সারজিস আলম
হাসনাত, সারজিস, জারাসহ এনসিপির পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাসহ দলটির শীর্ষ পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত পৃথক পাঁচটি বিজ্ঞপ্তিতে এই নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট ‘জুলাই অভ্যুত্থান দিবস’ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হওয়ার দিনে উপস্থিত না থেকে ওই পাঁচ নেতা ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজারে যান। তবে এই সফরের বিষয়ে তারা দলের রাজনৈতিক পর্ষদকে কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা দেননি।
আরও পড়ুন: এনসিপির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে: নুর
এ কারণে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে উপস্থিত না থেকে কক্সবাজার সফরের সিদ্ধান্তের কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সামনে সশরীরে হাজির হয়ে এ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
১২০ দিন আগে
সারজিস আলমের বিরুদ্ধে করা আদালত অবমাননার আবেদন নিষ্পত্তি
সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাস ঘিরে আদালত অবমাননার অভিযোগে এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় সংগঠক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে করা আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (২০ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আবেদনকারী আইনজীবী জানান, পূর্ণাঙ্গ আদেশের অনুলিপি হাতে পেলে আদালতের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।
এর আগে গত ২৪ মে ফেসবুকে উচ্চ আদালত সম্পর্কে দেওয়া স্ট্যাটাসকে ‘মর্যাদাহানিকর’ ও ‘অবমাননাকর’ উল্লেখ করে সারজিস আলমকে আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. জসিম উদ্দিন। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় গত ২৮ মে তিনি হাইকোর্টে আদালত অবমাননার আবেদন করেন।
এই আবেদনের ওপর শুনানি হয় ৭ জুলাই। শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য রবিবার দিন ধার্য করেন। এদিন আদালত আবেদনটি ‘ডিসপোজড অফ’ (নিষ্পত্তি) করেছেন বলে রায় দেন।
আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবেদনকারী আইনজীবী জসিম উদ্দিন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির।
পরে জসিম উদ্দিন জানান, পূর্ণাঙ্গ আদেশ পাওয়ার পর তিনি আপিল বিভাগের দারস্থ হবেন।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মে হাইকোর্ট বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকার মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট খারিজ করে দেন। এর প্রেক্ষিতে এনসিপি নেতা সারজিস আলম তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘মব তৈরি করে যদি হাইকোর্টের রায় নেওয়া যায়, তাহলে এই হাইকোর্টের দরকার কী?’
এই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে পাঠানো আইনি নোটিশে তাকে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতির কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়। একই সঙ্গে নোটিশ পাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশের আহ্বান জানানো হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাওয়ায় তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: কেউ চাঁদাবাজি করলে তা মুখের ওপর বলব: সারজিস
১৩৭ দিন আগে
নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারে ছাড় দেওয়া হবে না: সারজিস
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, একটি দেশের সিস্টেম সংস্কার দু-চার বছরে সম্ভব নয়। তবে আসন্ন নির্বাচনের আগে স্বচ্ছ ভোটের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কারের প্রশ্নে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
সোমবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় চেম্বার কনভেনশন হলে জাতীয় যুব শক্তির জেলা সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, "যারা জীবন দিয়ে নতুন বাংলাদেশ এনে দিয়েছেন, তাদের হত্যাকারীদের বিচারের প্রশ্নে আমরা বিন্দুমাত্র আপস করব না। একইভাবে জুলাই মাসে 'জুলাই সনদ' দেওয়ার ক্ষেত্রেও কোনো আপস হবে না।"
তিনি বলেন, 'আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে দুর্বল দেখতে চাই না। সরকার যদি নিজেদের দুর্বল প্রমাণ করে, তাহলে তা হবে জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।'
আরও পড়ুন: ফ্যাসিস্ট লুটেরাদের এদেশে ঠাঁই হবে না: ফয়জুল করীম
আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে সারজিস বলেন, "আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ যুবসমাজকে মাদক সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি ও নিরপরাধ মানুষের ওপর হামলায় ব্যবহার করেছে। এ কারণেই আমরা রাজনীতিতে নেমেছি। দুঃখজনকভাবে, নতুন বাংলাদেশেও কিছু সংগঠন একই পথ অনুসরণ করছে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলি, আওয়ামী লীগ ছাড়া কেউ আমাদের প্রতিপক্ষ নয়।"
