অর্থপাচার
অর্থপাচারের আরেক মামলায় এনু-রূপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত দুই নেতা এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াকে অর্থপাচারের মামলায় সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৫২ কোটি ৮৮ হাজার ৭৮৮ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত- ৮ এর বিচারক মো. বদরুল আলম ভূঁঞা এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: নাশকতার মামলায় যুবদলনেতা জাহাঙ্গীরসহ ৭৫ জনের কারাদণ্ড
অপর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- শহীদুল হক, মো. রশিদুল হক ভূঁইয়া, মো. মেরাজুল হক শিপলু, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান ও ভুলু চন্দ্র দেব।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, এ দেশের মানুষ দুর্নীতিবাজদের ঘৃণা করেন। আর যারা মানি লন্ডারিং অপরাধের সঙ্গে যুক্ত তারা শুধু আমাদের সম্পদ চুরি করছে না, তারা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত চুরি করছে। তাদের প্রত্যেককে বিচারের আওতায় এনে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করা আমাদের প্রত্যেকের কর্তব্য।
এর আগে গত বছরের ২২ এপ্রিল মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আরেক মামলায় এনামুল ও রুপনের সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াদের পুরান ঢাকার বানিয়ানগরের বাসাসহ ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে তাদের দুই সহযোগী আবুল কালাম ও হারুন অর রশিদের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব।
এরপর ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলা হয়।
২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি এনু ও রুপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর মধ্যে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট বংশাল থানায় সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম স্কোয়াডের পরিদর্শক মো. মেহেদী মাকসুদ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১১ জনকে আসামি করা হয়।
তদন্ত শেষে তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এ মামলার বিচারকালে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
আরও পড়ুন: রাঙ্গামাটিতে শিশু বলাৎকার: যুবককে আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড
যুবদলনেতা ইসহাক সরকারসহ ১২ জনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
১১ মাস আগে
অর্থপাচার মামলায় জি কে শামীমে ১০ বছরের কারাদণ্ড
রাজধানীর গুলশান থানার অর্থপাচার আইনের মামলায় যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমের ১০ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া মামলার সাত আসামিকে চারবছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন -মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. মোরাদ হোসেন, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহীদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন ও মো. আনিছুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মাদক মামলায় হাইকোর্টে জি কে শামীমের জামিন আবেদন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, অস্ত্রবাজ, টেন্ডারবাজ ও অর্থপাচারকারীদে কোনো আদর্শ নেই। তারা কোনো আদর্শকে লালন করে না। তবে আদর্শকে ব্যবহার করে রাতারাতিভাবে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেয়। তারা দেশ ও জাতির শত্রু। দেশের চলমান উন্নয়ন ও জাতীয় স্বার্থে তাদেরকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
গত ২৫ জুন মামলাটি অধিকতর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ে জন্য ধার্য ছিল। আসামিপক্ষের আইনজীবী অধিকতর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেননি।
এদিকে রায়ও প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত তারিখ পিছিয়ে ১৭ জুলাই ঠিক করেন।
আরও পড়ুন: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ: জি কে শামীম ও তার মায়ের বিচার শুরু
উল্লেখ্য, গত ১৫ জুন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।
এরপর, গত ২৬ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করে। ৬ মার্চ শেষ করে।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন।
গত ২১ ডিসেম্বর মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে অভিযোগপত্রভুক্ত ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিকেতনের নিজ বাসা থেকে শামীমকে আটক করা হয়।
