নজরুল ইসলাম খান
বাংলাদেশে নির্বাচন বলতে কিছু নাই: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, গণতন্ত্র চলে নির্বাচনের হাত ধরে। বাংলাদেশে নির্বাচন বলতে কিছু নাই।
শনিবার বিকাল ৫টার দিকে কুমিল্লার কান্দিরপাড় ভিক্টোরিয়া কলেজ রোড বিএনপির প্রধান কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জনগণের দাবিকে উপেক্ষা করতে পারবে না সরকার। এছাড়া সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে কারণ তারা ক্ষমতার পরিবর্তন চায়।
আরও পড়ুন: সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা লুটপাট করে হারাম উপার্জন করে, আজ বাংলাদেশ তাদের বাড়ি হয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন ‘রাষ্ট্রের সর্বক্ষেত্রে লুটপাট। প্রকাশ্যে লুট করা হচ্ছে দেশের সম্পদ, পাচার করা হচ্ছে বিদেশ। দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে সরকার লুট করে ফেলেছে।’
পরে এক বিক্ষোভ মিছিল নগরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, সরকারের পদত্যাগসহ ১০দফা দাবিতে কুমিল্লায় বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে।
১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাদুল বারী আবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন-কেন্দ্রীয় বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক ও কুমিল্লা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুল হক সাঈদ, মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আমিরুজ্জামান আমির, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ মহানগর ও জেলার নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
সরকার সংবিধান নিয়ে তামাশা করছে: নজরুল
সরকার সংবিধান নিয়ে তামাশা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (সরকার) কী শুরু করেছেন? আপনারা সংবিধানের কথা বলছেন। আপনারা আসলে সংবিধান নিয়ে রসিকতা করছেন। সংবিধানে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা লেখা আছে, কিন্তু আপনারা মুক্তবাজার অর্থনীতির চর্চা করেন। এই দুটি জিনিস কি একসঙ্গে যায়? সংবিধানে লিখেছেন যে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, কিন্তু আপনারা বলছেন যে আপনারা কোনো ধর্মের প্রতি পক্ষপাতী না।’
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় সরকারের নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং দৈনিক দিন কালসহ বন্ধ হয়ে যাওয়া গণমাধ্যমগুলো পুনরায় চালু করার এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল 'কালো আইন' বাতিলের দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সমাবেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, সরকার সংবিধানকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে জনগণের আন্দোলন প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। ‘গণআন্দোলনকে দমন করা অসম্ভব। অতীতে কেউ তা করতে পারেনি। সব বাধা উপেক্ষা করে আমরা এগিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: অনুকূল পরিবেশ থাকলে রাজনীতি করবেন খালেদা জিয়া: বিএনপি
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তাদের দল ক্ষমতায় ফিরলে তারা ‘বর্তমান সরকার অন্যায়ভাবে যেসব সংবাদপত্র ও টিভি চ্যানেলগুলো বন্ধ করে দিয়েছে সেগুলো পুনরায় চালু করবে।’
যেসব টিভি চ্যানেল বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘মিথ্যা’ প্রতিবেদন ও অপপ্রচার চালাচ্ছে, প্রকৃত সাংবাদিকতার স্বার্থে তাদের এ ধরনের চর্চা বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণ ক্ষমতাসীন দলকে তা নষ্ট করতে দেবে না।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জনগণ এই সরকারকে উৎখাতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। গ্রাম, এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষও একত্র হয়েছে এবং তারা কোনও দমনমূলক কর্মকাণ্ডকে ভয় পায় না।’
নজরুল ইসলাম খান শাসক দলকে ছদ্মবেশে চায়ের স্টলে গিয়ে বা বাসে চড়ে সরকার, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও নেতাদের সম্পর্কে জনগণ কী বলে তা শোনার পরামর্শ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আ.লীগ সরকারকে না সরালে বিপদে পড়বে বাংলাদেশের জনগণ: ফখরুল
আ. লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে: মির্জা আব্বাস
সরকার বিরোধী আন্দোলন দমনে ব্যর্থ হবে: নজরুল ইসলাম খান
বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান সোমবার বলেছেন, ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য জনগণের দাবিকে সরকার দমাতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ জেগে উঠেছে এবং তারা আমাদের আন্দোলনে যোগ দিচ্ছে, কারণ তারাও ক্ষমতার পরিবর্তন চায়। যুগে যুগে মানুষের দাবি কেউ দমাতে পারেনি। এই সরকারও তা করতে পারবে না।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে মুসলিম লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল এ মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি গঠন
তিনি বলেন, জনগণ শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধির জন্য সেই পরিবর্তন চায়।
