৪০% পোষ্য কোটা
রেলওয়ের ৪০% পোষ্য কোটা কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়: হাইকোর্ট
বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগসংক্রান্ত বিধিমালায় সরাসরি নিয়োগে (১৪তম থেকে ২০তম গ্রেড) মোট শূন্য পদের ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখার বিধান কেন অবৈধ ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এ রুল দেন। রেলসচিব, আইনসচিবসহ বিবাদীদের ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চাকরিতে কোটা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ২ শিক্ষার্থীর আবেদন
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
পরে আইনজীবী মো. রোকনুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালা–২০২০–এর ৩(৩) উপবিধিতে রেলওয়েতে যারা চাকরি করছেন, তাদের সন্তানদের জন্য ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। এই উপবিধি সংবিধানের ২৬, ২৭, ২৮ ও ২৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। যে কারণে রিটটি করা হয়। শুনানি নিয়ে আদালত ওই রুল দেন।’
এর আগে গত ২৬ মে বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাডারবহির্ভূত কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালার ৩(৩) উপবিধির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়।
রিটকারী আইনজীবী জানান, ৪০ শতাংশ কোটার সংরক্ষিত থাকার ফলে সমাজের নিম্ন শ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিকশাচালক, কৃষকের সরকারি চাকরিপ্রত্যাশী সন্তানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী রোকনুজ্জামান বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করা হয়। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সেই কারণে একজন সচেতন নাগরিক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে আমি সংক্ষুব্ধ। কারণ, এভাবে বিশাল একটি জনগোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমি আইনি প্রতিকার চাওয়ার জন্য রিট করেছি।’
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের রায়ের প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন
কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের রায়ে ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা
৪ মাস আগে