সারজিস আলম
গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেঈমানি করলে প্রধান উপদেষ্টাকেও ছাড় দেওয়া হবে না: সারজিস আলম
গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেঈমানি করলে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকেও ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, আমরা দালাল নই বা আমরা ক্ষমতা পিপাসু নই। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক কী হবে তা তাদের কাজের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে খুনি হাসিনাকে আশ্রয় না দিয়ে ফেরত দিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ তার বিচার করবে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা ব্যর্থ হলে কারও অস্তিত্ব খুনি হাসিনা রাখবে না: সারজিস আলম
তিনি আরও বলেন, গুলি চালানো পুলিশ সদস্যদের শাস্তির বদলে বদলি করে নতুন করে পোস্টিং তদবির চলছে। মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক বলেন, শেখ মুজিবের হত্যার বিচারের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের প্রয়োজন না হলে জুলাই আগস্টের শহীদদের লাশ কেন তুলতে হবে?
তিনি আরও বলেন, আর কোনো শহীদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। শহীদদের হত্যার বিচারকার্যে যারা অসহযোগিতা করবে তারাও হত্যাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।
এর আগে, সারজিস শহীদ পরিবারে সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কাছে গিয়ে কথা বলেন। পরে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহী বিভাগের শহীদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন।
রাজশাহী বিভাগের ৬৩টি শহীদ পরিবারের মধ্যে ৪৬টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে। প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল: সারজিস আলম
১ সপ্তাহ আগে
নতুন রূপে ফিরে আসতে চাইছে শেখ হাসিনা ও তার দোসররা: সারজিস
ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, নানামুখী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও তাদের দোসররা নতুন রূপে ফিরে আসতে চাইছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের প্রতিহত করতে প্রয়োজনে ছাত্র-জনতা আবারও সড়কে নামবে।’
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গণঅভ্যুত্থানে নিহত চট্টগ্রামের ১০৫ পরিবারকে আর্থিক সহায়তাদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সারজিস আলম।
আরও পড়ুন: আমরা ব্যর্থ হলে কারও অস্তিত্ব খুনি হাসিনা রাখবে না: সারজিস আলম
জুলাই আন্দোলনে নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে সারজিস বলেন, শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া কীট রয়েছে। যদি তাদের পাখা গজায় তাহলে ৫ বছর পর তারা শহীদ পরিবারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাই খুনিরা যেন কোনোভাবেই পুনর্বাসনের সুযোগ না পায় সেজন্য সচেতন থাকতে হবে।
প্রয়োজনে আবারও জীবন বাজি রাখতে তারা প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন সারজিস।
অনুষ্ঠানে আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সারজিস আলম। প্রতিটি পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়।
২ সপ্তাহ আগে
আমরা ব্যর্থ হলে কারও অস্তিত্ব খুনি হাসিনা রাখবে না: সারজিস আলম
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, আমরা যে স্বপ্ন ও স্পিরিট নিয়ে দেশের জন্য রক্ত দিলাম, জীবন দিলাম সেটার জন্য কাজ করে যাওয়ার জন্য জীবনের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের মাথায় সব সময় কাজ করে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের কথা। খুনি হাসিনা এবং তার দোসররা সবদিক দিয়ে চেষ্টা করছে আমরা যেন সফল না হই।
সারজিস বলেন, ‘কোণোভাবে যদি আমরা ব্যর্থ হই কারো অস্তিত্ব খুনি হাসিনা রাখবে না।’
