সময় তার বাম হাত আগুনে পুড়ে যায়। তার হাতে আগুনে পোড়ার সেই ক্ষত দৃশ্যমান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায়, তাদের ঊর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশনায় বাসচালক ও হেলপার হত্যার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে জনগণের চলাচল বন্ধ করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।
এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার পর ডিবির একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত ১২টার দিকে খুলশী ও চান্দগাঁও থানা এলাকা অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ডভ্যানে আগুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে খুঁজে না পাওয়ায় ক্রীড়াবিদ ভাই গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে আ. লীগের প্রার্থী-নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান কাদেরের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলীয় প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জনগণের অংশগ্রহণে একটি ভালো নির্বাচন হবে। বিশেষ করে নারী ভোটারদের মধ্যে জাগরণ দেখা যাচ্ছে। আগামী নির্বাচন ভোটারবিহীন হবে না।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ভোটে না এলেও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হচ্ছে: সালমান এফ রহমান
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক না পাঠালেও যুক্তরাষ্ট্র, কমনওয়েলথসহ অনেকে পাঠাচ্ছে। এ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে প্রায় শতাধিক পর্যবেক্ষকের নাম চলে এসেছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার আচরণবিধি মেনে চলবেন বলে আশা করে সরকার।
সেতুমন্ত্রী বলেন, জোটের আসন নিয়ে শরিকদের হতাশ করবে না আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: সিলেটবাসীর উন্নয়নে কাজ করেছি, আবারও তারা আমাকে ভোট দেবেন: মোমেন
১ বছর আগে
গাজীপুর থেকে বিএনপির ৪ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশ সদস্য পারভেজ হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার কারণে আত্মগোপনে থাকা বিএনপির চার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ(জিএমপি)।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাতে সদর থানার লক্ষীপুরা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন– শেরে বাংলা নগর থানা বিএনপির আমতলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া, সদস্য মো. ইমরান, মো. মনির হোসেন ও বাদল দাস।
বুধবার সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জিএমপির উপপুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান।
তিনি জানান, গত মঙ্গলবার রাতে গাজীপুর মহানগরের সদর থানাধীন লক্ষীপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে আত্নগোপনে থাকা অভিযুক্ত ইমরানকে গ্রেপ্তার করে জিএমপির ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে ও রাজারবাগে নাশকতার সঙ্গে জড়িত ছাত্রদলনেতা গ্রেপ্তার: ডিএমপি
পরে গ্রেপ্তার ইমরানকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টনে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা ও পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ হত্যার পর তিনিসহ অন্যান্যরা গ্রেপ্তারের ভয়ে গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় আত্নগোপনে আছেন।
ইমরানের দেওয়া তথ্যের আলোকে তথ্য প্রযুক্তি ও ঘটনার সময় প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ-ছবি এবং তাদের মোবাইল বিশ্লেষণ করে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত বাবুল মিয়া, মনির হোসেন ও বাদলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার আসামিদের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সাভার থানা বিএনপির সভাপতি সাইফুদ্দিন গ্রেপ্তার
১ বছর আগে
চট্টগ্রামে বিএনপির ১৪ নেতা-কর্মী আটক
চট্টগ্রামে বিএনপি ও সমমনা কয়েকটি বিরোধী দলের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলাকালে অন্তত ১৪ জন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিলের প্রতিবাদে রবিবার (১৯ নভেম্বর) নগরীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ মিছিল করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, নগর ও জেলার বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল ও পিকেটিং চলাকালে ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
রবিবার রাতে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
আরও পড়ুন: তফসিল বাতিল করে আগে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করুন: বিএনপি
এদিকে পুলিশ দাবি করছে চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ ও চন্দনাইশ উপজেলায় একটি গাড়িতে আগুন দেয়ার চেষ্টাকালে চারজনকে আটক করেছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ইটপাটকেল, টায়ার, টর্চ, কেরোসিন ভর্তি বোতল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হরতাল উপলক্ষে বিএনপি ও জোটের সমাবেশ
আটককৃতরা হলেন- ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান মোস্তফা, ২৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাইনুদ্দিন, মো. জায়েদ ও মো. জাকির হোসেন প্রকাশ।
এ ব্যাপারে চন্দনাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুল বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে বিএনপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অপপ্রচার একতরফা নির্বাচনের কৌশল: রিজভী
১ বছর আগে
সিলেটে বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১২ দিনে ১৭ মামলা, গ্রেপ্তার ৫০
বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সিলেটে গত ১২ দিনে ১৭টি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব মামলায় ৩৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।
এ ছাড়া অজ্ঞতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৬৬০ থেকে ৮১২ জনকে। এসব আমলায় এ পর্যন্ত ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভাড়া বাসা থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ এসব তথ্য জানিয়েছেন, ২৮ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত নাশকতা ও সহিংসতার অভিযোগে এসব মামলা করা হয়। এই সময়ে সহিংসতায় ১০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
আজবাহার আলী শেখ আরও জানান, এই সময়ে হরতাল ও অবরোধ চলাকালে সিলেট মহানগর এলাকায় তিনটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও সাতটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার হওয়া এজাহারভূক্ত আসামি ২১ জন ও অজ্ঞতানামা আসামি ২৯ জন।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পরদিন দলটি সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালন করে। এরপর এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা তিন দিন অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়।
এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে ৫ ও ৬ নভেম্বর অবরোধ পালন করে বিএনপি। এরপর এক দিনের বিরতি দিয়ে ৮ ও ৯ নভেম্বর অবরোধ দেওয়া হয়।
এরপর শুক্র ও শনিবার বিরতি দিয়ে আগামী রবিবার ও সোমবার আবার অবরোধের ডাক দিয়েছে দলটি।
আরও পড়ুন: সিলেটে ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে চালকের হাতে যাত্রী খুনের অভিযোগ
সিলেটে পুলিশ কর্মকর্তার বাসায় মিলল গৃহকর্মীর লাশ
১ বছর আগে
খুলনায় বিএনপির ২০০০ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা, আটক ১৫০
ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে (২৮ অক্টোবর) কেন্দ্র করে এক সপ্তাহে খুলনায় নেতা-কর্মীদের নামে ১৫টি মামলা এবং দেড় শতাধিক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে দলের পক্ষ থেকে। এ ছাড়া এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় দুই হাজার নেতা-কর্মীকে।
এর মধ্যে খুলনা মেট্রোপলিটনে (কেএমপি) নতুন ৩টি ও জেলার ৯টি থানায় নতুন ১২টি মামলা করেছে পুলিশ।
দলটির খুলনা মিডিয়া সেলের সদস্য মিজানুর রহমান মিলটন অভিযোগ করে বলেন, এজাহার নামীয় আসামি না হলেও নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে বিভিন্ন থানায় দায়ের করা মামলায় আদালতে পাঠাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান সারোয়ারকে আটক করেছে পুলিশ: রিজভী
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মাহমুদ আলী, দাকোপ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল মান্নান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রিসহ দেড় শতাধিক নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার দেখিয়েছে বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা এলাকা থেকে।
বটিয়াঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শওকত কবির গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার বটিয়াঘাটা থানায় হওয়া বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার জলমা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
খুলনা মহানগরীর তিন থানায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা ৩টি মামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা, সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পিসহ মোট আসামি করা হয়েছে ১ হাজার ২৮৭ জনকে।
আরও পড়ুন:মির্জা ফখরুলের মুক্তির দাবি ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিকের
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) তেরখাদা থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
তেরখাদা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফখরুল ইসলাম বাবু বলেন, মামলায় আমার বাবাকে আসামি করা হয়েছে, তিনি ১১ বছর আগে মারা গেছেন। আমাকে ১০ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ২ নভেম্বর তেরখাদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) চঞ্চল কুমার হালদার বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরদার মোশাররফ হোসেন বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলাটি গ্রহণ করেন। মামলায় মোট ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও অজ্ঞাতনামা দেড়শ’ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মান্নান মিস্ত্রিকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেছে পুলিশ। মান্নানের ভাগ্নি মুন্নি খাতুন জানান, বুধবার (১ নভেম্বর) বিকালে সাদা পোশাকের ৮ জন নিরালা এলাকায় মান্নানের ভাড়া বাসায় প্রবেশ করে।
আরও পড়ুন: বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: রিজভী
এ ছাড়া গত মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) খুলনা সদর থানায় এসআই খালিদ উদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় মোট ৪৭ জনকে আসামি করা হয়েছে।
খুলনা সদর থানার ওসি হাসান আল মামুন জানান, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।
অপরদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, নগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহিরসহ বিএনপির দুই শতাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার(৩১ অক্টোবর) রাতে সোনাডাঙ্গা থানার এসআই নিয়াজ মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক বিএনপির
১ বছর আগে