কোটা আন্দোলন
কোটা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে জামায়াত, শিবির ও বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি কোটা সংস্কারের জন্য ছাত্রদের আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে দেশব্যাপী সাম্প্রতিক সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
ইতালির রাষ্ট্রদূত আন্তোনিও আলেসান্দ্রো বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (জামায়াত-শিবির ও বিএনপি) ছাত্রদের শুধু ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।’
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব নূরএলাহি মিনা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, জামায়াত-শিবির ও বিএনপি অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সহিংসতার পর চিকিৎসা নেওয়া আহতদের দেখতে তিনি বিভিন্ন হাসপাতালে গেছেন।
তিনি বলেন, 'আমরা সবাইকে সমানভাবে চিকিৎসা সুবিধা দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডসহ সবকিছু ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে।
তিনি বলেন, সারা দেশ ডিজিটালাইজেশনের আওতায় এসেছে। এক্সপ্রেসওয়ে ও মেট্রোরেল স্টেশনের ভাঙা টোল প্লাজাগুলোর সেবা চালু করতে কিছুটা সময় লাগছে।
ইতালির রাষ্ট্রদূত বলেন, নৈরাজ্যবাদীরা বাংলাদেশের আধুনিকায়নের প্রতীকগুলোকে টার্গেট করেছে।
তিনি জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে শোক প্রকাশ করেছেন।
মিনা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এসব ভাঙচুরের পেছনে থাকা অপরাধীদের বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রদূত।’
হলি আর্টিজানে হামলার পর সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশের পদক্ষেপ ও সাফল্যের প্রশংসা করেন তিনি।
ইতালির রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে মিনা বলেন, 'হলি আর্টিজানের ঘটনার মতো ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে সন্ত্রাসবাদ দমন করতে বাংলাদেশ সক্ষম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।’
সাম্প্রতিক হামলা ও ভাঙচুর মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে ঐতিহাসিকভাবে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, প্রায় দুই লাখেরও বেশি প্রবাসী বাংলাদেশি এই সম্পর্কের সেতুবন্ধন এবং তারা উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
আলেসান্দ্রো বলেন, দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে কাজ করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করল সরকার
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, জ্বালানি, এসএমই, মহাকাশ প্রযুক্তি ও জাহাজ নির্মাণ ক্ষেত্রগুলো এই ক্ষেত্রের কাজের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
তিনি ইতালিতে বৈধ অভিবাসনের বিষয়টি এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে তার দেশের পুলিশ সদস্যদের বিশাল অভিজ্ঞতা থাকায় বিক্ষোভ ও দমন-পীড়নের মতো বিভিন্ন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ পুলিশকে 'স্কুল অব পাবলিক অর্ডার'-এ প্রশিক্ষণ দিতে তার দেশের গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি একটি ভালো প্রস্তাব উল্লেখ করে বলেন, এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এবং অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোটা সহিংসতার প্রতিটি ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
৪ মাস আগে
কোটা আন্দোলনে নরসিংদীতে আহত কৃষকের মৃত্যু ঢামেক হাসপাতালে
নরসিংদীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আহত হওয়া কৃষক আবদুর রহমান (৪৪) মারা গেছেন।
ঢামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১৫, আটক ১০
নরসিংদী সদর উপজেলার দক্ষিণ চোগা গ্রামের কৃষক আবদুর রহমান। এছাড়া তিনি সহকারী কাজী হিসেবেও কাজ করতেন।
গত ২০ জুলাই নরসিংদীর পাঁচদোনা মোড়ে সংঘর্ষে আহত হলে তাকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তার শ্যালক আবুল বাশার জানান, তার পেছনে গুলি লেগেছিল।
বাচ্চু মিয়া জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
এর আগে রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জানিয়েছিলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় ১৫০ জন নিহত হয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নিহতদের মধ্যে ছাত্র, সমাজকর্মী, পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ নেতা ও বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'মার্চ ফর জাস্টিস': যশোরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল
‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপ
৪ মাস আগে
বুধবার 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি পালন করবে কোটা আন্দোলনকারীরা
