রাফিনিয়া
দ্বিতীয়ার্ধের চরম নাটকীয়তা শেষে ডর্টমুন্ড বধ বার্সেলোনার
বার্সেলোনা-ডর্টমুন্ড ম্যাচ মানেই যেন সুন্দর ফুটবল, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ পসরা ও গোলের উচ্ছ্বাসের সমন্বয়ে জমজমাট এক লড়াই। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। তবে উপভোগ্য ফুটবল উপহার দিয়েও নিয়তি মেনে শেষ পর্যন্ত ব্যথার মালা গলায় পরতে হয়েছে কালো-হলুদ জার্সিধারীদেরই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনা ও ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হওয়া সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে নিয়মিত ঘটনা হয়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জিগনাল ইদুনা পার্কে স্বাগকিতদের ৩-২ গোলে হারিয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।
ম্যাচের নাটক, উত্তেজনা, উল্লাস- সবই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। তাই বলে প্রথমার্ধ যে ম্যাড়মেড়ে ছিল, মোটেও তা নয়।
এদিন ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই পরপর দুটি দারুণ সুযোগ পায় বার্সেলোনা। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে সুযোগগুলো মাঠে মারা যায়।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ম্যাচ এগিয়ে যাওয়ার মাঝে ত্রয়োদশ মিনিটে ফের আরেকটি সুযোগ তৈরি করে কাতালানরা। পাল্টা আক্রমণে উঠে বিপরীত পাশ ধরে অনেকটা ফাঁকায় এগোতে থাকা রাফিনিয়ার উদ্দেশে পায়ের পাতা দিয়ে বাঁকানো সিগনেচার পাস দেন লামিন ইয়ামাল। তবে সেবারও ফিনিংশের অভাবে সুযোগ হারায় দলটি।
চার মিনিট পর গোল করতে পারতেন মার্সেল জাবিৎসার, তবে সতীর্থের পাসে গতি থাকায় সুবিধা করতে পারেননি ডর্টমুন্ডের এই অস্ট্রিয়ান মিডফিল্ডার।
ম্যাচের শুরুতে বার্সাকে চেপে ধরার চেষ্টা করলেও সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। আর তটস্থ হয়ে তাদের স্পেস কমিয়ে দিতে এবং সুযোগ পেলেই ক্ষিপ্র গতিতে আক্রমণে ওঠার চেষ্টায় থাকে নুরি সাহিনের শিষ্যরা।
ভুগতে ভুগতে ৪০তম মিনিটের শুরুতে দারুণ একটি আক্রমণে উঠে গোল পেয়েই গিয়েছিল ডর্টমুন্ড, কিন্তু সতীর্থের কাছ থেকে আসা উড়ন্ত ক্রসে মাথা লাগিয়েও ইনিয়াকি পেনিয়াকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন সেরহু গিরাসি।
প্রথমার্ধে বলের ওপর একক আধিপত্য ধরে রাখলেও আক্রমণে খানিকটা নিষ্প্রভ ছিল বার্সা। ফলে গোলের উদ্দেশ্যে ৮টি শট নিয়ে তার তিনটি লক্ষ্যে রেখেও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ হয় তারা।
অপরদিকে, প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে রক্ষণ সামলানো ডর্টমুন্ড মাঝেমধ্যে দুয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও বার্সার অফসাইড ফাঁদ কিংবা ডিফেন্ডারদের নৈপুণ্যে বারবারই হতাশ হয়। ফলে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন না আনতে পেরেই বিরতিতে যায় দুদল।
১ সপ্তাহ আগে
হেরে ১২৬তম বছর শুরু বার্সেলোনার
২৪ ঘণ্টাও হয়নি জমকালো আয়োজনে ক্লাব প্রতিষ্ঠার ১২৫তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে বার্সেলোনা। এর মধ্যেই পুচকে লাস পালমাসের কাছে হেরে বসেছে তারা।
শনিবার লা লিগার ১৫ রাউন্ডের ম্যাচে ঘরের মাঠে পয়েন্ট টেবিলের তলানির দিকে থাকা লাস পালমাসের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
এর ফলে ১৫ ম্যাচে ১১ জয় ও ১ ড্রয়ে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত টেবিলের চূড়ায় থাকলেও শীর্ষস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে বার্সেলোনার। দুই ম্যাচ কম খেলে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বর্তমান লা লিগা চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ। ওই দুই ম্যাচ জিতে ব্লাউগ্রানাদের টপকে শীর্ষস্থান দখল করার দারুণ সুযোগ এসেছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের কাছে।
এই হারের ফলে লা লিগায় সবশেষ তিন ম্যাচ টানা জয়বঞ্চিত রইল বার্সেলোনা। এর মধ্যে মাত্র এক ম্যাচ ড্র করে এক পয়েন্ট অর্জন করেছে তারা। ফলে সবশেষ তিন ম্যাচে তাদের অর্জন কেবল ওই একটি পয়েন্ট।
