লাইব্রেরি
গ্রিসে বিশেষ প্রদর্শনীতে 'হাসিনা: এ ডটারস টেল'
গ্রিসে বিশেষ প্রদর্শনীতে দেখানো হবে দেশের জনপ্রিয় ডকুড্রামা 'হাসিনা: এ ডটরাস টেল’। রবিবার (৩ জুলাই) অ্যাথেন্সের স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে মাল্টি কালচারাল লাইব্রেরি ‘উই নিড বুকস'-এ এই বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।
'উই নিড বুকস'-এর আয়োজনে এবং সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর সহায়তায় আয়োজিত এই বিশেষ প্রদর্শনী প্রসঙ্গে 'উই নিড বুকস' তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছে,‘হাসিনা:এ ডটারস টেল'মোটেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে তৈরি কোন ডকুমেন্টারি নয়। বরং এটি বঙ্গবন্ধু কন্যাদের গল্প বলেছে। এই ডকুড্রামাটি তার শিরোনামের মতই হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া এক আবহ তৈরি করে। যা বর্ণনা করে দেশটির (বাংলাদেশের) অন্ধকার একদিন কিভাবে দুই কন্যার জীবনকে পরিবর্তন করে দিয়েছে।
'হাসিনা:এ ডটারস টেল'চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন। ডকুটির প্রযোজক হলেন, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও নসরুল হামিদ বিপু। পরিচালনা করেছেন অ্যাপল বক্স ফিল্মসের পিপলু খান।
পরিবেশক গাউসুল আজম শাওন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহল আছে সবার। তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর কিভাবে তিনি বেঁচে ছিলেন তার ইতিহাস অনেকের কাছেই অজানা। আর সে কারণেই সারা দেশে এই ডকুড্রামা সারা ফেলেছে। দেশে ও বিদেশে এখনো ডকুড্রামাটির চাহিদা রয়েছে বলে জানান তিনি।
ডকুড্রামাটির পরিচালক পিপলু খান বলেন,ডকুড্রামায় একজন শেখ হাসিনার রান্না ঘর থেকে শুরু করে সরকারপ্রধানের দায়িত্ব পালন, বেঁচে থাকার সংগ্রামসহ ব্যক্তিগত, পারিবারিক, রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক ফুটে উঠেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানার জীবনের কথাও উঠে এসেছে এতে। এই ডকুড্রামার মধ্য দিয়ে একটি সত্যনিষ্ঠ জীবনপ্রবাহকে পর্দায় হাজির করতে চেয়েছি।
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) প্রযোজিত ৭০ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘হাসিনা- এ ডটারস টেল’ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করতে পিপলু খানের সময় লেগেছে দীর্ঘ পাঁচ বছর। ২০১৮ সালের ১৬ নভেম্বর ছবিটি মুক্তির পরেই জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা লাভ করে। বিশ্বের বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে এটি প্রদর্শিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘মিশন এক্সট্রিম-২’র ফার্স্টলুক প্রকাশ
ডিআরইউ’র ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরি’ উদ্বোধন
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’তে (ডিআরইউ) সদস্যদের জন্য নির্মিত ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম’ লাইব্রেরি উদ্বোধন করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
রবিবার ডিআরইউ-এর দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দুপুর ৩টায় ডিআরইউ’র নতুন ভবনে নির্মিত লাইব্রেরির ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর লাইব্রেরি পরিদর্শন করেন। এ সময় ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের নেতৃত্বে কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লাইব্রেরি উদ্বোধনের পরে নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
আরও পড়ুন: ডিআরইউ’কে উপহার হিসেবে অটোমেটিক হ্যান্ড সেনিটাইজেশন ডিসপেনসার দিলো ভারতীয় হাইকমিশন
আইইউবি লাইব্রেরিতে ‘উইন্ডো অন কোরিয়া’
দক্ষিণ কোরিয়া সরকার তাদের জাতীয় গ্রন্থাগারের মাধ্যমে এ বছর বাংলাদেশের ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির (আইইউবি) লাইব্রেরিতে ‘উইন্ডো অন কোরিয়া’ স্থাপনে সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই প্রোগ্রামটি কোরিয়া সম্পর্কিত বই এবং উপকরণ সরবরাহ করে বাংলাদেশে কোরিয়ান সংস্কৃতি ও ইতিহাস সম্পর্কে বোঝা এবং আগ্রহ বাড়াবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুণ আশা প্রকাশ করে বলেছেন, উইন্ডো অন কোরিয়া বাংলাদেশের তরুণদের কোরিয়ান সংস্কৃতি ও ভাষার প্রতি ক্রমবর্ধমান আগ্রহ ও চাহিদাকে আরও ভালোভাবে পূরণ করতে পারবে এবং কোরিয়া ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এই প্রোগ্রামের অধীনে, কোরিয়ার ন্যাশনাল লাইব্রেরি প্রথম বছরে ১৫০০ থেকে ৩০০০ ভলিউম পর্যন্ত কম্পিউটার, চেয়ার, ডেস্ক এবং সাইনবোর্ডের মতো সুবিধা সরঞ্জামের খরচ এবং পরবর্তী পাঁচ বছরে কোরিয়া সম্পর্কিত ২০০ ভলিউম বই ও উপকরণ দিবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ - দ.কোরিয়ার সমঝোতা স্মারক সই
