আইসিসিটি-২০বিশ্বকাপ২০২৪
হারের পর যা বললেন মার্করাম
প্রথমবারের মতো ক্রিকেটের বিশ্ব আসরের কোনো ফাইনালে উঠেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে সেটিও দুর্দান্তভাবে। ফাইনালে খেলার আগে একটি ম্যাচও হারেনি তারা। ভারতের বিপক্ষে ফাইনালেও তুমূল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর তারা অবশেষে হেরে গেল।
বছরের পর বছর ধরে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়া প্রোটিয়াদের এবারের পারফরম্যান্সে অনেকেই তাদের সাফল্য নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিল, কিন্তু চেষ্টা করেও তা বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি মার্করাম-ডি ককরা। তাই সমর্থকদের মতো হৃদয় ভেঙেছে তাদেরও।
ম্যাচ শেষে দলটির খেলোয়াড়দের মুখের দিকে তাকানো যাচ্ছিল না। কান্না চেপে রেখে মুখ লাল করে ফেলেছিলেন সবাই।
তবে খেলায় জয়-পরাজয় থাকবেই, এক পক্ষকে পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতেই হবে- এটাই তো নিয়ম।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
ম্যাচ শেষে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে সেকথা ঝরল প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করামের কণ্ঠেও।
‘ক্ষণিকের জন্যে হলেও বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছি। টুর্নামেন্টজুড়ে আমরা কী দারুণ পারফর্ম করেছি, এ বিষয়টি অনুধাবন করতে আমাদের কিছুটা সময় লাগবে।’
সতীর্থদের কৃতিত্ব দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার (দলের) খেলোয়াড়দের জন্য সত্যিই গর্ববোধ করছি। (বোলাররা) ভালো বোলিং করেছে। এমনটি ভাবার সুযোগ নেই যে, এই পিচে আরও ভালো করার সুযোগ ছিল।’
‘বোলাররা (ভারতীয় ব্যাটারদের) ভালো রানের মধ্যেই আটকে দিয়েছিল। ভেবেছিলাম, এটি অতিক্রমযোগ্য লক্ষ্য। আমরা ভালো ব্যাটিংও করেছি। শেষের দিকে তো ম্যাচ একেবারেই হাতের মুঠোয় চলে এসেছিল। তবে দিনশেষে দারুণ ক্রিকেট হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই হাল না ছাড়ার মানসিকতা নিয়ে খেলে ফাইনাল পর্যন্ত এসেছেন জানিয়ে মার্করাম বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করার মানসিকতা নিয়ে খেলে এসেছি। এভাবে এ পর্যায়ে এসে তাই নিজেদের (শিরোপার দাবিদার হিসেবে) অযোগ্য মনে হচ্ছে না। ম্যাচটি আমরা জিততে পারতাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তা হয়ে ওঠেনি। তবে (ফলাফল) যাই হোক, দলকে নিয়ে আমি দারুণ গর্ববোধ করছি।’
ম্যাচ শেষে মার্করামকে জোর করে মুখে হাসি আনার চেষ্টা করতে দেখা যায়। ডেভিড মিলারের স্ত্রী এসে তাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। দলটির খেলেয়াড়দের অনেককেই দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তাদের এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না যে ম্যাচটি তারা হেরে গেছে।
মানসিকভাবে অনেকেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এমন সামান্য ব্যবধানের হার নিশ্চয় তাদের বেশ কিছুদিন ভোগাবে।
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
৪ মাস আগে
কোহলির পর রোহিতেরও অবসরের ঘোষণা
ভারতের ক্রিকেট সমর্থকদের ১৭ বছরের শিরোপা খরা ঘুচিয়ে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন বিরাট কোহলি। এবার তার সুরে সুর বাঁধলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাটে ভারতের জার্সিতে তাকেও আর দেখা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন রোহিত। তবে টি-টোয়েন্টিতে না খেললেও ওয়ানডে ও টেস্ট খেলা চালিয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রোহিত বলেন, ‘এটি আমারও শেষ (টি-টোয়েন্টি) ম্যাচ ছিল। বিদায় বলার জন্য এর চেয়ে আর ভালো সময় হতে পারে না।’
‘টি-টোয়েন্টি দিয়েই ভারতের জার্সিতে আমার অভিষেক হয়েছিল। আর এটিই চেয়েছিলাম আমি। (বিশ্ব) কাপ জিততে চেয়েছিলাম আমি।’
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
তিনি বলেন, ‘এই ট্রফিটি জিততে আমি একেবারে মরিয়া হয়ে ছিলাম। তাই এটি জেতার পর আমার অনুভূতি এখন কেমন, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন।’
১৫৯টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক রোহিত শর্মা। ৪ হাজার ২৩১ রান সংগ্রহকালে টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ ৫টি সেঞ্চুরিও তার দখলে। সদ্য সমাপ্ত বিশ্বকাপ আসরেও ১৫৬.৭ স্ট্রাইক রেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান (২৫৭) সংগ্রাহক হিটম্যান।
২০০৭ সালে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন রোহিত, আর ক্যারিয়ার শেষ করলেন অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের মাধ্যমে।
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
৪ মাস আগে
বিশ্বকাপ জিতেই অবসরের ঘোষণা কোহলির
১৭ বছর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে বিজয়ের মঞ্চেই ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত সংস্করণকে বিদায় বলে দিলেন ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটার বিরাট কোহলি।
বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হতে ব্যাট হাতে তার ৭৬ রানের ইনিংসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে ফাইনালে ম্যান অব দ্য মাচও হয়েছেন তিনি।
ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার গ্রহণ করার পর নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়েই টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান কোহলি।
তিনি বলেন, ‘এটিই আমার শেষ বিশ্বকাপ ছিল। আমরা ঠিক এটিই অর্জন করতে চেয়েছিলাম।’
আরও পড়ুন: দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
বিশ্বকাপের চলতি আসরের শুরু থেকে একেবারেই রানের মধ্যে ছিলেন না তিনি। আগের ৭ ম্যাচে তার মোট রান ছিল ৭৫। এর মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন মাত্র দুইবার, শূন্য রানেও আউট হন দুইবার। তবে ফাইনাল ম্যাচে এসে অবশেষে জ্বলে ওঠে তার ব্যাট। কিন্তু বিশ্বকাপ অভিযানে নিজের পারফরম্যান্সের বিষয়টি সচেতনভাবেই খেয়াল করেছেন তিনি।
কোহলি বলেন, ‘একদিন আপনার মনে হবে যে, আপনি রান পাচ্ছেন না, আর তখনই এমন সিদ্ধান্ত মাথায় আসে। ঈশ্বর মহান (যে তিনি আমাকে শেষটা সুন্দর করার সুযোগ দিয়েছেন)।’
‘এবার আমরা পণ করেই এসেছিলাম- হয় এবার, নয়তো কখনও নয়। ভারতের হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর কাপটি আমি তুলে ধরতে চেয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, ‘দেখুন, এটি একপ্রকার ওপেন সিক্রেট ছিল। এই টুর্নামেন্ট শেষেই আমি (অবসরের) ঘোষণা দিতে চেয়েছিলাম। এমন নয় যে, হেরে গেলে এই ঘোষণাটি আমি দিতাম না। নতুন প্রজন্মকে জায়গা ছেড়ে দেওয়ার এখনই সময়।’
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
২০১০ সালে ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয় বিরাট কোহলির। এরপর ওয়ানডে, টেস্টের মতো এই ফরম্যাটেও আলো ছড়িয়েছেন তিনি। দেশের হয়ে মোট ১২৫ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৩৭.৯৪ স্ট্রাইক রেট ও ৪৮.৬৯ গড়ে ৪ হাজার ১৮৮ রান করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও ৩৮টি হাফ-সেঞ্চুরি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ছয়টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে দুইবার টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেন কোহলি। ক্যারিয়ারের শেষ টুর্নামেন্টেও ম্যান অব দ্য ফাইনাল হয়েছেন তিনি। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম সংস্করণে রোহিত শর্মার পরই সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ভারতের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটার।
৪ মাস আগে
দেড় যুগের অপেক্ষার অবসান, টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর প্রথম আসরেই ফাইনালে ওঠে ভারত। সেবার পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় দলটি। এরপর আরও একবার ফাইনালে উঠলেও শ্রীলঙ্কা কাঁদায় তাদের। ১৭ বছর পর ফের ফাইনালে কাঁদল ভারত। তবে এবার আর হতাশা নয়, শিরোপা জয়ের আনন্দে কাঁদলেন রোহিত-হার্দিকরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ২০২৪ সালের আসরে এসে অবশেষে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ততম এ সংস্করণে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মার দল। ১৭ বছরের চেষ্টার পর একেবারে টি-টোয়েন্টির প্রথম অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে টিম ইন্ডিয়া।
টস জিতে এদিন শুরুতে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান করে ভারত। জবাবে খেলতে নেমে নাটকের পর নাটক, ম্যাচে একের পর এক পালাবদলের পর মাত্র ৭ রান বাকি থাকতে থামে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
দুই দলই তুমূল লড়াইয়ের স্মরণীয় এক ফাইনাল উপহার দিল। তবে প্রথমবার কোনো বিশ্ব আসরের ফাইনালে উঠেও জয় ছিনিয়ে আনতে ব্যর্থ হলো আইডেন মার্করাম-ডেভিড মিলাররা। ফলে সামান্য ব্যবধানে হেরে আরও একবার হৃদয় ভাঙল প্রোটিয়াদের। আর প্রায় দেড় যুগের অপেক্ষা শেষে শিরোপা উঁচিয়ে ধরল ভারত।
প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাট হাতে হাইনরিখ ক্লাসেন করেন সর্বোচ্চ ৫২ রান। এছাড়া কুইন্টন ডি কক ৩৯ এবং ডেভিড মিলার ২১ রান করেন।
অন্যদিকে, বল হাতে সর্বোচ্চ তিন উইকেট শিকার করেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ব্যক্তিগত চার ওভারে ১৮ ও ২০ রান দিয়ে দুটি করে উইকেট তুলে নেন যথাক্রমে জসপ্রিত বুমরাহ ও আর্শদীপ সিং। প্রথম ইনিংসে বিরাট কোহলির ৭৬ রানের পর এই দুই পেসারের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে চেপে ধরে হারিয়েছে ভারত।
প্রথম ইনিংসে দলের সংগ্রহ বড় করে দেয়ায় ফাইনাল ম্যাচের রাজা বিরাট কোহলি। আর আসরজুড়ে বোলিংয়ে ঝলক দেখানো জসপ্রিত বুমরাহ হয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরা।
৪ মাস আগে
ডি ককের ব্যাটে ম্যাচে ফিরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা
মাত্র ১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে শুরুতেই যে চাপের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে সেই চাপ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন প্রোটিয়া ওপেনার কুইন্টন ডি কক।
দলকে স্থিতিশীলতা এনে দিয়ে স্টাবস আউট হয়ে ফিরলেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন ডি কক ও হাইনরিখ ক্লাসেন।
শেষ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ১১ ওভার শেষে তিন উইকেটে ৯৩ রান সংগ্রহ করেছে প্রোটিয়ারা। বিশ্বকাপ জিততে বাকি ৯ ওভারে তখন তাদের প্রয়োজন ৮৪ রান। প্রয়োজনীয় রান রেট ৯ দশমিক ৪।
২৬ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত রয়েছেন ডি কক। অন্য প্রান্তে ১০ বলে ১৬ রান নিয়ে অপরাজিত ক্লাসেন।
আরও পড়ুন: ভারতীয় বোলিং তোপে কাঁপছে দক্ষিণ আফ্রিকা
এর আগে, ১৭৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। তিন ওভার শেষ হতে না হতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই আউট হয়ে যাচ্ছিলেন কুইন্টন ডি কক। আর্শদীপের আউটসাইড অফ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়েই বিপদে পড়েছিলেন তিনি। তবে উইকেটরক্ষক পর্যন্ত না পৌঁছানোয় বেঁচে যান ডি কক।
তবে পরের ওভারে বুমরাহর প্রতাপ থেকে বাঁচতে পারেননি অপর প্রান্তের রিজা হেন্ড্রিক্স। ওভারের তৃতীয় বলেই দুর্দান্ত এক ইয়র্কার স্ট্যাম্প গুঁড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। ফলে দলীয় ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর পরের ওভারে আর্শদীপের শিকার হন প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। উইকেটের পেছনে ঋষভকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফলে প্রথম দুই ব্যাটারই পাঁচ বল মোকাবিলা করে একটি করে চার মেরে ফিরে যান। এতে মাত্র ১২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ভারতের মতোই শুরুতে চাপে পড়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওই ওভারের পঞ্চম বলে আরও একটি কট বিহাইন্ডের সম্ভাবনা জাগে। তবে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় ভারত।
এরপর ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে মাচে ফিরতে শুরু করেন ডি কক। এই দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেটে ৪২ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তবে ৩৮ বলে ৫৮ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান স্টাবস। ৮.৫তম ওভারে অক্ষরের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। ফেরার আগে একটি ছক্কা ও তিনটি চারের মারে ২১ বলে ৩১ রান করেন তিনি। এর ফলে দলীয় ৭০ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা।
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
ফাইনালের খুঁটিনাটি: আবহাওয়া, পিচ, দলের খবর
৪ মাস আগে
ভারতীয় বোলিং তোপে কাঁপছে দক্ষিণ আফ্রিকা
১৭৭ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই ভারতীয় পেসারদের তোপের মুখে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। তিন ওভার শেষ হতে না হতেই দুই উইকেট হারিয়ে বসেছে তারা।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে প্রথম বলেই আউট হয়ে যাচ্ছিলেন কুইন্টন ডি কক। আর্শদীপের আউটসাইড অফ স্ট্যাম্পের ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়েই বিপদে পড়েছিলেন তিনি। তবে উইকেটরক্ষক পর্যন্ত না পৌঁছানোয় বেঁচে যান ডি কক।
তবে পরের ওভারে বুমরাহর প্রতাপ থেকে বাঁচতে পারেননি অপর প্রান্তের রিজা হেন্ড্রিক্স। ওভারের তৃতীয় বলেই দুর্দান্ত এক ইয়র্কার স্ট্যাম্প গুঁড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। ফলে দলীয় ৭ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
এর পরের ওভারে আর্শদীপের শিকার হন প্রোটিয়া অধিনায়ক আইডেন মার্করাম। উইকেটের পেছনে ঋষভকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ফলে প্রথম দুই ব্যাটারই পাঁচ বল মোকাবিলা করে একটি করে চার মেরে ফিরে যান। এতে মাত্র ১২ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে ভারতের মতোই শুরুতে চাপে পড়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ওই ওভারের পঞ্চম বলে আরও একটি কট বিহাইন্ডের সম্ভাবনা জাগে। তবে রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হয় ভারত।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪ ওভার শেষে দুই উইকেট হারিয়ে ২২ রানে সংগ্রহ করেছে প্রোটিয়ারা।
কুইন্টন ডি কক ১০ বলে ১০ এবং ট্রিস্টান স্টাবস ৪ বলে ২ রান করে অপরাজিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
৪ মাস আগে
ফাইনালে হাসল কোহলির ব্যাট, প্রোটিয়াদের সামনে বড় লক্ষ্য
পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে রানখরা গেলেও ফাইনালে ঠিকই জ্বলে উঠল বিরাট কোহলির ব্যাট। তার ব্যাটের হাসিতে শুরুতে উইকেট হারিয়েও দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো ভারত, আর প্রোটিয়াদের দিল চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য।
বার্বাডোসের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৬ রান করেছে ভারত।
এদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন কোহলি। ৫৯ বলে এই রান করতে গিয়ে তিনি দুটি ছক্কা ও ছয়টি চার মারেন। এছাড়া অক্ষর প্যাটেল ৩১ বলে ৪৭ এবং শেষের দিকে শিবম দুবে ১৬ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন কেশব মহারাজ। এছাড়া কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের ঝুলিতে গেছে একটি করে উইকেট।
প্রথম ওভারে তিনটি চার মেরে দলকে দারুণ শুরু এনে দেন বিরাট কোহলি। পরের ওভারে তা অব্যহত রাখেন রোহিতও। কিন্তু ওই ওভারেই জোড়া উইকেট শিকার করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অসাধারণভাবে ম্যাচে ফেরান কেশব মহারাজ।
দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি চার মারেন রোহিত, কিন্তু চতুর্থ বলেই মহারাজের শর্ট লেঙ্থ ডেলিভারিটি সুইপ করতে গিয়ে ক্লাসেনের দারুণ এক ক্যাচের শিকার হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
রোহিত সুইপ করলে বলটি প্রায় মাটি ছুঁয়েই যাচ্ছিল, কিন্তু মাটিতে পড়ার আগে বাঁ দিকে খানিকটা ঝাঁপিয়ে বলটি তালুবন্দি করেন শর্ট ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চলে ফিল্ডিং করা ক্লাসেন।
এরপর, ক্রিজে এসে পঞ্চম ডেলিভারিটি দেখেশুনে খেলে পরের বলেই মহারাজের ঘুর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে টপ এজ হয়ে যান ঋষভ পান্ত। উইকেটের পেছন থেকে ডি কক সহজ ক্যাচ নিলে খাতা খোলার আগেই ফিরতে হয় ভারতীয় উইকেটরক্ষককে।
এর ফলে ২৩ রানে দুই উইকেট হারায় ভারত। আর শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা ব্যাকফুটে চলে যায় তারা। এসময় সূর্যকুমার যাদবকে নিয়ে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন কোহলি।
তৃতীয় ওভারে রাবাদার শেষ ডেলিভারিতে ফের একটি ক্যাচ উঠেছিল, তবে ফাঁকায় পড়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান কোহলি।
এদিন এক-দুই রান বাঁচাতে ফিল্ডিংয়ের মনোমুগ্ধকর পারফরম্যান্স দেখায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন: ফাইনালে টস জিতে ব্যাটিংয়ে ভারত
এরপর দলীয় পঞ্চম ও নিজের দ্বিতীয় ওভারে সূর্যকুমারকে ফেরান কাগিসো রাবাদা। ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে সেই ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ অঞ্চল দিয়ে বলটি উড়িয়ে সীমানাছাড়া করার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার। কিন্তু মারে জোর না থাকায় ক্লাসেনের হাতে ধরা পড়ে ফিরতে হয় তাকে।
তিনি ৪ বলে ৩ রান করে ফিরে গেলে ৩৪ রানের মাথায় তিন উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে যায় ভারত। এরপর তুরুপের তাস হিসেবে বোলিং অলরাউন্ডার অক্ষর প্যাটেলকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে দেন রোহিত।
অক্ষর-কোহলি জুটি অক্ষত রেখে পাওয়ার প্লেতে তিন উইকেট হারিয়ে ৪৫ রান তোলে ভারত। এরপরই হাত খুলে খেলা শুরু করেন অক্ষর। নিয়মিত বিরতিতে চার-ছক্কা বের করতে থাকেন তিনি। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় প্রথম দশ ওভারে ৭৫ রান সংগ্রহ করে ভারত। এরপর ১৩.১ ওভারে রাবাদাকে ছক্কা হাঁকিয়ে দলীয় শতরান পার করেন অক্ষর।
তবে এর দুই বল পরই দুঃখজনকভাবে রান আউট হয়ে ফিরতে হয় তাকে। ফেরার আগে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিয়ে ৩১ বলে ৪৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে যান তিনি। এই রান সংগ্রহ করতে তিনে মারেন চারটি ছক্কা ও একটি চারের মার।
আরও পড়ুন: ফাইনালের খুঁটিনাটি: আবহাওয়া, পিচ, দলের খবর
পরবর্তী ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসে কোহলিকে তাল দিতে থাকেন শিবম দুবে। এর মাঝে ৪৮ বলে চলতি টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিরাট।
১৯তম ওভারের পঞ্চম বলে ৫৯ বলে ৭৬ রান করে ফেরেন কোহলি। এরপর ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ফিরে যান শিবমও (২৭), আর নর্টকিয়ার শেষ বলে দারুণ এক ক্যাচ নিয়ে জাদেজাকে থামান মহারাজ। ফলে আট উইকেট হারিয়ে ১৭৬ রানে থামে ভারতের ইনিংস।
প্রথমবার ফাইনালে উঠেই শিরোপা ছুঁতে হলে এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে হবে প্রোটিয়া ব্যাটারদের।
৪ মাস আগে
ফাইনালের খুঁটিনাটি: আবহাওয়া, পিচ, দলের খবর
প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে আজ রাতে মাঠে নামছে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই দলের জন্যই এই শিরোপাটি আরাধ্য বস্তু।
১৮ বছর আগে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণের বিশ্বসেরার প্রতিযোগিতা শুরু হলেও এখন পর্যন্ত শিরোপা অধরাই রয়ে গেছে ভারতের। এর আগে দুবার ফাইনালে উঠেও শিরোপার স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে তাদের।
২০০৭ সালে বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই ফাইনালে ওঠে ভারত। তবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে মাত্র ৫ রানে হেরে প্রথমবার আশাহত হয় তারা। এরপর ২০১৪ সালে তাদের ৬ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জেতে শ্রীলঙ্কা।
দশ বছর পার ফের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। শক্তিমত্তার বিচারে একেবারে তুঙ্গে রয়েছে রোহিত শর্মার দল। তাই বিশ্বকাপ জয়ে এবার বড় আশা দেখছে ভারতের ক্রিকেটভক্তরা।