এদিন প্রথমার্ধে সফরকারীদের ওপর ছড়ি ঘুরিয়েও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ হয় বার্সেলোনা। ফলে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন আনতে না পেরেই বিরতিতে যায় দুদল। তবে বিরতি থেকে ফিরেই এগিয়ে যায় লাস পালমাস।
ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে উঠে সতীর্থের লং পাস ধরে ডান পাশ দিয়ে বক্সে ঢোকার মুখে কোনাকুনি জোরালো শট নেন সান্দ্রো রামিরেস। বল ঝাঁপিয়ে পড়া ইনিয়াকি পেনিয়ার নাগালের বাইরে দিয়ে গিয়ে জালে জড়িয়ে যায়। ফলে খেলায় আধিপত্য দেখাতে না পারলেও এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
পিছিয়ে পড়ার পর প্রতিপক্ষকে আরও চেপে ধরে বার্সেলোনা। এরই ধাবাহিকতায় ম্যাচের ৬১তম মিনিটে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান রাফিনিয়া।
প্রতিপক্ষের বক্সের সামনে বার্সেলোনা বল নিয়ে নাড়াচাড়া করার মাঝে হঠাৎ কিছুক্ষণের জন্য মনোযোগ হারায় লাস পালমাস। এই সুযোগে পেদ্রির কাছ থেকে বল ধরেই বক্সের বেশ বাইরে থেকে বুলেট শটে পোস্টঘেঁষে লক্ষ্যভেদ করেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
তবে সমতায় ফিরলেও বার্সার হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙে ৬ মিনিট পর ফের এগিয়ে যায় লাস পালমাস। মাঝমাঠ থেকে বার্সার ডিফেন্স লাইনে অপেক্ষা করা ফাবিও সিলভার কাছে চমৎকার একটি উড়ন্ত পাস দেন হাভিয়ের মুনিয়োস। পাস ধরে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে গিয়ে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে পেনিয়াকে বোকা বানান সিলভা।
দ্বিতীয়বার পিছিয়ে পড়ার পর ৭০ ও ৭১তম মিনিটে দুবার গোলের সুযোগ তৈরি করেন যথাক্রমে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নামা লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়া। তবে পালমাস গোলরক্ষক জ্যাসপার সিলিসেনের নৈপুণ্যে দুবারই হতাশ হন তারা।
ম্যাচের ৭৮তম মিনিটে অবশ্য ফেররান তোরেসের গোলে ফের সমতায় ফেরে বার্সেলোনা, তবে অফসাইডে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
এরপর আরও কয়েকবার চেষ্টা করেও গোল আদায় করতে না পারলে ১২৫তম প্রতিবার্ষিকীর উদযাপন মাটি করে মাঠ ছাড়তে হয় ফ্লিকের শিষ্যদের।
রবিবার রাতে টেবিলের আরেক তলানির দল গেতাফের বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি জিতে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমানোর দারুণ সুযোগ থাকবে চ্যাম্পিয়নদের। এর আগে আজ রাতে রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে জিততে পারলে বার্সার সঙ্গে ব্যবধান কমাতে পারবে আতলেতিকো মাদ্রিদও।
২ সপ্তাহ আগে
রেড স্টারের মাঠে বার্সেলোনার গোল উৎসব
হান্সি ফ্লিকের বার্সেলোনার সামনে যে দলই আসছে একেবারে পিষে যাচ্ছে। আজও তার ব্যতিক্রম হলো না। ঘরের মাঠে বার্সাকে আতিথ্য দিয়ে গোলবন্যায় ভাসল রেড স্টার বেলগ্রেদ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেদের বিপক্ষে ৫-২ গোলের বড় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা।
কাতালান ক্লাবটির হয়ে এদিন জোড়া গোল করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। অন্য তিনটি গোল আসে ইনিগো মার্তিনেস, রাফিনিয়া ও ফেরমিন লোপেসের পা থেকে।
অন্যদিকে, দুই অর্ধে স্বাগতিকদের গোল দুটি করেন বেলগ্রেদের কঙ্গো ফরোয়ার্ড সিলাস ও অ্যাঙ্গোলান মিডিফিল্ডার ফেলিসিও মিলসন।
জোড়া গোলে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা হলো ৫টি। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সার জার্সিতে ১৬ ম্যাচে ১৯ গোল করলেন ৩৬ বছর বয়সী স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: এস্পানিওলকে উড়িয়ে কাতালুনিয়া ডার্বিও বার্সেলোনার