দেশব্যাপী কারফিউ জারির পর থেকে সমাবেশের স্বাধীনতার আলোকে বুধবার তাদের সবচেয়ে দৃশ্যমান কর্মসূচি 'মার্চ ফর জাস্টিস'ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। ৯দফা দাবিতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালত চত্বর এবং প্রধান সড়কে 'মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচি পালন করবে তারা।
‘সারাদেশে শিক্ষার্থী ও জনগণের ওপর গণহত্যা, মিথ্যা প্রচারণা, হামলা, মামলা, গুম ও হত্যার ঘটনা এবং জাতিসংঘের তদন্তের ভিত্তিতে বিচারে এবং ছাত্রসমাজ ও দেশের জনগণের ৯ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বুধবার আদালত, ক্যাম্পাস ও প্রধান সড়কে 'মার্চ ফর জাস্টিস' কর্মসূচি পালন করবে তারা।’
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।আরও পড়ুন: সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ে ষড়যন্ত্র-মিথ্যাচার করছে, পদত্যাগ করা উচিত: ফখরুল
আগামীকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অনুষ্ঠেয় এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থী ও জনগণকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
৯ দফা দাবির মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে তারা দাবি করেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলায় ২৬৬ জনের বেশি নিহত ও কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
এতে বলা হয়, গত কয়েকদিনে ঢাকায় দুই লাখের বেশি মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সরকার, অথচ পুলিশ 'গ্রেপ্তার বাণিজ্যে' লিপ্ত।
এছাড়া সারাদেশে ১০ হাজারের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বৈঠকে ৭ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী
৪ মাস আগে
কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে সারা দেশে শোক পালন
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার সারাদেশে শোক পালন করা হচ্ছে।
এর আগে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় দেশব্যাপী হতাহতের বিষয়ে একটি শোক প্রস্তাবও গৃহীত হয়।
সভাশেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
আরও পড়ুন: সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ে ষড়যন্ত্র-মিথ্যাচার করছে, পদত্যাগ করা উচিত: ফখরুল
নিহতদের স্মরণে প্রত্যেকে কালো ব্যাজ পরা এবং মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা ও গির্জায় প্রার্থনার কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে সৃষ্ট পরিস্থিতি সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।
সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫০ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার সারা দেশে শোক
৪ মাস আগে
সরকার কোটা আন্দোলনকারীদের নিয়ে ষড়যন্ত্র-মিথ্যাচার করছে, পদত্যাগ করা উচিত: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার সত্যকে আড়াল করতে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে মিথ্যাচার করছে এবং ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সহিংসতায় জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করার পরিবর্তে সরকার বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের দমন করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথভাবে শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচারে লিপ্ত হচ্ছে। এর সর্বশেষ প্রমাণ হলো, রংপুরে আবু সাঈদ গুলিতে নয়, বরং ইটের আঘাতে মারা গেছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। যদিও দেশ-বিদেশের মানুষ দেখেছে কীভাবে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় সহিংসতার সম্পূর্ণ দায় সরকারকে নিতে হবে এবং জনগণের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে পদত্যাগ করতে হবে।
বিএনপির এই নেতা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার এ ধরনের মিথ্যাচার করে এবং প্রতারণামূলক কৌশল ও নির্যাতন করে জনগণের কাছ থেকে সত্য গোপন করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে: মির্জা ফখরুল
ফখরুল আরও দাবি করেন, সরকার ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের নাম ও সংখ্যার যে তালিকা দিয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ গণমাধ্যমে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনেক বেশি।
এছাড়া নিহত কিশোর এবং এর আগে নিহতদের নাম সরকারের তালিকায় নেই বলেও জানান তিনি।
অবিলম্বে হতাহতের সুষ্ঠু তালিকা প্রকাশ করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন 'অনির্বাচিত ও অবৈধ' আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার ভিত নাড়িয়ে দিয়েছে।