এসময় জিকে শামীমের কাছ থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকার এফডিআর চেকসহ বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি টাকা জব্দ করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে একটি অস্ত্রও পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পর র্যাব-১ এর নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৪ আগস্ট আদালতে জি কে শামীম ও তার সাত দেহ রক্ষীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: জি কে শামীমসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার রায় ২৫ সেপ্টেম্বর
২০২০ সালের ১০ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
১ বছর আগে
প্রস্তাবিত বাজেটে নেই দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ এবং সুশাসন-ন্যায্যতা বিষয়ক কোনো দিকনির্দেশনা: টিআইবির উদ্বেগ
চলমান অর্থনৈতিক সংকট, ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্য ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমার মূল কারণ লাগামহীন দুর্নীতি ও অর্থপাচারের মতো মরণব্যাধিকে প্রস্তাবিত বাজেট বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী একেবারেই স্বীকার করেননি। একইভাবে সুশাসন ও ন্যায্যতার ভাবনাকেও নির্বাসনে পাঠিয়েছেন বলে মন্তব্য করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি বলছে, কোভিড সংকট ও ইউক্রেন যুদ্ধপ্রসূত বৈশ্বিক সংকটের ফলে অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সন্দেহ নেই; কিন্তু দেশে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পথে মূল অন্তরায় যে অবারিত দুর্নীতি ও গগণচুম্বি অর্থপাচার, তা নিয়ন্ত্রণে কোনো প্রকার দিকনির্দেশনাহীন উচ্চাভিলাষী বাজেট কীভাবে অর্থবহ বাস্তবায়িত হবে তা যেমন পরিস্কার নয়, তেমনিভাবে ক্ষমতার বলয়ের বাইরে দেশের আপামর জনগণের জন্য এই বাজেট কোনো ভূমিকা রাখবে, এমন আশা একেবারেই অমূলক।
শুক্রবার টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তব্যে ডলার সংকট মোকাবিলা এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠনের জন্য আমদানিতে কঠোরতা, ঋণপত্রে নজরদারি অব্যাহত রাখা এবং একাধিক মুদ্রা বিনিময় হার থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের পাশাপাশি দেশের সার্বিক অর্থনীতির অন্তর্নিহিত মরণব্যাধি দুর্নীতি ও অব্যাহত মুদ্রাপাচারের বিষয়টিকে নির্বিকার এড়িয়ে গেলেন। অথচ সরকারের অজানা নয় যে, বাংলাদেশে যদি মধ্যম মাত্রায় দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হতো তাহলে জাতীয় আয়ের প্রবৃদ্ধি কমপক্ষে ২ থেকে ৩ শতাংশ বেশি হতো ও জনগণের জন্য অর্থবহ হতো; অন্যদিকে অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য প্রাক্কলন অনুযায়ী বছর গড়ে বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে কমপক্ষে ১২ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ। দুর্নীতি ও অর্থপাচারের বিশাল দুষ্টচক্রকে নিয়ন্ত্রণের দিকনির্দেশনাহীন বাজেট যে আরো দুর্নীতি ও অর্থপাচার সহায়ক হবে তাতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই।’
পাচার করা অর্থ বিনা প্রশ্নে ফেরত আনতে বিগত বাজেটে দেওয়া অনৈতিক সুবিধার মেয়াদ আর না বাড়ানোর চিন্তাকে দেরিতে হলেও সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হিসেবে আখ্যা দিয়ে, প্লট ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত না রাখার আহবান জানাচ্ছে টিআইবি। প্লট ও ফ্ল্যাটে বিনিয়োগসহ অন্য যে কোনোভাবে কালো টাকা সাদা করার অসাংবিধানিক, বৈষম্যমূলক ও দুর্নীতিসহায়ক সুযোগ যেন নতুন করে আয়কর আইনে স্থান না পায় এমন আহবান জানিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা বলে, বার বার সুযোগ দিয়েও দেশের অর্থনীতিতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ করে দিয়ে কোনো সরকারই কাঙিক্ষত মাত্রায় রাজস্ব আদায় করতে পারেনি। বরং এর মাধ্যমে দুর্নীতিবাজ কালো টাকার মালিকদেরই শুধু সুরক্ষা দেওয়া গেছে এবং বাস্তবে দুর্নীতির গভীরতার বিস্তারে অবদান রেখেছে; সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থানের নৈতিক ভিত্তি দুর্বলতর হয়েছে। তাই এই সুযোগটি যেন স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর চাপে আবারো না দেওয়া হয় সে ব্যাপারে সরকার দৃঢ়তা দেখাবে এমনটাই প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন: আদানি গ্রুপের সঙ্গে ঢাকার বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি নজিরবিহীন বৈষম্যমূলক: টিআইবি
