ম্যানচেস্টার সিটি
জিওকেরেসের হ্যাটট্রিক, সিটিকে বিধ্বস্ত করে আমোরিমকে বিদায় দিল স্পোর্তিং
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার আগে ঘরের মাঠে এটিই ছিল কোচ হিসেবে রুবেন আমোরিমের শেষ ম্যাচ। তবে বিদায়ী ম্যাচে শিষ্যদের কাছ থেকে দারুণ এক সংবর্ধনা পেলেন এই কোচ। বড় জয়ে ঘরের সমর্থকদের সামনে থেকে হাসিমুখে বিদায় নিলেন তিনি।
লিসবনে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে নিজেদের আঙিনা থেকে ম্যানচস্টার সিটিকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্পোর্তিং লিসবন। এর ফলে সিটির চির-প্রতিদ্বন্দ্বী ইউনাইটেডের ডাগ-আউটে বসার আগেই বৈরিতার আভাস দিয়ে রাখলেন আমোরিম।
আমোরিমের কোচিংকে চলতি মৌসুমে উড়তে থাকা ভিক্তর জিওকেরেস এদিন হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন। এতে করে জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচের পর দ্বিতীয় সুইডিশ ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হ্যাটট্রিক করেছেন এই স্ট্রাইকার। এছাড়া সিটির বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা মাত্র তৃতীয় ফুটবলার তিনি। এর আগে শুধু বার্সেলোনার লিওনেল মেসি এবং চেলসির ক্রিস্তোফার এনকুঙ্কু সিটিজেনদের জালে এক ম্যাচে তিনবার বল পাঠাতে পেরেছেন।
স্পোর্তিংয়ের অপর গোলটি করেন মাক্সিমিলিয়ানো আরাউহো। অপরদিকে সিটির একমাত্র গোলটি করেন ফিল ফোডেন। এছাড়া একটি পেনাল্টি পেলেও তা নষ্ট করেন আর্লিং হালান্ড।
আরও পড়ুন: বের্নাবেউতে এবার রিয়ালকে গুঁড়িয়ে দিল মিলান
এই হারের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গড়া টানা ২৫ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড ভেঙে ২৬ ম্যাচে নিয়ে যাওয়ার পরই থামল পেপ গার্দিওলার সিটি। আর তাদের থামালেন ইউনাইটেডের দায়িত্ব নিতে চলা আমোরিম।
১ সপ্তাহ আগে
অবশেষ জয়যাত্রা থামল সিটির
হারতে যেন ভুলেই গিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। গত মৌসুম থেকে টানা অপরাজিত থেকে আরও একবার প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনা জাগাচ্ছিল ছিল তারা। তবে বোর্নমাউথের কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের।
ভাইটাইলিটি স্টেডিয়ামে শনিবার সন্ধ্যায় প্রিমিয়ার লিগের দশ রাউন্ডের ম্যাচে সিটিকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বোর্নমাউথ।
ঘরের মাঠে ম্যাচের নবম মিনিটে আন্সো সেমেনিয়ো গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে বোর্নমাউথের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইভানিলসন। এরপর ৮০তম মিনিটে ইয়োশকো গেভার্দিওল একটি গোল শোধ করেন। পরে স্বাগতিকদের চেপে ধরেও হার এড়াতে ব্যর্থ হয়েছে গার্দিওলার দল।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত জয়ে নিজেদের রেকর্ড ছুঁয়েছে সিটি
চোটজর্জর দল নিয়ে এদিন সিটি খেলতে নামার পর শুরু থেকেই এই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে থাকে বোর্নমাউথ; যার ফলও তারা পেয়েছে। ম্যাচে শেষে একই কথা ঝরেছে গার্দিওলার কণ্ঠেও।
‘ম্যাচের রাশ বারবার টেনে ধরতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছি আমরা। আজকে ওদের (প্রতিপক্ষের) গতি ছিল অন্যরকম। আমরা চেষ্টা করেও ওই গতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারিনি।’
এই হারে প্রিমিয়ার লিগে টানা ৩২ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর হরের মুখে দেখল সিটি। এটি অবশ্য লিগে সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড। গত ৫ অক্টোবর ফুলহ্যামকে ৩-২ গোলে হারিয়ে নিজেদেরই ৩০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড স্পর্শ করে দলটি। এরপর উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স ও সাউথহ্যাম্পটনের বিপক্ষে জিতে রেকর্ডটি আরও উঁচুতে তোলে তারা। তবে ৩২ ম্যাচ পর আর তা লম্বা করা হয়ে উঠল না গার্দিওয়ালার শিষ্যদের।
এই হারে লিগের পয়েন্ট টেবিলেও অবনমন হয়েছে সিটির। দশ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে নেমে গেছে তারা। আর একই দিন একই সময়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে ব্রাইটনকে হারিয়ে সিটির চেয়ে ২ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়ে শীর্ষে উঠেছে লিভারপুল।
আরও পড়ুন: নিউক্যাসলের বিপক্ষে হেরে পিছিয়ে পড়ল আর্সেনাল
দিনের অপর ম্যাচে নিউ ক্যাসলের মাঠে হেরে শিরোপার দৌড় থেকে খানকিটা পিছিয়ে পড়েছে আর্সেনাল। তবে চমক দেখিয়ে ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেডকে ৩-০ গোলে হারিয়ে টেবিলের তিনে উঠেছে ইউলেন লোপেতেগির নটিংহ্যাম ফরেস্ট।
রবিবার একে অপরের মুখোমুখি হবে টটেনহ্যাম হটস্পার ও অ্যাস্টন ভিলা এবং ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও চেলসি।
২ সপ্তাহ আগে
ক্যারাবাও কাপ: এক রাতে বিদায় সিটি, ভিলা ও চেলসির
ইংলিশ ফুটবল লিগ বা লিগ কাপ বা ক্যারাবাও কাপের চতুর্থ রাউন্ডে টটেনহ্যাম-ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচটি ছাড়া প্রিমিয়ার লিগে আধিপত্য দেখানো বাকি সবগুলো দলই পেয়েছিল তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ। কিন্তু মাঠের খেলায় এলোমেলো হয়ে গেছে তাদের অনেকেই।
বুধবার রাতে ক্যারাবাও কাপে ঘটেছে তিনটি অঘটন। এর মধ্যে বড় খবর হলো টটেনহ্যামের কাছে হেরে বিদায় নিয়েছে সিটি।
এছাড়া চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতায় দাপট দেখানো অ্যাস্টন ভিলা এবং এনসো মারেসকার অধীনে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়া চেলসিকেও বিদায় নিতে হয়েছে চতুর্থ রাউন্ড থেকেই।
অন্যদিকে, দুর্দান্ত জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ভুগতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আর রোমাঞ্চের পর রোমাঞ্চ ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত কোয়ার্টারে উঠেছে লিভারপুল। আর্সেনালও কোয়ার্টার নিশ্চিত করেছে, তবে জিততে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি তাদের।
টটেনহ্যামের কাছে সিটির হার
স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ড ও গোলরক্ষক এদেরসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়াই এদিন মাঠে নামে সিটি। চোটের কারণে দলে ছিলেন না কেভিন ডি ব্রুইনে-রদ্রিরাও।
অন্যদিকে, চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলা হয়নি টটেনহ্যামের তারকা ফরোয়ার্ড হিউং মিন-সনেরও।
ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই টিমো ভের্নারের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ২৫তম মিনিটে টটেনহ্যামের ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মিডফিল্ডার পেপে মাতার-সার। এরপর যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে একটি গোল পরিশোধ করে বিরতিতে যায় সিটি।
দ্বিতীয়ার্ধেও টটেনহ্যামকে চেপে ধরে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা, কিন্তু শট লক্ষ্যে রাখতে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন ম্যাথুস নুনেস-বের্নার্দো সিলভারা। শেষদিকে সমতায় ফেরার জোর চেষ্টা চালালেও টটেনহ্যামের রক্ষণ ভেদ করতে তা যথেষ্ট ছিল না। তাই ২-১ ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ।
এর ফলে, গত মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও এবার কোয়ার্টারেও পৌঁছানো হলো না গার্দিওলার শিষ্যদের।
নিউক্যাসলের মাঠে জোড়া গোল হজম চেলসির
ঘরের মাঠে ম্যাচের ২৩তম মিনিটে আলেকজান্ডার ইসাকের গোলে এগিয়ে যায় নিউক্যাসল ইউনাইটেড। এর তিন মিনিট পরই আক্সেল দিসাসির আত্মঘাতী গোলে আরও পিছিয়ে পড়ে চেলসি।
দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর নিউক্যাসলের ওপর রীতিমতো শাসন করা শুরু করে চেলসির খেলোয়াড়রা। গোলের জন্য হন্যে হয়ে যায় তারা। কিন্তু ৬৬ শতাংশ সময় বলের দখল রেখে মোট ১৭টি শট নিয়ে একবারের জন্যেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি মারেসকার শিষ্যরা। ফলে দুর্দান্ত চেলসিকে ২-০ গোলে রুখে দিয়ে জয়ের হাসি হাসে এডি হাউইর দল।
ঘরের মাঠে হেরে ভিলার বিদায়
অ্যাস্টন ভিলার গল্পটি অনেকটা সিটির মতোই। ম্যাচের একেবারে শুরুতেই (অষ্টম মিনিটে) এবেরেচি এজের গোলে পিছিয়ে পড়লেও অপ্রতিরোধ্য জন ডুরানের নৈপুণ্যে ২৩তম মিনিটেই সমতায় ফেরে উনাই এমেরির শিষ্যরা।
ম্যাচজুড়ে বলের দখল, আক্রমণ, গোলের সুযোগ তৈরি- সবকিছুতেই প্যালেসের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে অ্যাস্টন ভিলা। তাই মনে হচ্ছিল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে তারা। কিন্তু দাইচি কামাদার গোলে দ্বিতীয়ার্ধে ফের এগিয়ে যায় প্যালেস। এরপর রক্ষণে দেওয়াল তুলে স্কোরলাইন রক্ষা করে অলিভার গ্লেসনারের দল।
ফলে ২-১ গোলে জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ক্রিস্টাল প্যালেস।
জিতল যারা
বড় দলগুলোর অনেকেই ব্যর্থ হলেও রুড ভ্যান নিস্টরলয়ের অধীনে প্রথম ম্যাচেই দারুণ এক জয় তুলে ক্যারাবাও কাপের কোয়ার্টারে উঠেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচে লেস্টার সিটির বিপক্ষে ৫-২ গোলে জিতেছে ম্যানচেস্টারের লাল দলটি।
ইউনাইটেডের হয়ে জোড়া গোল করেন কাসেমিরো ও ব্রুনো ফের্নান্দেস; অপর গোলটি আসে আলেহান্দ্রো গারনাচোর পা থেকে। অপরদিকে, লেস্টারের গোলদুটি করেন বিলাল এল খানুস ও কনর কোডি।
এদিকে, ঘরের মাঠে লিভারপুলের বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়ন। প্রতিযোগিতার সেরা দলটির বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরেছে ফাবিয়ান হুয়ের্সেলারের দল।
ম্যাচের সবগুলো গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। লিভারপুলের তিন গোলের প্রথম দুটি আসে ৪৬ ও ৬৩তম মিনিটে, কোডি গাকপোর পা থেকে; আর ৮৫তম মিনিটে তৃতীয় গোলটি করেন লুইস দিয়াস।
মাঝে ৮১তম মিনিটে প্রথম গোল পেয়ে ব্রাইটনের ম্যাচে ফেরার সম্ভাবনা জাগান সিমোন আদিংগ্রা। চার মিনিট পর দিয়াসের গোলে লিভারপুল ফের ব্যবধান দ্বিগুণ করলে ৯০তম মিনিটে গিয়ে দ্বিতীয় গোলটি করেন তারিক ল্যাম্পটি। এরপর দুই মিনিট অতিরিক্ত খেলার সুযোগ দেওয়া হলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ব্রাইটন। ফলে স্বাগতিকদের হতাশ করে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল।
এছাড়া, দ্বিতীয় বিভাগের দল প্রেস্টন নর্থ এন্ডের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে মিকেল আর্তেতার আর্সেনাল। গোল তিনটি করেন গাব্রিয়েল জেসুস, ইথান নোয়ানেরি ও কাই হাভার্টস।
চতুর্থ রাউন্ডের অপর ম্যাচগুলোতে জয় পেয়েছে ব্রেন্টফোর্ড ও সাউথহ্যাম্পটন।
২ সপ্তাহ আগে
রদ্রির হাতেই উঠল ব্যালন দ’র
সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার রদ্রিগো এর্নান্দেসের (রদ্রি) হাতেই উঠল এবারের ব্যালন দ’র। শুরু থেকে ফুটবলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত এই পুরস্কারটি রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউসের হাতে উঠছে বলে জোর গুঞ্জন থাকলেও অবশেষে রদ্রিই জিতেছেন এটি।
সোমবার দিবাগত রাতে প্যারিসের থিয়েটার দু শাতলেতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ব্যালন দ’র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিজয়ী ঘোষণার পর ক্রাচে ভর দিয়ে পুরস্কার নিতে মঞ্চে ওঠেন এসিএলের চোট পাওয়া রদ্রি। এরপর ব্যালন দ’রের ইতিহাসের ৫০তম খেলোয়াড় হিসেবে তার হাতে ‘ফুটবলের অস্কার’ খ্যাত এই পুরস্কার তুলে দেন লাইবেরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট, এসি মিলান কিংবদন্তি ও ১৯৯৫ ব্যালন দ’রজয়ী জর্জ উইয়াহ।
