সুপার এইট
অজিদের অনিশ্চয়তায় ফেলে সেমিতে ভারত
ভারতীয় বোলিং আক্রমণের সামনে ২০৬ রানের লক্ষ্য যে কতটা বড়, তা টের পেতে দিল না অস্ট্রেলিয়া। তবে গত নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারানো ভারতের বিপক্ষে শেষ পর্যন্ত হার মেনেই নিতে হয়েছে।
সোমবার সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত বিশ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রানে শেষ হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
এর ফলে ২৪ রানে জিতে টেবিলের শীর্ষে থেকে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভারত। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার সেমি-ফাইনালে খেলা পড়ে গেছে অনিশ্চয়তায়।
আরও পড়ুন: রোহিতের তাণ্ডবে দুর্জয় লক্ষ্যের সামনে অস্ট্রেলিয়া
এদিন ট্র্যাভিস হেডের ব্যাটে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। তার ৪৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংসটিই দলের সর্বোচ্চ। এছাড়া মিচেল মার্শ ৩৭ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২০ রান করেন।
ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন আর্শদীপ সিং। এছাড়া কুলদীপ যাদবের ঝুলিতে গেছে দুটি উইকেট।
২০৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ভারতের মতোই উইকেট হারিয়ে ইনিংস শুরু হয় অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ওভারের শেষ বলে আর্শদীপের আউটসাইড অফ লেংথের ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৬ বল মোকাবিলায় ৬ রান করে তিনি সাজঘরে ফিরলে দলীয় ৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় অজিরা।
এরপর ট্র্যাভিস হেডকে সঙ্গ দিতে আসেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ। এখানেও ভারতের মতোই পিটিয়ে খেলতে থাকেন হেড, আর তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে থাকেন মার্শ। আর উইকেট না হারিয়ে প্রথম পাওয়ার প্লেতে ৬৫ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। এরপর মাত্র ২৪ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন হেড। তবে মাঝে মিচেল মার্শ আউট হয়ে গেলে ভাঙে ৮১ রানের জুটি।
এর ফলে নিজের প্রথম ওভারে মাত্র চার রান দেওয়া কুলদীপ দ্বিতীয় ওভারেই দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন। দুবার জীবন পাওয়ার পর অক্ষর প্যাটেলের হাতে দারুণ এক ক্যাচ হয়ে ফিরে যান মার্শ। ফেরার আগে ২৮ বলে দুটি ছক্কা ও তিনটি চারের সাহায্যে ৩৭ রান করে যান তিনি।
এরপর চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এসে সূর্যকুমারের মতোই হেডের সঙ্গে তাল মেলান। দুজনেই মেরে খেলতে শুরু করেন।
তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি ম্যাক্সওয়েলও। কুলদীপের শেষ ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান তিনি। একটু স্লোয়ার ডেলিভারি দিয়েছিলেন কুলদীপ। তা দেখে খানিকটা এগিয়ে এসে জোরে ব্যাট চালান ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু ব্যট-বলে সংযোগ না হওয়া উইকেট উপড়ে যায়। ১২ বলে একটি ছক্কা ও দুটি চারে ২০ রান করে তিনি আউট হয়ে গেলে ১২৮ রানে তিন উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
পরের ওভারের প্রথম বলে ফিরে যান নতুন ব্যাটার মার্কাস স্টয়নিসও। অক্ষর প্যাটেলের ডেলিভারিতে রিভার্স সুইপ করে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট অঞ্চলে হার্দিকের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
পরপর দুই উইকেট হারিয়ে খানিকটা চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। সঙ্গে প্রয়োজনীয় রান রেটও বাড়তে থাকে। চাপের সুযোগ নিয়ে এরপর হেডকে ফেরান বুমরাহ।
অস্ট্রেলিয়ার রানের গতি পড়ে গেলে ব্রেকথ্রুর আশায় বুমরাহর হাতে বল তুলে দেন রোহিত। ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারের তৃতীয় ডেলিভারিতে স্লোয়ার দেন বুমরাহ, কিন্তু তা না বুঝতে পেরে রোহিতের কাছে ক্যাচ দেন হেড। ফেরার আগে ৪৩ বলে চারটি ছক্কা ও ৯টি চার মেরে ৭৬ রান করেন তিনি। এর ফলে ১৬.৩ ওভারে ১৫০ রানে পাঁচ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। জিততে তাদের তখন প্রয়োজন ২১ বলে ৫৬ রান।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার ‘মহা গুরুত্বপূর্ণ’ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত
পরের ওভারের প্রথম বলেই নতুন ব্যাটার ম্যাথিউ ওয়েডকে ফেরান আর্শদীপ। এরপর টিম ডেভিড ওই ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে চার, ছক্কা মেরে ম্যাচে থাকার আভাস দেন। কিন্তু পঞ্চম বলে স্লিপে ধরা পড়ে ফিরতে হয় তাকেও।
শেষ দুই ওভারে ৩৯ রানের প্রয়োজন ছিল ৭ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়ার। তবে সর্বসাকুল্যে ১৪ রান তুলতে সমর্থ হন প্যাট কামিন্স ও মিচেল স্টার্ক। ফলে ১৮১ রানে শেষ হয় অজিদের ইনিংস।
এর ফলে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হারের শোধ নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অনিশ্চয়তায় ফেলে সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করে ভারত।
অন্যদিকে, অজিদের সেমিভাগ্য ঝুলে গেছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচের ফলাফলের ওপর। ম্যাচটি পরিত্যক্ত হলে কিংবা আফগানিস্তান জিতলে তারা সেমি-ফাইনালে উঠে যাবে। সেক্ষেত্রে সুযোগ থাকছে বাংলাদেশের সামনেও। টাইগাররা যদি ১৬০ রান করে অন্তত ৬২ রানের জয় পায়, তাহলে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানদের কাঁদিয়ে তারাই উঠে যাবে সেমি-ফাইনালে। আর এর চেয়ে কম রানে (আগে ব্যাটিং ধরে) বাংলাদেশ জিতলে সুপার এইট পর্বে মাত্র এক ম্যাচ জিতেও সেমি-ফাইনালে উঠবে অস্ট্রেলিয়া।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টায় শুরু হতে চলেছে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ম্যাচটি।
৫ মাস আগে
রোহিতের তাণ্ডবে দুর্জয় লক্ষ্যের সামনে অস্ট্রেলিয়া
ভারতের বিপক্ষে জয়, নাহলে ন্যূনতম ব্যবধানে হার- এমন সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেও ম্যাচটি কঠিন করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। মূলত সময়মতো ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার ব্যাটিং তাণ্ডব থামাতে ব্যর্থ হয়ে বিশাল লক্ষ্যের সামনে পড়ে গেছে তারা।
টস হেরে শুরুতে ব্যাটিং করে রান পাহাড়ে চড়েছে ভারত। রোহিতের ৪১ বলে ৯২ রানের ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে অজিদের ২০৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে তারা।
রোহিতের দুর্দান্ত ইনিংসটি ছিল ৮টি ছক্কা ও ৭টি চারের মারে সাজানো। এছাড়া সূর্যকুমার যাদব ১৫ বলে ৩১ রান এবং একই সংখ্যক বল মোকাবিলা করে অপরাজিত ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন হার্দিক পান্ডিয়া। সেইসঙ্গে শিবম দুবে ২৮ রানের ধৈর্য্যশীল ইনিংসটিও বড় লক্ষ্য গড়তে ভূমিকা রাখে।
আরও পড়ুন: বাটলারের ব্যাটিং ঝড়ে উড়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র, সেমিতে ইংল্যান্ড
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মিচেল স্টার্ক চার ওভারে ৪৫ রান খরচায় দুই উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট নিয়েছেন মার্কাস স্টয়নিসও, তিনি দিয়েছেন ৫৬ রান। তবে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন জশ হেজলউড। রান ফোয়ারার ইনিংসেও চার ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন তিনি।
ইনিংসের শুরুতে বিরাট কোহলিকে হেজলউড শূন্য রানে ফিরে দিলেও উইকেটে তার অনুপস্থিতি টেরই পেতে দেননি রোহিত। দ্বিতীয় ওভারে কোহলি ফিরে গেলে পরের ওভারে চারটি ছক্কা ও একটি চার মেরে স্টার্কের কাছ থেকে ২৯ রান সংগ্রহ করেন রোহিত। ব্যাটিং ঝড় ধরে রেখে মাত্র ১৯ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এটিই চলমান বিশ্বকাপে সবচেয়ে দ্রুত হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ড।
এরপর একই গতিতে সেঞ্চুরির দিকে এগোন তিনি। মাঝে অষ্টম ওভারের শেষ বলে মার্কাস স্টয়নিসের বলে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এতক্ষণ তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে আসা ঋষভ পান্ত। ১৪ বলে ১৫ রান করে তিনি আউট হলে ৯৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত।
