আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন শহীদ মিনারে আসেন এবং ঘড়ির কাঁটা ০০:০১ ছুঁতেই পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
একুশের কিছুক্ষণ পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।
বাণীতে ড. ইউনূস বলেছেন, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাসহ বিশ্বের সকল ভাষাভাষীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। ২০০০ সাল থেকে বাংলাদেশ ও ইউনেস্কো যৌথভাবে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করে আসছে। টেকসই উন্নয়নের জন্য ভাষাকে গুরুত্ব দিনন, কারণ এ বছরের ইউনেস্কোর বিষয়বস্তু যৌক্তিক।’
তিনি আরও বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতেও কাজ করা হচ্ছে। ব্রেইল বইসহ বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় পাঠ্যপুস্তক বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: অনতিবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন দিন, সরকারকে ফখরুল
দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি রেডিও ও টিভি চ্যানেল এ উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে।
ড. ইউনূস বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য জাতি ও ভাষার মর্যাদা রক্ষায় ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় সারা বিশ্বে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গাইতে গাইতে খালি পায়ে হেঁটে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে সর্বস্তরের মানুষ। বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের জন্য জীবন উৎসর্গকারী ভাষা আন্দোলনের বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন তারা।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করতে অস্বীকার করে। উর্দুকে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণা দিলে প্রতিবাদে ঢাকার রাজপথে নেমে আসে ছাত্র-জনতা।
১৯৫২ সালের এই দিনে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল বের করলে সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ বাংলার কয়েকজন বীর সন্তান পুলিশের গুলিতে শহীদ হন।
আজ সরকারি ছুটির দিন।
আরও পড়ুন: ভাষা শহীদদের প্রতি জাতি শ্রদ্ধা জানাবে শুক্রবার
২৭ দিন আগে
একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা থাকবে: ডিএমপি কমিশনার
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পাশাপাশি রাত আটটা থেকে শহীদ মিনার চারপাশে এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের ভিতরে গোয়েন্দা পুলিশসহ ইউনিফর্ম পুলিশের মোবাইল টিম তৎপরতা শুরু করবে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনা তদন্তে ট্রাফিক পুলিশকে সম্পৃক্ত করা দরকার: ডিএমপি কমিশনার
তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনার চত্বর এলাকায় সকাল থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে বিকেল ৫টায় এবং এরপর রাত ৯ টায় গোয়েন্দা পুলিশসহ অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হবে। তারা শুক্রবার দুপুর ২টা পর্যন্ত এই এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘দিবসটিকে ঘিরে প্রথম প্রহর থেকেই ভিআইপিসহ জনসমাগম হবে। এজন্য ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব আপনারা ১২টা ৪০ মিনিটের পর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আসবেন। এ সময় মোবাইল ও মানিব্যাগসহ প্রয়োজনীয় জিনিস নিজ দায়িত্বে রাখবেন। এছাড়া কোনো ধরনের ধার্য পদার্থ ও বিস্ফোরক দ্রব্য বহন করা থেকে বিরত থাকবেন। সবাইকে শহীদ মিনারে প্রবেশের আগে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হবে।’
নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শহীদ দিবস ঘিরে নিরাপত্তা নিয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। এ সময় তিনি জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কার বিষয়ক নাকচ করে দেন। এছাড়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিনে রয়েছে তাদের নিয়েও কোনো থ্রেট দেখছে না ডিএমপি।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলায় গুরুত্ব দিতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ
সাজ্জাদ আলী বলেন, এখানে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের কোনো ইন্টারেস্ট থাকার কথা না এবং তাদের অপারেশন এলাকাও না। তারপরও যারা জামিনে আছে তাদেরকে মনিটরিং করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শহীদ মিনারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপির পাশাপাশি র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
২৮ দিন আগে
কায়রো অপেরা হাউজে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
মিসরের বিখ্যাত কায়রো অপেরা হাউজে বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিসরের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় যৌথভাবে বাংলাদেশ-মিসর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৪ উদযাপন করেছে।
রবিবার অনুষ্ঠানটির মূল আয়োজন শুরু হয় বাংলাদেশ ও মিসরের জাতীয় সংগীত দিয়ে। এরপর আলোচনা সভা, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও হেরিটেজ সমৃদ্ধ একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন, বাংলাদেশি হস্তশিল্প ও রপ্তানিপণ্যসমূহ যথা- নকশি কাথা, জামদানী, শীতল পাটি, চামড়াজাত দ্রব্য, পাটজাত দ্রব্য, সিরামিক সামগ্রী প্রদর্শন, গিফট বিনিময় করা হয়।
অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে রাষ্ট্রদূতের নির্দেশনায় দূতাবাস বাংলাদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, পর্যটন প্রভৃতির ওপর ভিত্তি করে ৯টা ৪১ মিনিটের একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করে। এছাড়া অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের হস্তশিল্প ও রপ্তানি পণ্যসমূহ প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: নোম্যান্সল্যান্ডে যৌথভাবে বাংলাদেশ-ভারতের ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপন
অনুষ্ঠানটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মিসরের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ড. নেভিন আল কিলানি এবং মিসরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিজ্ সামিনা নাজ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কাউন্সিল অব কালচার’র মহাসচিব প্রফেসর হিসাম আজমি।
রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিহাস তুলে ধরেন এবং অন্যতম প্রথম আরব দেশ হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান, ওআইসি, জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের সদস্য পদ লাভে সহায়তায় মিসরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: মিলানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
শাবিপ্রবির ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
৩৮৭ দিন আগে
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর্যের সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে মঙ্গলবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য ৭১ বছর আগে ঢাকায় জীবন উৎসর্গকারী ভাষা বীরদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের স্মরণে দূতাবাস দিনব্যাপী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে দূতাবাস প্রাঙ্গণে নির্মিত শহিদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
এ সময় ‘অমর একুশে’ নিয়ে রচিত বিখ্যাত গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ বাজানো হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সকালে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় উত্তোলন করেন। দিবসটি স্মরণে এক প্রভাত ফেরিরও আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস: জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাষায় শ্রদ্ধাঞ্জলি
৭৫৬ দিন আগে
ইউএন বাংলা ফন্ট এখন ইউনিকোডে
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবার অনলাইনে বাংলা ব্যবহারে বৈচিত্র্য আনতে ইউনিকোডসহ, ‘ইউএন বাংলা' ফন্ট ৭টি ভিন্ন রূপে প্রকাশ করেছে।
বিশ্বের সব বাংলা ভাষাভাষীদের সুবিধার্থে ইউএনডিপি নতুন ফন্টগুলো প্রকাশ করেছে বলে সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
ইউএন বাংলা ফন্ট প্রথম ২০২০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শুধু একটি আঙ্গিকে অফলাইনে ব্যবহারের জন্য প্রকাশ করা হয়েছিল।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি স্টেফান লিলার এবং শুভেচ্ছা দূত জয়া আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে ইউএন বাংলা ফন্টের ইউনিকোড সংস্করণের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: মাতৃভাষা দিবসে ‘বাংলা ফন্ট’ চালু করল জাতিসংঘ
