ডিএই
কৃষিতে ৬ জনকে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়েছে ডিএই
কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৬ জনকে রাষ্ট্রীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার দিয়েছে ময়মনসিংহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে পুরস্কার দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কোটা পুনর্বহাল: বাকৃবিতে শতাধিক শিক্ষার্থীর বিক্ষোভ
এসময় ময়মনসিংহ অঞ্চলের ১৬ জন কৃষককে ‘কৃষক পুরস্কার’ দেওয়ার পাশাপাশি ১৬ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং ১৬ জন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকেও কৃষিতে অবদান রাখার জন্য পুরস্কৃত করা হয়েছে।
কৃষকদের আমন ধান উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে রোপা আমন ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় ময়মনসিংহের ডিএইর অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ আবু মো. এনায়েত উল্লাহর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটওয়ারী।
মাহবুবুল হক পাটওয়ারী বলেন, ‘ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে গ্যাপ প্রোটোকল অনুসরণে উৎপাদিত পণ্যের বাজারজাতকরণের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কৃষিকে আধুনিক করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) কর্মকর্তারা।’
আরও পড়ুন: পেনশন বিজ্ঞপ্তির প্রতিবাদে অর্ধদিবস কর্মবিরতিতে বাকৃবির শিক্ষকরা
৫ মাস আগে
দেশের ৬ জেলার ১৪৪ কৃষক-কৃষি কর্মকর্তাকে পুরস্কার দিল ডিএই
কৃষিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য তিনটি ক্যাটাগরিতে দেশের ৬ জেলার ১৪৪ জন কৃষক ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে পুরষ্কার দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)।
বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতাভুক্ত ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার প্রতিটিতে ৩টি ক্যাটাগরিতে ১ জন প্রথম, ২ জন দ্বিতীয় ও ৫ জন করে যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১১টায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) সৈয়দ নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে কৃষক পুরস্কার বিতরণ ২০২৪ ও ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আউশ ধান আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে করণীয়’ শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: পরিবর্তনশীল জলবায়ুর জন্য কাসাভা উপযুক্ত, হেক্টরপ্রতি ফলন ৩৫-৫০ টন: বাকৃবি অধ্যাপক
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে। তার নির্দেশেই কাজ করে যাচ্ছে কৃষি সপ্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। পাহাড়ি এলাকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদেরও প্রকল্পের আওতায় আনা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের যথেষ্ট প্রভাব থাকলেও ডিএই মাঠ পর্যায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করছে। আমাদের দেশের কৃষকরা আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে সচেতন হচ্ছেন। এর ফলে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি ফলনও ভালো হচ্ছে।
বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর বলেন, কৃষি জমির পরিমাণ ও মাটির উর্বরতা কমে যাওয়ায় খাদ্য উৎপাদন একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী খাদ্য চাহিদা মেটাতে কৃষি উৎপাদন ৬০ শতাংশ বাড়াতে হবে।
কৃষি উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের উদ্দেশ্যে ড. জাহাঙ্গীর বলেন, আধুনিক পদ্ধতিতে জমিতে সেচ দেওয়া, বছরের পর বছর একই চাষ না করা, জমিতে চাষ কম দেওয়া ও ফসলের উচ্ছিষ্ট জমিতে ফেলে রাখার মাধ্যমে জমির উর্বরতা ও ফলন বাড়ানো সম্ভব।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানা বিষয় আলোচনা করা হয় এবং প্রকল্পের আওতাভুক্ত ৬টি জেলার কৃষি উৎপাদনের চিত্র তুলে ধরা হয়। তাছাড়া বস্তায় আদা চাষ ও পলিনেট হাউজের ব্যবহার ও উপকারিতা কৃষকদের মাঝে তুলে ধরা হয়।
ডিএই'র ময়মনসিংহ অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সালমা আক্তারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ বাদল চন্দ্র বিশ্বাস পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর।
আরও পড়ুন: সুস্থ-সবল জাতি গঠনে ওয়ান হেলথ গুরুত্বপূর্ণ: বাকৃবি উপাচার্য
বাকৃবিতে তিন দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্জিক্যাল কিট বক্স বিতরণ
৬ মাস আগে