এরপর সূর্যকুমার একে রোহিতের সঙ্গে তাল দেন। পিটিয়ে খেলা শুরু করেন তিনিও। দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবে প্রথম দশ ওভারে ১১৪ রান তোলে ভারত। এরপর দ্বাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে স্টার্কের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় রোহিতকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি থেকে বঞ্চিত হলেও এই ফরম্যাটের বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিজের সেরা ইনিংসটি খেলে বিদায় নেন তিনি।
এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল অপরাজিত ৮৩। সেটিও চলতি আসরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই।
এছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর করে রেকর্ড বইয়ে আরও একবার নাম লেখান তিনি। এই তালিকায় ১০১ রান নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন সুরেশ রাইনা। ২০১০ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি এই রেকর্ড করেন।
এরপর শিবম দুবে এসেও রানের ধারা অব্যাহত রাখেন। তবে ১৪.৩ ওভারে সূর্যকুমার ফিরে গেলে রানের চাকা কিছুটা স্লথ হয়ে যায়। তারপরও হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে ভালোই এগোচ্ছিলেন দুবে। ১৯তম ওভারের প্রথম দুই বলে দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে দুবে স্ট্রাইক দেন হার্দিক। তিনিও মেরে খেলতে চাইলে চতুর্থ বলে ক্যাচ হয়ে যান। ফেরার আগে ২২ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার ‘মহা গুরুত্বপূর্ণ’ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত
এরপর রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন হার্দিক পান্ডিয়া। ১৭ বলে দুটি ছক্কা ও একটি চারে ২৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। জাদেজা মাত্র ৫ বল খেলার সুযোগ পান। এর মধ্যে একটি ছক্কা মেরে ৯ রান করেন তিনি।
শেষ পর্যন্ত পাঁচ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান করে মাঠ ছাড়ে ভারত। ফলে জিততে হলে এই লক্ষ্য টপকাতে হবে ওয়ার্নার-ট্যাভিস হেডদের। কিন্তু বুমরাহ-কুলদীপদের বোলিংয়ের সামনে কাজটি করে দেখানো যে কতটা কঠিন, তা চলতি বিশ্বকাপে ভারতের খেলা দেখা সবাই জানেন। ফলে দুর্জয় এই লক্ষ্য মোকাবিলা করে সেমির টিকিট নিশ্চিত করতে পারবে কি না অস্ট্রেলিয়া, তা তাদের ব্যাটারদের ওপর নির্ভর করছে এখন।
৫ মাস আগে
অস্ট্রেলিয়ার ‘মহা গুরুত্বপূর্ণ’ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ভারত
আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে সেমিফাইনালের পথ কঠিন করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটি তাই তাদের জন্য মহা গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ জিতলে সেমির জায়গা মোটামুটি পাকাপোক্ত হয়ে যাবে তাদের। এমন সমীকরণ সামনে রেখে মাঠে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত।
সোমবার সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন অস্ট্রোলিয়ার অধিনায়ক মিচেল মার্শ।
গত নভেম্বরে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে সবশেষ দেখায় ভারতকে হারিয়ে ফের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে এই ম্যাচটি ভারতের জন্য প্রতিশোধেরও বটে।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টিতে কামিন্সের বিরল কীর্তি
ভারতের বিপক্ষে হারলেও সেমি-ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা টিকে থাকবে অস্ট্রেলিয়ার। সেক্ষেত্রে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিততে হবে বাংলাদেশের। তবে এত কঠিন সমীকরণের দিকে নিশ্চয় যেতে চাইবেন না মিচেল মার্শ।
টসের পর সে কথাই উঠে আসে তার বক্তব্যে, ‘এখান থেকে প্রতিটি ম্যাচই জিততে হবে আমাদের। এই ম্যাচ আমাদের জন্য কোয়ার্টার ফাইনালের মতো।’
তবে আজকে হেরে গেলেও সেমি-ফাইনালে ওঠা নিয়ে খুব বেশি দুশ্চিন্তায় পড়া লাগবে না ভারতের। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানকে হারিয়ে ভালো নেট রান রেট (২.৪২৫) নিয়ে ইতোমধ্যে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে তারা। আফগানিস্তান যদি বাংলাদেশের বিপক্ষে জেতেও, সেক্ষেত্রে -০.৬৫০ থেকে নেট রান রেট ভারতের ওপরে নিয়ে যাওয়াটা সত্যিই কষ্টসাধ্য তাদের জন্য। এক্ষেত্রে বরং দুশ্চিন্তা থাকবে অস্ট্রেলিয়ারই।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ: বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
