সাজা বৃদ্ধির জন্য দুদকের রিভিশন আবেদনের ওপর শুনানি করে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এই রুল জারি করেছেন।
আজ দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
আরও পড়ুন: কোন মানিক দোষী: বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের
আমিন উদ্দিন মানিক আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ সময়ের মধ্যে এম এ মান্নানের করা আপিলের পেপারবুক রেডি করতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকেও নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর অর্থ আত্মসাতের এ মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র অধ্যাপক এম.এ মান্নানকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ সৈয়দ কামাল হোসেনের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এছাড়া এ মামলায় অন্য আসামি গোলাম কিবরিয়াকে খালাস দেন আদালত।
রায় ঘোষণার সময় এম এ মান্নান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সেসময় তার আইনজীবী জামিন আবেদন করলে আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে ওই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে মান্নান। এছাড়া সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদক রিভিশন হাইকোর্টে আবেদন করে।
মামলার এজাহার মতে, আসামি এম এ মান্নান গাজীপুরের মেয়র হিসেবে থাকাকালে (২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট থেকে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) ভুয়াভাবে ৯৯৯টি ভাউচারের অনুদান ও ব্যয় দেখিয়ে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ত্রাণ এবং দরিদ্র তহবিল থেকে ৪৯ লাখ এক হাজার ৮৪৮ টাকা আত্মসাৎ করেন এম এ মান্নান ও গোলাম কিবরিয়া। এ ঘটনায় দুদকের উপসহকারী পরিচালক সামছুল আলম ২০১৬ সালের ২৩ জুন গাজীপুরের জয়দেবপুর থানায় এম এ মান্নান ও গোলাম কিবরিয়া নামে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টের জামিন জালিয়াতির ঘটনায় যুবলীগ নেতাসহ ১৬ জন কারাগারে
২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি এম এ মান্নান ও গোলাম কিবরিয়ার নামে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদক। এরপর গাজীপুরে স্পেশাল জজ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারের জন্য ঢাকার বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে বদলে করেন। এরপর ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারের আদেশ দেন। এ মামলায় বিভিন্ন সময়ে ছয় জন সাক্ষ্য দেন।