আইইউবি বাংলাদেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় যারা উইন্ডো অন কোরিয়া স্থাপন করতে যাচ্ছে এবং দ্বিতীয় যা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরে কোরিয়া ফাউন্ডেশন (কেএফ) এর সহায়তায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে কোরিয়া কর্নার স্থাপন করবে।
এই লাইব্রেরিতে একটি কোরিয়া নিবেদিত বিভাগ করা হবে। উইন্ডো অন কোরিয়া ছাড়াও, কোরিয়ার কিং সেজং ইনস্টিটিউট ফাউন্ডেশনেরসহায়তায় আইইউবি এই বছর একটি কিং সেজং ইনস্টিটিউট নামে একটি কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কার্যক্রমের আয়োজন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আইইউবি কোরিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে একাডেমিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা ২০১৪ সাল থেকে মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগে কোরিয়ান সিনেমা অ্যান্ড সোসাইটি কোর্সের মতো বিভিন্ন প্রোগ্রাম প্রদান করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইউবি কে-ক্লাব, একটি স্বেচ্ছাসেবী গোষ্ঠী যার ২০০ জনের বেশি সদস্য নিয়মিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেমন কোরিয়ান ফিল্ম নাইট এবং কে-পপ উৎসবের আয়োজন করে আসছে।
কোরিয়া দূতাবাসের সহযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়টি কোরিয়ান ভাষায় দক্ষতার পরীক্ষা, কোরিয়ান বক্তৃতা প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য কোরিয়ান সংস্কৃতি সম্পর্কিত প্রোগ্রামগুলোর জন্য নিয়মিত ভ্যেনু প্রদান করে আসছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে আগ্রহী অস্ট্রেলিয়া
পরীক্ষামূলকভাবে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে: সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আমরা যখন কোন সেলুনে যাই, তখন অবসর সময়ে আমরা হাতের নাগালে (বই, পত্রিকা, প্রভৃতি) যা কিছু পাই, তা পড়ার চেষ্টা করি। এতে করে আমাদের সময়টি যেমন সুন্দর কাটে, তেমনি আমরা জ্ঞানের আলোয় সমৃদ্ধ হই। সে বিষয়টি বিবেচনা করে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের মাধ্যমে পরীক্ষামূলকভাবে সারা দেশে ১০০টি সেলুন লাইব্রেরি চালু করা হয়েছে। উদ্যোগটি আপাত দৃষ্টিতে ক্ষুদ্র মনে হলেও এর কার্যকারিতা ফলপ্রসূ ও সুবিশাল।বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত মুজিব শতবর্ষে শত গ্রন্থাগারে 'পড়ি বঙ্গবন্ধুর বই, সোনার মানুষ হই' শীর্ষক ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার ওয়েবসাইট উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীতিনমাসব্যাপী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি এমপি।কে এম খালিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখনই সময় পেতেন, তখনই বই পড়তেন। এমনকি কারাগারে অন্তরীণের দিনগুলোতে তাঁর সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিল বই।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বইয়ের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক গড়তে হবে। নতুন টাকার গন্ধ যেমন আমাদের আকর্ষণ করে, তেমনি নতুন বইয়ের গন্ধও আমাদের আকৃষ্ট করে।সরকারি-বেসরকারি গ্রন্থাগারের উন্নয়নে বর্তমান সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইসিটি বিভাগের সহযোগিতায় লাইব্রেরি ডিজিটালাইজড করার একটি সমন্বিত প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে যেটি বাস্তবায়িত হলে লাইব্রেরি হতে তথ্য সেবা গ্রহণ ও প্রদানের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে। এর মাধ্যমে গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীন ৭১টি সরকারি গ্রন্থাগার, আর্কাইভ ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তরের অধীন জাতীয় গ্রন্থাগার, জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র এবং বিভিন্ন বেসরকারি গ্রন্থাগারসমূহ একই নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার ওয়েবসাইট উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