সেন্ট লুসিয়ায় এটি ভারতের প্রথম ম্যাচ হলেও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে এখানে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। সেই ম্যাচটি তারা বড় ব্যবধানে জিতেছিল। তবে ভারতের এই মাঠে এটিই প্রথম ম্যাচ। ফলে ভারতের অনভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাইবে অস্ট্রেলিয়া।
আজকের ম্যাচে স্পিনার এস্টন এগারের পরিবর্তে মিচেল স্টার্ককে নিয়ে মাঠে নেমেছে অস্ট্রেলিয়া।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পান্ত, সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, আরশদীপ সিং ও জাসপ্রিত বুমরাহ।
অস্ট্রেলিয়া একাদশ: ট্র্যাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ (অধিনায়ক), গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিস, টিম ডেভিড, ম্যাথু ওয়েড, প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা ও জশ হ্যাজলউড।
৫ মাস আগে
জটিল সমীকরণ সামনে রেখে বোলিংয়ে ইংল্যান্ড
সেমি-ফাইনালের জায়গা পোক্ত করার লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এদিন টস ভাগ্য ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের দিকে গিয়েছে।
রবিবার (২৩ জুন) ব্রিজটাউনে সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে স্বাগতিকদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন বাটলার।
প্রথম দুই রাউন্ডে মিশ্র পারফরম্যান্সে শেষ রাউন্ডে এসে জমে উঠেছে এই গ্রুপের ম্যাচদুটি। যেকোনো দিকে হার-জিতে সেমির ভাগ্য খুলে যেতে পারে যেকোনো দলের। এমন জটিল সমীকরণ মাথায় নিয়ে চ্যাম্পিয়নদের মোকাবিলা করতে মাঠে নেমেছে স্বাগতিকরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচ জিতলেও পরের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারে ইংল্যান্ড। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি তাই সেমি-ফাইনালে যেতে দলটির জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে প্রথম দুই ম্যাচে হেরে খাদের কিনারায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে কাগজে-কলমে এখনও সেমিতে ওঠার সম্ভাবনা টিকে আছে তাদের। সেক্ষেত্রে আজকের ম্যাচে বড় জয়ের বিকল্প নেই স্বাগতিকদের সামনে।
আরও পড়ুন: ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের দুর্দান্ত জয়
এই গ্রুপে দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া ইংল্যান্ড ও উইন্ডিজরা একটি করে ম্যাচ জেতায় সেমি-ফাইনাল এখনও উন্মুক্ত রয়েছে প্রতিটি দলের জন্যই।
সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করতে আজকের ম্যাচটি শুধু জিতলেই হচ্ছে না ইংল্যান্ডের। সোমবার ক্যারিবীয়দের মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওই ম্যাচের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের। প্রোটিয়ারা ম্যাচটি জিতে গেলে কোনো হিসাব ছাড়াই সেমি-ফাইনাল নিশ্চিত করবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড। তবে ইংল্যান্ড জিতলে এবং দক্ষিণ আফ্রিকা হারলে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায় নিশ্চিত করে বাকি তিন দলেরই পয়েন্ট হবে ৪। সেক্ষেত্রে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকা দুই দল উঠবে সেমিতে।
আবার, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইংলিশদের হারায়, আর দক্ষিণ আফ্রিকা ক্যারিবীয়দের হারায়, তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সরাসরি সেমির টিকিট পেলেও বাকি তিন দলের পয়েন্ট হবে ২ করে। ফলে নেট রান রেটে এগিয়ে থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের যে কারও সেমি-ফাইনাল ভাগ্য খুলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: অসাধারণ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেও হারল যুক্তরাষ্ট্র
ইংল্যান্ড একাদশ: ফিলিপ সল্ট, জস বাটলার (অধিনায়ক), জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক, মঈন আলী, লিয়াম লিভিংস্টোন, স্যাম কারান, ক্রিস জর্ডান, জোফরা আর্চার, আদিল রশিদ ও রিস টপলি।
যুক্তরাষ্ট্র একাদশ: স্টিভেন টেইলর, অ্যান্ড্রিস গাউস, নীতীশ কুমার, অ্যারন জোন্স (অধিনায়ক), কোরি অ্যান্ডারসন, মিলিন্দ কুমার, হারমিত সিং, শ্যাডলি ভ্যান শালকউইক, নস্টুশ কেনজিগে, আলী খান ও সৌরভ নেত্রাভালকার।
