পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সম্প্রতি চালু হওয়া ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক ফর প্রসপারটি (আইপিইএফ) কী সুবিধা দিবে সে ব্যাপারে বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ।
রবিবার আইপিইএফ সম্পর্কে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিভিন্ন জন বিভিন্ন পরামর্শ দিতে পারেন উল্লেখ করে মোমেন বলেন, আমরা আমাদের দেশের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করব।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী তেল, এলএনজির মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে: মোমেন
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো নেতা আছেন, যিনি দেশের স্বার্থে কখনো আপস করেন না। আমরা খুব খুশি যে আমাদের খুব শক্তিশালী নেতৃত্ব আছে।
নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের কথাও উল্লেখ করেন ড. মোমেন।
এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, সম্প্রতি চালু হওয়া আইপিইএফ-এ অন্যান্য দেশের যোগদানের সুযোগ থাকবে। আইপিইএফ নিয়ে মার্চ মাসে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ এটি নিবিড়ভাবে অনুসরণ করবে।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধকতা থাকলেও জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আইপিইএফ-এর বিভিন্ন দিক সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এই উদ্যোগটি ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সাপ্লাই চেইন স্থিতিস্থাপকতা, ডেটা ম্যানেজমেন্ট, দুর্নীতি ও অর্থপাচার প্রতিরোধ এবং অবাধ ও ন্যায্য বাণিজ্যের ওপর জোর দিয়েছে।
ড.মোমেন বলেন, মুক্ত বাণিজ্যের জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক এলাকায় সাপ্লাই চেইন এবং ইনক্লুসিভ ও ওপেন নেভিগেশনের বিষয়ে বাংলাদেশের কোনো পর্যবেক্ষণ নেই। আমরাও চাই সরবরাহ শৃঙ্খলে যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটি একটি ভালো লক্ষণ যে আইপিইএফ অর্থপাচারের বিষয়টিতে জোর দিতে চায় কারণ পশ্চিমা দেশগুলোর বেশিরভাগ ব্যাংক তাদের গোপনীয়তা আইনের কারণে বিদেশি নাগরিকদের অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশ করে না।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী