গায়েব
চট্টগ্রাম আদালতের ১,৯১১ মামলার নথি গায়েব
চট্টগ্রাম আদালত থেকে এক হাজার ৯১১টি মামলার নথির কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় সোমবার (৬ জানুয়ারি) নগরের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভুঁইয়া।
পিপির কার্যালয়ের সামনে বারান্দা থেকে এই নথি গায়েবের ঘটনায় বিস্মিত আইনজীবীরা। তারা বলছেন, হত্যা, মাদক, চোরাচালান, বিস্ফোরণসহ বিভিন্ন মামলার এসব নথি বিচারিক কাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আইনজীবীরা আরও বলছেন, এসব নথি না থাকলে অপরাধ প্রমাণ করা কঠিন হবে। এছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি করেন তারা।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮-৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। জায়গা-স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় এক হাজার ৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্চে ৫ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর আদালতে আত্মসমর্পণ
আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩-৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে গেছে। খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি।
কয়েকজন বিচারপ্রাপ্তি জানান, বিচারিক কাজে সিডি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অভিযোগপত্রের সঙ্গে আদালতে সিডি জমা দিতে হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিডিতে মামলার ধারাবাহিক অগ্রগতির বিবরণ লিখে রাখেন।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ইউএনবিকে বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিডিতে মামলার ধারাবাহিক অগ্রগতির বিবরণ লিখে রাখেন। তদন্ত কর্মকর্তার পরিবর্তন হলে নতুন কর্মকর্তাও একই সিডিতে বিবরণ লেখেন। সে অনুযায়ী আদালতে সাক্ষ্য দেন। সিডি থাকলে ৫ থেকে ১০ বছর পরও সাক্ষ্য দিতে সুবিধা হয়।’
নইলে মামলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটের আদালতে ছাত্রলীগের ২২ নেতাকর্মীর আত্মসমর্পণ
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মফিজুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘আদালতের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থান থেকে মামলার নথি হারিয়ে যাওয়ার ঘটনা ছোটখাটো বিষয় নয়। এগুলো গায়েব করার পেছনে কে বা কারা জড়িত, তা বের করতে হবে।’ আসামিরা মামলা থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য এ কাজ করতে পারেন বলে তার ধারণা।
১০২ দিন আগে
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড থেকে নম্বরপত্র গায়েব, থানায় জিডি
চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ট্রাংক থেকে ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দুইটি নম্বরপত্র উধাও হয়ে গেছে৷
এ ঘটনায় নগরীর পাচলাইশ থানায় জিডি করেছেন বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ দিদারুল আলম৷
গত ১৯ মে সকাল ১০টার দিকে ট্রাংকের তালা খোলা দেখতে পেয়েছিল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়ার ১৬ দিন পর মঙ্গলবার রাতে জিডি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইজিপির কাছে ‘গায়েবী’ মামলার প্রতিকার চাইল বিএনপি
জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, আমরা একটি সাধারণ ডায়েরি পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।
জিডিতে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার অফিস কক্ষে তিনটি ট্রাংকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা-২০২৩ এর শিক্ষার্থীদের লক্ষাধিক নম্বরফর্দ রক্ষিত ছিল। গত ১৯ মে সকাল ১০টায় আমি দেখলাম, ওই তিনটি ট্রাংকের মধ্যে একটি ট্রাঙ্কের লাগানো তালা নেই। বিষয়টি আমি তাৎক্ষণিক চেয়ারম্যান মহোদয়কে লিখিতভাবে অবহিত করি। পরবর্তীতে ৩ জুন বিকাল ৩টার সময় ভাঙা ট্রাংকটি তদন্ত কমিটির নির্দেশক্রমে শিক্ষাবোর্ডের দুইজন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ট্রাংকে শিক্ষার্থীদের দুইটি নম্বরফর্দ নেই।’
বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, শুধু নম্বরফর্দ নয় ওই দুই শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরপত্রও গায়েব হয়ে গিয়েছে উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কক্ষ থেকে। বিষয়টি আমাকে অবহিত করার সঙ্গে সঙ্গে আমি আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি।
১৬ দিন পর জিডি করার বিষয়ে জানতে চাইলে বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, তিনি এতদিন পর এসে কেন জিডি করলে সেটা তিনি ভালো বলতে পারবেন।
রেজাউল বলেন, নম্বর ফর্দ ও স্বাক্ষর পত্রের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সংরক্ষণ করার দায়িত্ব যার এগুলো হারিয়ে গেলে দায়ও তার।
এক প্রশ্নের জবাবে বোর্ডে নবাগত চেয়ারম্যান বলেন, তিনি যদি কোনো দূর্নীতির সঙ্গে জড়িত হন তিনি তার শাস্তি পাবেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে সাঈদীর ‘গায়েবানা’ জানাজার অনুমতি পায়নি জামায়াত
চকরিয়ায় সাঈদীর গায়েবানা জানাজা শেষে বিক্ষোভ মিছিলে সংঘর্ষ, নিহত ১
৩১৭ দিন আগে