৫ মাস আগে
লড়াই করে হারল বাংলাদেশ, সেমির দুয়ারে ভারত
সেমিফাইলের লড়াইয়ে টিকে থাকার জন্য দ্বিতীয় ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশের। তবে প্রথম ইনিংসেই টাইগারদের সেই স্বপ্ন দুরূহ করে দেন ভারতের ব্যাটাররা। পরে বোলাররা তাদের কাজ সারলে ৫০ রানের জয় পায় ভারত। আর পরপর দুই ম্যাচ হেরে সুপার এইটের ‘গ্রুপ ১’-এর প্রথম দল হিসেবে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল বাংলাদেশের।
এই ম্যাচে ভারতের দেওয়া ১৯৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলটির দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করেনি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। নিয়মিত উইকেট পড়লেও তারা রীতিমতো ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলে গেছেন শেষ পর্যন্ত। তবে ১৪৬ রানের বেশি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
টাইগারদের হয়ে অধিনায়ক শান্ত সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন। এছাড়া তানজিদ তামিম ২৯ ও রিশাদ হোসেন ২৪ রান করেন।
ভারতের বোলারদের মধ্যে কুলদীপ যাদব ১৯ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন। এছাড়া জসপ্রীত বুমরাহ ১৩ রানে দুটি উইকেট নেন। দুই উইকেট পেয়েছেন আর্শদীপ সিংও, তবে তিনি ৩০ রান দিয়েছেন।
বল-ব্যাটে অসাধারণ পারফর্ম করা হার্দিক পান্ডিয়ার হাতে উঠেছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
৬ মাস আগে
দলীয় পারফরম্যান্সে ভারতের বড় সংগ্রহ
টসের সময় ভারতীয় ব্যাটারদের ১৫০-১৬০ রানের মধ্যে আটকে দেওয়ার প্রত্যয় ঝরে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠে। তবে সেই লক্ষ্য পার করে অনেক দূরে গিয়ে থেমেছে রোহিত-কোহলিদের ইনিংস।
শনিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান সংগ্রহ করেছে ভারত।
ভারতের হয়ে শুধু হার্দিক পান্ডিয়া চল্লিশোর্ধ রান করতে পেরেছেন। তবে ভালো স্ট্রাইক রেট ধরে রেখে ব্যাটারদের প্রায় সবাই ৩০ পার করেছেন।
দলের হয়ে হার্দিক পান্ডিয়া সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫০ রান করেন। এই রান করতে ২৭ বল মোকাবিলা করে ৩টি ছক্কা ও চারটি চার মারেন তিনি।
এছাড়া বিরাট কোহলি ২৮ বলে ৩৪, ঋষভ পান্ত ২৪ বলে ৩৬, শিবম দুবে ২৪ বল ৩৪ এবং রোহিত শর্মা ১১ বলে ২৩ রান করেন।
বাংলাদেশের হয়ে তানজিম সাকিব চার ওভারে ৩২ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন। রিশাদও দুই উইকেট পেয়েছেন, তবে তিন ওভারে তিনি রান খরচ করেছেন ৪৩টি। মুস্তাফিজুর এদিন চার ওভারে উইকেট না পেলেও ৪৮ রান দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তাসকিনকে বাদ দিয়ে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। প্রথম তিন ওভারে তারা ২৯ রান তোলার পর চতুর্থ ওভারের প্রথম তিন বলে একটি ছক্কা ও চার মারেন রোহিত। তবে পরের বলে সাকিবের বলে টপ এজ হয়ে এক্সট্রা-কভার অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা জাকের আলীর হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এরপর ক্রিজে এসে শেখ মেহেদীকে একটু সমীহ করে দুই ওভারে দেখেশুনে খেলে হাত খুলতে শুরু করেন ঋষভ। এর মধ্যে অবশ্য অষ্টম ওভারের প্রথম বলে কোহলিকে বোল্ড করে ওই ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেন তানজিম সাকিব। প্রথম বলেই তানজিমকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ব্যাট-বলের সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন কোহলি। এরপর উইকেট এলোমেলো করে দিয়ে চলে যায় বল।
পরের বলে উইকেটে এসেই ছক্কা মারেন সূর্যকুমার যাদব। এর পরের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
তারপর শিবম দুবেকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন ঋষভ। একাদশ ওভারে মুস্তাফিজকে মেরে ১১ রান নেন এই দুই ব্যাটার। পরের ওভারে রিশাদকে একটি ছক্কা ও চার মারার পরের বলে শর্ট থার্ড ম্যানে ধরা পড়েন তিনি। ২৪ বলে ২টি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ৩৬ রান করে পান্ত ফিরে গেলে ১২ ওভার শেষে চার উইকেটে ১১০ রান সংগ্রহ করে ভারত।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ: বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
এরপর হার্দিক ক্রিজে এলে পরের দুই ওভার রানের গতি কমে যায় ভারতের। তবে ১৫তম ওভার থেকে ফের শুরু হয় বাংলাদেশি বোলারদের শাসন। ওই ওভারে ১৪ রান নিয়ে পরের ওভারে ১২ রান নেন তারা। এরপর ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রিশাদকে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে বোল্ড হয়ে যান শিবম। তিনি ফিরে গেলে বাকি কাজটুকু একাই সারেন হার্দিক। আর তাকে যথাযথ সঙ্গ দেন অক্ষর প্যাটেল।
ফিফটি করতে শেষ বলে চার রানের প্রয়োজন ছিল হার্দিকের। মুস্তাফিজ ভালো ডেলিভারি দিলেও দক্ষতার জোরে চার আদায় করে ব্যাট উঁচিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
৬ মাস আগে
তাসকিনকে বাদ দিয়ে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
সুপার এইটের প্রথম ম্যাচ হেরে সেমি ফাইনালের দৌড়ে খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। টিকে থাকার লড়াইয়ে শনিবার ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে টাইগাররা।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ড স্টেডিয়ামে টস ভাগ্য বাংলাদেশের পক্ষে গিয়েছে। এরপর শুরুতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
টস শেষে শান্ত বলেন, ‘(ভারতকে) অল্প রানে গুটিয়ে দিয়ে লক্ষ্য তাড়া করে জিততে চাই- এটাই পরিকল্পনা। এখানকার কন্ডিশন আমাদের পরিচিত। বাতাসের বিষয়টিও জানি। উইকেট যথেষ্ট ভালো বলে মনে হচ্ছে। ১৫০-১৬০ রান ভালো সংগ্রহ হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের বোলিং আগুনে পুড়ল আফগানিস্তান
এদিন তাসকিনকে বিশ্রাম দিয়ে জাকের আলীকে একাদশে ফেরানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে, রোহিত শর্মা বলেন, ‘টস জিতলেও আগে ব্যাটিং করতাম। উইকেটের পরিস্থিতি (আমাদের) দ্রুত বুঝে ফেলতে হবে। গত ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নামছি আমরা।’
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান তামিম, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, মাহেদী হাসান, তানজিম হাসান সাকিব ও মুস্তাফিজুর রহমান।
ভারত একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, ঋষভ পান্ত (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, শিবম দুবে, হার্দিক পান্ডিয়া, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, আর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব ও জাসপ্রীত বুমরাহ।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ: বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
৬ মাস আগে
ভারতের বোলিং আগুনে পুড়ল আফগানিস্তান
ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে চেনাই গেল না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকে বল-ব্যাট দুপাশেই সমান সামর্থ্য দেখানো আফগানিস্তানকে। গত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৪ রানে হারার পর এবার ভারতের বিপক্ষে তারা হারল ৪৭ রানে।
বৃহস্পতিবার বার্বাডোজের কিংস্টন ওভালে সুপার এইটের ‘গ্রুপ ১’ এর ম্যাচে টস জেতে ভারত। এরপর শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩৪ রানে গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস।
আফগানিস্তানের আজমাতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ২৬ রানের স্কোরটিই দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। আর কোনো ব্যাটার ২০ ছুঁতে পারেনি।
অন্যদিকে, বরাবরের মতোই বোলিংয়ে আগুন ঝরিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। ৪-১-৭-৩ হচ্ছে তার বোলিং ফিগার। এছাড়া সিরাজের পরিবর্তে একাদশে ফেরা কুলদীপ যাদব এবং আর্শদীপ সিং দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
প্রথম ইনিংসে দলের নিয়মিত উইকেট পতন ঠেকিয়ে ২৮ বলে ৫৩ রান করা সূর্যকুমার যাদবকে দেয়া হয়েছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
আরও পড়ুন: সূর্যকুমারের ব্যাটে আফগানদের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই আফগানদের উইকেটের খাতা খোলেন বুমরাহ। ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে কট বিহাইন্ড করে সাজঘরে পাঠান তিনি।
১৩ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর ১০ রান সংগ্রহ করতে না করতেই অক্ষর প্যাটেলের শিকার হন ইব্রাহিম জাদরান। পরের ওভারে ২৩ রানের মাথায়ই হজরতউল্লাহ জাজাইকে ফেরার বুমরাহ। এরপর গুলবাদিন নায়েব ও আজমাতউল্লাহ ওমরজাই একটি বড় জুটি গড়ার ইঙ্গিত দিলেও ভারতকে ব্রেকথ্রু এনে দেন কুলদীপ।
এই সময়ে ভারতের স্পিনাররা ভেলকি দেখান। ২১ বলে ১৭ রান করা গুলবাদিনকে কুলদীপ ফেরানোর পরের ওভারে ওমরজাইকে আউট করেন রবীন্দ্র জাদেজা। ফলে ৬৭ ও ৭১ রানে পড়ে আফগানিস্তানের যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেট।
এরপর ৩১ রানের একটি জুটি গড়ে প্রতিরোধের আশা জাগান নাজিবউল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবী। কিন্তু বুমরাহর শেষ ওভারটি সামলাতে করতে পারেননি জাদরান। ১৭ বলে ১৯ রান করে তিনি ফিরে গেলে পরের ওভারে নবীকে ফেরার কুলদীপ। ফলে ১০২ ও ১১৪ রানে ষষ্ঠ ও সপ্তম উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন: এখান থেকে যা পাব, তাই আমাদের জন্য বোনাস: হাথুরুসিংহে
এরপর ১৭.৪তম ওভারে এসে পরপর দুই বলে জোড়া উইকেট শিকার করেন আর্শদীপ। দলীয় ১২১ রানের মাথায় তরুণ এই ভারতীয় পেসারের তোপের শিকার হয়ে ফেরেন রশীদ খান ও নবীন-উল-হক। এরপর ইনিংসের শেষ বলে আর্শদীপের বলেই রোহিতের তালুবন্দি হন নূর আহমদ। ফলে ২০ ওভারে ১৩৪ রানে থামে আফগানিস্তানের ইনিংস।
এই জয়ে সেমি ফাইনালে কার্যত এক পা দিয়ে রাখল ভারত। এখন তাদের সামনে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে একটি ম্যাচ জিতলেও সেমির টিকিট কাটতে পারবে রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং।
শুক্রবার ভোরে গ্রুপের অপর ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া।
৬ মাস আগে
সূর্যকুমারের ব্যাটে আফগানদের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও আফগানিস্তানের সামনে বড় লক্ষ্য দাঁড় করাতে পেরেছে ভারত। সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়ার ৬০ রানের জুটিতে আট উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান সংগ্রহ করেছে রোহিত শর্মার দল।
১৮১ রান সংগ্রহে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন সূর্যকুমার। মাত্র ২৮ বলে তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। এছাড়া ২৪ বলে ৩২ রান করেন হার্দিক।
আফগানদের হয়ে অধিনায়ক রশিদ খান ও ফজলহক ফারুকি যথাক্রমে ২৬ ও ৩৩ রান দিয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
ব্যাট করতে নেমে ভারতের সাবধানী শুরুর পরও তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট তুলে নেয় আফগানিস্তান। ফারুকির ফুলার লেংথ ডেলিভারিটি মিড-অনের ওপর দিয়ে উড়িয়ে সীমানাছাড়া করতে চেয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু বলটি সোজা উপরে উঠে গেলে রশিদ খানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফলে ১১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
এরপর ঋভষ পান্ত এসেই হাত খুলে খেলা শুরু করেন। তবে ৫.৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ১৫ রানের মাথায় জীবন পান তিনি। মোহাম্মদ নবীর ডেলিভারিটি ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের দিকে ঘুরিয়ে দিতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন তিনি। তবে সীমান্তে সজহ কাচটি ধরতে ব্যর্থ হন নবীন-উল-হক, উল্টো প্রতিপক্ষকে একটি চার উপহার দেন তিনি।
এর ফলে পাওয়ার প্লে শেষে এক উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান তোলে ভারত। এসময় ঋষভ হাত চালিয়ে খেললেও অপর প্রান্তে ধরে খেলছিলেন বিরাট কোহলি।
আরও পড়ুন: সেমির মিশনে আফগানদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ভারত
তবে পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই ফিরতে হয় ঋভকে। সপ্তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে বাঁচতে পারেননি। ফলে ১১ বলে চারটি চারে ২০ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
নবম ওভারে রশিদের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে আউট সাজঘরে ফেরেন কোহলিও। রশিদের ফুল লেংথ ডেলিভারিটি ওয়াইড লং-অফ অঞ্চল দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে বলটি বেশি উচ্চতা পায়নি, ফলে সোজা নবীর হাতে গিয়ে পড়ে। ফেরার আগে একটি ছক্কার সাহায্যে ২৪ বলে ২৪ রান করেন কোহলি।
