বেলিংহ্যাম
৮ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াই ড্র করেও ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
বারবার এগিয়ে গিয়েও পা হড়কাতে বসা রিয়াল মাদ্রিদ প্রত্যাবর্তনের আরও একটি গল্প লিখে যখন ফাইনালের পথ ধরেছে, তখন যোগ করা সময়ে ফের গোল করে আরও একবার ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন মিকেল ওইয়ারসাবাল। তবে অতিরিক্ত সময় শেষে ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের দিকে এগোচ্ছে, তখন শেষ গোলটি করে রিয়ালকে ফাইনালে পৌঁছে দিলেন আন্টোনিও রুয়েডিগার।
অতি সংক্ষেপে কোপা দেল রের প্রথম সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের বর্ণনা মোটামুটি এমনই। মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) রাতে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি ৪-৪ গোলে ড্র করেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
তবে দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান হয়ে থাকল প্রথম লেগে রিয়ালের করা একমাত্র গোলটি। ওই গোলের সুবাদে অগ্রগামিতায় ৫-৪ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে সোসিয়েদাদকে চেপে ধরে অগ্রগামিতায় দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে ষোড়শ মিনিটে দুর্দান্ত এক পাল্টা আক্রমণে উঠে ঘরের মাঠের সমর্থকদের স্তব্ধ করে দেন আন্দের বারেনেচিয়া।
পাবলো মারিনের হেডারে বাড়ানো পাস ধরে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে গিয়ে ওয়ান-অন-ওয়ানে আন্দ্রেই লুনিনকে পরাস্ত করেন এই স্প্যানিশ। ফলে রিয়ালের প্রথম লেগের অগ্রগামিতা ফিরতি লেগের শুরুতেই মিলিয়ে যায়।
তবে ৩০তম মিনিটে এন্দ্রিকের একক নৈপুণ্যে উল্লাসে মাতে বের্নাবেউ। ফলে আবারও লিড নেয় রিয়াল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে কোনোভাবেই আর এগিয়ে যাওয়া হয়ে উঠছিল না স্বাগতিকদের। অন্যদিকে, চাপে কোণঠাসা লা রিয়াল সমতায় ফেরার কথা যেন ভুলেই গিয়েছিল। এর মাঝে আক্রমণে ধার বাড়াতে এন্দ্রিককে উঠিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নামান আনচেলত্তি। তবে ৭২তম মিনিটে উল্টো এক আত্মঘাতী গোল খেয়ে বসে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: আট গোলের থ্রিলারে শেষ হাসি আতলেতিকো মাদ্রিদের
প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে দুরূহ কোণ থেকে দূরের পোস্টের দিকে শট নেন মারিন। গোলমুখ থেকে তা ক্লিয়ার করতে গেলে ডাভিড আলাবার পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ফলে অগ্রগামিতায় ২-২-এ সমতায় ফিরে পায়ের তলায় মাটি খুঁজে পায় সোসিয়েদাদ।
দ্বিতীয়বার সমতায় ফেরার আট মিনিট পর গোল করে লা রিয়ালকে জয়ের বন্দর দেখান ওইয়ারসাবাল। এবারও দুর্ভাগা আলাবার পায়ে লেগে ঠিকানা খুঁজে নেয় ওইয়ারসাবালের শট।
ম্যাচের তখন আর মিনিট দশেক বাকি। এ সময় প্রথমবারের মতো এগিয়ে যায় ইমানোলের শিষ্যরা। তবে অবিশ্বাস্যভাবে চার মিনিটে দুই গোল করে ম্যাচভাগ্য নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে নেয় মাদ্রিদ।
৮২তম মিনিটে বেলিংহ্যাম ও ৮৬তম মিনিটে অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি গোল করে চকিতে রিয়ালকে এগিয়ে নেন। অগ্রগামিতায় ফল তখন রিয়াল মাদ্রিদের পক্ষে, ৪-৩।
কিন্তু না! যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ফের সোসিয়েদাদের ত্রাতা হয়ে ওঠেন ওইয়ারসাবাল। ফলে ৪-৩ গোলে সোসিয়েদাদ ম্যাচে এগিয়ে থাকলেও ৪-৪ অগ্রগামিতায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় খেলা।
