বিশ্ব বাঘ দিবস ২০২৪
বাঘ সংরক্ষণে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্ব বাঘ দিবস ২০২৪ পালন
বাঘ সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে এবং তাদের আবাসস্থল কমতে থাকা, গুপ্তশিকার ও মানুষের সঙ্গে বন্যপ্রাণীর সংঘাতের মতো জরুরি হুমকি মোকাবিলায় গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে বিশ্ব বাঘ দিবস।
বাঘের ওপর প্রভাব ফেলে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করা হয়। বিশেষত গুপ্তশিকার, অবৈধ বন্যপ্রাণী পাচার এবং আবাসস্থল কমে আসার কারণে বাঘবিলুপ্তির ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
বাঘের অস্তিত্ব রক্ষা করতে মানুষকে একত্রিত করা, জনসমর্থন অর্জন এবং টেকসই প্রকল্পগুলোকে এগিয়ে নেওয়াই বিশ্ব বাঘ দিবসের লক্ষ্য। বাঘ সুরক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত সম্ভাবনা ও অসুবিধাগুলোর ওপর গুরুত্ব দিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য গ্রহের জীববৈচিত্র্য বজায় রাখাই এই দিবসের উদ্দেশ্য।
এ বছর বিশ্ব বাঘ দিবসে সর্বশেষ বাঘ শুমারির ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও কারফিউয়ের কারণে নিয়মিত কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় বন কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করতে না পারায় তা স্থগিত করা হয়েছে।
বাঘ শুমারির ফলাফল আগামী মাসে ঘোষণা করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্পের আওতায় ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতিতে এই শুমারি করা হয়। গত বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত সাতক্ষীরা ও খুলনা রেঞ্জে এই শুমারি করা হয়।
চলতি বছরের শুরুর দিকে চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জেও একই ধরনের সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ৪০ দিনের ব্যবধানে প্রতিটি রেঞ্জের ১৪৫টি পয়েন্টে দুটি করে ক্যামেরা বসানো হয়।
এছাড়াও সুন্দরবনে খাল জরিপের মাধ্যমে বাঘের পায়ের ছাপ সংগ্রহ করা হয়। বাঘ শুমারির সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহের কাজ প্রায় চার মাস আগে শেষ হয়েছিল।
বাঘ সংরক্ষণের প্রকল্প পরিচালক ও সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মহসিন হোসেন বলেন, একই বাঘের একাধিকবার ছবিসহ প্রায় সাড়ে সাত হাজার বাঘের ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিটি বাঘের জন্য একটি করে 'ইউনিক আইডি' তৈরি করা হয়েছে। এসব ছবি বিশ্লেষণের জন্য বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে এ বছরের বিশ্ব বাঘ দিবসে এই গণনার তথ্য প্রকাশ করার কথা ছিল। তবে সাম্প্রতিক অস্থিরতা ও কারফিউর কারণে কাজ শেষ করা যায়নি।
আগামী মাসে ফলাফল ঘোষণা করা হবে বলে জানান তিনি।
২০১৮ সালে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বন বিভাগ সুন্দরবনে ১১৪টি বাঘের উপস্থিতি পেলেও এবার বাঘের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন তারা।
৪ মাস আগে