টসের সময় ভারতীয় ব্যাটারদের ১৫০-১৬০ রানের মধ্যে আটকে দেওয়ার প্রত্যয় ঝরে টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর কণ্ঠে। তবে সেই লক্ষ্য পার করে অনেক দূরে গিয়ে থেমেছে রোহিত-কোহলিদের ইনিংস।
শনিবার বাংলাদেশের বিপক্ষে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ১৯৬ রান সংগ্রহ করেছে ভারত।
ভারতের হয়ে শুধু হার্দিক পান্ডিয়া চল্লিশোর্ধ রান করতে পেরেছেন। তবে ভালো স্ট্রাইক রেট ধরে রেখে ব্যাটারদের প্রায় সবাই ৩০ পার করেছেন।
দলের হয়ে হার্দিক পান্ডিয়া সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫০ রান করেন। এই রান করতে ২৭ বল মোকাবিলা করে ৩টি ছক্কা ও চারটি চার মারেন তিনি।
এছাড়া বিরাট কোহলি ২৮ বলে ৩৪, ঋষভ পান্ত ২৪ বলে ৩৬, শিবম দুবে ২৪ বল ৩৪ এবং রোহিত শর্মা ১১ বলে ২৩ রান করেন।
বাংলাদেশের হয়ে তানজিম সাকিব চার ওভারে ৩২ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন। রিশাদও দুই উইকেট পেয়েছেন, তবে তিন ওভারে তিনি রান খরচ করেছেন ৪৩টি। মুস্তাফিজুর এদিন চার ওভারে উইকেট না পেলেও ৪৮ রান দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: তাসকিনকে বাদ দিয়ে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। প্রথম তিন ওভারে তারা ২৯ রান তোলার পর চতুর্থ ওভারের প্রথম তিন বলে একটি ছক্কা ও চার মারেন রোহিত। তবে পরের বলে সাকিবের বলে টপ এজ হয়ে এক্সট্রা-কভার অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা জাকের আলীর হাতে ধরা পড়েন তিনি।
এরপর ক্রিজে এসে শেখ মেহেদীকে একটু সমীহ করে দুই ওভারে দেখেশুনে খেলে হাত খুলতে শুরু করেন ঋষভ। এর মধ্যে অবশ্য অষ্টম ওভারের প্রথম বলে কোহলিকে বোল্ড করে ওই ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেন তানজিম সাকিব। প্রথম বলেই তানজিমকে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে ব্যাট-বলের সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন কোহলি। এরপর উইকেট এলোমেলো করে দিয়ে চলে যায় বল।
পরের বলে উইকেটে এসেই ছক্কা মারেন সূর্যকুমার যাদব। এর পরের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরতে হয় তাকে।
তারপর শিবম দুবেকে নিয়ে বড় জুটি গড়েন ঋষভ। একাদশ ওভারে মুস্তাফিজকে মেরে ১১ রান নেন এই দুই ব্যাটার। পরের ওভারে রিশাদকে একটি ছক্কা ও চার মারার পরের বলে শর্ট থার্ড ম্যানে ধরা পড়েন তিনি। ২৪ বলে ২টি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ৩৬ রান করে পান্ত ফিরে গেলে ১২ ওভার শেষে চার উইকেটে ১১০ রান সংগ্রহ করে ভারত।
আরও পড়ুন: টি-২০ বিশ্বকাপ: বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাল অস্ট্রেলিয়া
এরপর হার্দিক ক্রিজে এলে পরের দুই ওভার রানের গতি কমে যায় ভারতের। তবে ১৫তম ওভার থেকে ফের শুরু হয় বাংলাদেশি বোলারদের শাসন। ওই ওভারে ১৪ রান নিয়ে পরের ওভারে ১২ রান নেন তারা। এরপর ১৭তম ওভারের প্রথম বলে রিশাদকে ছক্কা হাঁকিয়ে পরের বলে বোল্ড হয়ে যান শিবম। তিনি ফিরে গেলে বাকি কাজটুকু একাই সারেন হার্দিক। আর তাকে যথাযথ সঙ্গ দেন অক্ষর প্যাটেল।
ফিফটি করতে শেষ বলে চার রানের প্রয়োজন ছিল হার্দিকের। মুস্তাফিজ ভালো ডেলিভারি দিলেও দক্ষতার জোরে চার আদায় করে ব্যাট উঁচিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।