আরও পড়ুন: কোপা দেল রে: আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনালের সম্ভাবনা
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে কেউ গোল না পাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ধারা অব্যাহত থাকে। শেষে ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের দিকে গড়াচ্ছে, তখনই গর্জন করে ওঠে বের্নাবেউ।
১১৫তম মিনিটে কর্নার থেকে আর্দা গুলেরের নেওয়া ক্রসে হেড দিয়ে রিয়ালকে কাঙ্ক্ষিত জয়সূচক গোলটি এনে দেন রুয়েডিগার। এরপর আর সোসিয়েদাদের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়নি। ফলে ফাইনালে পা রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। আর মাদ্রিদ জায়ান্টদের তাদের মাঠে এসে চার গোল দিয়েও হতাশা নিয়ে ঘরে ফিরতে হয় সোসিয়েদাদকে।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বুধবার রাতে মাঠে নামবে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। প্রথম লেগে এই দুই দলের লড়াই শেষ হয় ৪-৪ ড্রয়ে। ফলে ফিরতি লেগে জয়ী দলই ফাইনালে রিয়ালের মুখোমুখি হবে।
১৬ দিন আগে
আতলেতিকোর ফের হোঁচট, জিতে বার্সেলোনার ঘাড়ে নিঃশ্বাস রিয়ালের
অবনমন থেকে বাঁচার প্রতিযোগিতায় থাকা লেগানেসের বিপক্ষে জয় পেতে রিয়াল মাদ্রিদের যে খুব একটা কষ্ট হবে না— অনেকে আগে থেকেই তা অনুমান করেছিলেন। তবে মাঠের খেলায় সেই পুঁচকে দলের কাছ থেকে জয় ছিনিয়ে নিতে ঘাম ছুটে গেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের। এতে করে বার্সেলোনার ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার (২৯ মার্চ) রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে লা লিগার ২৯তম রাউন্ডের ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে রিয়াল।
জোড়া গোল করে এদিন দলকে জয়ের পথ দেখান কিলিয়ান এমবাপ্পে। মাঝে আরেকটি গোল করেন জুড বেলিংহ্যাম।
তবে ম্যাচের প্রথমার্ধে চমক দেখিয়ে রিয়ালকে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেয় লেগানেস। ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগোদের বিশ্রামে রেখে আনচেলত্তির সাজানো দলের বিপক্ষে এদিন শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে বোরহা হিমেনেসের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: আতলেতিকোর অপরাজেয় যাত্রা থামিয়ে ‘মাইলফলক’ রাঙাল রিয়াল
স্বাগতিকদের একের পর এক আক্রমণ ফিরিয়ে দিলেও খেলার আধঘণ্টা গড়াতেই পেনাল্টি পেয়ে যায় রিয়াল। ৩০তম মিনিটে বক্সের মধ্যে আর্দা গুলেরকে ফেলে দিয়ে দলকে বিপদে ফেলে দেন লেগানেসের অস্কার রদ্রিগেস। দুই মিনিট পর সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন এমবাপ্পে।
তবে এর পরের মিনিটেই অভানীয় এক গোল করে লেগানেসকে সমতায় ফেরান দিয়েগো গার্সিয়া। সতীর্থের বাড়ানো বল প্রতিপক্ষের একজনের পায়ে লেগে দূরের পোস্টের দিকে চলে যায়। সেখানে একপ্রকার একা দাঁড়িয়ে ছিলেন গার্সিয়া। ট্যাপ-ইনে বল ঠিকানায় পাঠানো ছিল তার বাঁ পায়ের খেল।
গোল পেয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় সফরকারীদের। এরপর ৪১তম মিনিটে বের্নাবেউকে স্তব্ধ বরে দিয়ে এগিয়ে যায় তারা। এ সময় বাইলাইন থেকে অস্কার রদ্রিগেসের পাস ছয় গজ বক্সের মধ্যে পেয়ে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন ফরোয়ার্ড দানি রাবা।
ফলে অপ্রত্যাশিতভাবে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় লেগানেস।