তিনি আরও বলেন, "আমরা সবাইকে সহযোগী মনে করি এবং জনগণের স্বার্থে প্রতিযোগিতায় নেমেছি। কিন্তু কেউ যদি পুরনো অপকর্মের পুনরাবৃত্তি করে, তাহলে আমাদের তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে। জনগণের অভ্যুত্থানের পরবর্তীকালে যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, তা এখনো পূরণ হয়নি বলেই এনসিপির আত্মপ্রকাশ জরুরি হয়ে পড়েছে।"
সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় যুব শক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. নেসার উদ্দিন, এনসিপি নেতা তানভিরুল বারী নয়নসহ জেলার পাঁচ উপজেলার যুবশক্তি ও এনসিপি নেতৃবৃন্দ।
পরে নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করেন সারজিস আলম ও অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম।
১৬৪ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার পূর্ব পাশে ফোয়ারার সামনে এই জমায়েত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার (৯ মে) এই জমায়েতে সর্বস্তরের জনগণকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত।
তিনি বলেন, ‘সার্ক ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। সেখানে বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে। আজ তারা বুঝতে পারবেন কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।’
‘ব্যান ব্যান আওয়ামী লীগ’, ‘সারা বাংলায় খবর দে’, ‘২৪ এর বাংলায়, ‘আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ ইত্যাদি স্লোগানে আজ সকাল থেকেই উত্তাল রয়েছে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন তথা যমুনা প্রাঙ্গণ।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ১০টার পর থেকে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহর নেতৃত্বে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
রাত ১০টায় যমুনার সামনে উপস্থিত হন হাসনাত। এরপর থেকেই গণহত্যাকারী হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন আন্দোলনকারীরা।
২১০ দিন আগে
ছাত্রদের নতুন রাজনৈতিক দল ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’
জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’।
জাতীয় নাগরিক কমিটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দলের নাম জাতীয় নাগরিক পার্টি (ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি বা এনসিপি)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমও ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি National Citizen Party (NCP)।’
আগামীকাল (শুক্রবার) দুপুর ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এই নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হবে বলে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় জানান সারজিস আলম।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। সেই সময় উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন নাহিদ ইসলামও। নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের লক্ষ্যে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনি পদত্যাগ করেন।
২৮০ দিন আগে
জানা গেল সারজিসের স্ত্রীর পরিচয়
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলম বিয়ে করেছেন।
নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
পোস্টের সঙ্গে একটি ছবিও যুক্ত করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, যেখানে বিয়ের সাজে সজ্জিত সারজিস আলমের সঙ্গে তিনি, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পাশাপাশি রয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আরও অনেকে।
ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘নবজীবনে পদার্পণে অভিনন্দন সার্জিস ভাই। বিবাহিত জীবন সুখের হোক।’
এর ৮ মিনিট পর একই ধরনের আরেকটি ছবি পোস্ট করে হাসানাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘অভিনন্দন, বন্ধু, সারজিস! আজীবন একসঙ্গে ভালোবাসা ও সুন্দর মুহূর্তের মধ্যে থাকো—এই কামনা করি।’
বিয়ের খবরে সারজিস আলমকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাচ্ছেন নেটিজেনরাও। অনেকে নববধূর পরিচয় জানতে চান। তবে সারজিসসহ অন্য সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সন্ধ্যায় সফল হতে পারেনি ইউএনবি।
অবশেষে ইউএনবির বরগুনা প্রতিনিধি সারজিসের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
আরও পড়ুন: সামাজিকমাধ্যমে সারজিস আলমের বিয়ের খবর
জানা গেছে, সার্জিসের স্ত্রী একজন কোরানের হাফেজা। সবসময় পর্দা করে চলেন তিনি। তাই তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