নজরুল বলেন, সরকার গত তিন মাসে প্রায় ১৩ বিএনপি নেতা-কর্মীকে হত্যা ও দলের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করলেও বিপুল সংখ্যক মানুষের অংশগ্রহণে তাদের দলের প্রতিটি কর্মসূচি সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় এই বিএনপি নেতা বলেন, ১৯৬৯ সালের আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল এবং আমেনা বেগম নামে একজন অজ্ঞাত নেতা দল চালাতেন। সেই আন্দোলনের পর নির্বাচনে জয়ী হয় আওয়ামী লীগ। সুতরাং, এটা সঠিক ধারণা নয় যে আন্দোলনে জয়ী হওয়া যাবে না, বিরোধী নেতাদের কারাগারে রাখলে ক্ষমতা অর্জন করা যাবে না।’
সরকার জোর করে ক্ষমতায় থেকে ভুল করছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (আ.লীগ নেতা) জেনেও একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করছে। ক্ষমতা কি মানুষকে এত অন্ধ করে? সব রাজনৈতিক দলই মানুষের জীবনের মতো ভালো-খারাপ সময় পার করে। আমরা আশা করি ক্ষমতাসীন দল বিষয়টি বুঝতে পারবে।’
নজরুল বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমান সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে।
ভোট কারচুপি ও রাতে ব্যালট ভরে ক্ষমতা দখলের পর সরকার নিজেকে নির্বাচিত শাসনামল দাবি করে সরকার জনগণের সঙ্গে তামাশা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে এবং স্বাধীনভাবে তাদের ইচ্ছামতো তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ দিতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
নজরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা উন্নয়ন ও মেগা প্রকল্পের নামে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাটে লিপ্ত।
তিনি বলেন, ‘উন্নয়ন সবারই হওয়া উচিত। কিন্তু আমাদের দেশে তিন/চার বছরে প্রায় ১৩/১৪ হাজার নতুন কোটিপতি তৈরি হয়েছে। এটাকে অগ্রগতি হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু এটাও সত্য যে একই সময়ে ৩৫ মিলিয়ন থেকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ দরিদ্র হয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: ১০ দফা বাস্তবায়নই বিএনপির নতুন বছরের চ্যালেঞ্জ: মোশাররফ
ঢাকায় বিএনপিসহ ৩২টি দলের বিশাল শোডাউন সম্মিলিত আন্দোলনে রূপ নেয়
গণতন্ত্র মঞ্চকে স্বাগত জানাল বিএনপি
সাতটি রাজনৈতিক দল মিলে গঠিত নতুন রাজনৈতিক জোটকে স্বাগত জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য বিরোধী জোট হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চের উত্থান একটি সাফল্য।
তিনি বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্র মঞ্চের সূচনাকে স্বাগত জানাই। তারা (নতুন জোট) যে দাবিগুলো বলেছে আমরা দীর্ঘদিন ধরেই সেই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি।’
মঙ্গলবার পবিত্র আশুরা উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল বলছে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং এর অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। অবশ্যই সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দেখেছি তারা (নতুন জোট)ও একই দাবি করছে। তাই আমরা মনে করি এটা আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রচেষ্টার সাফল্য। আমরা মনে করি এটি ভবিষ্যতের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের জন্য একটি পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
এর আগে সোমবার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে সাতটি বিরোধী দলের নতুন প্লাটফর্ম ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ (গণতন্ত্র ফোরাম) চালু করা হয়।
জোটের শরিক দলগুলো হলো- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (রব), নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, ভাসানী ওনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্রসংস্কার আন্দোলন।
একযোগে আন্দোলনের জন্য বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর প্লাটফর্ম গড়ে তোলার পদক্ষেপের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল বলেন, তাদের প্রচেষ্টা যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য তারা এখনও অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি ছাড়া এই সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না বলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মন্তব্যের প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, তাদের দল ২০১৪ ও ২০১৫ সালে কঠোর কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলন করেছে।
ড. নজরুল বলেন, ‘অনেক মন্ত্রী আছেন যারা বলছেন, আমরা আন্দোলন করতে পারি না... আন্দোলন মানে সংগঠিত উপায়ে জনগণের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ। তা হরতাল বা অন্য বিভিন্ন উপায়ে হতে পারে। এটা এমন নয় যে আমরা হরতাল বা অবরোধ কার্যকর করতে পারব না। তবে কেন আমরা অনুপযুক্ত সময়ে এলোমেলোভাবে এটি করব? ’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা পতনের ভয়ে বিএনপি ও এর আন্দোলনকে নিয়ে বেপরোয়া মন্তব্য করছেন। ‘তাদের মন্তব্যে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ আছে। তারা মহা বিপদে আছে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না: ফখরুল