মূলত দুর্নীতির বৈষম্যমূলক প্রভাবে দেশে ক্রমবর্ধমান আয়-বৈষম্যের প্রেক্ষিতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে বরাদ্দ ও সুবিধাভোগীর সংখ্যা এবং ভর্তুকি বরাদ্দের ব্যয় ব্যবস্থাপনার দিক থেকেও প্রস্তাবিত বাজেট ন্যায্যতা রাখতে ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে টিআইবি বলছে, আয়হীন ও নিম্নআয়ের মানুষ যতোটা চাপে রয়েছে, সে তুলনায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বা সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়েনি। ভাতার পরিমাণও কোনো কোনো ক্ষেত্রে নামমাত্র বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও বাস্তবে তা কোনোভাবেই অর্থবহ হবে না। আবার সরকার বাজেটে সাড়ে চুরাশি হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি ও প্রণোদনা ব্যয়ের যে প্রস্তাবনা রেখেছে সেখানে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকাই রাখা হয়েছে জনপ্রশাসনের জন্য। সামাজিক নিরাপত্তায় ভর্তুকি ও প্রণোদনা মাত্র ৫ হাজার কোটি টাকা। টিআইবি প্রত্যাশা করে বাজেট পাসের আগেই এসব ক্ষেত্রে সরকার ন্যায্যতা বিধান করবে এবং বিশেষ করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিনির্ভর সুশাসন, এবং দুর্নীতি ও অর্থপাচার নিয়ন্ত্রণের কার্যকর পথরেখা বাজেটের মূলধারায় অন্তর্ভুক্ত করবে।
আরও পড়ুন: ওয়াসা চেয়ারম্যানকে অপসারণের নিন্দা টিআইবি’র
১ বছর আগে
বাংলাদেশে প্রতিদিন ২০০ কোটি টাকার স্বর্ণ চোরাচালানের মাধ্যমে আসে: বাজুস
বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার স্বর্ণ অবৈধভাবে চোরাচালানের মাধ্যমে আসছে। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) সঙ্গে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) এক বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এছাড়া স্বর্ণ চোরাচালান ও অর্থপাচার বন্ধে একসঙ্গে একটি যৌথ উদ্যোগ গঠনের প্রস্তাব দিয়েছে বাজুস।
বিএফআইইউ'র প্রধান কর্মকর্তা মো. মাসুদ বিশ্বাস বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বাজুস প্রেসিডেন্ট সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল এতে অংশ নেয়। এ ছাড়া সভায় বিএফআইইউ'র উপপ্রধান ও ইউনিটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালানে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে: বাজুস
বাজুস নেতারা বৈঠকে জানান, বাজুস প্রতিনিধি দলের তথ্য ও প্রস্তাবের জবাবে মাসুদ বাংলাদেশকে স্বর্ণ চোরাকারবারিদের হাত থেকে রক্ষা এবং দেশে স্বর্ণ চোরাচালানের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার আশ্বাস দেন।
তারা আরও জানান, আকাশ, সড়ক ও নৌপথকে ব্যবহার করে স্বর্ণ চোরাচালান করা হয়, এর ফলে বছরে ৭৩ হাজার কোটি টাকার চোরাচালানকৃত স্বর্ণ বাংলাদেশে আসে এবং এর বেশিরভাগই দেশের বাইরে পাচার হয়ে যায়। সোনা চোরাচালান বন্ধে বাজুস নেতারা সাতটি সুপারিশ পেশ করেন বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ই-অরেঞ্জের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে বিএফআইইউ
১০ দেশের সঙ্গে চুক্তি করতে বিএফআইইউকে তিন মাসের সময় হাইকোর্টের
১ বছর আগে
সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার: বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে হাইকোর্টে তলব
সুইস রাষ্ট্রদূতের এক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে দাখিল করা এফিডেভিট ইন কমপ্লাইয়েন্সের সঙ্গে যুক্ত করা এক পৃষ্ঠার একটি প্রতিবেদনে কারও কোন নাম, ঠিকানা ও পদবি না থাকায় বাংলাদেশ ফাইন্যানসিয়াল ইনটেলিজেন্স ইউনিটের প্রধান মাসুদ বিশ্বাসকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই তলব আদেশ দেন। বুধবার সকাল ১১ টায় আদালতে হাজির হয়ে মাসুদ বিশ্বাসকে এবিষয়ে তাকে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আদেশ প্রদানকালে আদালত বলেন, ‘নাম পদবি ছাড়া এভাবে প্রতিবেদন দেয়াটা যেন ‘ধরি মাছ না ছুই পানি’র মত একটা বিষয়। এত ভয় কেন? নাম পদবি দিয়ে প্রতিবেদন জমা দিতে।’
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। আর দুদকের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএফআইইউ’র পক্ষ থেকে যে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে সেটি প্রোপার ওয়েতে দাখিল করা হয়নি। কমপ্লায়েন্সের মধ্যে কারও কোন স্বাক্ষর নেই, কে দাখিল করেছে তা উল্লেখ নেই। এ কারণে আদালত অত্যন্ত মনোক্ষুন্ন হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বক্তব্য জানতে চেয়েছিল। আমি বলেছি এটি বিএফআইইউ’র উদাসীনতা। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে বিএফআইইউ’র প্রধানকে তলব করেছেন।’
আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
আরও পড়ুন: অবৈধ স্থাপনা: কক্সবাজারের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব
এর আগে গত ১০ আগস্ট জাতীয় প্রেসক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিকাব) আয়োজিত ‘ডিকাব টক’ অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত নাথালি শুয়ার্ড বলেছেন, সুইস ব্যাংকে জমা রাখা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার সুনির্দিষ্ট কোনো ব্যক্তির তথ্য চায়নি। সুইস ব্যাংকের ত্রুটি সংশোধনে সুইজারল্যান্ড কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। তবে আমি আপনাদের জানাতে চাই সুইজারল্যান্ডে কালো টাকা রাখার কোনো নিরাপদ ক্ষেত্র নয়।