সারজিসের শশুরের নাম ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান। তার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীচন্না ইউনিয়নে লাকুরতলা গ্রামে। পেশার তাগিদে ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান স্ত্রী, মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর বাসাবোর শাহজাহানপুর এলাকায় বসবাস করেন।
লুৎফর রহমানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গাজিপুরের রাজিন্দ্র রিসোর্টে শুক্রবার আসরের নামাজের পর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিষয়টি মিডিয়া থেকে দূরে রাখতে বর্তমানে পরিবারসহ ওই রিসোর্টেই অবস্থান করছেন তারা।
ব্যারিস্টার লুৎফর রহমানের তিনটি সন্তানের মধ্যে সার্জিস আলমের স্ত্রী সবার বড়।
সারজিস আলম ১৯৯৮ সালের ২ জুলাই পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আকতারুজ্জামান সাজু ও মা বাকেরা বেগম। দুই ভাইয়ের মধ্যে সারজিস বড়, ছোট ভাইয়ের নাম শাহাদাত হোসেন সাকিব।
সারজিস আলম ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ডাকসু নির্বাচনে অমর একুশে হল সংসদের প্যানেল থেকে সদস্য পদে জয়লাভ করেছিলেন।
ছাত্রজীবনের নানা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিতার্কিক হিসেবেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন সারজিস। গত বছরের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি।
৩০৭ দিন আগে
সামাজিকমাধ্যমে সারজিস আলমের বিয়ের খবর
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলম বিয়ে করেছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এমন খবর ছড়িয়েছে। এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহও পৃথক পোস্টে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
পোস্টের সঙ্গে একটি ছবিও যুক্ত করেছেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, যেখানে বিয়ের সাজে সজ্জিত সারজিস আলমের সঙ্গে তিনি, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পাশাপাশি রয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আরও অনেকে।
ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, ‘নবজীবনে পদার্পণে অভিনন্দন সার্জিস ভাই। বিবাহিত জীবন সুখের হোক।’
এর ৮ মিনিট পর একই ধরনের আরেকটি ছবি পোস্ট করে হাসানাত আব্দুল্লাহ লিখেছেন, ‘অভিনন্দন, বন্ধু, সারজিস! আজীবন একসঙ্গে ভালোবাসা ও সুন্দর মুহূর্তের মধ্যে থাকো—এই কামনা করি।’
সারজিস আলম ১৯৯৮ সালের ২ জুলাই পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আকতারুজ্জামান সাজু ও মা বাকেরা বেগম। দুই ভাইয়ের মধ্যে সারজিস বড়, ছোট ভাইয়ের নাম শাহাদাত হোসেন সাকিব।
সারজিস আলম ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ডাকসু নির্বাচনে অমর একুশে হল সংসদের প্যানেল থেকে সদস্য পদে জয়লাভ করেছিলেন।
ছাত্রজীবনের নানা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিতার্কিক হিসেবেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন সারজিস। গত বছরের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি।
এদিকে, বিয়ের খবরে সারজিস আলমকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাচ্ছেন নেটিজেনরাও। অনেকে নববধূর পরিচয় জানতে চেয়েছেন।
তবে সারজিসসহ অন্য সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি ইউএনবি।
৩০৭ দিন আগে
গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেঈমানি করলে প্রধান উপদেষ্টাকেও ছাড় দেওয়া হবে না: সারজিস আলম
গণঅভ্যুত্থানের বিশ্বাসের সঙ্গে বেঈমানি করলে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকেও ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, আমরা দালাল নই বা আমরা ক্ষমতা পিপাসু নই। ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক কী হবে তা তাদের কাজের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। সম্পর্ক ভালো রাখতে চাইলে খুনি হাসিনাকে আশ্রয় না দিয়ে ফেরত দিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ তার বিচার করবে।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ‘শহীদ পরিবারের পাশে বাংলাদেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা ব্যর্থ হলে কারও অস্তিত্ব খুনি হাসিনা রাখবে না: সারজিস আলম
তিনি আরও বলেন, গুলি চালানো পুলিশ সদস্যদের শাস্তির বদলে বদলি করে নতুন করে পোস্টিং তদবির চলছে। মামলা বাণিজ্যের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জড়িত হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক বলেন, শেখ মুজিবের হত্যার বিচারের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলনের প্রয়োজন না হলে জুলাই আগস্টের শহীদদের লাশ কেন তুলতে হবে?