ষড়যন্ত্রকারীদের নাম প্রকাশ্যে আনুন: প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ফখরুল
বীমা পদক পেলেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান
বীমা পদক ২০২২ পেয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড এর চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খান। বীমা খাতের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখার কারণে তিনি এই পদকে ভূষিত হন।
মমঙ্গলবার (১ মার্চ) জাতীয় বীমা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এই পদক গ্রহন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাঁর হাতে পদক তুলে দেন অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সেলিম উল্লাহ।
এন আই খান হিসেবে বহুল পরিচতি নজরুল ইসলাম খান সরকারের সচিব পদ থেকে ২০১৬ সালে অবসরগ্রহণ করেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন এটুআই প্রোগ্রাম জাতীয় প্রকল্প পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
সরকারের সাবেক এই সচিব ২০২০ সালের জুনে সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে স্বতন্ত্র পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড এর পরিচালনা পর্ষদে যোগ দেন। যোগদানের পর থেকে তিনি গ্রাহক থেকে শুরু করে সব স্তরের স্টেকহোল্ডারদের কাছে আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন।
পড়ুন: বীমার সুবিধা সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
৫২টি জটিল রোগে আর্থিক সুরক্ষা দিতে মেটলাইফ বাংলাদেশের নতুন স্বাস্থ্য বীমা
টিসিবির ট্রাকের সামনে লম্বা সারি বাস্তবতা প্রকাশ করে: বিএনপি
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, টিসিবির ট্রাকের সামনে লম্বা সারি দেশের মানুষের প্রকৃত অবস্থা তুলে ধরছে।
তিনি বলেন, ‘টিসিবির ট্রাক দেখে আপনারা প্রকৃত অবস্থা বুঝতে পারবেন। ওই সব ট্রাকের সামনে প্রতিদিন লম্বা সারি দেখা যায়।’
বৃহস্পতিবার এক মানবন্ধন কর্মসূচিতে বিএনপির এই নেতা বলেন, এমনকি সাংবাদিকরা পর্যন্ত মাস্ক পরে কিংবা মাফলার দিয়ে মুখ ঢেকে টিসিবির ট্রাকের আশপাশে সারিতে দাঁড়াচ্ছেন। ‘এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।’
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপিপন্থী নারী ও শিশু অধিকার ফোরামের সদস্য সচিব নিপুণ রায়ের বিরুদ্ধে করা ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে পরিবর্তন চায় মানুষ: জিএম কাদের
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, প্রকৃত আয় কমে যাওয়ায় বেঁচে থাকার লড়াইয়ে দরিদ্র মানুষজন বাজারে গিয়ে তুলনামূলক কম দামে পণ্য কেনেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের একজন মন্ত্রী বলেছেন যখন তিনি আকাশ থেকে ঢাকার দিকে তাকান তখন তাঁর মনে হয় তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসে যাচ্ছেন এবং যখন দেশের বাথরুমে যান তখন তাঁর মনে হয় তিনি সিঙ্গাপুরে আছেন। আপনি অনুগ্রহ করে টিসিবির ট্রাকের আশপাশে যান এবং দরিদ্র মানুষের একটি বাজারে যান। তাহলে বুঝতে পারবেন যে দেশে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ কীভাবে লড়াই করছেন। এই ধরনের নিষ্ঠুর রসিকতা বন্ধ করুন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, করোনাকালে বাংলাদেশে ১১ হাজারের বেশি মানুষ নতুন কোটিপতি হয়েছেন। ‘অন্যদিকে একই সময়ে দেশে ৩২ দশমিক চার মিলিয়ন মানুষ দরিদ্র হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে ১১ দিনব্যাপী কর্মসূচি বিএনপির
তিনি বলেন, ‘চাল, ডাল, তেল, লবণ, মরিচ, পেঁয়াজসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। সে কারণেই আমরা এর প্রতিবাদে রাজপথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
এ সময় তিনি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি বন্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চালানোর জন্য সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী ও অন্যান্য সংগঠনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সরকারবিরোধী ঐক্য শিগগিরই গড়ে তোলা হবে: বিএনপি
দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করতে বিএনপি একটি শক্তিশালী ‘সরকারবিরোধী ঐক্য’ গড়ে তুলবে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যৈষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আমরা সবাই মিলে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে পারব। ইনশাআল্লাহ, বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে।’
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের যৌথ উদ্যোগে ‘স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপির এই নেতা।
আরও পড়ুন: সার্চ কমিটি ‘নাটকের’ অংশ: বিএনপি
তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্র চায় তারা বিএনপির নেতৃত্বে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার চলমান আন্দোলনে যোগ দেবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হবো যারা সরকারের সুবিধাভোগী নয়; যারা ব্যক্তিগত স্বার্থের কথা চিন্তা করে না এবং ওই সব সংস্থা ও দল যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আমরা তাদের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে লড়াই করবো।’