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগে ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের সময় শহীদ ৫৫ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিজেদের কর্মের ফল ভোগ করছে: সারজিস আলম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ৫ আগস্টে এমন অনেক শহীদ পরিবার রয়েছে যাদের দাফন করতে দেওয়া হয় নাই। তাদের বাড়িতে থাকতে দেওয়া হয় নাই। তাদের হয়রানি করা হয়েছে। এখন যদি খুনি হাসিনা ফিরে আসে আবার একই কাজ করবে। সেই জায়গা থেকে আমাদের সকলের দায়িত্ব- যে স্বপ্ন ও স্পিরিট নিয়ে অভ্যুত্থান হয়েছে তাকে রক্ষা করা। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সরকারের যেমন গঠনমূলক সমালোচনা করব একইভাবে প্রশাসন থেকে শুরু করে সকলকে তাদের কাজে সহয়তা করব।
সারজিস বলেন, যারা এই অভ্যুত্থানে রক্তাক্ত ঘটনাগুলোর হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, হোক ভিডিও ফুটেজ বা ছবি, তার যে পরিচয়ই হোক না কেন তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যদি মনে করি যে ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামী লীগ নেতা বা পুলিশের সদস্য ছিল, সে সরাসরি হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।, তারপরও তার বিরুদ্ধে কিছু করা রিস্কি, তাহলে আমরা সরি। আমরা মনে করি আপনি এই অভ্যূত্থানের স্প্রিরিট (চেতনা) ধারণ করেন না, তাহলে আপনি এই দায়িত্ব ছেড়ে অন্য জায়গায় যান।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল: সারজিস আলম
এসময় ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত ডিআইজি শরিফুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম হোসেনসহ শহীদদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৩ সপ্তাহ আগে
নির্বাচন কমিশন ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল: সারজিস আলম
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ‘শুধু নির্বাচনের জন্য ২ হাজার মানুষ জীবন দেয়নি, আর এই অভ্যুত্থানও হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত সিস্টেমগুলোর জন্য এই মানুষগুলো বিগত ১৬ বছরে বিরক্ত হতে হতে দেয়ালে পিঠ লেগে গিয়েছিল।’
সারিজস আলম আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলের ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন সংস্কার না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন কোনোভাবেই আশা করা যাবে না।’
শনিবার (৯ অক্টোবর) সিলেটের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আরও পড়ুন: কর্তৃপক্ষ তাদের কথা রাখেনি, আন্দোলন চলবে: সমন্বয়ক সারজিস আলম
নির্বাচন প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, আমরা বলছি না রাষ্ট্রের সবকিছু সংস্কার করে নির্বাচনে যান। আমরা এটাও বলছি না আগামী ৫ থেকে ৬ বছর সংস্কার করেন। কিন্তু সংস্কারের জন্য ন্যূনতম একটা সময় লাগবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো বিবেকবান মানুষ তার জায়গা থেকে চিন্তা করতে পারবে না যে এক বছরের মধ্যে সবকিছু সংস্কার হয়ে যাবে।
১৬ বছরে যে সিস্টেমগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে, সেই সিস্টেমগুলোকে সংস্কার করতে একটা যৌক্তিক সময় প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর এমনকি ৫৩ বছর ধরে বাংলাদেশের সংবিধান পাঁচ বছরের জন্য মানুষকে একটি ‘জনতার সরকার’ উপহার দিতে পারেনি। আমাদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে পারেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সেই সাংবিধানিক সংস্কারও প্রয়োজন। পাঁচ বছরের জন্য ইশতেহার দিয়ে প্রতিটি সরকার ক্ষমতায় আসে। ক্ষমতায় আসার পরপরই ইশতেহার ভুলে যায়। ভুলে যায় তারা যে জনতার সরকার।’
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শুধু একটা নির্বাচন কমিশনও সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে পারে না। এর পাশাপাশি অনেকগুলা প্রতিষ্ঠান জড়িত। এরমধ্যে অন্যতম হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে। তা না হলে নির্বাচন দিলে আবার জবরদখলের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে। আবার এই নির্বাচন ঘিরে কোনো সমস্যা দেখা দিলে সে জন্য একটা বিচারিক প্রক্রিয়া প্রয়োজন। তাই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার প্রয়োজন।’
