কাস্টমস হাউজ
ছুটির দিন শনিবারেও চালু থাকবে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নানা ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের শুল্কায়ন-সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে।
এ অবস্থায় কাজে আবারও গতি ফিরিয়ে আনতে সরকারি ছুটির দিন শনিবারেও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আমদানি ও রপ্তানিকারকদের সুবিধার্থে ছুটির দিন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কাস্টমস সূত্র জানায়।
আরও পড়ুন: পোশাক শিল্পের রপ্তানি-আমদানিতে কাস্টমস হাউজের সহযোগিতার আহ্বান বিজিএমইএর
চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারের পক্ষে ডেপুটি কমিশনার ইমাম গাজ্জালীর সই করা অফিস আদেশে শনিবার (১৭ আগস্ট) অফিস খোলা রেখে দাপ্তরিক কার্যক্রম সচল রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংক খোলা না রেখে কাস্টমস হাউজ খোলা রাখলে বিশেষ কোনো সুবিধা পাওয়া যাবে না। তাদের মতে, সব ধরনের শুল্ক ব্যাংকে জমা দিতে হয় ও ডকুমেন্টেশনের কাজ হয় কাস্টমস হাউজে।
তাই শনিবার খোলা থাকলে শুধু কাস্টমসের শুল্কায়নের কিছু কাগজপত্রের কাজ এগিয়ে নেওয়া যাবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু বলেন, ‘শনিবার চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস খোলা থাকলেও ব্যাংক খোলা থাকবে কি না জানা যায়নি। ব্যাংক খোলা না থাকলে কাস্টমস হাউজ খোলা রাখার বিশেষ কোনো সুবিধা মিলবে না।’
আরও পড়ুন: বেনাপোল কাস্টমস হাউসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১৬ কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায়
বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব ফাঁকি রোধে ব্যাপক কড়াকড়ি
৩ মাস আগে
পোশাক শিল্পের রপ্তানি-আমদানিতে কাস্টমস হাউজের সহযোগিতার আহ্বান বিজিএমইএর
পোশাক শিল্পের কাস্টমস সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানে সহযোগিতা করতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিজিএমইএ।
বুধবার (১৫ মে) কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রাম কার্যালয়ে এর কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নানের নেতৃত্বে বিজিএমইএর একটি প্রতিনিধিদল।
বৈঠকে আমদানিকৃত ওভেন ফেব্রিক্সের চালান ছাড়করণে ও রপ্তানির জন্য প্রস্তুত পণ্য চালান জাহাজীকরণে ওজন নিয়ে সমস্যা, ডকুমেন্টেশন সমস্যা এবং আমদানিকৃত পণ্য চালান খালাসকালে এইচএস কোড সংক্রান্ত জটিলতাসহ কাস্টমস সম্পর্কিত পরিষেবাগুলোতে বিদ্যমান জটিলতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: বিজিএমইএ সভাপতির মা মারা গেছেন
পোশাক শিল্পের সার্বিক কার্যক্রম নিরবিচ্ছিন্নভাবে ও মসৃণভাবে পরিচালনা করার জন্য কাস্টমস সংক্রান্ত পরিষেবাগুলো আরও দ্রুততর এবং সহজতর করা, আমদানিকৃত কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি দ্রুত খালাসসহ ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলো সহজীকরণের ওপর জোর দেন বিজিএমইএ সভাপতি।
তিনি বলেন, পোশাক শিল্পের রপ্তানি-আমদানি কার্যক্রমে কাস্টমসে যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয় সেগুলো মোকাবিলা করতে গিয়ে শিল্পের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। যার ফলে ব্যবসায়িক প্রক্রিয়াগুলোতেও অপ্রয়োজনীয় বিলম্ব হয়।
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার এ সময়ে বিশ্বব্যাপী পোশাকের চাহিদা ও ব্যয় কমলেও শিল্পের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে। এ অবস্থায় বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে কাস্টমস প্রক্রিয়াগুলোকে সহজীকরণ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করতে হবে।
বৈশ্বিক ফ্যাশন বাজারে প্রতিযোগিতামূলক থাকার জন্য লিড টাইম কমানোর ওপর গুরুত্ব প্রদান করেন বিজিএমইএ সভাপতি।
এস এম মান্নান বলেন, বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক থাকার জন্য ও শিল্পে টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এ খাতে সরকারের নীতি সহায়তা প্রদান অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
রপ্তানির নামে অর্থ পাচারের নিন্দা করে তিনি বলেন, বিজিএমইএ কখনোই এ ধরনের কাজ সমর্থন করে না। যারা দেশের অর্থনীতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
যারা রপ্তানি বাধাগ্রস্ত করে এবং রপ্তানিকারকদের হয়রানি করে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রামের কমিশনারকে আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি।
পোশাকখাতের সুবিধার্থে অনতিবিলম্বে কাস্টমস সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করে কাস্টমস পরিষেবাগুলোকে আরও সহজীকরণ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করার জন্য কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রামকে আহ্বান জানান বিজিএমইএ প্রতিনিধিরা।
এ সময় কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান বলেন, পোশাক শিল্পের টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য কাস্টমস হাউজ চট্টগ্রাম একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য একনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলের সুপারিশগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
বিজিএমইএ প্রতিনিধিদলে ছিলেন- প্রথম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, সহসভাপতি (অর্থ) মো. নাসির উদ্দিন, সহসভাপতি আবদুল্লাহ হিল রাকিব, সহসভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী এবং বিজিএমইএর পরিচালক এম. আহসানুল হক, মোহাম্মদ মুসা, গাজী মো. শহীদউল্লাহ্, শোভন ইসলাম, হারুন অর রশিদ, মোহাম্মদ সোহেল সাদাত, মো. আশিকুর রহমান (তুহিন), শামস্ মাহমুদ, মো. মহিউদ্দিন রুবেল, মো. নুরুল ইসলাম, বিজিএমইএর প্রাক্তন প্রথম সহসভাপতি এস.এম. আবু তৈয়ব, নাসির উদ্দিন চৌধুরী, মঈনউদ্দিন আহমেদ (মিন্টু), প্রাক্তন পরিচালক এম. মাহাবুব চৌধুরী, অঞ্জন শেখর দাশ, সাইফ উল্লাহ মনসুর, এ.এম. শফিউল করিম (খোকন)।
কাস্টম হাউস চট্টগ্রামের পক্ষ থেকে বৈঠকে ছিলেন- জয়েন্ট কমিশনার মো. তারেক হাসান, জয়েন্ট কমিশনার মোহাম্মদ নাজিউর রহমান মিয়া, ডেপুটি কমিশনার ইমাম গাজ্জালীসহ আরও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এছাড়াও বৈঠকে ছিলেন সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আকতার হোসেনসহ পোশাক শিল্পের মালিকরা।
আরও পড়ুন: চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে বিসিসিসিআইয়ের সহযোগিতা চায় বিজিএমইএ
পোশাক শিল্পখাত ২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় অর্জনে দৃঢ়ভাবে প্রত্যয়ী: বিজিএমইএ সভাপতি
৬ মাস আগে