এর ফলে ৬৪ বছর পর ফুটবলের মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত এ পুরস্কারটি জিতলেন স্পেনের কোনো পুরুষ ফুটবলার। সবশেষ ১৯৬০ সালে এটি জিতেছিলেন বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানের সাবেক মিডফিল্ডার লুইস সুয়ারেস। এতদিন স্পেনে জন্ম নেওয়া একমাত্র ব্যালন দ’র জয়ী ছিলেন তিনিই। এবার তার পাশে বসলেন আরেক মিডফিল্ডার।
আরও পড়ুন: ব্যালন দ’র: কে কোন পুরস্কার জিতলেন
পুরস্কার নেওয়ার পর অনভূতি জানাতে গিয়ে রদ্রি বলেন, ‘এটি শুধু আমার একার জয় নয়, গোটা স্প্যানিশ ফুটবলের বিজয়। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও এতদিন (স্পেনের) যেসব খেলোয়াড় এই পুরস্কারটি থেকে বঞ্চিত ছিলেন- (আন্দ্রেস) ইনিয়েস্তা, শাভি (এর্নান্দেস), ইকের (ক্যাসিয়াস) ও বুসি (সের্হিও বুসকেটস), এই পুরস্কার আমাদের সবার।’
এ সময় বার্সেলোনার উদীয়মান ফুটবলার লামিন ইয়ামালের প্রতিভার প্রশংসা ঝরে রদ্রির কণ্ঠে।
তিনি বলেন, ‘লামিন খুব তাড়াতাড়িই এটি জিততে চলেছে। এতে আমার কোনো সংশয় নেই। কঠোর পরিশ্রম করতে থাক, (ব্যালন দ’র নিতে) একদিন তুমিও এখানে (মঞ্চে) দাঁড়াবে।’
২ সপ্তাহ আগে
৫-০ গোলে জয়ের রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড ভাঙল সিটি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ ড্র করার পর থেকে মাঠের পারফরম্যান্সে ক্রমেই উন্নতি করে চলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এরই ধারাবাহিকতায় স্পার্তা প্রাহাকে উড়িয়ে দিয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। সেইসঙ্গে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে অনন্য এক উচ্চতায় উঠেছে ক্লাবটি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে চেক রিপাবলিকের ক্লাব স্পার্তা প্রাহাকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
এদিন সিটির হয়ে জোড়া গোল করেন আর্লিং হালান্ড। বাকি তিনটি গোল আসে ফিল ফোডেন, জন স্টোন্স ও ম্যাথুস নুনেসের পা থেকে।
জোড়া গোলের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোট ৪২ ম্যাচ খেলে ৪৪ গোল হয়েছে হালান্ডের। এর মাধ্যমে টুর্নামেন্টটির সর্বকালের চতুর্দশ সেরা গোলদাতা দিদিয়ের দ্রগবাকে স্পর্শ করেছেন হালান্ড। তবে দ্রগবার চেয়ে প্রায় অর্ধেক ম্যাচ খেলেই তাকে ছুঁয়ে ফেলেছেন ২৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত জয়ে নিজেদের রেকর্ড ছুঁয়েছে সিটি
ম্যাচটি জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অপরাজেয় যাত্রার রেকর্ড গড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। টুর্নামেন্টটিতে সবশেষ ২৬ অপরাজিত রয়েছে তারা। এর ফলে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গড়া রেকর্ডটি নিজেদের করে নিয়েছে গার্দিওলার দল।
২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের তত্ত্বাবধায়নে টানা ২৫ ম্যাচ অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি এতদিন ছিল ইউনাইটেডের দখলে।
এছাড়া, চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখনও হারের স্বাদ পায়নি ম্যানচস্টার সিটি। গত ১০ আগস্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জেতার পর প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ক্যারাবাও কাপ মিলিয়ে মোট ১৩ ম্যাচ খেলেছে তারা। এর মধ্যে ড্র করেছে মাত্র তিনটি ম্যাচ, বাকি ১৩ ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে টানা চারবারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিন ম্যাচে দুটি জয় ও একটি ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিটি। তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শীর্ষে রয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলা এবং দ্বিতীয় স্থানে লিভারপুল।