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘হাইকোর্টে এখনও আওয়ামী লীগের কিছু দোসর-ফ্যাসিস্ট বসে আছে। যারা তাদের যোগ্যতার বলে সেখানে যায়নি। তোষামোদি আর তেলবাজি করে তারা সেখানে গিয়েছিল। তাদেরকে এই জায়গা থেকে অপসারণ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে যারা এই জায়গাগুলোর জন্য যোগ্য তাদেরকে সেখানে বসাতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এই অভ্যুত্থান কিছু লোক দিয়ে হয়নি। যেই ফ্যাসিস্ট সরকারকে ১৬ বছরে বাংলাদেশের নামিদামি রাজনৈতিক সংগঠন এক টনক নড়াতে পারেনি, সেই শেখ হাসিনা কিছু লোকের জন্য এই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়নি। পুরো বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছিল বলে অভ্যুত্থান ঘটেছিল এবং শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়েছিল।’
শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে চেক বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সারা দেশ থেকে প্রায় ১ হাজার ৬০০ জনের বেশি শহীদ পরিবারের তালিকা আমাদের কাছে এসেছে। যাচাই-বাছাই করে নির্বাচিতদের পরিবারের হাতে আর্থিক অনুদানের চেক দেওয়া হচ্ছে। আমরা প্রতিটি বিভাগীয় পর্যায়ে গিয়ে শহীদদের পরিবারের হাতে অনুদানের চেক তুলে দিচ্ছি। এটা আমাদের দায়িত্ব। বাকি যারা রয়েছেন তাদের কাগজপত্র সংগ্রহের কাজ চলছে। সেগুলো হাতে পেলে অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হবে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সিলেট বিভাগে নিহত ১৮ জনের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ‘জুলাই শহিদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’।
শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এসব পরিবারের সদস্যদের মাঝে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়। দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম এবং ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।
এছাড়া সংগঠনটির আরও ৮ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিজেদের কর্মের ফল ভোগ করছে: সারজিস আলম
রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান সারজিস আলমের
১ মাস আগে
আওয়ামী লীগ নিজেদের কর্মের ফল ভোগ করছে: সারজিস আলম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ক্ষমতায় থাকাকালে তাদের কর্মকাণ্ডের ফল আওয়ামী লীগ এখন ভোগ করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।
শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কর্তৃপক্ষ তাদের কথা রাখেনি, আন্দোলন চলবে: সমন্বয়ক সারজিস আলম
২০১৩ সালে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশের কথা স্মরণ করে সারজিস আলম বলেন, সে সময় আওয়ামী লীগ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুলিশকে ব্যবহার করে অসংখ্য আলেমকে অবমাননাকর কাজ করতে বাধ্য করে।
তিনি বলেন, 'ওই ঘটনার সচিত্র প্রমাণ ও ভিডিও এখনও আমাদের কাছে আছে। আওয়ামী লীগ যা করেছে তার ফল এখন ভোগ করছে এবং ভবিষ্যতেও ভুগবে।’
১৫ আগস্টকে শোক দিবস হিসেবে পালন প্রসঙ্গে সারজিস বলেন, '১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট যখন ঘটনাটি ঘটে তখন সারা বাংলাদেশে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। কেন? কারণ আপনি যদি ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ঘটনাবলির দিকে তাকান, সেখানে স্বৈরতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদের চরম পর্যায় ছিল। ১৫ আগস্ট ছিল সেই সময়ের একটি বৃহত্তর বিপ্লবের ফল।’
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে কাউকে শ্রদ্ধা নিবেদন বা ফুল দিতে বাধা দেওয়ার অধিকার কারো নেই বলেও মন্তব্য করেন সারজিস।
তিনি শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জাতীয় সংকটের সময় তাদের অবদানের জন্য আমরা আমাদের সহপাঠীদের ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু এখন তাদের পড়াশোনায় ফিরতে হবে। দিন শেষে দেশকে এগিয়ে নিতে হলে দরকার শিক্ষিত তরুণ প্রজন্ম।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান সারজিস আলমের
ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেন কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক
৪ মাস আগে
রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান সারজিস আলমের
রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষায় দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সোমবার (৫ আগস্ট) ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে পুলিশ-আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ, নিহত ৬
সারজিস বলেন, 'এই স্বাধীনতা বাংলাদেশের জনগণের। এই মুহূর্ত থেকে দেশ ও জনগণের সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব। কারণ এগুলো আমাদের।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: শেরপুর জেলা কারাগার ভাঙল দুর্বৃত্তরা, ৫০০ বন্দির পলায়ন
শিক্ষার্থী-আন্দোলনকারীদের তারেক রহমানের অভিনন্দন
৪ মাস আগে
কর্তৃপক্ষ তাদের কথা রাখেনি, আন্দোলন চলবে: সমন্বয়ক সারজিস আলম
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে থাকা কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী সারজিস আলম এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করেছেন, কর্তৃপক্ষ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার বা মামলা দিয়ে হয়রানি না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, কিন্তু তারা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সারজিস আলম বৃহস্পতিবার বিকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে লেখেন,'তারা তাদের কথা রাখেনি। তাই এসব গণগ্রেপ্তার, নিপীড়ন, নির্যাতন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।'
আরও পড়ুন: ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তি পেলেন কোটা আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক
তিনি আরও লেখেন, 'আপনারা (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছেন। আমার ভাইয়ের (স্কুল-কলেজের ছাত্র) ওপর লাঠিচার্জ করছেন। যাকে খুশি তুলে নিতেন। আন্দোলনকারীকে খুঁজে না পেয়ে তাদের ভাইকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গেছেন, বাবাকে হুমকি দিয়েছেন! মাশরুর এর একটি উদাহরণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা আমার ভাইদের রিকশা থেকে নামিয়ে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। আপনারা আমার বোনদের রাস্তায় ফেলে মারলেন। কি ভাবছেন আপনি? এভাবেই কি সব শেষ হয়ে যাবে? যারা একবারের জন্যও এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছিল তারা গ্রেপ্তারের ভয়ে শান্তিতে ঘুমাতে পারে না। অনেকে আছেন যাদের পরিবার এখনো তাদের সন্ধান পায়নি। এটা হওয়া উচিত হয়নি!’
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে 'রিমেমবারিং আওয়ার হিরোজ' কর্মসূচিতে হামলায় আহত ১০
তিনি আরও লেখেন, ছয়জনকে ডিবি হেফাজতে ৬ দিন আটকে রাখা যায়, কিন্তু বাংলাদেশের পুরো তরুণ প্রজন্মকে কীভাবে আটক করা যায়? দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার যা ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে, সেগুলো কীভাবে বন্ধ করা যায়?
পুলিশ সদস্যদের ভাই বলে সম্বোধন করে তিনি আরও লেখেন, 'এ দেশের মানুষের ক্ষোভ আপনাদের ওপর নয়, পুলিশের ওপর নয়। এই রাগ আপনার পোশাকের (ইউনিফর্ম) উপর। বছরের পর বছর ধরে এ দেশের অনেক মানুষ এই ইউনিফর্মধারীদের দ্বারা নির্যাতিত হয়েছে। ঐ পোশাক ছেড়ে আমাদের কাতারে আসুন, আমরা আপনাদেরকে স্বাগত জানাবো এবং আলিঙ্গন করব।
পোস্টের শেষ অংশে তিনি লেখেন, ‘যেহেতু এই পথ সত্যের পথ, ন্যায়ের পথ, তাই আমরা কোন কিছুর মুখোমুখি হতে ভয় পাই না। যতদিন বাংলাদেশ আন্দোলনকারীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে না, গণগ্রেপ্তার, নিপীড়ন, নির্যাতনের অবসান হচ্ছে না, ততদিন পর্যন্ত এই লড়াই চলবে।’
আরও পড়ুন: ‘মার্চ ফর জাস্টিস’ কর্মসূচিতে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের গ্রেনেড-টিয়ারশেল নিক্ষেপ
৪ মাস আগে