সামরিক স্বৈরশাসক এইচ এম এরশাদ ক্ষমতায় আসার মাত্র এক বছরের মাথায় মজিদ খান শিক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন বাতিলের দাবিতে ১৯৮৩ সালের এই দিনে রাজধানীতে স্বৈরাচার বিরোধী বিক্ষোভের সময় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়। নিহতদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ সময় নজরুল ইসলাম খান গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের আরও সক্রিয় হওয়ায় আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পুলিশের কাজে বাধা: বিএনপির ১০ নেতাকর্মী রিমান্ডে
বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়া মারা গেলে জনগণ মেনে নেবে না: বিএনপি
বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, চিকিৎসার অভাবে খালেদা জিয়ার সাথে খারাপ কোনো কিছু ঘটলে গণঅভ্যুত্থান হবে। তিনি বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রীকে যদি আপনারা (সরকার) বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলেন তাহলে জনগণ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না।’
শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবি জানিয়ে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার বিপক্ষে সরকারের কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না যেমন অতীতে তারা ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র’ মামলা মেনে নেয়নি। ‘গণঅভ্যুত্থান হবে এবং গণতান্ত্রিক উপায়ে এ আন্দোলন পরিচালনা করা হবে।’
শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিএনপির বর্তমান আন্দোলন আরও জোরদার করতে জনগণকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন খালেদা জিয়ার কিছু জটিলতা রয়েছে যা দেশে চিকিৎসা করা যাবে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোয় আইনি কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু সরকার যারা জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় তারা আমাদের নেত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে দিচ্ছেন না। যেখানি আইনি বাধা নেই সেখানে মানবতা প্রয়োজন হয়। তাকে (বিদেশে যেতে না দেয়ার) যুক্তি কী?’
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া লিভার, হৃদযন্ত্র ও কিডনিসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত জটিলতা নিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার সুস্থতায় দেশব্যাপী বিএনপির দোয়া মাহফিল
সাংবাদিকদের সাথে বিএনপির মহাসচিবের মতবিনিময় মঙ্গলবার
বাজেটে দরিদ্র ও বেকাররা ব্যাপকভাবে অবহেলিত: বিএনপি
বিএনপির সিনিয়র নেতা নজরুল ইসলাম খান অভিযোগ করে বলেছেন, সরকার আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দরিদ্র ও বেকারদের জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ না দিয়ে এই মহামারির মধ্যে তাদেরকে উপেক্ষা করেছে।
রবিবার জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বিএনপি নেতা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাজেট: স্বাস্থ্য খাতের জন্য ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার প্রস্তাবিত বাজেটে কর্পোরেট কর হ্রাস করেছে যার ফলে মাত্র ২০টি শীর্ষস্থানীয় লাভজনক কোম্পানি ১৪৬ কোটি টাকার সুবিধা পাবে। অন্যান্য কোম্পানিগুলোও এর সুবিধা ভোগ করবে।’
আরও পড়ুন: বাজেট: কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ না দেয়ায় টিআইবির সাধুবাদ
তিনি বলেন, ‘কিন্তু বাজেটে করোনাভাইরাসের কারণে বেকার ও দরিদ্র হয়ে পড়া লাখ লাখ মানুষের জন্য কোন বরাদ্দ ও প্রণোদনা প্যাকেজ নেই। অনানুষ্ঠানিক খাতের অনেক শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাজেটে তাদের জন্যও বরাদ্দ নেই।’
নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক হকার এবং পরিবহন শ্রমিক, লঞ্চ, রিকশা চালক, দিনমজুর ও হোটেল শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে এবং আড়াই কোটি মানুষ নতুন করে দরিদ্র সীমায় এসেছে। কিন্তু সরকার তাদের জন্য কোনও প্রণোদনা দেয়নি।’
আরও পড়ুন: এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজেট: বিজিএমইএ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম করোনার কারণে বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকদের মাসিক ভাতা দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।
তিনি বলেন, বেকারদের জন্য ভাতা চালু করার সময় এসেছে। আমাদেরকে অবশ্যই তাদের রক্ষা করতে হবে এবং একটি ন্যায্য মূল্যে বা রেশন ব্যবস্থার অধীনে তাদেরকে খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। দেশে এখন লাখ লাখ শিক্ষিত এবং অশিক্ষিত বেকার মানুষ রয়েছে। তাদেরকে মর্যাদার সাথে বাঁচতে দিতে হবে আমাদের।
বিএনপি নেতা মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের উন্নয়নে জিয়াউর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং দলের নেতা-কর্মীদের তার জীবন থেকে শিক্ষাগ্রহণ করার আহ্বান জানান।
আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র এবং জনগণের হারানো অধিকার পুনরুদ্ধারে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
করোনা নিয়ে হাসপাতালে বিএনপি নেতা নজরুল
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।