দিনের অপর ম্যাচে লাইপসিগকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্নে স্লটের শিষ্যরা। এছাড়া বার্সেলোনার কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।
আরও পড়ুন: রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
৩ সপ্তাহ আগে
দুর্দান্ত জয়ে নিজেদের রেকর্ড ছুঁয়েছে সিটি
টানা ম্যাচ জিতে সিটির চেয়ে চার পয়েন্ট এগিয়ে গিয়েছিল লিভারপুল। তবে নিজেদের ম্যাচটি জিতে পয়েন্ট ব্যবধান ফের কমিয়ে আর্নে স্লটের দলের ওপর চাপ অব্যহত রাখল পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রিমিয়ার লিগের সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচে শনিবার ফুলহ্যামকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগে টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত রইল পেপ গার্দিওলার দল। গত ডিসেম্বরে অ্যাস্টন ভিলার বিপক্ষে সর্বশেষ হারে দলটি। এর ফলে নিজেদেরই গড়া সর্বোচ্চ টানা অপরাজিত থাকার রেকর্ড ছুঁয়েছে ম্যানচেস্টার ক্লাবটি।
এর আগে ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে পরের বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ৩০ ম্যাচ অপরাজিত ছিল তারা। আগামী ২০ অক্টোবর উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে হার এড়াতে পারলেই নিজেদের রেকর্ড ভেঙে তা আরও উঁচুতে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকবে ক্লাবটির সামনে।
শুধু তা-ই নয়, ঘরের মাঠে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৫০ ম্যাচ অপরাজিত রইল সিটি। সবশেষ ২০২২ সালের নভেম্বরে ইতিহাদে সর্বশেষ হেরেছিল তারা।
আরও পড়ুন: শীর্ষস্থান সংহত করার ম্যাচে আলিসনকে হারাল লিভারপুল
এদিন সিটির পক্ষে জোড়া গোল করেন মিডফিল্ডার মাতেও কোভাচিচ এবং অন্য গোলটি আসে জেরেমি দকুর পা থেকে। অন্যদিকে, আন্দ্রেয়াস পেরেইরা গোলে শুরুতে এগিয়ে গিয়েও ব্যবধান ধরে রাখতে ব্যর্থ হয় ফুলহ্যাম। তিনটি গোল খাওয়ার পর ম্যাচের একেবারে শেষ দিকে ব্যবধান কমান রদ্রিগো মুনিস।
শুরু থেকেই এদিন ফুলহ্যামের ওপর চাপ ধরে রাখে সিটি। ম্যাচজুড়ে ২০টি শট নিয়ে সাতটি লক্ষ্যে রাখে তারা। অপরদিকে, ফুলহ্যামের ১১টি শটের চারটি লক্ষ্যে ছিল।
১ মাস আগে
সিটি-আর্সেনালের সঙ্গে লড়াই-ই করতে পারবে না চেলসি: মারেসকা
এনসো মারেসকার তত্ত্বাবধায়নে চলতি মৌসুমটা দারুণ শুরু করেছে চেলসি। দশ ম্যাচ খেলে তার সাতটি জিতেছে লন্ডনের ক্লাবটি। তবুও এবার ম্যানচেস্টার সিটি বা আর্সেনালের সঙ্গে লড়াই-ই করতে পারবে না বলে মনে করছেন এনসো মারেসকা।
চলতি মৌসুমে সিটির বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে প্রিমিয়ার লিগ শুরু করার পর থেকে দারুণ ছন্দে রয়েছে চেলসি। তার পরের পাঁচ ম্যাচে চারটি জয় ও একটি ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চারে উঠে এসেছে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটি। টেবিলের শীর্ষে থাকা লিভারপুলের সঙ্গে মাত্র দুই পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছে তারা।
এছাড়া সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে সবশেষ টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেছে ব্লুজরা। এ সময় তিনটি ক্লিনশিটসহ ১৭ গোল করেছে দলটি; হজম করেছে মাত্র চারটি।
গতরাতে কনফারেন্স লিগের ম্যাচে বেলজিয়ান ক্লাব গেন্টকে ৪-২ গোলে হারিয়েছে তারা। ওই ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ব্লুজ বস মারেসকা।
আরও পড়ুন: মাদুয়েকের হ্যাটট্রিকে গোল উৎসব করে জয়ে ফিরল চেলসি
তার দলের যে পারফরম্যান্স, তাতে চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগসহ সম্ভাব্য শিরোপাগুলো জয়ের সম্ভাবনা দেখছেন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ৪৪ বছর বয়সী এই কোচ বলেন, ‘আমার মনে হয় না যে চলতি মৌসুমে আমরা সিটি কিংবা আর্সেনালকে টক্কর দিতে পারব। আমার সত্যিই তা মনে হয় না, কারণ আমরা এখনও (পুরোপুরি) প্রস্তুত নই।’
