জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা সারজিস আলম বিয়ে করেছেন।
নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিটে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেন স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
পোস্টের সঙ্গে একটি ছবিও যুক্ত করেন ক্রীড়া উপদেষ্টা, যেখানে বিয়ের সাজে সজ্জিত সারজিস আলমের সঙ্গে তিনি, তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পাশাপাশি রয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহসহ আরও অনেকে।
ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘নবজীবনে পদার্পণে অভিনন্দন সার্জিস ভাই। বিবাহিত জীবন সুখের হোক।’
এর ৮ মিনিট পর একই ধরনের আরেকটি ছবি পোস্ট করে হাসানাত আব্দুল্লাহ লেখেন, ‘অভিনন্দন, বন্ধু, সারজিস! আজীবন একসঙ্গে ভালোবাসা ও সুন্দর মুহূর্তের মধ্যে থাকো—এই কামনা করি।’
বিয়ের খবরে সারজিস আলমকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাচ্ছেন নেটিজেনরাও। অনেকে নববধূর পরিচয় জানতে চান। তবে সারজিসসহ অন্য সমন্বয়কদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সন্ধ্যায় সফল হতে পারেনি ইউএনবি।
অবশেষে ইউএনবির বরগুনা প্রতিনিধি সারজিসের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
আরও পড়ুন: সামাজিকমাধ্যমে সারজিস আলমের বিয়ের খবর
জানা গেছে, সার্জিসের স্ত্রী একজন কোরানের হাফেজা। সবসময় পর্দা করে চলেন তিনি। তাই তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
সারজিসের শশুরের নাম ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান। তার বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরীচন্না ইউনিয়নে লাকুরতলা গ্রামে। পেশার তাগিদে ব্যারিস্টার লুৎফর রহমান স্ত্রী, মেয়ে ও দুই ছেলেকে নিয়ে রাজধানীর বাসাবোর শাহজাহানপুর এলাকায় বসবাস করেন।
লুৎফর রহমানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গাজিপুরের রাজিন্দ্র রিসোর্টে শুক্রবার আসরের নামাজের পর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিষয়টি মিডিয়া থেকে দূরে রাখতে বর্তমানে পরিবারসহ ওই রিসোর্টেই অবস্থান করছেন তারা।
ব্যারিস্টার লুৎফর রহমানের তিনটি সন্তানের মধ্যে সার্জিস আলমের স্ত্রী সবার বড়।
সারজিস আলম ১৯৯৮ সালের ২ জুলাই পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আকতারুজ্জামান সাজু ও মা বাকেরা বেগম। দুই ভাইয়ের মধ্যে সারজিস বড়, ছোট ভাইয়ের নাম শাহাদাত হোসেন সাকিব।
সারজিস আলম ঢাকার বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এইচএসসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি ডাকসু নির্বাচনে অমর একুশে হল সংসদের প্যানেল থেকে সদস্য পদে জয়লাভ করেছিলেন।
ছাত্রজীবনের নানা পর্যায়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিতার্কিক হিসেবেও প্রতিনিধিত্ব করেছেন সারজিস। গত বছরের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি।