ঘূর্ণিঝড় রিমাল
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দেড় লাখ ইউরো দিচ্ছে আইরিশ এইড
বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় ১ লাখ ৪৮ হাজার ১৭০ ইউরো বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে আইরিশ এইড। আয়ারল্যান্ডের সিভিল সোসাইটি পার্টনারশিপের (আইসিএসপি) অ্যাকিউট ক্রাইসিস স্ট্রিমের (এসিএস) আওতায় প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এই তহবিল সরবরাহ করা হবে।
গত ২৬ মে বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় ৪৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ৩৩ লাখ মানুষ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬টি ঘরবাড়ি আংশিক বা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। তীব্র পানি সংকট, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও বিপর্যস্ত যোগাযোগ সেবার সঙ্গে লড়াই করছে ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীগুলো।
আরও পড়ুন: ‘রিমালের’ তাণ্ডবে বাগেরহাটে ৫ লাখ মানুষ আক্রান্ত
আইরিশ এইডের অর্থায়নে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনালের বাস্তবায়নে ১ জুলাই থেকে ১ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত ভোলা ও বরগুনা জেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৮০০ পরিবারের প্রায় ৩ হাজার ৪৪০ জনকে প্রয়োজনীয় পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেবা দেওয়া হবে। নিরাপদ পানীয় জলের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, স্যানিটেশন সুবিধা পুনরুদ্ধার করা এবং স্বাস্থ্যবিধি সামগ্রী বিতরণ করা এই হস্তক্ষেপের লক্ষ্য।
বৈশ্বিক সংকটে আইরিশ সহায়তার প্রতিশ্রুতি
আয়ারল্যান্ডের সিভিল সোসাইটি পার্টনারশিপ ফর এ বেটার ওয়ার্ল্ড (আইসিএসপি) বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা সরবরাহে আইরিশ নাগরিক সমাজ সংস্থাগুলোর একটি ৫ বছরের তহবিল উদ্যোগ (২০২৩-২০২৭)। আইসিএসপি ৪টি তহবিল প্রবাহকে অন্তর্ভুক্ত করে- দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন, দীর্ঘস্থায়ী মানবিক সংকট, তীব্র মানবিক সংকট ও বৈশ্বিক নাগরিকত্ব শিক্ষা। ২০২৪ সালে, জলবায়ু অর্থায়নে ৯.৯ মিলিয়ন ইউরোসহ ১০টি আইরিশ এনজিওকে প্রায় ১০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে আইসিএসপি।
বাংলাদেশের জন্য অব্যাহত সমর্থন
রোহিঙ্গা শরণার্থী অনুপ্রবেশসহ একাধিক মানবিক সংকট মোকাবিলা করেছে বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ড ২০১৯ সাল থেকে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ইউএনএইচসিআরকে ৬.৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে, যা শরণার্থী ও স্থানীয় সম্প্রদায় উভয়কেই উপকৃত করেছে।
২০২৩ সালে, কক্সবাজারে রেজিলেন্স-বিল্ডিং কর্মসূচিতে পুষ্টি ও দুর্যোগ ঝুঁকি কমানোর উদ্যোগে ১৫ লাখ ৬১ হাজার ৫০৮ ইউরো দেয় কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড। যা ২০২৪ সালে বেড়ে ১৭ লাখ ৪ হাজার ইউরোতে দাঁড়ায়।
২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আয়ারল্যান্ডের বৈদেশিক নীতির অগ্রাধিকারগুলোর পাশাপাশি লিঙ্গ সমতা প্রচার, মানবিক চাহিদা হ্রাস এবং সুশাসনকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে কাজ করে আসছে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল আয়ারল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ঢাকায় প্রথম অনারারি কনস্যুলেট উদ্বোধন করলেন আইরিশ মন্ত্রী সাইমন কোভেনি
৩০৭ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ক্ষয়ক্ষতির হিসাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর বৃহস্পতিবার
ঘূর্ণিঝড় রিমালের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।
গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পেয়েছেন তিনি।
বুধবার (১২ জুন) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত 'দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে বিএসআরএফ সংলাপ'-এ তিনি কথা জানান।
বিএসআরএফের সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
আরও পড়ুন: মেরামতের অপেক্ষায় ‘রিমালে’ ক্ষতিগ্রস্ত ভোলার ১১২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সার্বিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে গতকাল একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। এই প্রথম উদ্যোগ নিয়েছি ঘূর্ণিঝড়ের সব ক্ষতি হিসাব করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেব। আমি আজকের মধ্যে সারাদেশের সমস্ত মন্ত্রণালয়ের যে ক্ষতিটা হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ রেডি করে আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেব।’