অন্যদিকে, ক্রিকেটের সব সংস্করণ মিলিয়ে বিশ্ব আসরে বারবার সেমিফাইনাল খেললেও এই প্রথমবার ফাইনালে উঠেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ‘চোকার’ থেকে ‘উইনার’ হতে সব রকম চেষ্টাই করবে আইডেন মার্করামের দল।
চলুন জেনে নেই, ধ্রুব এই ফাইনাল ম্যাচের খুঁটিনাটি।
কখন শুরু হবে
বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় শুরু হবে চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি। এর আধঘণ্টা আগে হবে টস।
কোথায় হচ্ছে ফাইনাল
বার্বাডোজের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভাল স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। একসঙ্গে ২৮ হাজার দর্শক এই স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখতে পারেন।
পিচের অবস্থা
ব্যাটারদের স্বর্গ না হলেও কেনসিংটন ওভালে চলমান টুর্নামেন্টের কয়েকটি ম্যাচেই ভালো স্কোর গড়তে দেখা গেছে।
এ মাঠে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীদের তালিকায় পেসাররাই এগিয়ে রয়েছেন। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা- দুই দলেই অসাধরণ কয়েকজন পেসার থাকায় দুপাশেই আজ জমাট লড়াই দেখার আশা করছেন বিশ্লেষকরা।
আবহাওয়া কী বলছে
চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আবহাওয়ার মেজাজ একেবারেই ভালো দেখা যায়নি। বেশ কয়েকটি ম্যাচ ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। এছাড়া বৃষ্টির কারণে কয়েকটি ম্যাচ দেরিতেও শুরু হয়েছে।
বার্বাডোজের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার ব্রিজটাউনের আবহাওয়ার খবর খুব বেশি স্বস্তিদায়ক নয়। রবিবার একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় দ্বীপটির দিকে অগ্রসর হবে। ফলে ওই অঞ্চলে গুরুতর আবহাওয়া সতর্কতা জারি করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস।
তবে দর্শক আশা করছে, পূর্ণ ২০ ওভারের দুটি ইনিংসই দেখতে পাবে তারা।
বৃষ্টি হলে কী হবে
ম্যাচের আগে বৃষ্টি হলে বা বৃষ্টিতে বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটিতে বিঘ্ন ঘটলে সর্বোচ্চ ১৯০ মিনিট বা তিন ঘণ্টা ১০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। এর মধ্যে খেলা শুরু করা গেলে পূর্ণ ২০ ওভারের ইনিংসই খেলানো হবে। তা সম্ভব না হলে কমপক্ষে ১০ ওভার করে খেলানো হবে।
তবে শনিবার ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেলে পরের দিন (রবিবার) রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে।
এরপরও ম্যাচটি খেলা সম্ভব না হলে দুই দলকেই যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।
ফাইনাল ম্যাচ টাই হলে কী হবে
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি টাই হলে সুপার ওভারে ম্যাচের নিষ্পত্তি করা হবে। প্রথম সুপার ওভারও যদি টাই হয় তবে ফের আরও একটি করে সুপার ওভার খেলানো হবে। এভাবে ম্যাচের ফলাফল না আসা পর্যন্ত সুপার ওভার চলতে থাকবে।
টসভাগ্য কী বলছে
এই মাঠে এখন পর্যন্ত খেলা ৮ ম্যাচের পাঁচটিতে টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধিনায়করা। তবে কিছুটা মিশ্র ফলাফল দেখা গেছে এখানে।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এই মাঠে টস জিতে রোহিত শর্মা আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। ম্যাচটিতে ৪৭ রানের জয় পায় ভারত।
তবে ভারতের এই মাঠে আগে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য চলমান টুর্নামেন্টে এটিই প্রথম ম্যাচ হতে চলেছে।
হেড টু হেড
দুই দলের দেখায় এখন পর্যন্ত ভারতই কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪ ম্যাচ জিতেছে ভারত। অন্যদিকে, ভারতের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের জয় ১১টি ম্যাচে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আসরে এর আগে পাঁচবারের দেখায় চার ম্যাচই জিতেছে ভারত।
সবশেষ গত ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন ম্যাচের একটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে ভারত। ১-১ সমতায় সিরিজ শেষ করে দুই দল। বাকি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়।