এরপর ১১ আগস্ট স্বপ্রণোদিত হয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার এবং বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সুই ব্যাংকের কাছে পাচারকারীদেও তথ্য চাওয়া হয়েছিল কিনা সে ব্যাপাওে দুদক এবং রাষ্ট্রপক্ষের কাছে পদক্ষেপ জানতে চান। তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৪ আগস্ট বিএফআইইউকে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন এফিডেভিট আকারে দাখিল করতে বলা হয়।
সে অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষ থেকে গত রবিবার সকালে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার (বিএফআইইউ) প্রতিবেদন এফিডেভিট আকারে হাইকোর্টে দাখিল করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমা সংক্রান্ত তথ্য বিভিন্ন সময়ে দেশটির আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এফআইইউয়ের কাছে চাওয়া হয়েছিল। সর্বশেষ গত ১৭ জুন এ সংক্রান্ত তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা।
অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসীকাজে অর্থায়ন প্রতিরোধ, অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য বিএফআইইউ অন্যান্য দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে। তবে বিশ্বব্যাপী এসব তথ্য আদান-প্রদানের মাধ্যম হলো এগমন্ড সিকিউর ওয়েব (ইএসডব্লিউ)।
২০১৩ সালের জুলাইতে ইএসডব্লিউ’র সদস্য হওয়ার পর চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ৬৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে তথ্য চায় বাংলাদেশ। ইএসডব্লিউ’র মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে এ তথ্য দিতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু একজন ছাড়া অন্যদের বিষয়ে কোনো তথ্য নেই বলে জানায় সুইজারল্যান্ড। আর ওই একজনের তথ্য দুদককে দিয়েছে বিএফআইইউ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুইস ব্যাংক চলতি বছরের ১৬ জুন বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। পরদিন ইএসডব্লিউ’র মাধ্যমে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশি ব্যাংক ও ব্যক্তির জমানো অর্থের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহের জন্য সুইজারল্যান্ডের এফআইইউকে অনুরোধ জানানো হয়। এ পর্যন্ত মোট ১৩ বার তথ্য চাওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য পায়নি বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদনের ওপর আজ শুনানি হয়।
শুনানিকালে দেখা যায় এফিডেভিটের ভেতরে একটি প্রতিবেদনে কারও নাম, স্বাক্ষর, ঠিকানা কিছুই উল্লেখ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি মামলার আসামিদের অব্যাহতি, দুদকের আইওকে হাইকোর্টে তলব
সন্তানদের জবানবন্দি রেকর্ড: বাবুলের ভাই ও মাগুরার সমাজসেবা কর্মকর্তাকে হাইকোর্টের তলব
২ বছর আগে
দেশের স্বার্থকে কেন্দ্র করেই আইপিইএফ নিয়ে পর্যালোচনা করছে ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সম্প্রতি চালু হওয়া ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারটি (আইপিইএফ) কী সুবিধা দিবে সে ব্যাপারে বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ।
রবিবার আইপিইএফ সম্পর্কে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিভিন্ন জন বিভিন্ন পরামর্শ দিতে পারেন উল্লেখ করে মোমেন বলেন, আমরা আমাদের দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী তেল, এলএনজির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে: মোমেন
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতা আছেন, যিনি দেশের স্বার্থে কখনো আপস করেন না। আমরা খুব খুশি যে আমাদের খুব শক্তিশালী নেতৃত্ব আছে।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেন ড. মোমেন।
এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, সম্প্রতি চালু হওয়া আইপিইএফ-এ অন্যান্য দেশের যোগদানের সুযোগ থাকবে। আইপিইএফ নিয়ে মার্চ মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ এটি নিবিড়ভাবে অনুসরণ করবে।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধকতা থাকলেও জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আইপিইএফ-এর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এই উদ্যোগটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সাপ্লাই চেইন স্থিতিস্থাপকতা, ডেটা ম্যানেজমেন্ট, দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ এবং অবাধ ও ন্যায্য বাণিজ্যের ওপর জোর দিয়েছে।