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় ৯০ ভাগ হিসাব পেয়ে গেছি। আজকে বাকিটা পেয়ে যাব। ক্ষয়ক্ষতির হিসাবটা আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেব, যাতে তিনি এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারেন। যাতে সব কাজগুলো প্রধানমন্ত্রী সঠিকভাবে করতে পারেন।
৯০ শতাংশ ক্ষতি টাকার অংকে কত- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল পর্যন্ত আমি দেখলাম যে আমার কাছে ৭ হাজার কোটি টাকার হিসাব আমার কাছে এসেছে।’
তিনি আরও বলেন, এবার সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বেড়িবাঁধের। উপকূলীয় মৎস্য সম্পদেরও বিপুল ক্ষতি হয়েছে। কোটি কোটি টাকার মাছের ঘেরগুলো নষ্ট হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে অসংখ্য বেড়িবাঁধ নষ্ট হয়েছে, রাস্তাঘাট নষ্ট হয়েছে, বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে।
ঢাকায় সর্বাচ্চ আট মাত্রার ভূমিকম্পও হতে পারে বলেও এসময় আশঙ্কা প্রকাশ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, তবে ভয়ের কারণ নেই। কারণ এমন পরিস্থিতি বহুদেশে আসছে। যেমন, তুরস্কে ভূমিকম্প হয়। কিন্তু তারা দুর্যোগ সহনীয় অবকাঠামো ও সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যে কারণে সমস্যা এলে তা সমাধান করার সক্ষমতা তারা তৈরি করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো রকম ভূমিকম্প হয়, সেজন্য শহুরে অঞ্চলে ব্যাপকভাবে স্বেচ্ছাসেবী তৈরি করতে কাজ করছি। ভবনগুলো যদি ধসে যায়, তাহলে সেগুলো পরিষ্কার করা ও মানুষকে উদ্ধারে আমরা ব্যাপকভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।
তিনি জানান, ভবিষ্যতে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ রেখে যেতে চাইলে জাতিকে দুর্যোগের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। বিশেষ করে আমার ভয়ের কারণ ভূমিকম্প। বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। যেকোনো সময় আট মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। এতে ঢাকা শহরের লাখ লাখ লোক আটকা পড়তে পারেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দিষ্ট গবেষণার ভিত্তিতেই আমি এমন কথা (৮ মাত্রার ভূমিকম্প) বলেছি। এ নিয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে ২০ জেলায় ৬৮৮০ কোটি টাকার ক্ষতি: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৩২৩ দিন আগে
দক্ষিণাঞ্চলের স্থগিত হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত
ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া দক্ষিণাঞ্চলের ১৮ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ মে নির্বাচন কমিশন ওই উপজেলাগুলোতে নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করে। গত ২৯ মে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ইউএনবির খুলনা প্রতিনিধি জানান, ডুমুরিয়া, ফুলতলা ও কয়রা উপজেলায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। প্রথমবারের মতো নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় হাইওয়ে ও নৌ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল হুসাইন খান জানান, মোট ৩৭ জন নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা দায়িত্বে আছেন।
আরও পড়ুন: অবরোধে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাচন ফের স্থগিত, সাজেকে আটকা তিন শতাধিক পর্যটক
ইউএনবির বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মোংলা উপজেলার ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রথম দিকে ভোটার কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বেড়েছে।
সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে।
যেসব উপজেলায় ভোট গ্রহণ হয়েছে সেগুলো হলো- বাগেরহাটের শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ ও মংলা; খুলনার কয়রা, পাইকগাছা ও ডুমুরিয়া; বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া; পটুয়াখালীর পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া; ভোলায় তাজমুদ্দিন ও লালমোহন; ঝালকাঠির রাজাপুর ও কাঁঠালিয়া এবং বরগুনার বামনা ও পাথরঘাটা।
আরও পড়ুন: চতুর্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৪.৩৩ শতাংশ : সিইসি
৩২৬ দিন আগে
আপনাদের যতদিন প্রয়োজন ততদিন পাশে থাকব: পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্বাস প্রধানমন্ত্রীর
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের স্বাভাবিক জীবনে যতদিন সহযোগিতার প্রয়োজন হবে ততদিন তার সরকার ও আওয়ামী লীগ তাদের পাশে থাকবে।
সমবেত জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা আপনাদের পাশে আছি, থাকব ও প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেব।’
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সকালে কলাপাড়ায় সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে বলেই দক্ষিণাঞ্চলের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের আগে অনেকেই ক্ষমতায় এসেছেন, কিন্তু তারা এই অঞ্চলের জন্য কোনো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হাতে নেয়নি।’
জনগণের জীবনমান উন্নয়নই সরকারের মূল লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, 'প্রাকৃতিক দুর্যোগ আসবে, কিন্তু জনগণের জীবনমান স্বাভাবিক রাখার লক্ষ্যে পৌঁছাতে আমাদের সেসব মোকাবিলা করতে হবে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আগের ঘূর্ণিঝড়ের তুলনায় এবার জলোচ্ছ্বাস অনেক বেশি ছিল। সরকারের গড়ে তোলা ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আসায় জনগণকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো দ্রুত মেরামতের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
জনগণের মৌলিক চাহিদা নিশ্চিত করতে যা যা করা দরকার আওয়ামী লীগ সরকার তাই করছে বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, সরকার এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে কারণ দেশে গণতন্ত্র রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নিরবচ্ছিন্ন গণতন্ত্র বিরাজ করায় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে।’
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নির্মল নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মুহিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসযজ্ঞ হেলিকপ্টার থেকে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী
৩৩৬ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বিআরইবির ৯৩,ওয়েস্ট জোন পাওয়ারের ৮৭ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের পর বুধবার(২৯ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ৯৩ শতাংশ গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে পেরেছে। এছাড়া ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডব্লিউজেডপিডিসি) ৮৭ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে সোমবার(২৭ মে) বিআরইবির প্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ২ কোটি ৮২ লাখ গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করেছে, যা ৯৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কালবৈশাখীর তাণ্ডব, বন্ধ বিদ্যুৎ সংযোগ
একই সময়ে ডব্লিইজেডপিডিসি তার ২ লাখ ৮২ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় শুরু করেছে। যা ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মোট ৪ লাখ ৫৩ হাজার গ্রাহকের ৮৭ শতাংশ।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রায় ২৫ হাজার জনবল কাজ করছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের জন্য ডব্লিউজেডপিডিসি জনবল নিয়োগ করেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ প্রকল্পে পোল ও ১৪০ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ ক্যাবল কিনবে বিআরইবি
৩৩৭ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমালে প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ ফরাসি দূতাবাসের
রবিবার রাতে (২৬ মে) ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে ঢাকাস্থ ফরাসি দূতাবাস।
বুধবার (২৯ মে) দূতাবাস বলেছে, ‘বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বেশিরভাগ অংশে যারা বাস্তুচ্যুত হয়েছেন, বাড়িঘর ডুবে গেছে এবং ফসল ভেসে গিয়েছে এমন সব ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায় এবং পরিবারের সঙ্গে আমারাও ব্যথিত এবং আমরা এই দুর্যোগের পরে আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহযোগিতার আশ্বাস ফ্রান্সের
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া ঝড়ে ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৫৭টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১০৭টি ইউনিয়ন ও ৯১৪টি পৌরসভার ৩৫ হাজার ৪৮৩টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বজ্রপাত প্রতিরোধে বাংলাদেশকে সহায়তা দেবে ফ্রান্স
৩৩৭ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ১ কোটি ৭২ লাখ গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎবিহীন
রবিবার ঘূর্ণিঝড় রিমাল আঘাত হানার পর বিদ্যুৎ বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার নেওয়া পদক্ষেপের পরও এখনো ১ কোটি ৭২ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) বিদ্যুৎ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঝড়ে মোট ৩ কোটি ৩ লাখ গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ১ কোটি ৩১ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে এবং ১ কোটি ৭২ লাখ গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎহীন রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বুধবার (২৯ মে) সকালের মধ্যে ৩৩ কেভি ও ১১ কেভি লাইন চালু করার মাধ্যমে ৮০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে এবং মঙ্গলবার রাতের মধ্যে ৬০ শতাংশ গ্রাহক বিদ্যুৎ পাবেন।
আরও পড়ুন: ইতালির ওয়ার্ক ভিসা: মূল পাসপোর্ট জমা ছাড়াই আবেদন করতে পারবেন বাংলাদেশিরা
বাকি ২০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহককে তাদের সেবা বন্ধ থাকায় অপেক্ষা করতে হবে এবং তাদের মিটার মেরামতের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, রিমালের ক্ষয়ক্ষতি প্রতিকারে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্যোগের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) তার ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এলাকায় এবং পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি (ডব্লিউজেডপিডিসি) নিজস্ব কার্যক্রম পরিচালনা করা এলাকায় সরেজমিন তদারকির মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ দিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, ৩৩টি কেভি ফিডারের মধ্যে মোট ৭৬৬টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৪৫৫টি মেরামত ও ৩১১টি এখনো মেরামত করা হয়নি। এছাড়া ৩৩/১১ কেভির ১ হাজার ১০৫টি উপকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫৪টি মেরামত করা হয়েছে এবং ৪৫১টি এখনো মেরামত করা হয়নি।
১১টি কেভি ফিডারের মধ্যে মোট ৬ হাজার ২৩৫টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে ২ হাজার ৩৮৪টি মেরামত করা হয়েছে এবং বাকি ৩ হাজার ৮৫১টি মেরামত বাকি রয়েছে। মোট ৩ হাজার ৮৩৩টি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে, ২ হাজার ৫৬৭টি পুনস্থাপন করা হয়েছে এবং বাকি ১ হাজার ২৬৬টি এখনো পুনস্থাপন করা হয়নি। ২ হাজার ৮১৮টি বিতরণ ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার মধ্যে ১ হাজার ৬৯৬টি সচল করা হয়েছে এবং বাকি ১ হাজা ১২২টি এখনো সচল করা হয়নি।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ১০৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার বিদ্যুৎ অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে।
বিআরইবির ঠিকাদারসহ ৩০ হাজারের বেশি জনবল মাঠে কাজ করছে।
ডব্লিউজেডপিডিসির মোট গ্রাহক ১৫ লাখ ৪৮ হাজার, যার মধ্যে ১৪ লাখ ৩ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হয়েছে এবং ১ লাখ ৪৪ হাজার গ্রাহককে এখনো বিদ্যুৎ পুনরায় সরবরাহ শুরু করা হয়নি। আর রিমালে ডব্লিউজেডপিডিসির ৫ কোটি ৭ লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের বিও হিসাব জব্দ করেছে বিএসইসি
১৩-২০ গ্রেডের সরকারি কর্মকর্তা নিয়োগ পদ্ধতি পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত শিগগিরই: মন্ত্রী
৩৩৮ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: বাগেরহাটে গাছচাপায় নারীর মৃত্যু
ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বাগেরহাটের শরণখোলায় গাছের চাপায় ফজিলা বেগম নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) বিকালে শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের বিধানসাগর গ্রামের নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নারীর মৃত্যু
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদিপ্ত সিংহ গাছের চাপায় ওই নারীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুদিপ্ত সিংহ বলেন, ঝড় চলাকালে ফজিলা বেগম রান্না ঘরে রান্নার কাজ করছিলেন। হঠাৎ করে একটি নারিকেল গাছ ভেঙ্গে ওই রান্না ঘরের উপর পড়ে। এসময় চাপা পড়ে সে ঘটনাস্থলে নিহত হয়। মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বিলম্বে ওই নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
খোন্তাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেন বলেন, ঝড়ে গাছ চাপায় ওই নারী নিহত হয়েছে। কিন্ত তার স্বামী অসুস্থ থাকায় স্থানীয় লোকজন বিলম্বে খবর জানতে পারে। রাতে স্থানীয় লোকজন নিয়ে ঘরের উপর থেকে গাছ সরিয়ে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারী বর্ষণে বাঘাইছড়িতে পাহাড়ি ঢল, ৩টি গ্রাম প্লাবিত
ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
৩৩৮ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো দ্রুত মেরামতের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৮ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ নির্দেশ দেন তিনি।
সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম বলেন, বর্ষা আসছে তাই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো শিগগিরই মেরামত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডব: শরীয়তপুরে বিদ্যুৎহীন সাড়ে ৩ লাখ মানুষ
তিনি বলেন, পানিবাহিত রোগ যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় নিরাপদ পানি নিশ্চিত করারও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
আবদুস সালাম আরও জানান, ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে আরও ছিলেন- পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার, পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবরা।
একনেক সভায় মোট ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকার।
তিনি আরও বলেন, ‘সভায় অনুমোদিত ১১টি প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয় ১৪ হাজার ৩৩৭ কোটি ৩৮ লাখ টাকা (শুধু সংশোধিত প্রকল্পের অতিরিক্ত ব্যয় ধরা হয়েছে)।’
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পটুয়াখালীতে মাছের ঘের, পুকুরসহ ৭৬০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
তিনি আরও জানান, এর মধ্যে ৬ হাজার ৫৪১ কোটি ৫২ লাখ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে, ৭ হাজার ৮৭৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে এবং বাকি ৮৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে পাওয়া যাবে।
১১টি প্রকল্পের মধ্যে ৮টি নতুন প্রকল্প এবং তিনটি সংশোধিত প্রকল্প রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘রিমালের’ আঘাতে সুন্দরবনে প্রাণ হারিয়েছে ২৬ হরিণ
৩৩৮ দিন আগে
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: পটুয়াখালীতে মাছের ঘের, পুকুরসহ ৭৬০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
পটুয়াখালীতে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। বিধ্বস্ত হয়েছে অন্তত ৭৬০টি ঘরবাড়ি। এর মধ্যে ১৪০টি বাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। আর আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৫২০টি।
এছাড়া জেলায় ৯ হাজার ১০৫টি পুকুর, ৭৬৫টি মাছে ঘের এবং ১২০টি কাঁকড়া ঘের প্লাবিত হয়েছে। এখনো পানিবন্দি রয়েছে হাজার হাজার পরিবার।
এদিকে অস্বাভাবিক জোয়ারের সময় সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের জালালপুর, খ্রিষ্টান পল্লী, পশ্চিম হাজীপুর, নবীপুর, ফতেহপুরসহ ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফসলি জমি-বাড়ি বিধ্বস্ত, ক্ষতিগ্রস্ত বৈদ্যুতিক লাইন
জোয়ারে জালালপুর গ্রাম সংলগ্ন বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের উপর থেকে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের অন্তত ৩০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলায় ৯ হাজার ১০৫টি পুকুর, ৭৬৫টি মাছের ঘের এবং ১২০টি কাঁকড়ার ঘের প্লাবিত হয়েছে। এতে মৎস্য চাষিদের ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জেলায় ৩ হাজার ৫০০টি কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত এবং হাজার হাজার গাছপালা উপড়ে পড়েছে।
কলাপাড়ার ইউএনও মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ঝড়ে অন্তত ৭৬০টি পরিবারের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এরমধ্যে ১৪০টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
পল্লী বিদ্যুতের কলাপাড়া কার্যালয়ের ডিজিএম সজীব পাল বলেন, ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে অনেক এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে, খুঁটি উপড়ে পড়েছে। যার কারণে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা সচল করা যাচ্ছে না।
এছাড়াও পটুয়াখালীতে ৩ কিলোমিটার ও কলাপাড়া উপজেলায় ৪ কিলোমিটার বাঁধের আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা সোমবার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, আশা করছি ক্ষতিগ্রস্তরা সহায়তা পাবে। এদিকে জেলার বিভিন্নস্থানে পড়ে থাকা গাছ সরানোর কাজ শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় রিমাল: সাতক্ষীরায় ক্ষতিগ্রস্ত ৮ শতাধিক ঘরবাড়ি, মৃত্যু ১
ঘূর্ণিঝড় রিমাল: ক্ষতিগ্রস্ত অসহায় মানুষের পাশে বিজিবি
৩৩৮ দিন আগে