তবে চলমান বিশ্বকাপ আসরে দুই দলই রয়েছে দারুণ ছন্দে। এখন পর্যন্ত সব ধরনের প্রতিকূলতা কাটিয়ে টুর্নামেন্টে অপরাজিত দুই দলই। ফলে এক দুর্দান্ত ফাইনালের অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
দলের খবর
ভারত
তিন পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে সাজানো বোলিং আক্রমণ নিয়ে এখন পর্যন্ত দারুণ সফল ভারত। দলটির বোলারদের সবাই রয়েছে দারুণ ফর্মে। বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে সব প্রতিপক্ষকেই নাকানি-চুবানি খাইয়েছে তারা।
আবার ফর্মের চূড়ায় রয়েছেন ব্যাটাররাও। ফলে আফগানিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যুক্তরাষ্ট্র ও সবশেষ ইংল্যান্ডকে হারানো একাদশই অপরিবর্তিত রাখতে পারেন ভারতের নির্বাচকরা।
সম্ভাব্য একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পান্ত (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা, আর্শদীপ সিং, জসপ্রিত বুমরাহ ও কুলদীপ যাদব।
দক্ষিণ আফ্রিকা
ভারতের মতোই দক্ষিণ আফ্রিকার দুই স্পিনার ও তিন পেসার টুর্নামেন্টজুড়ে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন বারবার। এছাড়া মাঝেমধ্যে হাত ঘুরিয়ে থাকেন দলটির অধিনায়ক মার্করামও। ফলে বোলিং নিয়ে কিছুটা নির্ভারই থাকবেন মার্করাম।
তবে ব্যাটাররা একেবারেই ধারাবাহিক নেই বিশ্বকাপের এই আসরে। অবশ্য, বিভিন্ন ম্যাচে কোনো এক বা দুজন ব্যর্থ হলেও অন্যরা ব্যাট হাতে নিজেদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছেন। সর্বোপরি, টিম পারফরম্যান্সের কারণেই সবগুলো ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে প্রোটিয়ারা। তাই শেষ ম্যাচেও দলের টিম ওয়ার্কই দেখতে চাইবে সমর্থকরা।
সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে ধসিয়ে দেওয়া একাদশ অপরিবর্তিত রাখতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সম্ভাব্য একাদশ: কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), রিজা হেন্ড্রিক্স, আইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), ডেভিড মিলার, হাইনরিখ ক্লাসেন, ট্রিস্টান স্টাবস, মার্কো ইয়ানসেন, কেশব মহারাজ, কাগিসো রাবাদা, আনরিখ নর্টকিয়া ও তাবরাইজ শামসি।
৪ মাস আগে
টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত
বৃষ্টির কারণে ভেজা মাঠ শুকাতে বেশ কিছুটা সময় লাগলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামছে ইংল্যান্ড ও ভারত। এদিন টসভাগ্য গেছে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের দিকে।
গায়নার প্রোভিডেন্স স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাটলার।
বৃষ্টির আগে পিচ রিপোর্টে হার্শা ভোগলে ও মাইকেল আথারটন বলেছিলেন, এই পিচে বল বেশি ওপর উঠবে না। ফলে স্পিনাররা সুবিধা পাবেন।
শুরুতে ব্যাট করে এই মাঠে সংগ্রহের গড় ১৬৭ রান।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃষ্টির হানা, পণ্ড হলেই ফাইনালে ভারত
শুরুতে বোলিং করার ইচ্ছাই ছিল জানিয়ে বাটলার বলেন, ‘ভালো সারফেস মনে হচ্ছে। বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার পর বল একটু কমই উঠবে। তাই আগে বোলিং করলে সুবিধা পাওয়া যাবে বলেই মনে হচ্ছে। গত ম্যাচের একাদশ অপরিবর্তিতই থাকছে।’
রোহিত বলেন, ‘টস জিতলেও আগে ব্যাটিং করতাম। আমরা শুরুতেই (স্কোর) বোর্ডে রান রাখতে চাই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিচ স্লো হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব বেশি ভাবছি না। এই মুহূর্তে কী করা দরকার, সেটিই আমাদের কাছে মুখ্য। আমরাও অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে নামছি।’
পরিসংখ্যান বলছে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে একটি ম্যাচে আগে ব্যাট করে হারে ইংল্যান্ড। তবে তিন ম্যাচে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে তিনটিতেই সফল তারা।
অন্যদিকে, ২০২১ সালের পর থেকে সব ধরনের ক্রিকেট মিলিয়ে আইসিসি বিশ্বকাপে মোট পাঁচবার হেরেছে ভারত। ওই পাঁচটি ম্যাচের সবগুলোতেই শুরুতে ব্যাটিং করেছিল তারা।
