দুদক
ডিআইজি মিজানের জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং ঘুষ গ্রহণ ও অর্থপাচারের অভিযোগে দুদকের করা পৃথক দুই মামলায় কেন জামিন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
দুদকসহ সংশ্লিষ্টদের তিন সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার তার পৃথক জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আারও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জন: ডিআইজি মিজানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
মিজানুর রহমানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদক অবৈধভাবে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫ টাকার সম্পদ অর্জন ও দুদকের কাছে ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার ৪২১ টাকার সম্পদের হিসাব বিবরণীতে তথ্য গোপন করার অভিযোগে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলায় ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্নার ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান ও ছোট ভাই মাহবুবুর রহমানকেও আসামি করা হয়।
এ মামলায় মিজানের জামিন আবেদন ২০১৯ সালের পহেলা জুলাই হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ার পর থেকে তিনি কারাবন্দি রয়েছেন। এ অবস্থায় দীর্ঘদিন পর আবার জামিনের আবেদন করা হয়েছে।
এ মামলায় দুদকের আবেদনে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ডিআইজি মিজানসহ আসামিদের নামে থাকা স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাব জব্দ করার আদেশ দেন। এছাড়া ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা করে দুদক।
এছাড়া ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান থাকাবস্থায় অপর এক নারীকে জোরপূর্বক বিয়ে ও নির্যাতন এবং অপর এক নারী সংবাদ পাঠিকাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এসব অভিযোগের পর তাঁকে ডিএমপি থেকে সরিয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয়।
বগুড়ার সেই তুফান সরকারের জামিন আপিল বিভাগেও খারিজ
দুদকের মামলায় বগুড়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ এবং কিশোরী ও তার মাকে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের জামিন আবেদন হাইকোর্টের পর আপিল বিভাগও খারিজ করে দিয়েছেন।
বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে তুফান সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শরীফ উদ্দিন চাকলাদার। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
আরও পড়ুন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা বন্ধে হাইকোর্টে রিট
গত ১ মার্চ হাইকোর্ট তুফান সরকার ৬ মাস কোনও আদালতে জামিন আবেদন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে এই মামলায় তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় জামিন প্রশ্নে রুল জারি থাকা অবস্থায় ফের জামিন আবেদন করায় এই আদেশ দেন হাইকোর্ট।
এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে তুফান সরকারের জামিন আবেদন বুধবার খারিজ হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসক-পুলিশের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি কাম্য নয়: হাইকোর্ট
রাষ্ট্রপক্ষ জানিয়েছে, সাবেক শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকারের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনে অভিযোগে দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। আসামি তুফান সরকারের আয়ের কোনো উৎস ছিল না। তিনি আয়কর রিটার্নে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৫৮ হাজার ৮৮৫ টাকা দেখান। দুদকের নোটিশে সম্পদের সঠিক হিসাব দেননি তিনি।
এই কারণে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর বগুড়া সদর থানায় মামলা করেন। এ আসামি ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ২০১৭ সাল থেকে জেল হাজতে আছেন।
আরও পড়ুন: লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
তার জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এ রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ফের ৯ মার্চ জামিন আবেদন করে তুফান। তখন বিষয়টি দুদকের আইনজীবী ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হোসেন আদালতের নজরে আনেন। এরপর ১ মার্চ আবেদন খারিজ করে আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এরপর আপিল বিভাগের কাছে আবেদন জানায় যা বুধবার খারিজ হয়।
সাবেক এমপি আউয়াল দম্পতির সম্পদ জব্দের আদেশ বহাল
পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জ্ঞাত আয়বর্হিভূত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার নিম্ন আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে করা পৃথক দুটি আপিল খারিজ করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সর্দার মোহাম্মদ রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আউসাফুর রহমান এবং দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
পরে খুরশীদ আলম খান জানান, তাদের সম্পদ ও ব্যাংক হিসাব জব্দের বিরুদ্ধে করা দুটি আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে বিলম্বের কারণে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আইনে আছে ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হবে। কিন্তু তারা ৭৭ দিন বিলম্ব করে আপিল দুটি করেছেন।
এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ কে এম ইমরুল কায়েশ সাবেক সাংসদ একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের জ্ঞাত আয়বর্হিভূত স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক ও ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেন। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এই আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে অনেক দেরিতে এসে হাইকোর্টে আপিল করেন একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী।
আরও পড়ুন: আউয়াল দম্পতির আগাম জামিন আপিলেও বহাল
দুদক সূত্র জানায়, প্রায় ৪৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে দুদক পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। দুদকের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর বাদি হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। মামলা দুটিতে একেএমএ আউয়ালের বিরুদ্ধে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার এবং লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
প্রথম মামলার অভিযোগে বলা হয়, একেএমএ আউয়াল অবৈধ উপায়ে ৩৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫৫ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মোট ১৫ কোটি ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৩ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
দ্বিতীয় মামলার অভিযোগে আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ৯০ হাজার ৫০ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিকানার তথ্য রয়েছে।
জোবায়দা রহমানের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত মামলার আদেশ ৮ এপ্রিল
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলার বিচার চলবে কি-না, সে প্রশ্নে আগামী ৮ এপ্রিল আদেশ দেবেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ আদেশের দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় চট্টগ্রামে ৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জোবায়দা রহমানের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে তারেক রহমান, তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমানকে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনে সহযোগিতার অভিযোগ আনা হয় জোবায়দা রহমান ও সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে। এ মামলায় ২০০৮ সালের ৩১ মার্চ দুদক অভিযোগপত্র দেয়।
আরও পড়ুন: হেফাজতের হরতাল: নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-র্যাবের ৬ মামলা
পরে জোবায়দার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ওই বছরের ৮ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে এ মামলার কার্যক্রম দুই মাসের জন্য স্থগিত করেন এবং মামলা কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল তা খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন জোবায়দা রহমান। এ আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে বৃহস্পতিবার শুনানি সম্পন্ন হয়। এরপর আদালত আগামী ৮ এপ্রিল আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় শিশু হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
জোবায়দা রহমান তার স্বামী তারেক রহমানের সাথে ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন। সেখানে তাদের মেয়েও রয়েছে। জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম ২০০৮ সাল থেকে স্থগিত রয়েছে।
খুলনায় পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ব্যয় ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের পরিদর্শক তৈমুর ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক গত ৫ মাসে কতজনকে অব্যাহতি দিল তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ শেষ পাঁচ মাসে কতজনকে দুর্নীতির অভিযোগ থেকে অব্যাহতি (দায়মুক্ত) দিয়েছেন তার তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট।
দুর্নীতির মামলায় হাজী সেলিমের ১০ বছর দণ্ডের রায় হাইকোর্টে বহাল
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমকে দেয়া বিচারিক আদালতের ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায় মঙ্গলবার বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।
গাজীপুরের সাবেক মেয়র মান্নানের সাজা বাড়াতে হাইকোর্টের রুল
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা অর্থ আত্মসাতের মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বরখাস্ত মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নানের এক বছরের সাজা কেন বৃদ্ধি করা হবে না তা জানতে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সাথে এক বছরের ওই সাজা বাতিল চেয়ে এম এ মান্নানের করা আপিলসহ এই রুলের ওপর একত্রে শুনানির জন্য ১১ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।
হাজী সেলিমের ১৩ বছর দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের রায় ৯ মার্চ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিচারিক আদালতের দেয়া ১৩ বছর কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী মোহাম্মদ সেলিমের আপিলের উপর পুনঃশুনানি শেষ হয়েছে।
সুইস ব্যাংক থেকে টাকা ফেরত বিষয়ে রিটের আদেশ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে সুইস ব্যাংকসহ গোপনে বিদেশে পাচার করা অর্থ অবিলম্বে ফেরত আনতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি বুধবার শেষ হয়েছে।