১৮ দিন আগে
ওসাসুনায় ড্র, শীর্ষস্থান থেকে তিনে নেমে যাওয়ার শঙ্কায় রিয়াল মাদ্রিদ
নতুন বছরে বার্সেলোনার বিপক্ষে বড় হারে স্প্যানিশ সুপার কাপের শিরোপা হাতছাড়া হলেও লা লিগা, কোপা দেল রে ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জানুয়ারি মাসজুড়ে অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। ওই একটি ছাড়া বাকি সবগুলো ম্যাচ জিতলেও ফেব্রুয়ারি পড়তেই লা লিগায় ভুগছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এই মাসে আগের দুই ম্যাচের একটিতে হার ও অন্যটি ড্র করার পর আজ তৃতীয় ম্যাচেও পয়েন্ট হারিয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যরা।
লা লিগার ২৪ রাউন্ডের ম্যাচে শনিবার ওসাসুনার এল সাদার স্টেডিয়ামে দলটির বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে আরও দুই পয়েন্ট হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এতে করে লিগে সবশেষ তিন ম্যাচ মাত্র দুই পয়েন্ট সংগ্রহ করল দলটি।
এর ফলে শীর্ষস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে লস ব্লাঙ্কোসদের। শুধু তা-ই নয়, এই রাউন্ডে স্ব স্ব ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা জিতলে শীর্ষস্থান থেকে একেবারে তিন নম্বরে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে তাদের।
আরও পড়ুন: আবারও সমতায় শেষ মাদ্রিদ ডার্বি, বার্সেলোনার হাসি
এদিন ফেদেরিকো ভালভের্দের অ্যাসিস্টে ম্যাচের পঞ্চদশ মিনিটেই ঠিকানা খুঁজে নিয়ে রিয়ালকে ভালো শুরু এনে দেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। তবে ৩৯তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় চ্যাম্পিয়নরা, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় দলটির অতি গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় জুড বেলিংহ্যামকে।
এ সময় রিপ্লেতে কোনো ফাউল করতে দেখা যায়নি তাকে। তবে রেফারির সঙ্গে কিছু একটা বলতে বলতে এগিয়ে আসছিলেন বেলিংহ্যাম। সম্ভবত আপত্তিকর কোনো মন্তব্যের জন্য লাল কার্ড দেখেন এই ইংলিশ অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড ধরে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে ম্যাচ জমে উঠলে ১৩ মিনিটের মাথায় সমতায় ফেরে ওসাসুনা।
এ সময় বক্সের মধ্যে খুব কাছ থেকে জন মনকায়োলার নেওয়া শট কোর্তোয়া ফিরিয়ে দিলে দ্বিতীয় চেষ্টায় আন্তে বুদেমিরের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। শট নেওয়ার পরপরই তাকে ফাউল করে বসেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা, আর ভিএআর মনিটরে রিপ্লে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি হোসে মুনুয়েরা মন্তেরো। এরপর সফল স্পট কিকে দলকে সমতায় ফেরান বুদিমির।
আরও পড়ুন: এস্পানিওলে ধরাশায়ী রিয়াল মাদ্রিদ
বাকি সময়ে বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ তৈরি করে রিয়াল মাদ্রিদ, তবে ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতায় এগিয়ে যাওয়া হয়ে ওঠেনি ভিনি-এমবাপ্পেদের। এরপর যোগ করা সময়ে এগিয়ে যেতে পারত দুই দলই, তবে সেই প্রচেষ্টাগুলোও ব্যর্থ হলে ১-১ সমতায়ই শেষ হয় ম্যাচ।
এই ড্রয়ের ফলে ২৪ ম্যাচে ১৫ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৫১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
দিনের অপর ম্যাচে ঘরের মাঠে সেল্তা ভিগোকে আতিথ্য দেবে ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদ। ম্যাচটি জিতে ২৪ ম্যাচে (১৫ জয় ও ৭ ড্র) ৫২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ থাকবে তাদের সামনে।