স্টেফান লিলার বলেন, ‘২০২০ সালে ভাষা শহীদদের স্মরণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আমরা ইউএন বাংলা ফন্ট প্রকাশ করেছিলাম। যেহেতু অনলাইনে বাংলার ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। তাই আমরা এবার ইউনিকোডে ইউএন বাংলা ফন্ট সবার ব্যবহারের জন্য প্রকাশ করেছি। বাংলা ভাষার প্রতি সম্মান জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইউএন বাংলা ফন্টের ইউনিকোড সংস্করণ, আমি মনে করছি বাংলা লেখার ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা যোগ করবে।'
স্টেফান লিলার আরও বলেন, ‘যারা বাংলায় লেখালেখি করেন তারা এখন মোবাইলে এবং কম্পিউটারে এই ফন্ট ব্যবহার করে নতুন আঙ্গিকে লিখতে পারবেন’।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের শুভেচ্ছা দূত জয়া আহসান ফন্টটি উদ্বোধনকালে বলেন, ‘আমরা যারা বাংলায় লেখালেখি করি তাদের জন্য নিঃসন্দেহে এটি একটি দারুন সংবাদ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইউএনডিপির এরকম একটি উদ্যোগের সাথে থাকতে পেরে আমি নিজেও আনন্দিত’।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের হেড অব কমিউনিকেশন্স মো. আব্দুল কাইয়ূম বলেন,‘ইউএন বাংলা ফন্টটি দিয়ে খুব শিগগিরই ইউএনডিপি বাংলাদেশের ওয়েবসাইটটি বাংলাতে প্রকাশ করা হবে, এছাড়াও এই ফন্টটি ইউএনডিপির অন্যান্য বাংলা প্রতিবেদন তৈরিতে ব্যবহার করা হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘এই ফন্টটি শুধু ইউএনডিপির জন্য না, জাতিসংঘ যে কোন সংস্থা এই ফন্টটি ব্যবহার করতে পারবে, পাশাপাশি যে কেউ এটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবে’।
ইউএন বাংলা ফন্টটির ডিজাইনার, মহিবুবুর রহমান রাজন বলেন, ‘আসলে আমাদের প্রিয় বাংলা বর্ণমালায় মাত্রা যুক্তাক্ষরসহ সব মিলিয়ে বৈচিত্র্য অনেক বেশি তাই বাংলা বর্ণমালা নিয়ে কাজ করার সুযোগটাও বেশি। ইউএন বাংলা ফন্টটির মতো এতো ভিন্নতা খুব বেশি আর নেই’।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে সহায়তা করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
২০২৩ সালের একুশে পদক প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী
৭৫৮ দিন আগে
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কাল
মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখার জন্য ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে জাতি মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) 'অমর একুশে', ভাষা শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায়, বিশ্বজুড়ে দিবসটি পালিত হবে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৩-এর প্রতিপাদ্য হল ‘বহুভাষিক শিক্ষা- একটি বহুভাষিক বিশ্বে শিক্ষাকে রূপান্তরিত করার প্রয়োজনীয়তা’।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারের মর্যাদা রক্ষা: রায় বাস্তবায়নের পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট
ভাষা আন্দোলনের সেই বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে খালি পায়ে 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গাইতে গাইতে হাতে ফুল নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানাবে।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি না দেয়ায় এবং পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে ঢাকার ছাত্র ও সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে আসে।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলাকে স্বীকৃতি দেয়ার দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস থেকে ১৪৪ ধারা ভেঙে ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিলে বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও কয়েকজন মাটির বীর সন্তান।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদেএবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘অমর একুশের চেতনা এখন বিশ্বের বিভিন্ন ভাষার মানুষের নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় অনুপ্রেরণার উৎস। তবে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির সঠিক চর্চা ও সংরক্ষণে আমাদের আরও বেশি পরিশ্রমী হতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির আশীর্বাদে আমরা এখন একই বৈশ্বিক গ্রামের বাসিন্দা। তাই উন্নত বিশ্বের সঙ্গে অগ্রগতির ধারা বজায় রাখতে আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে বিভিন্ন ভাষায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে হবে, যা আন্তর্জাতিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন আমাদের নিজস্ব ভাষার উন্নয়ন ও সংরক্ষণের পাশাপাশি বহুভাষিক শিক্ষার মাধ্যমে একটি টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করবে-এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন: ২১শে ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যাতায়াতের রুট নির্ধারণ