ইংল্যান্ড একাদশ: ফিলিপ সল্ট, জস বাটলার (অধিনায়ক), জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক, মইন আলী, লিয়াম লিভিংস্টোন, স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডান, জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ ও রিস টপলি।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পান্ত, সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, আর্শদীপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহ।
আরও পড়ুন:আফগানদের বিধ্বস্ত করে ‘চোকার’ তকমা ঘোচাল দক্ষিণ আফ্রিকা
রেকর্ড বইয়ে ১৩ পরিবর্তন আনল প্রোটিয়া-আফগান ম্যাচটি
৪ মাস আগে
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃষ্টির হানা, পণ্ড হলেই ফাইনালে ভারত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামার অপেক্ষা করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড ও ভারত। বৃষ্টির কারণে টস হতে দেরি হচ্ছে। তবে বৃষ্টি হলেও ম্যাচটি নিয়ে নির্ভার থাকবে ভারতীয় শিবির। কারণ ম্যাচটি পণ্ড হয়ে গেলে ফাইনালে উঠে যাবে রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং।
চলমান বিশ্বকাপ আসরের জন্য আইসিসির খেলার শর্তে প্রথম সেমিফাইনালের জন্য রিজার্ভ ডে থাকলেও দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জন্য তা নেই। আবার সেমিফাইনালে উঠলে ভারতের আবদার মেটাতে তাদের দ্বিতীয় সেমিফাইনালেই রাখতে হয়েছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির।
এ দুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে আগে থেকেই বিতর্ক চলছে।
ভারতের স্থানীয় সময়সূচিকে প্রাধান্য দিয়ে দলটিকে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রাখে আইসিসি। কারণ হিসেবে জানা গেছে, প্রথম সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হয় ভারতের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ছয়টায়। এ সময়ে দেশটির বিপুলসংখ্যক ক্রিকেটভক্তের জন্য খেলা দেখা বেশ কঠিন। তাই রাত ৮টায় শুরু হওয়া দ্বিতীয় সেমিতেই দলটিকে রাখা হয়েছে।
আইসিসিতে ভারতের প্রভাব এবং ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশটিতে আইসিসির আয়- সবকিছু মিলিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।
আরও পড়ুন: আফগানদের বিধ্বস্ত করে ‘চোকার’ তকমা ঘোচাল দক্ষিণ আফ্রিকা
দ্বিতীয় কারণটি নিয়েও সমালোচনা কম হচ্ছে না। প্রথম সেমিফাইনালে রিজার্ভ ডে থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচে কেন সেই সুবিধা রাখা হলো না, তা নিয়ে আইসিসিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন অনেকে।
তবে এ বিষয়ে আইসিসির সাফাই, ফাইনাল ম্যাচের আগে পর্যাপ্ত সময় না থাকার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে তারা। সময় না থাকার পেছনে ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচিকে দায়ী করেছে সংস্থাটি।
২৯ জুন বার্বাডোজের স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল হওয়ার কথা। অর্থাৎ দ্বিতীয় সেমিফাইনালের পর মধ্যে মাত্র একটি দিন সময় রাখা হয়েছে। তাই রিজার্ভ ডে রাখার সুযোগ নেই বলে আইসিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জন্য অন্যভাবে ব্যবস্থা নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। বৃষ্টি বাগড়া দিলেও এই ম্যাচের জন্য ২৫০ মিনিট বাড়তি বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ, নির্ধারিত সময়ের ৪ ঘণ্টা ১০ মিনিট পর্যন্ত সময় নষ্ট হলেও তার জন্য ওভার কমানো হবে না, সম্পূর্ণ ম্যাচ খেলানো হবে।
এরপরও যদি খেলা শুরু করা না যায়, তবেই ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমানোর সিদ্ধান্তে যাবে আইসিসি। তবে এক্ষেত্রে দুদলকেই কমপক্ষে ১০ ওভার করে খেলানো হবে, গ্রুপ পর্বে যা ছিল মাত্র ৫ ওভার। এরপরও খেলা সম্ভব না হলে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হবে।
ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেই কপাল পুড়বে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের। কারণ, সুপার এইট পর্বে ইংল্যান্ডের চেয়ে (৪) ভারতের পয়েন্টই (৬) বেশি ছিল। আর টুর্নামেন্টের নিয়ম এটা।
আরও পড়ুন: রেকর্ড বইয়ে ১৩ পরিবর্তন আনল প্রোটিয়া-আফগান ম্যাচটি
৪ মাস আগে