এছাড়া রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে সোমরবার রাতে ২৪তম রাউন্ডের ম্যাচটি জিতলে রিয়ালের সমান ৫১ পয়েন্ট হবে বার্সেলোনার। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে রিয়ালকে পেছনে ফেলার সুযোগ থাকবে তাদের সামনেও।
৬১ দিন আগে
ধ্রুপদী ফুটবলের রাতে গৌরবময় সময়ে ফেরার ইঙ্গিত বার্সেলোনার
হাজারো সংকটের মাঝেও কীভাবে লক্ষ্যে অটল থেকে, মাথা ঠান্ডা রেখে জয় ছিনিয়ে আনতে হয়, তা-ই যেন দেখিয়ে চলেছেন হান্সি ফ্লিক। একের পর এক খেলোয়াড়ের চোট এবং ক্লাবের আর্থিক সংকটে নতুন খেলোয়াড় না পেয়ে একাডেমি লা মাসিয়া থেকে যুবাদের মূল দলে এনে জোড়াতালি দিয়ে শিষ্যদের মাঠে নামিয়ে চলেছেন এই জার্মান কোচ। অথচ এমনই তার দলের পারফরম্যান্স যা কোটি বার্সাভক্তকে ভুলিয়ে দেয়— দলটি ঠিক কতটা সংকটের মধ্যে সময় পার করছে। আর তেমনই এক স্মরণীয় ম্যাচ তিনি উপহার দিলেন রবিবার রাতেও।
সবশেষ কয়েক ম্যাচ উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে আসার মাঝে দানি অলমো ও পাউ ভিক্তরের নিবন্ধন নিয়ে জটিলতা, রোনালদ আরাউহোর দল ছাড়ার গুঞ্জন— সব মিলিয়ে ঝটিকাসংকুল সময়ের মাঝে কে ভেবেছিল, এই বার্সেলোনা সম্প্রতি ছন্দে ফিরতে শুরু করা রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত করবে? তাও আবার শেষের অন্তত ৪০ মিনিট দশজন নিয়ে খেলে? অথচ মাঠের খেলায় সেটিই বাস্তবতা হয়ে ধরা দিল। আর হাজারো সমস্যার মাঝে লাল-নীল জার্সির মায়ায় পড়া বিশ্বব্যাপী কোটি কুলেরের হৃদয় বিগলিত করা একটি রাত উপহার দিল দলটি।
পড়তে পড়তে অনেকেরই হয়তো চোখ ভরে উঠবে, কিন্তু মরুর বুকে যে বিজয়গাঁথা বার্সেলোনা রচনা করল, তা কি এসব উপমার তুলনায় কম কিছু?
৯৪ দিন আগে
সহজ জয়ে সুপার কাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
ধীরগতির ফুটবল ম্যাচে তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ ছাড়াই অনুমিত জয় পেয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এর ফলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে উঠল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। পাশাপাশি আরও একটি এল ক্লাসিকো ফাইনাল দেখার সুযোগ মিলল ফুটবলভক্তদের।
সৌদি আরবে স্প্যানিশ সুপার কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মায়োর্কাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাড়েমেড়ে প্রথমার্ধ শেষে দ্বিতীয়ার্ধেও তেমন কোনো উত্তেজনা ছড়াতে পারেনি দুই দল। তবে তিনটি গোলই হয়েছে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে।
৬৩তম মিনিটে খানিকটা ভাগ্যের জোরে রিয়ালের গোলের খাতা খোলেন জুড বেলিংহ্যাম। ডান পাশ দিয়ে চমৎকার এক আক্রমণে উঠে মায়োর্কার বক্সে ঢুকে পেনাল্টি স্পটের দিকে ব্যাক পাস দেন ভিনিসিয়ুস। তা থেকে দূরের পোস্টে শট নিলে রদ্রিগোর সেই শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বল পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে গোলে শট নেন এমবাপে, তবে দারুণ ক্ষিপ্রতায় মায়োর্কা গোলরক্ষক তা ফিরিয়ে দিলে সামনে থাকা বেলিংহ্যাম পেয়ে যান। এরপর ঠান্ডা মাথায় গোলরক্ষক ও ডিফেন্ডারদের মাঝ দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। ফলে হতাশ হয় মায়োর্কা।
গোল খাওয়ার পরও সমতায় ফিরতে তেমন জোর চেষ্টা ছিল না দলটির। এর মাঝে সুযোগ তৈরি অব্যাহত রাখে রিয়াল মাদ্রিদ। আর তা প্রতিহত করতেই সময় যায় মায়োর্কার খেলোয়াড়দের।
