ভারতীয় মালবাহী ট্রেন
দর্শনা রেলবন্দরে ২০ দিন ধরে আসেনি ভারতীয় মালবাহী ট্রেন
গত ২০ দিন ধরে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা রেলবন্দরে প্রবেশ করেনি ভারতীয় কোনো মালবাহী ট্রেন। ফলে বেকার ও অলস সময় পার করছেন বন্দরের শ্রমিক, সিএন্ডএফ কর্মচারী, ট্রাক চালক ও চালকের সহকারীরা।
এদিকে, সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবুসহ সংশ্লিষ্টরা জানান, এ অবস্থা ধারাবাহিকভাবে চললে দুই দেশের রাজস্ব হ্রাস পেতে পারে।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে দর্শনা থেকে ঢাকায় চলবে জোড়া ট্রেন
দর্শনা আন্তর্জাতিক রেল স্টেশনের ম্যানেজার মির্জা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘২০ দিন অতিবাহিত হলেও দর্শনা বন্দরে কোনো ভারতীয় মালবাহী ট্রেন আসেনি। আমরা আমদানিকারকদের মাধ্যমে তাগাদা দিলেও তারা (ভারত থেকে) ট্রেন পাঠাচ্ছেন না। কী কারণে পাঠানো হচ্ছে না তা অবশ্য তারা জানাননি।’
তিনি বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থবছরে ট্রেনভাড়া বাবদ রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১১৬ কোটি ৮৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৬৪ টাকা, সেখানে ২৬ কোটি ৯৫ লাখ ১৫ হাজার ৬২৩ টাকা আদায় হয়েছে। এখানেও লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেক গুণ কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।’
দর্শনা কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবু সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৭৮ কোটি টাকা, সেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৪ কোটি ৪ লাখ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় অনেকগুণ কম।’
দর্শনা সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু বলেন, ‘দুই দেশের রাজস্ব আদায়ের স্বার্থেই অতি দ্রুত দর্শনা বন্দরে ভারতীয় মালবাহী ট্রেন প্রবেশ দরকার। তাহলে বন্দরের শ্রমিক-চালকসহ সবাই কাজে ফিরতে পারবেন।’
দর্শনা রেলবন্দর সুত্রে জানা যায়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এবং ভারতীয় রেল পরিচালক ও আমদানিকৃত মালামালের নিরাপত্তাসহ অন্যান্য বিষয়ে চিন্তা করে গত ২৪ জুলাই দর্শনা রেলপথের মাধ্যমে ভারত থেকে সব ধরনের আমদানি করা মালামাল আসা বন্ধ করা হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার ও জাদুঘর দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকবে
৩ মাস আগে