তিনি আরও বলেন, ‘অমর একুশের চেতনাকে ধারণ করে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ জাগ্রত হোক, বৈষম্যহীন বর্ণিল পৃথিবী গড়ে উঠুক- শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এটাই আমার প্রত্যাশা।’
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শ অনুসরণ করে গত ১৪ বছরে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছি। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করব- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট সোসাইটি গড়ে তুলব।
তিনি আরও বলেন, ‘‘এছাড়া, আমরা বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়ন করছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের মতো উন্নত, সমৃদ্ধ ও আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ‘সোনার বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হব।’’
অন্যদিকে, রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ভাষা শহীদ দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জঙ্গি হামলার কোনো সম্ভাবনা নেই, কারণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিএমপি প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি নিয়েছে।
কমিশনার বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা পলাশী থেকে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে নিয়ে এসেছি। পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে এলাকাটি পর্যবেক্ষণ করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘কর্মসূচিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং কূটনৈতিক কর্মকর্তারা প্রথমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। তারপর, সাধারণ মানুষের জন্য এটি উন্মুক্ত করা হবে।’
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে মানুষ পলাশী দিয়ে প্রবেশ করবে এবং দোয়েল চত্বর দিয়ে প্রস্থান করবে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোনো ব্যাগ বা অন্যান্য জিনিসপত্র বহন করতে দেয়া হবে না।
দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় দৈনিকগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে এবং বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেসরকারি রেডিও স্টেশন ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলো দিবসটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে।
অমর একুশে উপলক্ষে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে সব শহীদ মিনার নির্মাণে রুল
৭৫৮ দিন আগে
শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে ব্যাংককে শিশু-কিশোরদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষ্যে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস প্রবাসী শিশু কিশোরদের জন্য চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়।
প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. আব্দুল হাই এবং দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকল শিশু-কিশোরদের এবং আগত অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, এ ধরনের প্রতিযোগিতায় প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ তাদের বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারণে সহায়ক হবে।
এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) জনাব নির্ঝর অধিকারী।
বয়স অনুযায়ী শিশু-কিশোরেরা দু’টি গ্রুপে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। অংকনের বিষয় ছিল শহিদ মিনার।
প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের আকর্ষণীয় পুরস্কার দেয়া হয়। এছাড়া অংশগ্রহণকারী প্রত্যেককেই পুরস্কার দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে অনন্যা পিঠা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মাগুরায় শতবর্ষী ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতা
৭৫৮ দিন আগে