এরপর সূর্যকুমারের সঙ্গে দলকে পথ দেখাতে থাকেন শিবম দুবে। তবে অদূরেই তাকে থামান রশিদ।
তারপর দলকে বড় সংগ্রহের দিকে চালিত করেন সূর্যকুমার ও হার্দিক। ১৭তম ওভারের শেষ বলে সূর্যকুমার ফিরে গেলে ভাঙে তাদের ৬০ রানের জুটি। ৬ বল পর ফিরে যান হার্দিকও।
শেষের দিকে রবীন্দ্র জাদেজা (৭), অক্ষর প্যাটেল (১২) ও আর্শদীপ সিং স্কোরবোর্ডে কিছু রান যোগ করলে ১৮১ রান সংগ্রহ করে মাঠ ছাড়ে ভারত।
আরও পড়ুন: এখান থেকে যা পাব, তাই আমাদের জন্য বোনাস: হাথুরুসিংহে
৬ মাস আগে
এখান থেকে যা পাব, তাই আমাদের জন্য বোনাস: হাথুরুসিংহে
সেমিফাইনালে খেলতেই হবে- এমন চাপ নিয়ে টাইগাররা রাতের ঘুম হারাম করছে না বলে জানিয়েছেন কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। তিনি বলেছেন, কঠিন গ্রুপে পড়েও সুপার এইটে আসতে পেরে আমরা খুশি।
খেলোয়াড়দের ওপর বাড়তি চাপ না দিয়ে বরং স্বাধীনভাবে খেলতে দিতে চান তিনি। বলেছেন, এই পর্যায়ে এসে এখন যেটুকু অর্জন করতে পারি, সেটাই আমাদের জন্য বোনাস।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার মতো দলের সঙ্গে এক গ্রুপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সঙ্গে আরও ছিল সাম্প্রতিক সময়ে টি-টোয়েন্টিতে আলো ছড়ানো এশিয়ার রাইজিং স্টার নেপাল এবং ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে টক্কর দেওয়া নেদারল্যান্ডস। এমন প্রতিযোগিতার মাঝেও দ্বিতীয় সেরা দল হওয়ায় শিষ্যদের তারিফ করতে ভুললেন না তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অভিজ্ঞ এই কোচ বলেন, ‘সুপার এইটে ওঠার লক্ষ্য নিয়েই আমরা (বিশ্বকাপে) খেলতে এসেছিলাম। সেই লক্ষ্য আমরা দারুণভাবে অর্জন করেছি। বোলাররাই আমাদের টুর্নামেন্টে টিকিয়ে রেখেছে।’
‘আমরা কন্ডিশনের সঙ্গে নিজেদের ভালোভাবে মানিয়ে নিয়েছি এবং কন্ডিশনের সদ্ব্যবহারও করেছি ঠিকঠাক।’
আরও পড়ুন: নেপালকে হারিয়ে সুপার এইটে বাংলাদেশ
সুপার এইটে প্রতিপক্ষ স্বাভাবিকভাবেই তুলনামূলক শক্তিশালী। ভারত, অস্ট্রেলিয়ার পাশাপাশি আছে এশিয়ার আরেক দল আফগানিস্তানও। টি-টোয়েন্টিতে তারা সবাই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। তাই দলকে প্রত্যাশার চাপ না দিয়ে নির্ভার রাখতে চান কোচ হাথুরুসিংহে।
‘এখানে আসতে পেরেছি, এতেই আমরা খুশি। এখন যতটা পারি এগিয়ে যেতে হবে। এখান থেকে যতটুকু পাব, তা-ই আমাদের জন্য বোনাস। তাই আমরা এখন অনেক স্বাধীনতা নিয়ে খেলব এবং তিনটি দলকেই যতটা সম্ভব চ্যালেঞ্জ জানাব।’
তবে পরক্ষণেই স্বাধীনতার বিষয়টি খোলাসা করেন তিনি, ‘স্বাধীনতা নিয়ে খেলার মানে এই নয় যে, খেলোয়াড়রা দলে নিজেদের ভূমিকা থেকে, দায়িত্ব থেকে সরে যাবে।’
‘তবে আমরা খেলি তো মূলত খেলাটাকে উপভোগ করার জন্য, তাই না? ছেলেদের কাছ থেকে এটি কেড়ে নিতে চাই না। তার মানে এই না যে, তাদের যা খুশি করার লাইসেন্স আছে; দলের প্রতি প্রত্যেকেরই নির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে।’
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তারা স্বাধীনভাবে খেলে উপভোগ করবে, তা সে দেশ, ক্লাব বা পার্ক ক্রিকেট যেখানেই খেলুক। এজন্যই তো আমরা এই খেলাটি শুরু করেছি। উপভোগের বিষয়টি সবসময়ই সামনে থাকবে। তবে সবারই দলের প্রতি কিছু দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে যাচ্ছে টাইগাররা
টাইগারদের দায়িত্ব নেওয়ার আগে নিউ সাউথ ওয়েলস ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের সম্পর্কে ধারণা রয়েছে লঙ্কান এই কোচের। এ বিষয়টি শুক্রবার সকালের ম্যাচে কাজে লাগবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে উল্টো সায় দেন তিনি।
‘বছরখানেক আগে তাদের সঙ্গে ছিলাম আমি। তাদের অনেকের সম্পর্কেই জানি। তারা অসাধারণ খেলোয়াড় এবং নিজেদের খেলা নিয়ে খুবই আত্মবিশ্বাসী। তাদের শক্তি ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আমরা জানি, তবে সেসব কালকের খেলায় প্রভাব ফেলবে না বলে আমার মনে হয়।’
‘ম্যাচের দিনের কন্ডিশন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তাই কন্ডিশনকে আমরা কীভাবে কাজে লাগাতে পারি, তা নিয়ে পরিকল্পনা করছি।’
আরও পড়ুন: আচরণবিধি ভেঙে শাস্তি পেলেন তানজিম
৬ মাস আগে