তিনি আরও বলেন, আর কোনো শহীদের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে দেওয়া হবে না। শহীদদের হত্যার বিচারকার্যে যারা অসহযোগিতা করবে তারাও হত্যাকারী হিসেবে বিবেচিত হবে।
এর আগে, সারজিস শহীদ পরিবারে সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কাছে গিয়ে কথা বলেন। পরে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রাজশাহী বিভাগের শহীদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তার চেক হস্তান্তর করেন।
রাজশাহী বিভাগের ৬৩টি শহীদ পরিবারের মধ্যে ৪৬টি পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে। প্রতিটি পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল: সারজিস আলম
৩৫৫ দিন আগে
নতুন রূপে ফিরে আসতে চাইছে শেখ হাসিনা ও তার দোসররা: সারজিস
ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, নানামুখী ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও তাদের দোসররা নতুন রূপে ফিরে আসতে চাইছে।
তিনি বলেন, ‘তাদের প্রতিহত করতে প্রয়োজনে ছাত্র-জনতা আবারও সড়কে নামবে।’
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের মাদারবাড়ী প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গণঅভ্যুত্থানে নিহত চট্টগ্রামের ১০৫ পরিবারকে আর্থিক সহায়তাদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সারজিস আলম।
আরও পড়ুন: আমরা ব্যর্থ হলে কারও অস্তিত্ব খুনি হাসিনা রাখবে না: সারজিস আলম
জুলাই আন্দোলনে নৃশংসতার বর্ণনা দিয়ে সারজিস বলেন, শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া কীট রয়েছে। যদি তাদের পাখা গজায় তাহলে ৫ বছর পর তারা শহীদ পরিবারের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে। তাই খুনিরা যেন কোনোভাবেই পুনর্বাসনের সুযোগ না পায় সেজন্য সচেতন থাকতে হবে।
প্রয়োজনে আবারও জীবন বাজি রাখতে তারা প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন সারজিস।
অনুষ্ঠানে আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সারজিস আলম। প্রতিটি পরিবারকে ৫ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তার চেক প্রদান করা হয়।
৩৬২ দিন আগে
আমরা ব্যর্থ হলে কারও অস্তিত্ব খুনি হাসিনা রাখবে না: সারজিস আলম
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম বলেছেন, আমরা যে স্বপ্ন ও স্পিরিট নিয়ে দেশের জন্য রক্ত দিলাম, জীবন দিলাম সেটার জন্য কাজ করে যাওয়ার জন্য জীবনের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের মাথায় সব সময় কাজ করে শহীদ পরিবার ও আহত যোদ্ধাদের কথা। খুনি হাসিনা এবং তার দোসররা সবদিক দিয়ে চেষ্টা করছে আমরা যেন সফল না হই।
সারজিস বলেন, ‘কোণোভাবে যদি আমরা ব্যর্থ হই কারো অস্তিত্ব খুনি হাসিনা রাখবে না।’
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ময়মনসিংহ বিভাগে ছাত্র-জনতা গণঅভ্যুত্থানের সময় শহীদ ৫৫ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিজেদের কর্মের ফল ভোগ করছে: সারজিস আলম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ৫ আগস্টে এমন অনেক শহীদ পরিবার রয়েছে যাদের দাফন করতে দেওয়া হয় নাই। তাদের বাড়িতে থাকতে দেওয়া হয় নাই। তাদের হয়রানি করা হয়েছে। এখন যদি খুনি হাসিনা ফিরে আসে আবার একই কাজ করবে। সেই জায়গা থেকে আমাদের সকলের দায়িত্ব- যে স্বপ্ন ও স্পিরিট নিয়ে অভ্যুত্থান হয়েছে তাকে রক্ষা করা। আমরা আমাদের জায়গা থেকে সরকারের যেমন গঠনমূলক সমালোচনা করব একইভাবে প্রশাসন থেকে শুরু করে সকলকে তাদের কাজে সহয়তা করব।
সারজিস বলেন, যারা এই অভ্যুত্থানে রক্তাক্ত ঘটনাগুলোর হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের বিষয়ে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে, হোক ভিডিও ফুটেজ বা ছবি, তার যে পরিচয়ই হোক না কেন তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা যদি মনে করি যে ছাত্রলীগ যুবলীগ আওয়ামী লীগ নেতা বা পুলিশের সদস্য ছিল, সে সরাসরি হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।, তারপরও তার বিরুদ্ধে কিছু করা রিস্কি, তাহলে আমরা সরি। আমরা মনে করি আপনি এই অভ্যূত্থানের স্প্রিরিট (চেতনা) ধারণ করেন না, তাহলে আপনি এই দায়িত্ব ছেড়ে অন্য জায়গায় যান।
আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশন ১৬ বছরে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল: সারজিস আলম
এসময় ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ইউসুফ আলী, অতিরিক্ত ডিআইজি শরিফুর রহমান, জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম হোসেনসহ শহীদদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৩৬৯ দিন আগে