আরও পড়ুন: বিলবাওকে হারিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে বার্সেলোনা
এমতাবস্থায় নির্ধারিত নব্বই মিনিটের খেলা শেষ হলে ১-০ গোলেই ম্যাচ শেষ হওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছিল। তবে অতিরিক্ত যোগ করা ৬ মিনিটের তৃতীয় মিনিটে এমবাপের শট প্রতিহত করতে গিয়ে বলের দিক পরিবর্তন করে দেন মায়োর্কা ডিফেন্ডার মার্তিন ভালিয়েন্ত। আর বল জালে জড়িয়ে গেলে আত্মঘাতী গোলের গ্লানিতে পুড়তে হয় তাকে।
এর দুই মিনিট পর গোল পেয়ে যান রদ্রিগোও। লুকাস ভাসকেসের বাড়ানো বল থেকে গোল আদায় করে নিয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলেন তিনি। এতে দলকে ফাইনালে নেওয়ার পাশাপাশি গোল করে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেন এই ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড।
আগামী রবিবার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। সেদিন জিতলে সুপার কাপ জয়ের হিসাবে চির প্রতিদ্বন্দ্বীদের পাশে বসবে রিয়াল (১৩)।
গত মৌসুমেও সুপার কাপে এল ক্লাসিকো ফাইনাল দেখেছিল ফুটবল বিশ্ব। সেবার বার্সাকে ৪-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বর্তমান লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপাধারীরা। টানা দ্বিতীয়বার ফের ফিরতে চলেছে সেই একই ফাইনাল।
৯৮ দিন আগে
ফিফা বর্ষসেরার তালিকায় মেসি
কোপা আমেরিকা জয় এবং ইন্টার মায়ামির হয়ে মাঠে দারুণ সময় কাটালেও এ বছরের ব্যালন দ’রের ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ছিলেন না লিওনেল মেসি। তবে বছরজুড়ে মেসির কাজের স্বীকৃতি দিতে ভোলেনি বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ২০২৪ সালে ফুটবলের বর্ষসেরার পুরস্কার ‘দ্য বেস্ট’-এর তালিকায় রয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
শুক্রবার ফিফার ওয়েবসাইটে ২০২৪ সালের দ্য বেস্টের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১১ জনের ওই সংক্ষিপ্ত তালিকায় রয়েছে মেসির নাম।
মেসি ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন এবারের ব্যালন দ’র জয়ী রদ্রি। এছাড়া রিয়াল মাদ্রিদের ৬ খেলোয়াড় রয়েছেন এই তালিকায়- ভিনিসিউস জুনিয়র, জুড বেলিংহ্যাম, দানি কারভাহাল, ফেদেরিকো ভালভার্দে, টনি ক্রুস ও কিলিয়ান এমবাপ্পে। এ ছাড়াও ম্যানচেস্টার সিটির আর্লিং হালান্ড, বায়ের লেভারকুজেনের ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস ও বার্সেলোনার বিস্ময়বালক লামিন ইয়ামালও জায়গা করে নিয়েছেন এই তালিকায়।
এ নিয়ে ফিফা ‘দ্য বেস্ট’ প্রচলনের পর থেকে এ পর্যন্ত ৯ বারই মনোনয়ন পেলেন মেসি। এর মধ্যে তিনি পুস্কারটি জিতেছেন তিনবার (২০১৯, ২০২২ ও ২০২৩ সালে)।
‘দ্য বেস্ট’ পুরুষ ফুটবলারের পাশাপাশি আরও ১০টি পুরস্কারের মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা। এর মধ্যে রয়েছে বর্ষসেরা নারী ফুটবলার, বর্ষসেরা কোচ, বর্ষসেরা গোলরক্ষক, বর্ষসেরা একাদশ ও বর্ষসেরা গোলের পুরস্কার। এছাড়া দেওয়া হবে ফিফা ফ্যান অ্যাওয়ার্ড।
পুরস্কারগুলোর প্রত্যেকটির জন্য ভোট দিতে পারেন ভক্ত-সমর্থকরা। সেরা খেলোয়াড়, সেরা কোচ ও সেরা গোলরক্ষক নির্বাচনে মোট ভোটের এক চতুর্থাংশ রাখা হয়েছে দর্শকদের জন্য, বাকি তিন ভাগ দেন ফিফার সদস্যদেশগুলোর অধিনায়ক, কোচ ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা। সেরা গোল ও একাদশ নির্বাচনে ভক্তদের ভোটের হার অর্ধেক। ফিফার ওয়েবসাইটে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভোট দেওয়া যাবে।
২০২৩ সালের ২১ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট পর্যন্ত পারফরম্যান্স বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি বিভাগের সংক্ষিপ্ত মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করেছে ফিফা। ‘দ্য বেস্ট’-এর ১১ জনের মধ্যে ইউরোপেরে বাইরে থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন শুধু মেসিই।
আরও পড়ুন: হ্যাটট্রিক করে রোনালদোকে ছুঁলেন মেসি
তাকে মনোয়ন দেওয়ার ব্যাখ্যায় ফিফা বলেছে, বয়স ৩৭ হয়ে গেলেও ইন্টার মায়ামি ও আর্জেন্টিনা দলে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছেন মেসি। তার অনুপ্রেরণামূলক পারফরম্যান্সে ২০২৩ লিগস কাপের পর রেকর্ড সংখ্যক পয়েন্ট অর্জন করে ২০২৪ সালের সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছে মায়ামি। এছাড়া এ সময়ের মধ্যে তার নেতৃত্বে কোপা আমেরিকা জিতেছে আর্জেন্টিনা। এমনকি বিশ্বকাপ বাছাইয়ের লাতিন আমেরিকা অঞ্চলে জয় দিয়ে বছর শেষ করা আর্জেন্টিনা রয়েছে পয়েন্ট টেবিলের চূড়ায়, আর সর্বোচ্চ ৬ গোল নিয়ে সবার উপরে মেসি।
এক নজরে ‘দ্য বেস্ট’-এর সংক্ষিপ্ত তালিকা
সেরা পুরুষ ফুটবলার: জুড বেলিংহ্যাম (ইংল্যান্ড/রিয়াল মাদ্রিদ), দানিয়েল কারভাহাল (স্পেন/রিয়াল মাদ্রিদ), আর্লিং হালান্ড (নরওয়ে/ম্যানচেস্টার সিটি), টনি ক্রুস (জার্মানি/রিয়াল মাদ্রিদ), কিলিয়ান এমবাপ্পে (ফ্রান্স/রিয়াল মাদ্রিদ), লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা/ইন্টার মায়ামি), রদ্রিগো এরনান্দেস (স্পেন/ম্যানচেস্টার সিটি), ফেদেরিকো ভালভার্দে (উরুগুয়ে/রিয়াল মাদ্রিদ), ভিনিসিউস জুনিয়র (ব্রাজিল/রিয়াল মাদ্রিদ), ফ্লোরিয়ান ভিয়ার্টস (জার্মানি/বায়ের লেভারকুজেন), লামিন ইয়ামাল (স্পেন/বার্সেলোনা)।
সেরা কোচ: শাবি আলোনসো (বায়ের লেভারকুজেন), কার্লো আনচেলত্তি (রিয়াল মাদ্রিদ), লুইস দে লা ফুয়েন্তে (স্পেন), পেপ গার্দিওলা (ম্যানচেস্টার সিটি), লিওনেল স্কালোনি (আর্জেন্টিনা)।
সেরা গোলরক্ষক: জানলুইজি দোন্নারুম্মা (ইতালি/পিএসজি), এদেরসন মোরায়েস (ব্রাজিল/ম্যানচেস্টার সিটি), আন্দ্রিই লুনিন (ইউক্রেন/রিয়াল মাদ্রিদ), মাইক মাইনিয়ঁ (ফ্রান্স/এসি মিলান), এমিলিয়ানো মার্তিনেস (আর্জেন্টিনা/অ্যাস্টন ভিলা), দাভিদ রায়া (স্পেন/আর্সেনাল), উনাই সিমোন (স্পেন/আথলেতিক বিলবাও)।
১৩৯ দিন আগে
হেরে খাদের কিনারায় থাকা রিয়াল শিবিরে আরও দুঃসংবাদ
ফুটবলারদের ফর্মহীনতা, সমন্বয়ের অভাব ও চোটজর্জর দল নিয়ে ভোগান্তির মাঝেই গত রাতে লিভারপুলের কাছে হেরেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এই হারের রাতে মরার ওপর খাড়ার ঘা হিসেবে নেমে এসেছে আরও চোটের দুঃসংবাদ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম পর্বের পঞ্চম রাউন্ডের ম্যাচে বুধবার রাতে লিভারপুলের কাছে ২-০ গোলে হেরেছে ম্যাচজুড়ে বিবর্ণ থাকা রিয়াল মাদ্রিদ।
ম্যাচের ৫৬তম মিনিটে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ক্লাবটির ফরাসি মিডফিল্ডার এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এক বিবৃতিতে রিয়াল মাদ্রিদ জানিয়েছে, অন্তত তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে এই প্রতিভাবান ফুটবলারকে।
হাঁটুর লিগামেন্টের চোট সেরে সেপ্টেম্বরে মাঠে ফিরেছিলেন কামাভিঙ্গা। দুই মাস খেলতে না খেলতেই ফের চোট নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে হলো তাকে।
আরও পড়ুন: হারের পর রিয়াল শিবিরে জোড়া ইনজুরির দুঃসংবাদ
কামাভিঙ্গার তিন সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকার অর্থ হলো, লা লিগায় গেতাফে, আথলেতিক বিলবাও, জিরোনা ও রায়ো ভায়েকানো এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পরবর্তী ম্যাচে আতালান্তার বিপক্ষে তাকে পাচ্ছেন না কার্লো আনচেলত্তি।
এছাড়া অ্যানফিল্ড থেকে অস্বস্তি নিয়ে মাদ্রিদে ফিরেছেন রিয়ালের আক্রমণভাগের গুরুত্বপূর্ণ তিন খেলোয়াড়- কিলিয়ান এমবাপ্পে, জুড বেলিংহ্যাম ও ব্রাহিম দিয়াস। তাদের মধ্যে কেউ চোটাক্রান্ত হয়েছেন কিনা, এ বিষয়ে শুক্রবার তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলেও ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম দিয়ারিওর খবরে বলা হয়েছে, শনিবার গেতাফের বিপক্ষে বিশ্রাম পেতে পারেন এই তিন খেলোয়াড়। পরের ম্যাচে শক্তিশালী বিলবাওয়ের বিপক্ষে সবাইকে দলে পেতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
মৌসুমের শুরুতেই রিয়ালের রক্ষণে হানা দেয় চোট। এবার দলটির আক্রমণভাগও গ্রাস করতে চলেছে এই বিপদ।
চোটের কারণে লিভারপুল ম্যাচে স্কোয়াডে ছিলেন না আক্রমণভাগের মহাগুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ভিনিসিউস ও রদ্রিগো। অ্যানফিল্ডে ভিনির অনুপস্থিতি ভালোভাবেই টের পেয়েছে রিয়াল ও দলটির সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
এছাড়া আরেক ফরাসি মিডফিল্ডার অরেলিয়েঁ চুয়ামেনিও চোট নিয়ে দলের বাইরে রয়েছেন। এর আগে, চোটের কারণে মৌসুমই শেষ হয়ে গেছে ডিফেন্ডার দানি কারভাহাল ও এদের মিলিতাওয়ের। ইনজুরিতে মাঠের বাইরে রয়েছেন ডেভিড আলাবাও।
১৪০ দিন আগে
ভিনিসিউসের হ্যাটট্রিকে রিয়ালের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন
ঘরের মাঠে পরপর দুই ম্যাচ হারের পর জয়ে ফিরতে শিষ্যদের যে তাগিদ দিয়েছিলেন কার্লো আনচেলত্তি, তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়েই যেন দুর্বার ফুটবল খেলল রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা। আর তাদের নৈপুণ্য ও ক্ষিপ্র ফুটবলে ভেসে গেল ওসাসুনা।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে শনিবার লা লিগায় ওসাসুনাকে ৪-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এদিন চমৎকার এক হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন ভিনিসিউস। আর মৌসুমের প্রথম গোল পেয়েছেন সমালোচনায় জর্জরিত জুড বেলিংহ্যাম।
আরও পড়ুন: সমাধান খুঁজে পেয়েছি, এখন মাঠে দেখানোর পালা: আনচেলত্তি
তবে বড় জয়ের দিন দুর্ভাবনা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই ম্যাচে চোট নিয়ে প্রথমার্ধেই মাঠ ছাড়তে হয় এদের মিলিতাও ও রদ্রিগোকে। এছাড়া হাঁটুর চোটে বিরতির পর আর মাঠে নামা হয়নি লুকাস ভাসকেসের।
১৫৯ দিন আগে
জয়ে আনচেলত্তির ৩০০তম ম্যাচ রাঙাল রিয়াল মাদ্রিদ
কার্লো আনচেলত্তির কোচিং ক্যারিয়ারের ৩০০তম ম্যাচ ছিল এটি। তবে মাঠে নেমে দারুণ এক জয়ের মাধ্যমে তাকে গুরুদক্ষিণা দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা।
লা লিগায় সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে মঙ্গলবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে দেপর্তিভো আলাভাসকে আতিথ্য দেয় রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি ৩-২ গোলের বড় ব্যবধানে জিতেছে আনচেলত্তির শিষ্যরা।