ফখরুল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আন্দোলন দমনের নামে রাষ্ট্রীয় ও দলীয় সন্ত্রাসের কারণে কয়েকশ ছাত্র ও নাগরিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ‘যারা নিহত বা আহত হয়েছেন তাদের অধিকাংশই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের ছোঁড়া বুলেটে বিদ্ধ হয়েছেন।’
তিনি বলেন, সংবাদপত্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী রাজধানীর ৩১টি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতের সংখ্যা ৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতে ‘জাতীয় ঐক্যের’ আন্দোলন শুরু বিএনপির
তিনি বলেন, 'আহতদের পরিবার ও সাধারণ মানুষকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এমনকি সরকারের নির্দেশে নিহতদের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পরিবর্তন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতদের স্বজনরা। বিএনপির এই নেতা বলেন, 'আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলামের মাধ্যমে অনেক নিহত মানুষকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীরা বারবার বলছেন, প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিত করবেন। ‘কিন্তু বাস্তবতা হলো- প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করার পরিবর্তে সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদের দমনে মনোযোগী হয়েছে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ বিরোধী দলের নেতাদের রিমান্ডে নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মী এবং কোটা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের সাদা পোশাকের পুলিশ ধরে নিয়ে গেলেও এখনো তাদের পরিবারের কাছে ফেরত দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রীর মায়াকান্না জনগণের সঙ্গে প্রতারণার আরেকটি নজির: ফখরুল
৪ মাস আগে
কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে মঙ্গলবার সারা দেশে শোক
গত সপ্তাহে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের স্মরণে মঙ্গলবার সারা দেশে শোক পালন করা হবে।
সোমবার (২৯ জুলাই) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
তিনি আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়।
নিহতদের স্মরণে প্রত্যেকে কালো ব্যাজ পরবেন এবং মসজিদ ও মন্দিরে প্রার্থনা করা হবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় ১৪৭ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
এর আগে রবিবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, নিহতদের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন।
নারী-পুরুষ ও পেশা যাচাই করে নিহতের মোট সংখ্যা এবং আক্রান্তদের সংখ্যা জানার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
৪ মাস আগে
সাম্প্রতিক সহিংসতায় আরও ১৪ মামলা দায়ের, গ্রেপ্তার ২৪৩: ডিএমপি
সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় কোটা আন্দোলনে সহিংসতায় আরও ১৪টি মামলা দায়ের হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী কমিশনার (এসি-মিডিয়া) জাহাঙ্গীর কবির জানান, এ নিয়ে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় মোট ২৪৩টি মামলা রেকর্ড হলো।
তিনি বলেন, এ সময়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৫৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সহিংসতায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৮২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সম্প্রতি সারাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে দুই শতাধিক নিহতের খবর প্রকাশিত হলেও রবিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান দাবি করেন, মাত্র ১৪৭ জন নিহত হয়েছে।
৪ মাস আগে
কোটা আন্দোলনের সফলতা অর্জনে ছাত্রদের উৎসব করা উচিত: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেছেন, কোটা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা যে সফলতা অর্জন করেছেন, সেটা তাদের ধরে রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘কোটা নিয়ে আদালতের মাধ্যমে সুন্দর ও সুষ্ঠু সমাধানে সরকারই উদ্যোগ নিয়েছে। আমি মনে করি, এই আন্দোলনের সফলতা অর্জনে তাদের (ছাত্রদের) উৎসব করা উচিত।’
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, ‘এই অর্জন ধরে রাখতে তারা কিছু পরিপক্ক বিবৃতি দিয়েছেন। যেমন নাশকতা ও সন্ত্রাসকারীদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এভাবে তারা যে আস্থা অর্জন করেছেন, সেটা তাদের রক্ষা করতে হবে।’
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আব্দুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে যেসব দায়িত্বহীন কথাবার্তা বিএনপি মহাসচিব বলছেন, সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত ও দুঃখজনক। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করছেন যে নাশকতার সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রয়েছে।’