ড.মোমেন বলেন, মুক্ত বাণিজ্যের জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় সাপ্লাই চেইন এবং ইনক্লুসিভ ও ওপেন নেভিগেশনের বিষয়ে বাংলাদেশের কোনো পর্যবেক্ষণ নেই। আমরাও চাই সরবরাহ শৃঙ্খলে যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি একটি ভালো লক্ষণ যে আইপিইএফ অর্থপাচারের বিষয়টিতে জোর দিতে চায় কারণ পশ্চিমা দেশগুলোর বেশিরভাগ ব্যাংক তাদের গোপনীয়তা আইনের কারণে বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশ করে না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
২ বছর আগে
সরকারের সুবিধাভোগীদের স্বার্থ রক্ষায় বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে: বিএনপি
২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট শুধু সরকারের সুবিধাভোগীদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই বাজেট কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের বাজেট নয়। এটা শুধু অর্থ পাচারকারী ও যারা ডলার পাচার করে তাদের বাজেট।’
তিনি বলেন, ‘দেশের এই কঠিন সময়ে এবারের বাজেট সম্পূর্ণ অবাস্তব বাজেট। এটি শুধু সরকার সমর্থিত লোকদের জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে।’
শনিবার বিএনপি চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় বাজেট নিয়ে দলটির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া তুলে ধরে ফখরুল এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবায়নে সুশাসন বড় চ্যালেঞ্জ: এফবিসিসিআই
এর আগে বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তির প্রস্তাব দেয়ায় সরকারের নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, লুটেরাদের অবৈধ অর্থ বৈধ ও নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ দিতে নতুন বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও তাদের আত্মীয়স্বজন এবং ব্যবসায়ীদের বিদেশে টাকা পাচারের সুযোগ তৈরি করতেও এই বাজেট করা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, চাল, ডাল, লবণ, চিনি, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি এবং অন্যান্য দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ও ইউটিলিটি সার্ভিসের দাম কমানোর কার্যকর কোনো কৌশল না নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সম্পদ বাড়াতে ও অর্থ উপার্জনের সুযোগ দিতে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে।
অর্থ পাচারকারীদের জন্য প্রস্তাবিত দায়মুক্তিকে তিনি অবৈধ বলেছেন। ‘এটি শুধু অনৈতিকই নয়, আইনের পরিপন্থীও। এটি দুর্নীতি ও অর্থপাচারকে ক্ষমা করার সমতুল্য।’
ফখরুল বলেন, এই পদক্ষেপ চলমান অর্থপাচারের মামলার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে তুলবে এবং পাচারকারীরা আরও বেশি অর্থ বিদেশে পাচার করতে উৎসাহিত হবে। ‘এটি একটি অন্যায়, বেপরোয়া ও আত্মঘাতী পদক্ষেপ।’
আরও পড়ুন: বাজেটে নিম্ন-মধ্যম আয়ের জনগণের জন্য কোনো সুখবর নেই: সিপিডি
তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি এটি একটি অসাংবিধানিক পদক্ষেপ যা দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের তথাকথিত জিরো টলারেন্স নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
পাচারকৃত অর্থ বৈধ করার সুযোগ বাতিলের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান বিএনপির এই নেতা।
একইসঙ্গে অবিলম্বে অর্থ পাচারকারীদের চিহ্নিত করে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
২ বছর আগে
অর্থপাচারকারীদের জন্য সরকারের দায়মুক্তির পরিকল্পনার সমালোচনা বিএনপির
অর্থ পাচারকারীদের দায়মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের নেয়া পরিকল্পনাকে অপকৌশল বলে সমালোচনা করেছে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘তারা (আ.লীগ নেতারা) দেশের সম্পদ লুটপাট করছে এবং জনগণের টাকা বিদেশে পাচার করছে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলটির আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নির্দেশে ছাত্রদলের ওপর হামলা হয়েছে: বিএনপি
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার এখন বলছে দায়মুক্তি দিয়ে পাচার করা অর্থ ফেরত আনবে। ‘এটি আরেকটি অপকৌশল। এর মানে তারা নিজেরাই অর্থ পাচার করেছে এবং এখন তা বৈধ করার জন্য দেশে নিয়ে আসবে।’
অর্থপাচারকারীদের এমন দায়মুক্তি দিয়ে সরকার ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের আরও জনগণের টাকা লুট করার সুযোগ তৈরি করবে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘এই সরকারকে কোনোভাবেই বিশ্বাস করা যায় না... আওয়ামী লীগকে কোনোভাবেই আর ক্ষমতায় থাকতে দেয়া যাবে না।’