২১ ফেব্রুয়ারিতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: পুলিশ কর্মকর্তাদের আইজিপি
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও জাতীয় শহীদ দিবস হিসেবে পালিত ২১ ফেব্রুয়ারিকে সামনে রেখে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উন্নত সেবা দিতে থানাগুলোকে 'সার্ভিস ডেলিভারি সেন্টার' বিবেচনা করুন: আইজিপি
তিনি বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির গুরুত্ব ও চেতনা বিবেচনা করে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় গোয়েন্দা তথ্য পর্যালোচনা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
এছাড়া অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দেশের বড় বড় শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারগুলোকে নজরদারির আওতায় আনার পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিবিড় পর্যবেক্ষণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন তিনি।
গুজব ছড়ানোর বিষয়ে পুলিশ বাহিনীকে সতর্ক করে আইজিপি বলেন, গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আইজিপি আশা প্রকাশ করেন, অতীতের মতো দেশের নাগরিকরা যেন শান্তিপূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে পারে।
সভায় সকল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, জেলা পুলিশ সুপার এবং অন্যান্য ইউনিটের প্রধানরা যোগ দেন।
বৈঠকে অতিরিক্ত আইজিপি মো. কামরুল আহসান, মো. আতিকুল ইসলাম, মো. মাজহারুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ইজতেমায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে: আইজিপি
আইজিপি আবদুল্লাহ আল-মামুনের মেয়াদ বাড়ল দেড় বছর
৭৬২ দিন আগে
ভালোবাসা দিবস: চট্টগ্রামে ৫ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা
চট্টগ্রামে এবার বিশ্ব , পয়লা ফাল্গুন ও আসন্ন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (অমর একুশে) উপলক্ষে পাঁচ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন চট্টগ্রাম ফুল ব্যবসায়ীরা।
এবার দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় গত বছরের চেয়ে ফুল বিক্রি হবে বেশি এমন ধারণা ব্যবসায়ীদের। তারা গত বারের চেয়ে প্রায় তিনগুন ফুল তুলেছেন দোকানে। দেশের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি ভালোবাসা দিবসের জন্য ফুল আমদানি করা হয়েছে বিদেশ থেকেও।
নগরীর মোমিন রোড অবস্থিত বিভিন্ন ফুল দোকানীর সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
ফুল ব্যবসায়ীরা জানান, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের প্রধান আকর্ষণই হলো ফুল। তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে প্রায় সব বয়সের মানুষ এদিন ফুল উপহার দেন প্রিয়জনকে। দিবসটি এখন সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়েছে। তাই ফুল ব্যবসায়ীরা সারা বছরই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন দিনটির জন্য।
অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে ফুল বিক্রি হয় এদিন। ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে গত দুই–তিন দিন আগে থেকেই আড়তদার ও খুচরা দোকানীরা ফুল মজুদ করতে শুরু করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে রজনীগন্ধা, গোলাপ, জারবেরা, গাঁদা, গ্লাডিওলাস, জিপসি, রডস্টিক, ক্যালেন্ডুলা, চন্দ্রমল্লিকা, কাঠ মালতী, কামিনী, বেলি। এরই মধ্যে বিকিকিনি শুরু হয়ে গেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ভালোবাসা দিবসে গরুকে আলিঙ্গনের আহ্বান
৭৬৫ দিন আগে
এবার ৩০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা গদখালীর ফুলচাষীদের
ফেব্রুয়ারি মানেই বসন্ত উৎসব, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অন্য সব মাসের তুলনায় এ মাসে বাংলাদেশে ফুলের চাহিদা থাকে অনেক বেশি।
এই তিন দিবসে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দিন রাত ফুল বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত গদখালীর ফুল চাষিরা।
বাংলাদেশ ফুল চাষি সমিতির সভাপতি আ. রহিম জানান, দেশের গোলাপ ফুলের চাহিদার সিংহভাগ আসে যশোরের গদখালী থেকে। শুধু গোলাপই নয়, এই এলাকা জুড়ে অনেক ধরনের ফুল চাষ হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এই তিন দিবসে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে দিন রাত ফুল ও ফুলগাছের পরিচর্যা করে যাচ্ছেন চাষিরা।
আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে গদখালি ফুল চাষিরা বসন্ত বরণ, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের জন্য বাজারে ফুল সরবরাহ করবেন।
ফুল চাষি বাবলুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে প্রতিদিন সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাইকার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা ফুল কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন ঝিকর গাছার গদখালী বাজারে।
দেশের সর্ব বৃহৎ পাইকারী ফুলের বাজার এই গদখালি। এই কারণে গদখালিকে দেশের ফুলের রাজ্য বা রাজধানী বলা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখী ফুল চাষ
যশোর শহর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে ঝিকরগাছা উপজেলার ৭৫টি গ্রামের সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমিতে চাষ করা হয় হরেক রকমের ফুল।
গদখালির গ্রামগুলোর রাস্তার দুইপাশে দিগন্ত বিস্তৃত জমিতে লাল, নীল, হলুদ, বেগুনি আর সাদা রঙের ফুলের সমাহার দেখে মন্ত্রমুগ্ধের মত তাকিয়ে থাকতে হয়।
যশোর-বেনাপোল রোড ছেড়ে ডানে, বায়ের গ্রামগুলোয় ঢুকে কিছুদূর এগিয়ে গেলেই দেখা মিলবে দিগন্ত জোড়া ফুলের মাঠ। রজনীগন্ধা, গ্লাডিওলাস, গোলাপ আর গাঁদা ফুল চাষ হয় এসব গ্রামে।
প্রতিবছর ৫০০ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয় এসব মাঠ থেকে। শত শত বিঘা জমি নিয়ে গাঁদা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, ডেইজি জিপসি, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকাসহ আরও বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের চাষ।
পানিসারা গ্রামের ফুল চাষি ইসমাইল হোসেন জানান, এবছরে ফুলের রাজ্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে টিউলিপ ফুল। শীত প্রধান দেশের ফুল টিউলিপ এদেশে ফুটবে ভাবেনি কেউ! টিউলিপ ফুল বাংলাদেশে প্রথমে ঢাকার গাজীপুরে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ করা হয়, এরপরে দ্বিতীয় বারের মত যশোরের গদখালীতে গত বছর চাষ হয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এ বছরও চাষ করা হয়েছে টিউলিপ।
আরও পড়ুন: সরিষা ফুলের হলুদ হাসিতে রঙিন যশোরে দিগন্তজোড়া মাঠ
ব্যবসায়ীরা এই ফুল কিনে দেশের সর্ববৃহৎ ফুল মার্কেট ঢাকার শাহবাগে সরবরাহ করেন। এছাড়াও চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহীসহ সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন স্থানে ফুল সরবরাহ করে আসছেন পাইকাররা।
গদখালির বিরলিয়া গ্রামের ফুল চাষি আনোয়ার হোসেন জানান, , ১৯৯০ সালে ঢাকার কয়েকজন যুবক অন্যের জমি লিজ নিয়ে এই এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে প্রথম গোলাপ চাষ শুরু করেন। ফলন ভালো আর ওই যুবকদের সফলতা দেখে স্থানীয়রাও ধীরে ধীরে বাণিজ্যিকভাবে গোলাপ চাষ শুরু করেন। খুব কম সময়ের মধ্যে গ্রামটিতে গোলাপের চাষ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এবছরও গদখালি এলাকার প্রায় ৬০০ হেক্টর জমিতে গোলাপসহ নানা রকম ফুল চাষ করেছেন স্থানীয় চাষিরা। এ গ্রামের ৯০ শতাংশ মানুষ জীবিকা নির্বাহ করেন এই ফুল চাষ করে।
ফুলচাষিরা বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে যে ফুল বেচা-কেনা হয় তার অনেকটাই পূরণ করে বিরলিয়ার উৎপাদিত ফুল। আসছে ১৩ ফেব্রুয়ারি বসন্ত বরণ, ১৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে এ অঞ্চলের ফুলচাষিরা কমপক্ষে ৩০০ কোটি টাকার ফুল বিক্রির টার্গেট নিয়েছেন।
সফল ফুল চাষি নাসরিন নাহার এবং সাজেদা খাতুন বলেন, কয়েক বছর ধরে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার হওয়ায় অসংখ্য দর্শনার্থী বিরলিয়ার ফুল বাগান দেখতে আসেন।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুম হোসেন পলাশ জানান, উপজেলার গদখালীতে এবার সাড়ে ছয় হাজার হেক্টর জমিতে ফুল চাষের আওতায় আনা হয়েছে। গদখালির কয়েকটি গ্রাম ও বাজার সড়কের পাশে, বাড়ির সামনে এমনকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনের ফাঁকা জায়গাতেও ফুলের চাষ করা হয়েছে। দুপুরের পর প্রতিটি বাগানেই শ্রমিকদের ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায়। ফুল কাটা, বাছাই, ভেজানো, বাঁধা সবকিছুই কৃষক সন্ধ্যার আগেই শেষ করেন। কারণ সন্ধ্যার পরই জমে ওঠে গদখালীর ফুলের বাজার।
আরও পড়ুন: জবা ফুলের চা: গুণাগুণ, পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও বানানোর পদ্ধতি
৭৭১ দিন আগে