বিষয়টির ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন এভাবে, ‘সিটির দিকে তাকান। দলটি গত ৯ বছর ধরে একই কোচের তত্ত্বাবধায়নে খেলছে; (মিকেল) আর্তেতার তত্ত্বাবধায়নে আর্সেনাল খেলছে পাঁচ বছর যাবত। যদি বড় কিছুর জন্য লড়াই করতে চান, তবে ওইরকম সময় প্রয়োজন।’
মারেসকা বলেন, ‘আর্সেনাল যখন পিএসজিকে (চ্যাম্পিয়ন্স লিগে) হারাল, তখন লুইস এনরিকেও একই কথা বলেছিলেন! সেদিক থেকে আমাদের দেখুন, মাত্র তিন মাস হয়েছে আমি (চেলসির) দায়িত্ব নিয়েছি।’
‘ফলে এই জায়গায় একটি বড় ব্যবধান রয়েছে। তাই ওইসব ক্লাবের সঙ্গে যে আমরা (এবার) লড়াই-ই করতে পারব না, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’
আরও পড়ুন: এনকুঙ্কুর হ্যাটট্রিকে লিগ কাপে চেলসির গোল উৎসব
তবে ধীরে ধীরে ওইসব ক্লাবগুলোর পর্যায়ে পৌঁছানোর লক্ষ্যের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তেই আমরা ওই পর্যায়ে যাওয়ার চিন্তা করছি না। আবার ঠিক কবে নাগাদ অমন হয়ে উঠতে পারব, তা-ও নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে আস্তে আস্তে সব সমস্যার সমাধান করে একটু একটু করে এগোনোই আমাদের লক্ষ্য।’
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেন উত্তেজনা শুরু হলে রোমান আব্রাহামোভিচ একপ্রকার বাধ্য হয়ে ক্লাব ছাড়ার পর শক্তিশালী দলগঠনে গত পাঁচ মৌসুম ধরে দলবদলে টাকার ফোয়ারা ছুটিয়েছে চেলসি। এই সময়ে দেড় বিলিয়ন ইউরোর বেশি খরচ করে যেখানে যত প্রতিভাবান তরুণ ফুটবলার পেয়েছে, তাকেই মোটা অঙ্কের বিনিময়ে দলে ভিড়িয়েছে ক্লাবটি।
শিরোপাজয়ের আশায় এই সময়ের মধ্যে চারজন কোচ পাঁচবার ক্লাবটির দায়িত্ব নিয়েও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ ১ জুলাই পাঁচ বছরের জন্য লেস্টার সিটি থেকে মারসেকাকে ক্লাবে নিয়ে আসে টড বোহেলি ও ক্লিয়ারলেক ক্যাপিটালের নেতৃত্বাধীন চেলসি কর্তারা।
আরও পড়ুন: পালমারের চার গোল, চেলসিতে বিধ্বস্ত ব্রাইটন
তারা এত ফুটবলার কিনেছে যে মারেসকা দায়িত্ব নেওয়ার পর তার স্কোয়াডে সদস্য সংখ্যা ছিল ৪৪ জন। ফলে দায়িত্ব নিয়েই তিনি খেলোয়াড় বিক্রি ও ধারে অন্য ক্লাবে পাঠানোর মাধ্যমে যতটা সম্ভব স্কোয়াড ছোট করেন। এরপর নিজের পছন্দের স্কোয়াড নিয়ে এগিয়ে চলেছেন এই কোচ।
১ মাস আগে
এবার নিউক্যাসলের বিপক্ষেও সিটির হোঁচট
গত ম্যাচে দশজনের আর্সেনালের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে কোনোমতে হার এড়ানোর পর নিউক্যাসলের মাঠে গিয়ে আজও জয়ের দেখা পেল না ম্যানচেস্টার সিটি। ফলে টানা দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে শীর্ষস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে পেপ গার্দিওলার দলের।
প্রিমিয়ার লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডের ম্যাচে সেন্ট জেমস পার্কে শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপেক্ষ ১-১ গোলের ড্র করেছে সিটি।
ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে ইয়োস্কো গেভারদিওলের গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করলেও দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি থেকে গোল হজম করতে হয় গার্দিওলার শিষ্যদের।
আরও পড়ুন: সিটি সমর্থকদের জোড়া দুঃসংবাদ দিলেন গার্দিওলা
৫৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে উঠে সিটি গোলরক্ষককে একপ্রকার ফাঁকায় পেয়ে যান অ্যান্থনি গর্ডন। ড্রিবল করে এগোনোর সময় তাকে ফাউল করে বসেন এদেরসন, ফলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর স্পট কিক থেকে দলকে সমতায় ফেরান ২৩ বছর বয়সী এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