তিনি এসময় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত ধারাবাহিক পাঠ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ১০০টি পাঠাগারের প্রত্যেকটিকে তিন হাজার টাকা করে মোট তিন লক্ষ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেন।সিমিন হোসেন রিমি এমপি বলেন, বইয়ের আবেদন চিরন্তন। ইবুক বা সোশ্যাল মিডিয়া কাগজে মুদ্রিত বইয়ের বিকল্প নয়, বরং সহায়ক হতে পারে। বইয়ের গুণের শেষ নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বই পড়ার মাধ্যমে জ্ঞান, সৃজনশীলতা ও সহানুভূতি-সহমর্মিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বেশি বই পড়াশোনা করেন, তারা দ্রুত, সুন্দর ও গোছানোভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুবকর সিদ্দিক এবং বেসরকারি গ্রন্থাগার প্রতিনিধি ও দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর।
আরও পড়ুন: বই দিয়ে নির্মিত কলেজের প্রধান ‘ফটক’উল্লেখ্য, সারা দেশের ১০০টি বেসরকারি গ্রন্থাগারের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী,পাঠক বঙ্গবন্ধুর রচিত 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' গ্রন্থটি পাঠ করে লিখিতভাবে পাঠ-উত্তর প্রতিক্রিয়া বা অভিমত ব্যক্ত করার মাধ্যমে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন।
৫২ বছরের বাজেট ডকুমেন্টস পেল ইআরএফ
অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার পুরোধা ব্যক্তিত্ব প্রয়াত জাহিদুজ্জামান ফারুকের সংগ্রহে থাকা দেশের ৫২ বছরের বাজেট ডকুমেন্টস এবং অর্থনীতি বিষয়ক বই তার পরিবারের পক্ষ থেকে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) লাইব্রেরিতে দেয়া হয়েছে।
রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টন ইআরএফ লাইব্রেরিতে সংগঠনটির সভাপতি শারমীন রিনভী ও সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলামের কাছে এসব ডকুমেন্টস ও বই হস্তান্তর করেন জাহিদুজ্জামান ফারুকের ছেলে মহিউজ্জামান ফারুক ও পুত্রবধূ ফারহানা খান।
ইআরএফ সদস্য জাহিদুজ্জামান ফারুক চার দশকের বেশি সময় ধরে অর্থনৈতিক সাংবাদিকতা করেছেন। তার শখ ছিল-বাজেট ডকুমেন্টস ও অর্থনীতি বিষয়ক বিভিন্ন ধরনের বই ও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহে রাখা। ১৯৬৮ সাল থেকে তিনি বাজেট ডকুমেন্টস সংগ্রহ করা শুরু করেন। তার এসব দুর্লভ সংগ্রহ ইআরএফ লাইব্রেরিতে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ১১ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবে ডিআরইউ’র প্রতিবাদ
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জাহিদুজ্জামান ফারুকের ছেলে মহিউজ্জামান ফারুক বলেন, ‘আমার বাবার পেশা ও নেশা ছিল সাংবাদিকতা, অর্থনীতির খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে গবেষণা ও লেখালেখি। পাশাপাশি দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে তিনি বাজেট ডকুমেন্টসহ অর্থনীতির নানা তথ্য-উপাত্ত ও বই সংগ্রহে রাখতেন। সেসব ডকুমেন্টস ইআরএফ লাইব্রেরিতে প্রদানের উদ্দেশ্য হলো-এর যেন যথার্থ ব্যবহার হয়।’
অনুষ্ঠানে ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভী বলেন, ‘জাহিদুজ্জামান ফারুক বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার বিকাশে সারাজীবন কাজ করে গেছেন। এজন্য তিনি অর্থনীতির নানা ধরনের ডকুমেন্টস সংগ্রহ করেছেন। যা ভবিষ্যত প্রজন্মের অর্থনৈতিক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে বিশেষ সহায়ক হবে।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রয়াত সাংবাদিক জাহিদুজ্জামানের নামে ইআরএফ লাইব্রেরিতে আলাদা একটি কর্নার করা হবে। যেখানে তার সংগ্রহে থাকা সকল ডকুমেন্টস ও বই রাখা হবে। সাংবাদিকদের পাশাপাশি অর্থনীতিবিদ ও গবেষকসহ অন্যরা এসব ডকুমন্টেস ব্যবহার করতে পারবেন।’
জাহিদুজ্জামান ফারুক গত ১৯ আগস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নেতাদের ব্যাংক হিসাব তলবে উদ্বেগের কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
গাইড বই জব্দ, ভোলায় ৫ শিক্ষকের কারাদণ্ড
ভোলায় বিভিন্ন লাইব্রেরি ও কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান নিষিদ্ধ গাইড বই জব্দ ও ৩টি লাইব্রেরিকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।