সূর্যকুমার
ভারতের বোলিং আগুনে পুড়ল আফগানিস্তান
ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে চেনাই গেল না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরু থেকে বল-ব্যাট দুপাশেই সমান সামর্থ্য দেখানো আফগানিস্তানকে। গত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৪ রানে হারার পর এবার ভারতের বিপক্ষে তারা হারল ৪৭ রানে।
বৃহস্পতিবার বার্বাডোজের কিংস্টন ওভালে সুপার এইটের ‘গ্রুপ ১’ এর ম্যাচে টস জেতে ভারত। এরপর শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে তারা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৩৪ রানে গুটিয়ে যায় আফগানদের ইনিংস।
আফগানিস্তানের আজমাতউল্লাহ ওমরজাইয়ের ২৬ রানের স্কোরটিই দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। আর কোনো ব্যাটার ২০ ছুঁতে পারেনি।
অন্যদিকে, বরাবরের মতোই বোলিংয়ে আগুন ঝরিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। ৪-১-৭-৩ হচ্ছে তার বোলিং ফিগার। এছাড়া সিরাজের পরিবর্তে একাদশে ফেরা কুলদীপ যাদব এবং আর্শদীপ সিং দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।
প্রথম ইনিংসে দলের নিয়মিত উইকেট পতন ঠেকিয়ে ২৮ বলে ৫৩ রান করা সূর্যকুমার যাদবকে দেয়া হয়েছে ম্যাচসেরার পুরস্কার।
আরও পড়ুন: সূর্যকুমারের ব্যাটে আফগানদের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই আফগানদের উইকেটের খাতা খোলেন বুমরাহ। ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজকে কট বিহাইন্ড করে সাজঘরে পাঠান তিনি।
১৩ রানে প্রথম উইকেট পড়ার পর ১০ রান সংগ্রহ করতে না করতেই অক্ষর প্যাটেলের শিকার হন ইব্রাহিম জাদরান। পরের ওভারে ২৩ রানের মাথায়ই হজরতউল্লাহ জাজাইকে ফেরার বুমরাহ। এরপর গুলবাদিন নায়েব ও আজমাতউল্লাহ ওমরজাই একটি বড় জুটি গড়ার ইঙ্গিত দিলেও ভারতকে ব্রেকথ্রু এনে দেন কুলদীপ।
এই সময়ে ভারতের স্পিনাররা ভেলকি দেখান। ২১ বলে ১৭ রান করা গুলবাদিনকে কুলদীপ ফেরানোর পরের ওভারে ওমরজাইকে আউট করেন রবীন্দ্র জাদেজা। ফলে ৬৭ ও ৭১ রানে পড়ে আফগানিস্তানের যথাক্রমে চতুর্থ ও পঞ্চম উইকেট।
এরপর ৩১ রানের একটি জুটি গড়ে প্রতিরোধের আশা জাগান নাজিবউল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবী। কিন্তু বুমরাহর শেষ ওভারটি সামলাতে করতে পারেননি জাদরান। ১৭ বলে ১৯ রান করে তিনি ফিরে গেলে পরের ওভারে নবীকে ফেরার কুলদীপ। ফলে ১০২ ও ১১৪ রানে ষষ্ঠ ও সপ্তম উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
আরও পড়ুন: এখান থেকে যা পাব, তাই আমাদের জন্য বোনাস: হাথুরুসিংহে
এরপর ১৭.৪তম ওভারে এসে পরপর দুই বলে জোড়া উইকেট শিকার করেন আর্শদীপ। দলীয় ১২১ রানের মাথায় তরুণ এই ভারতীয় পেসারের তোপের শিকার হয়ে ফেরেন রশীদ খান ও নবীন-উল-হক। এরপর ইনিংসের শেষ বলে আর্শদীপের বলেই রোহিতের তালুবন্দি হন নূর আহমদ। ফলে ২০ ওভারে ১৩৪ রানে থামে আফগানিস্তানের ইনিংস।
এই জয়ে সেমি ফাইনালে কার্যত এক পা দিয়ে রাখল ভারত। এখন তাদের সামনে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে একটি ম্যাচ জিতলেও সেমির টিকিট কাটতে পারবে রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং।