এরপর দুই দলই এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু গোল কোনোভাবেই আসছিল না। শেষের দিকে স্বাগতিকদের চেপে ধরে সিটি, কিন্তু আর গোল না পেলে ১-১ সমতায় শেষ হয় ম্যাচ।
এর ফলে ৬ ম্যাচে চার জয় ও দুই ড্রয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থানেই রয়েছে সিটি। এক ম্যাচ কম খেলে লিভারপুল অ্যাস্টন ভিলার পয়েন্ট ১২ করে। আর ১১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে আর্সেনাল।
ফলে ষষ্ঠ রাউন্ডে স্ব স্ব ম্যাচ জিতে এই তিন দলের প্রত্যেকের সিটিকে টপকে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে আর্সেনোলের জন্য এই লক্ষ্যটি একটু কঠিন। কারণ গার্দিওলার শিষ্যদের টপকাতে হলে অন্তত তিন গোলের ব্যবধানে জিততে হবে মিকেল আর্তেতার শিষ্যদের।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা ও সমর্থকদের উয়েফার শাস্তি
১ মাস আগে
ইন্টার মিলানের বিপক্ষে শুরুতেই সিটির হোঁচট
ম্যাচের বেশিরভাগ সময় বলের দখল রেখে প্রতিপক্ষের ডি বক্সের সামনে ভীতি ছড়াল ম্যানচেস্টার সিটি, কিন্তু জমাট রক্ষণে শেষ পর্যন্ত তাদের আটকেই রাখল ইন্টার মিলান। ফলে নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচেই ঘরের মাঠে পয়েন্ট খুইয়ে যাত্রা শুরু করল পেপ গার্দিওলার দল।
চ্যাম্পিন্স লিগের প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় বুধবার রাতে ২০২২-২৩ মৌসুমের ফাইনালিস্ট ইন্টার মিলানের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে সেবারের চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি।
গোলের উদ্দেশে মোট ২২ শট নিয়ে পাঁচটি লক্ষ্যে রাখলেও তা থেকে একবারও জালের দেখা পায়নি সিটির খেলোয়াড়রা। অপরদিকে, ইতালি চ্যাম্পিয়নরা মোট শট নে ১৩টি, এর মধ্যে মাত্র তিনবার তারা সিটি গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারে।
আরও পড়ুন: রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে লড়াই করেও হারল স্টুটগার্ট
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই বলের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখে ধীরগতিতে আক্রমণ তৈরির চেষ্টা করতে থাকে সিটি। অন্যদিকে, ধৈর্য্য ধরে সিটি যাতে হঠাৎ আক্রমণে না উঠতে পারে, সে বিষয়ে সজাগ থেকে রক্ষণে মনোযোগ দেয় ইন্টার। তবে বল পেলেই আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করছিল তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় ষষ্ঠ মিনিটে আক্রমণে উঠে প্রথম গোল শেট নেন ইন্টারের মার্কাস থুরাম। দুই মিনিট পর শট নেন সিটির আর্লিং হালান্ড। তবে দুটি শটটি ঠেকিয়ে দেন দুই গোলরক্ষক।
এরপর বেশ কিছুক্ষণ আর তেমন কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারছিল না কোনো দল। তবে ১৯তম মিনিটে ভালো একটি আক্রমণে উঠে গোলের সম্ভাবনা তৈরি করে সিটি। ইন্টারের বক্সের সামনে বল নাড়াচাড়া করতে করতে বক্সের মধ্যে ক্রস বাড়ান সিটির তরুণ ব্রাজিলীয় উইঙ্গার স্যাভিনিয়ো, হেডারে তা থেকে গোল পাওয়ার চেষ্টাও করেন হালান্ড। তবে শেষ মুহূর্তে লাফিয়ে উঠে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন ইন্টার মিলানের সুইস গোলরক্ষক ইয়ান জমার।
২৪তম মিনিটে বক্সের মধ্যে ডি ব্রুইনের বাড়ানো উড়ন্ত ক্রস ধরে লক্ষ্যভেদ করার চেষ্টা করেন স্যাভিনিয়ো, তবে তা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
এ সময় ইন্টার পূর্ণ রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলা শুরু করলে তাদের ডি বক্সের সামনে বল নিয়ে বারবার সুযোগ খুঁজতে থাকে সিটি। তবে সিমিওনে ইনজাগির শিষ্যদের তিন স্তরের রাক্ষণ ভেদ করে কোনোভাবেই তেমন কোনো বিপদ তৈরি করতে পারছিলেন না ডি ব্রুইনে-হালান্ডরা।
এরইমাঝে ম্যাচের আধঘণ্টা পার হলে পাল্টা আক্রমণে উঠে দুবার সিটির জালে বল জড়ানোর চেষ্টা করে মিলানের নীল দলটি। তবে দুবারই তাদের শট প্রতিহত করেন সিটি গোলরক্ষক এদেরসন।