অবশ্য স্কোরলাইন দেখে মনে হতে পারে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে দুদল। তবে পুরো ম্যাচজুড়েই আলাভেসকে কোণঠাসা করে রাখে স্বাগতিকরা। আর শেষ মুহূর্তে সান্ত্বনাসূচক দুটি গোল পেয়ে যায় আলাভেস।
দলের হয়ে প্রথম মিনিটেই প্রথম গোলটি করে রিয়াল মাদ্রিদকে এগিয়ে নেন রাইট ব্যাক লুকাস ভাসকেস। এরপর কিলিয়ান এমবাপ্পে ও রদ্রিগোর গোলে ব্যবধান বাড়ায় তারা। তারপর ম্যাচের শেষ সময়ে আলাভেসের গোলদুটি করেন কার্লোস বেনাভিদেস ও কিকে গার্সিয়া।
এই জয়ে লিগে টানা ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত রইল মাদ্রিদ জায়ান্টরা। বার্সেলোনার ৪৩ ম্যাচের রেকর্ড ছোঁয়ার লক্ষ্যে আরও একধাপ এগোল ভিনিসিউস-এমবাপ্পেরা। শুধু তা-ই নয়, লিগে প্রথম ৬ ম্যাচ মিলিয়ে প্রথমার্ধে মাত্র একটি গোল করা রিয়াল মাদ্রিদ এই ম্যাচে গোল পেয়েছে দুটি।
আরও পড়ুন: নিজের ‘এক্সপায়ার ডেট’ দেখতে পাচ্ছেন না আনচেলত্তি
এদিন কার্যত গোল খেয়েই ম্যাচ শুরু করে আলাভেস। ম্যাচের ৫৪তম সেকেন্ডে বাঁ পাশ দিয়ে বক্সে ঢুকে গোললাইনের কাছ থেকে গোলমুখে থাকা লুকাস ভাসকেসকে পাস দেন ভিনিসিউস। বল পেয়ে প্রথম ছোঁয়াতেই গোল আদায় করে নেন ভাসকেস। ফলে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামার প্রথম মিনিটেই সমর্থকদের আনন্দে ভাসান ৩৩ বছর বয়সী এই রাইট ব্যাক।
২০৫ দিন আগে
শাস্তি পেতে পারেন বেলিংহ্যাম
স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে সমতাসূচক গোলটি করার পর অশালীন অঙ্গভঙ্গিতে উদযাপন করায় শাস্তি পেতে পারেন ইংল্যান্ডের রিয়াল মাদ্রিদ তারকা জুড বেলিংহ্যাম।
রবিবার (৩০ জুন) এক গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে প্রায় হেরেই বসেছিল ইংলিশরা। তবে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান বেলিংহ্যাম। এরপর ম্যাচটি অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে আরও একটি গোল করে ইংল্যান্ডকে কোয়ার্টার ফাইনালে তোলেন অধিনায়ক হ্যারি কেইন।
ম্যাচ চলাকালে টেলিভিশনের ক্যামেরায় বেলিংহ্যামের উদযাপনে কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়েনি। তবে ম্যাচের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়েছে, যাতে দেখা গেছে, স্লোভাকিয়ার বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে হাত দিয়ে দৃষ্টিকটু অঙ্গভঙ্গি করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: বেলিংহ্যামের শেষের নাটকের পর স্লোভাকিয়াকে কাঁদিয়ে শেষ আটে ইংল্যান্ড
অবশ্য, বেলিংহ্যামের দাবি, ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উদ্দেশে তিনি ওই আচরণ করেন।
তিনি বলেন, ‘স্টেডিয়ামে উপস্থিত কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে লক্ষ্য করে রসিকতার জন্য এটি করেছিলাম। স্লোভাকিয়া দল যেভাবে খেলেছে, তাতে তাদের প্রতি আমার শুধুই সম্মান রয়েছে।’
তবে, এই ধরনের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ম্যাচে লাল কার্ড পাওয়ার মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ফলে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরপরই নড়েচড়ে বসেছে উয়েফা।
এ বিষয়ে তদন্ত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। এক্ষেত্রে ম্যাচ রেফারির রিপোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে কোয়ার্টার ফাইনালে বেলিংহ্যামকে নাও পেতে পারে দল।
আগামী শনিবার (৬ জুন) শেষ আটে সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে গতবারের রানার্স-আপ ইংল্যান্ড।
আরও পড়ুন: বিরল কীর্তিতে রোনালদোর পাশে বসলেন ইয়ামাল
২৯০ দিন আগে