আরও পড়ুন: মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ প্রাণিসম্পদ খাতের উপর সরাসরি নির্ভরশীল: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল বলেছেন, গ্রেপ্তার করা বন্ধ না হলে এ আন্দোলন থামানো যাবে না। আমার প্রশ্ন হলো, মেট্রোরেল ভাঙচুর, বিটিভিতে নাশকতা এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে আক্রমণ ও নাশকতার উন্মক্ত লালসা যে গোষ্ঠী চালিয়েছে, সেটাকে মির্জা ফখরুল আন্দোলন বলতে চান কি না? আর এটা যদি আন্দোলন হয়, তাহলে কার বিরুদ্ধে সেই আন্দোলন, এটা আমার প্রশ্ন।’
তিনি বলেন, ‘সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে সরকার মোটেও ব্যর্থ নয়। ছাত্ররা কোটা সংস্কারের আন্দোলন করেছেন। ২০১৮ সালে তো প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিল করেছিলেন। হাইকোর্টের রায়ের আগেও সেই কোটা ছিল। হাইকোর্টের রায়ের পর সরকারই আপিল বিভাগে আপিল করেছে। তারপর সেই আদেশ স্থগিত।’
তিনি বলেন, একটা জিনিসকে শান্তিপূর্ণ সমাধানে আনতে হলে আইনগত কিছু প্রক্রিয়া আছে। যেহেতু একটা বিচারাধীন বিষয় আদালতে ছিল, সেই আদালতের প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে নির্বাহী বিভাগ কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না।
আরও পড়ুন: খামারিরাই প্রাণিসম্পদ খাতের প্রকৃত সেলিব্রেটি: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী
৪ মাস আগে
কোটা আন্দোলন: ১০ মামলায় আসামি ১৬ হাজার, গ্রেপ্তার শতাধিক
কোটা সংস্কারের দাবিতে সিলেটে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ১০টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এসব মামলার এজাহারে প্রায় ২৫০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৬ হাজার জনকে।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেটে আন্দোলন শুরুর পর ১৭ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মেট্রোপলিটন এলাকার কোতোয়ালি থানায় পাঁচটি, জালালাবাদ থানায় চারটি ও দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই ১০টি মামলায় ২৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১৬ হাজার ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এরমধ্যে সোমবার (২২ জুলাই) রাত পর্যন্ত ১০৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
মোহম্মদ সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, ‘মামলাগুলো পুলিশ অ্যাসল্ট, সরকারি কাজে বাধা, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা হয়েছে। এসবের মধ্যে একটি মামলার বাদী কুমারগাঁও বিদ্যুৎকেন্দ্রের সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) ও বাকিগুলোর বাদী পুলিশ।’
৪ মাস আগে
চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলন: ২৭ মামলায় ৭০৩ গ্রেপ্তার
কোটা আন্দোলন ঘিরে ভাঙচুর, হত্যাচেষ্টা, অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরণের ঘটনায় চট্টগ্রাম মহানগরীসহ জেলার বিভিন্ন থানায় ২৭টি মামলা দাযের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৬ জুলাই রাত থেকে ২৪ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭০৩ জনকে।
আরও পড়ুন: সালিশে নারী নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, ২ ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার
পুলিশ আরও জানায়, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে গত ১৬ জুলাই নগরীর পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর এলাকায় তিনজন নিহত হন। ১৮ জুলাই চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাটে সংঘর্ষে দুইজন নিহত হন। এদিন বহদ্দারহাট সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ চবি শিক্ষার্থী হৃদয় চন্দ্র তরুয়া ২৩ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
সিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ ইউএনবিকে বলেন, ‘চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলনে হত্যা, দাঙ্গা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নাশকতার ঘটনায় ১৬টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জনসহ মোট ৩৭৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রামে কোটা আন্দোলন ঘিরে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় ১১টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৭ জনসহ মোট ৩৩০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: কোটা আন্দোলন: শেরপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ৩ মামলা, গ্রেপ্তার ৮
নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে ডিবির অভিযান, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতিসহ গ্রেপ্তার ৭
৪ মাস আগে