নেপালে ভূমিধস
নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৮
নেপালে টানা বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১৪৮ জনে দাঁড়িয়েছে।
রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দেশটির পুলিশ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন পর্যন্ত ১০১ জন আহত এবং ৫৫ জন নিখোঁজ রয়েছেন। ৩ হাজার ৬৬১ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার অভিযানে ২০ হাজারের বেশি পুলিশ মোতায়েন করেছে নেপাল সরকার।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা-ভূমিধসে ৬৬ জনের মৃত্যু, আবারও অনেক নিখোঁজ
কাঠমান্ডুর জেলা পুলিশ রেঞ্জের মুখপাত্র নওয়ারাজ অধিকারী সিনহুয়াকে জানান, মধ্য নেপালের ধাদিং জেলার জায়াপল খোলায় ভূমিধসে চাপা পড়া তিনটি যাত্রীবাহী বাস থেকে ৩৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, 'অবরুদ্ধ মহাসড়কগুলোতে তল্লাশি, উদ্ধার ও পরিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন নিরাপত্তা দল মোতায়েন করা হয়েছে।’
শুক্রবার টানা বর্ষণের কারণে ভূমিধস ও বন্যায় দেশের বেশিরভাগ প্রধান মহাসড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়াও রাতে মহাসড়কে রাতে বাস চলাচল নিষিদ্ধ করা হয় এবং গাড়ি চলাচল না করতে আহ্বান জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক জানান, কর্মকর্তারা বন্যার বর্তমান ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছেন। লোকজনকে উদ্ধার এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে সরকার।
এছাড়াও সারা দেশে ব্যাপক বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করা হয়।
গত ১০ জুন থেকে শুরু হওয়া বর্ষা মৌসুমে নেপালে গড় পরিমাণের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ৫৯, আহত ৩৬
১ মাস আগে
নেপালে ভূমিধসে ২ বাস নদীতে ভেসে গিয়ে ৬০ যাত্রী নিখোঁজ
নেপালে ভূমিধসে দুটি বাস নদীতে ভেসে গিয়ে অন্তত ৬০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। অবিরাম বৃষ্টির কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার কার্যক্রম। একারণে মাত্র তিন যাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার পশ্চিমে সিমল্টালের কাছে ভূমিধসের পর যাত্রীবাহী বাস দুটি ভেসে যায় নদীতে।
উদ্ধার হওয়া তিনজন চিকিৎসাধীন জানিয়ে সরকারি প্রশাসক খিমা নান্দাদা ভুসাল জানান, তারা বাস থেকে লাফ দিয়ে সাঁতরে পাড়ে উঠেছিলেন। স্থানীয়রা তাদের খুঁজে পেয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান।
ভুসাল আরও জানান, ভূমিধসের কারণে বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ওই এলাকায় যাতায়াতের পথও বন্ধ হয়ে গেছে।
উদ্ধার তৎপরতায় সহায়তার জন্য অতিরিক্ত উদ্ধারকারী ও নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভেসে যাওয়া দুটি বাসের একটিতে ২৪ জন এবং অন্যটিতে ৪২ জন যাত্রী ছিল বলে জানিয়েছেন সরকারি প্রশাসক।
আরও পড়ুন: নেপালে বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৫
পরে শুক্রবার সকালে একই মহাসড়কে ওই ঘটনাস্থলের কিছুটা দূরে ভূমিধসের কবলে পড়ে আরেকটি বাস। এতে চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া আর কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কি না তা জানা যায়নি।
নিখোঁজের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে সাম্প্রতিক বন্যা ও ভূমিধসের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল।
বেশ কয়েকটি সরকারি সংস্থা নিখোঁজদের সন্ধান করছে বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম 'এক্স'-এ এক পোস্টে জানান তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে পোখারা রিসোর্ট শহরের কাছে ভূমিধসে একটি কুঁড়েঘর চাপা পড়ে সাত সদস্যের একটি পরিবারের সবাই মারা যান। আশেপাশের আরও তিনটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নেপালে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এ কারণে প্রায়ই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ইন্দোনেশিয়ায় অবৈধ স্বর্ণের খনিতে ভূমিধসে নিহত ১১, নিখোঁজ ১৯
৪ মাস আগে