আরও পড়ুন: লেবার পার্টির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারকে উৎখাত করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন জোরদার করার আহ্বান জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সরকার অর্থ পাচারকারীদের দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে সাধারণ ক্ষমার পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, জাতীয় বাজেট সংসদে উত্থাপনের আগে বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে আরও তথ্যসহ সার্কুলার জারি করবে।
২ বছর আগে
দুই মামলায় জামিন পেলেন সম্রাট
রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও অর্থপাচারের মামলায় জামিন পেলেন ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
রবিবার ঢাকার মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের অস্ত্র মামলায় এবং ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন অর্থপাচারের মামলায় শুনানি শেষে জামিনের আদেশ দেন।
এদিন অর্থপাচারের মামলার রিমান্ড শুনানির জন্য সকালে সম্রাটকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
এ মামলায় গত বছরের ২৪ মার্চ তার তিন দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী মাকসুদ।
এরপর করোনার কারণে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় এবং সম্রাট অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়নি। এজন্য বেশ কয়েক দফা রিমান্ড শুনানি পেছায়।
আরও পড়ুন: সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় র্যাবের চার্জশিট
সম্রাটের পক্ষে রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউট আজাদ রহমান এর বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে তার জামিনের আদেশ দেন।
সম্রাটের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বলেন, সম্রাটের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত চারটি মামলা হয়েছে। আজ অস্ত্র এবং অর্থপাচার এ দুই মামলায় জামিন মঞ্জুর হলো। মাদক এবং দুদকের মামলায় জামিন পেলে তিনি কারামুক্ত হতে পারবেন। আশা করছি অতি শিগগিরই জামিন নিয়ে তিনি কারামুক্ত হবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তাকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে তার কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে সম্রাট
এ চামড়া রাখার দায়ে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেয়া হয়।
৭ অক্টোবর র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে একমাত্র আসামি করা হয়। মাদক মামলায় সম্রাট এবং আরমানকে আসামি করা হয়। এরপর সম্রাটের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও দুদক মামলা করে।
২০১৯ সালের ৪ নভেম্বর অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক (এসআই) শেখর চন্দ্র মল্লিক।
২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর রমনা থানায় মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে ১৯৫ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের এসআই রাশেদুর রহমান।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ফের কারাগারে সম্রাট
২ বছর আগে
ফরিদপুরে ১২ বাসে আগুন
ফরিদপুর জেলা শহরের একটি টার্মিনালে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা অন্তত ১২টি বাসে আগুন দিয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে শহরের গোয়ালচামটে নতুন বাস টার্মিনালের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
বাসগুলো অর্থপাচার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের মালিকানাধীন। ২০২০ সালের ৭ জুন পুলিশের অভিযানে বরকত-রুবেলের গ্রেপ্তার হওয়ার পর আদালতের নির্দেশে দুদক এসব বাস জব্দ করে। এরপর থেকে সেগুলো সেখানেই রাখা ছিল।
শনিবার সকালে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, কয়েকজন দুর্বৃত্ত সাউথ লাইন পরিবহনের ১২টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে ২২টি বাস রাখা ছিল।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে ব্যাংক কর্মকর্তার নাচের ভিডিও ভাইরাল
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হয়। তবে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও জানা যায়নি।
বরকতের স্ত্রী সুরাইয়া পারভীন বলেন, গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি বরকতের মালিকানাধীন ৫৫টি গাড়ি জব্দের নির্দেশ দেন একটি স্থানীয় আদালত।
ফরিদপুরের সিআইডির পরিদর্শক নাসির হোসেন জানান, ঘটনাটি সিআইডি তদন্ত করে দেখবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরের সেই পুলিশ পরিদর্শকের জামিন নামঞ্জুর
গত বছরের ৩ মার্চ দুই হাজার কোটি টাকার অর্থ পাচার মামলায় বরকত ও রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২ বছর আগে