বাকৃবি শিক্ষার্থী
কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ
কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে এবার ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পশুপালন ও ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২১ আগষ্ট) বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় এলাকায় রেলপথ অবরোধ করেন বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে দুপুর ১টা ৫৪ মিনিটে রেললাইন অবরোধ তুলে নিলে ঢাকা ময়মনসিংহ রেলযোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।
এর আগে সকাল ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয় তারা।
আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ১০
বাকৃবির পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শিবলী বলেন, টানা ২৫ দিনের মতো ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে আমাদের আন্দোলন চলমান রয়েছে। কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আয়োজিত ভোটে আমরা জয় লাভ করার বেশ কয়েকদিন পার হয়ে গেলেও এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। গতদিন আমরা প্রশাসনকে ১২টা পর্যন্ত সময় দিয়েছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা রেলপথ অবরোধ করেছি। তবে কম্বাইন্ড ডিগ্রি আন্দোলন দ্রুত ও কার্যকরভাবে সমাধানের লক্ষ্যে ৮ সদস্যের কমিটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সঙ্গে আগামী রবিবার সকাল ৯টায় বৈঠকে বসবেন, পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কম্বাইন্ড ডিগ্রি আন্দোলন দ্রুত ও কার্যকরভাবে সমাধানের লক্ষ্যে গঠিত ৮ সদস্যের কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জি. এম. মুজিবর রহমান এবং সদস্য সচিব ড. মো. আসাদুজ্জামান সরকার এবং বাকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম।
১০৫ দিন আগে
হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
সারা দেশে চলমান ‘বাংলা ব্লকেড’এর মধ্যে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বহালে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড়ে বুধবার (১০ জুলাই) দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই রায়ের প্রতিবাদ জানান।
আরও পড়ুন: পেনশন স্কিম: বাকৃবিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের মানববন্ধন
সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনে বাকৃবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. ইরান মিয়া বলেন, ‘ছাত্রসমাজ এক দফা এক দাবিতে দেশব্যাপী আন্দোলন করছে। আমরা ছাত্র সমাজ কোনো ঝুলন্ত সিদ্ধান্ত মানি না, মানব না।’
এক দফা দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের এক দফা দাবিটি হলো- সরকারি চাকরির নবম থেকে ২০তম সব গ্রেডে বৈষম্যমূলক সব কোটা বাতিল করে শুধু অনগ্রসর গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও মুক্তিযোদ্ধা কোটা সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ রাখতে হবে। সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতির যৌক্তিক সংস্কার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: 'বাংলা ব্লকেড': ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ বাকৃবি শিক্ষার্থীদের
মহান জাতীয় সংসদের কাছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে আর্জি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মহান জাতীয় সংসদ নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে কোটা প্রথার যৌক্তিক সংস্কার করে এটিকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এনে বিল আকারে উপস্থাপন করে আইন প্রণয়ন করতে হবে।’
৫১২ দিন আগে