আরও পড়ুন: শুরুতে এগিয়ে গিয়েও লিভারপুলে বিধ্বস্ত এসি মিলান
৩৫তম মিনিটে ভালো একটি আক্রমণে গিয়ে ইন্টারের রক্ষণ কিছুটা এলোমেলো করে দিয়ে শেষে শট নেন হালান্ড। তবে তার শট দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৩৭তম মিনিটে বক্সের মধ্যে জটলার ভেতর থেকে গোল খোঁজে সিটি, তবে এবারও ইন্টারের রক্ষণে তাদের আক্রমণে প্রতিহত হয়।
প্রথমার্ধের শেষ দশ মিনিটে খেলায় কিছুটা গতি বাড়ায় সিটি, কিন্তু কোনোভাবেই ইন্টারের জমাট রক্ষণ ভেদ করতে না পেরে স্কোরলাইন ০-০ রেখেই বিরতিতে যায় দুই দল।
১ মাস আগে
ফুটবলাররা ধর্মঘটে নামতে বেশি দেরি নেই: ঠাঁসা সূচি প্রসঙ্গে রদ্রি
ফুটবলের ঠাঁসা সূচির কারণে প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে উঠেছে খেলোয়াড়দের। অতিরিক্ত পরিশ্রমের প্রভাব পড়ছে তাদের শরীরেও, একের পর এক চোটে আক্রান্ত হচ্ছেন তারা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন খেলোয়াড় থেকে কোচ- সবাই। এবার এ প্রসঙ্গে কার্যত হুমকি দিলেন ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড রদ্রি।
কাজের চাপ যে হারে বাড়ছে, তাতে ফুটবলারদের ধর্মঘটে নামতে বেশি দেরি নেই বলে মনে করেন সিটি ও স্পেন জাতীয় দলের এই অধিনায়ক।
সব মিলিয়ে ৬৩টি ম্যাচ খেলে ১৪ জুলাই ইউরোর ফাইনাল ম্যাচের মাধ্যমে গত মৌসুম শেষ করেছেন রদ্রি।
চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নতুন ফরম্যাটের কারণে ম্যাচ আরও বেড়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে পরিবর্তিত ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপ, উয়েফা নেশন্স লিগ ও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ। সব মিলিয়ে গত মৌসুমের চেয়ে এ মৌসুমে ফুটবলারদের ব্যস্ততা আরও বেশি।
আরও পড়ুন: রদ্রির ব্যালন দ’র নিশ্চিত হয়ে গেছে
এর ফলে ফুটবলাররা কি তাহলে ধর্মঘটে নামতে পারে- সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে রদ্রি বলেন, ‘আসলে আমরা এর থেকে (ধর্মঘট) বেশি দূরে নেই। এটা বুঝতে তো সমস্যা হওয়ার কথা নয়! আমার মনে হয়, যেকোনো ফুটবলারকে আপনি এই প্রশ্ন করলে একই উত্তর পাবেন।’
‘এটি রদ্রির মন্তব্য নয়, সব ফুটবলারদের সাধারণ মতামত এটি। আর যদি এভাবে চলতে থাকে, তবে কিছুদিনের মধ্যেই আমাদের (ধর্মঘটে নামা ছাড়া) আর কোনো উপায় থাকবে না। আমার সত্যিই তাই মনে হয়।’
২৮ বছর বয়সী এই কন্ট্রোলিং মিডফিল্ডার বলেন, ‘আমি জানি না, (এ বিষয়ে ভবিষ্যতে) কী হতে চলেছে, তবে এর ভুক্তভোগী তো হচ্ছি আমরাই।’
২০১৯ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে ক্লাব ফুটবলের প্রায় সব প্রতিযোগিতায় খেলার কারণে রদ্রির গেম টাইম এমনিতেই বেড়ে গেছে। ক্লাব বিশ্বকাপ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ঘরোয়া লিগ মিলিয়ে একেক মৌসুমে গড়ে অর্ধশতাধিক ম্যাচ খেলে থাকেন তিনি। চলতি মৌসুমে তা বেড়ে সর্বোচ্চ ৮৫টি ম্যাচ খেলতে হতে পারে তার।
আরও পড়ুন: রেকর্ড চতুর্থবার শিরোপা জিতে নবযুগের সূচনা করল স্পেন
অর্ধশতাধিক ম্যাচই একজন ফুটবলারের জন্য বেশি বলে মনে করেন রদ্রি, সেখানে ৮০টির বেশি ম্যাচ খেলা একেবারেই অমানবিক বলে মনে করেন তিনি।
‘দেখুন, ৪০-৫০টি ম্যাচে একজন খেলোয়াড় তার সেরাটা দিতে পারে। এরপর তার পারফরম্যান্স ধরে রাখা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেখানে আমাদের প্রতি মৌসুমে ৬০-৭০টি করে ম্যাচ খেলা লাগে। আর এ বছর তা ৭০-৮০ ম্যাচে গিয়ে দাঁড়াবে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় (একটি ক্লাব) কতদূর যাবে, তার ওপর নির্ভর করছে ফুটবলারদের খেলার পরিমাণ। আমার কাছে এটি অত্যন্ত বেশি বলে মনে হয়।’
উল্লেখ্য, ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পর স্পেনের হয়ে ইউরো জিতে এবারের ব্যালন দ’র জয়ের অন্যতম ফেভারিট হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন রদ্রি।
১ মাস আগে