বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক খুলনার উপ-পরিচালক মো. শাওন মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
দুদক খুলনার উপ-পরিচালক মো. শাওন মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, তৈমুর ইসলাম তার চাকরি জীবনে ৭৭ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৬ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। যা তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন। এর মধ্যে ২০০২ সালে ডিএমপিতে চাকরি করার সময় সাময়িক বরখাস্ত হন। চাকরিতে বরখাস্ত থাকাকালীন সময়ে তিনি অ্যাপার্টমেন্ট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট নামক কোম্পানিতে চাকরি করেন। পরে তিনি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করে চাকরি ফিরে পান। ২০১০ সালের ১৩ জানুয়ারি পুনরায় তিনি ডিএমপিতে যোগ দেন। ২০১৩ সালে পুলিশ পরিদর্শক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ২০১৫-১৬ সালে তিনি স্ত্রীকে ৬৫ লাখ টাকা দান করেন।
আরও পড়ুন: দুদককে ঢোঁড়া সাপ হলে হবে না, জাত সাপ হতে হবে: হাইকোর্ট
মামলার এজহার সূত্রে আরও জানা যায়, তার পিতা খুলনার টুটপাড়া এলাকায় ৩৭ শতক জমি ক্রয় করে চার তলা বাড়ি নির্মাণ করেন। জমি থেকে ১৩ শতক জমি ও একটি ফ্ল্যাট তার পিতা তাকে দান করেছেন। যেসব জমি ও ফ্ল্যাট তার পিতা তাকে দান করেছেন সেগুলোর মূল্য তিনিই দিয়েছেন। এসব অর্থ গোপন করার উদ্দেশেই তিনি এগুলো দান হিসেবে দেখিয়েছেন।
এছাড়া তিনি ডুমুরিয়ায় ৬২ শতক জমি ক্রয় করে সেখানে একটি দোতলা ভবন তৈরি করেছেন। সম্পদ বিবরনীতে ১২ লাখ টাকা ব্যয় দেখালেও আয়কর নথিতে ২০ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। ২০১১ সালে ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি টয়োটা এলিয়ন গাড়ি ক্রয় করেন। যা রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয়ের অর্থ আয়কর নথিতে দেখাননি। ফলে এটিও অবৈধ আয়। আয়কর নথি পর্যালোচনায় তার ৫১ লাখ ৪২ হাজার ৫৩০ টাকা আয়ের থেকে ব্যয় বেশি পাওয়া যায়। এ টাকাও তার অবৈধ আয় হিসেবে ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে ২০১১-১২ সালে তিনি দুবার থাইল্যান্ড ভ্রমণে ৫ লাখ ১০ হাজার ৪৪৬ টাকা ব্যয় করেছেন যা তিনি সুদসহ পরিশোধ করেন। এই খরচের হিসাব বা আয়ের উৎস তিনি আয়কর নথিতে দেখাননি।
আরও পড়ুন: হিসাব বিবরণী প্রকাশ করলে দুদকের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে: হাইকোর্ট
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার পুলিশ পরিদর্শক তৈমুর ইসলামের বিরুদ্ধে ৭৭ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৬ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ব্যয় ও অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং সম্পদকে স্থানান্তর, হস্তান্তর, রূপান্তর করার দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ৪(২) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
আরও পড়ুন: দুদক গত ৫ মাসে কতজনকে অব্যাহতি দিল তালিকা চাইলেন হাইকোর্ট