শুক্রবার ভোরে গ্রুপের অপর ম্যাচে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া।
৬ মাস আগে
সূর্যকুমারের ব্যাটে আফগানদের সামনে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালেও আফগানিস্তানের সামনে বড় লক্ষ্য দাঁড় করাতে পেরেছে ভারত। সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়ার ৬০ রানের জুটিতে আট উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান সংগ্রহ করেছে রোহিত শর্মার দল।
১৮১ রান সংগ্রহে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেছেন সূর্যকুমার। মাত্র ২৮ বলে তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। এছাড়া ২৪ বলে ৩২ রান করেন হার্দিক।
আফগানদের হয়ে অধিনায়ক রশিদ খান ও ফজলহক ফারুকি যথাক্রমে ২৬ ও ৩৩ রান দিয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন।
ব্যাট করতে নেমে ভারতের সাবধানী শুরুর পরও তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট তুলে নেয় আফগানিস্তান। ফারুকির ফুলার লেংথ ডেলিভারিটি মিড-অনের ওপর দিয়ে উড়িয়ে সীমানাছাড়া করতে চেয়েছিলেন রোহিত। কিন্তু বলটি সোজা উপরে উঠে গেলে রশিদ খানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফলে ১১ রানেই প্রথম উইকেট হারায় ভারত।
এরপর ঋভষ পান্ত এসেই হাত খুলে খেলা শুরু করেন। তবে ৫.৪তম ওভারে ব্যক্তিগত ১৫ রানের মাথায় জীবন পান তিনি। মোহাম্মদ নবীর ডেলিভারিটি ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগের দিকে ঘুরিয়ে দিতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেলেন তিনি। তবে সীমান্তে সজহ কাচটি ধরতে ব্যর্থ হন নবীন-উল-হক, উল্টো প্রতিপক্ষকে একটি চার উপহার দেন তিনি।
এর ফলে পাওয়ার প্লে শেষে এক উইকেট হারিয়ে ৪৭ রান তোলে ভারত। এসময় ঋষভ হাত চালিয়ে খেললেও অপর প্রান্তে ধরে খেলছিলেন বিরাট কোহলি।
আরও পড়ুন: সেমির মিশনে আফগানদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ভারত
তবে পাওয়ার প্লের পরের ওভারেই ফিরতে হয় ঋভকে। সপ্তম ওভারের শেষ বলে রশিদ খানের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি। রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে বাঁচতে পারেননি। ফলে ১১ বলে চারটি চারে ২০ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তিনি।
নবম ওভারে রশিদের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে আউট সাজঘরে ফেরেন কোহলিও। রশিদের ফুল লেংথ ডেলিভারিটি ওয়াইড লং-অফ অঞ্চল দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়েছিলেন তিনি। তবে বলটি বেশি উচ্চতা পায়নি, ফলে সোজা নবীর হাতে গিয়ে পড়ে। ফেরার আগে একটি ছক্কার সাহায্যে ২৪ বলে ২৪ রান করেন কোহলি।
এরপর সূর্যকুমারের সঙ্গে দলকে পথ দেখাতে থাকেন শিবম দুবে। তবে অদূরেই তাকে থামান রশিদ।
তারপর দলকে বড় সংগ্রহের দিকে চালিত করেন সূর্যকুমার ও হার্দিক। ১৭তম ওভারের শেষ বলে সূর্যকুমার ফিরে গেলে ভাঙে তাদের ৬০ রানের জুটি। ৬ বল পর ফিরে যান হার্দিকও।
শেষের দিকে রবীন্দ্র জাদেজা (৭), অক্ষর প্যাটেল (১২) ও আর্শদীপ সিং স্কোরবোর্ডে কিছু রান যোগ করলে ১৮১ রান সংগ্রহ করে মাঠ ছাড়ে ভারত।
আরও পড়ুন: এখান থেকে যা পাব, তাই আমাদের জন্য বোনাস: হাথুরুসিংহে
৬ মাস আগে