দুর্নীতি মামলার আসামি আমিন আল পারভেজকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক হিসেবে পদায়নকে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সরকারের ভেতর থেকেই দুর্নীতির সুরক্ষা ও দুদককে অকার্যকর করার চেষ্টা করা হচ্ছে কি না এমন প্রশ্ন তোলেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরকারি এই উদ্যোগের প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে টিআইবি।
পরবর্তীতে অভিযুক্ত আমিন আল পারভেজের নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। দুদকের এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান ড. ইফতেখারুজ্জামান।
গণমাধ্যম সূত্র উল্লেখ করে টিআইবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালে কক্সবাজারে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ভবন নির্মাণ ও ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্পে ২২ কোটি ২১ লাখ ২৮ হাজার ৮৩৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আমিন আল পারভেজের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।মামলার সময় তিনি তখন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির খবর যেন ধামাচাপা দেওয়া না হয়: দুদক চেয়ারম্যান
দুদকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমিন আল পারভেজ প্রতারণা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজে এবং অন্যদের অবৈধভাবে লাভবান করেছেন।
দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত থাকা সত্ত্বেও দুদকের পরিচালক পদে তাকে নিয়োগ দেওয়ার সরকারি পদক্ষেপকে পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য বলে অভিহিত করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান।
কোন মানদন্ডে সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন,‘ যেখানে দুদক সংস্কার কমিশন সুস্পষ্ট সুপারিশ করেছে যে, দুদকের অভ্যন্তরে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চিহ্নিত করে বিভাগীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে চাকুরী থেকে বহিষ্কার করে ফৌজদারি বিচারে সোপর্দ করতে হবে। সেখানে এই পদায়ন কেন?‘
আরও পড়ুন: টিআইবি দুর্নীতি সূচকে ২ ধাপ অবনতি বাংলাদেশের
তিনি বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপ নেতিবাচক বার্তা দেয়। এমনকি দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের অবস্থানকে দূর্বল করে বলে মত দেন তিনি। সরকারের এই উদ্যোগ দুদককে শক্তিশালী করার বদলে অকার্যকর করতে পারে বলে নিজের ধারণা প্রকাশ করেণ তিনি।
এছাড়াও এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতির সুরক্ষা দেওয়ার জন্য প্রশাসনেই ষড়যন্ত্র বিদ্যমান—এই প্রশ্নও অমূলক নয় বলে অভিমত দেন তিনি।