এর ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ক্যারিয়ারে লেভানডোভস্কির গোলসংখ্যা পৌঁছেছে ৯৯-তে। আর এক গোল পেলেই তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসের একশ বা তার বেশি গোলদাতাদের তালিকায় নাম লেখাবেন তিনি। এখন পর্যন্ত ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি ছাড়া গোলের শতক পার করতে পারেননি কেউ।
এছাড়া একটি গোলের পাশাপাশি জোড়া অ্যাসিস্ট করেন রাফিনিয়া। এতে করে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচে ৫ গোল ও দুটি অ্যাসিস্টসহ মোট ৭ গোলে অবদান রাখলেন এই ব্রাজিলীয়। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ক্লাবের হয়ে ১৬ ম্যাচে ২০ গোলে (১২ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট) অবদান রাখলেন তিনি, জাতীয় দলের হিসাব ধরলে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ১৮ ম্যাচে ২২ গোলে অবদান (১৪ গোল ও ৮ অ্যাসিস্ট)।
২০২৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রাফিনিয়ার মোট গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৮টি। ২০১৯ সালে লিওনেল মেসির পর প্রথম বার্সা খেলোয়াড় হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ৮টি বা তার বেশি গোলে অবদান রাখলেন রাফিনিয়া। অথচ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম দশ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা ছিল শূন্য।
এছাড়াও, বার্সেলোনার পক্ষে এদিন অ্যাসিস্টের হ্যাটট্রিক করেছেন ফরাসি ফুলব্যাক জুল কুন্দে।
আরও পড়ুন: রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
আর মোনাকোর কাছে হেরে আসর শুরুর পর টানা তিন ম্যাচে চার বা তার বেশি গোল করে জিতল বার্সেলোনা। ১৯৫৯-৬০ মৌসুমের পর এই প্রথম ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় টানা তিন ম্যাচে চার বা এর বেশি গোল করল কাতালান জায়ান্টরা।
লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ মিলিয়ে সবশেষ টানা সাত ম্যাচ জয়ের পথে প্রতিপক্ষের জালে মোট ২৯ বার বল পাঠাল ফ্লিকের শিষ্যরা।
অন্যদিকে, এই মৌসুমে সার্বিয়ার শীর্ষ লিগে এখনও পর্যন্ত একমাত্র দল হিসেবে অপরাজিত থাকা বেলগ্রেদ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চার ম্যাচের সবগুলোতেই পেল হারের স্বাদ। সবশেষ তিন ম্যাচে মোট ১৪ গোল হজম করল তারা।
চতুর্থ রাউন্ডের খেলা শেষে টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে উঠে গিয়েছে বার্সেলোনা। তাদের উপরে থাকা পাঁচ দলই চলতি আসরে এখনও অপরাজিত। সমান দশ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানের কারণে পঞ্চম, চতুর্থ, তৃতীয় ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে ইন্টার মিলান, ব্রেস্ত, মোনাকো ও স্পোর্তিং। আর সবগুলো ম্যাচ জিতে পূর্ণ ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের চূড়ায় লিভারপুল।
আরও পড়ুন: ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
দিনের অপর ম্যাচে নিজেদের মাঠে আর্সেনালের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে ইন্টার মিলান। একই ব্যবধানে বেনফিকাকে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ঘরের মাঠে আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে ২-১ গোলে হেরে গেছে পিএসজি। এছাড়া চলতি মৌসুমে প্রথম হারের স্বাদ পেয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলাও।
১ মাস আগে
এবার রিয়ালের মাঠেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার বার্সার তিন খেলোয়াড়
প্রতিপক্ষের সমর্থকদের কাছ থেকে বর্ণবাদী স্লোগান শুনতে শুনতে জেরবার রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র। এ নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই তার; এমনকি রিয়ালের সমর্থকরাও ভিনিসিউসের পক্ষ নিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘৃণ্য এ আচরণের সমালোচনায় মুখর থাকেন। এবার সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে সেই রিয়াল সমর্থকদের কাছেই বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন বার্সেলোনার তিন খেলোয়াড়।
ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাতে এল ক্লাসিকো চলাকালে। ৪-০ গোলে বার্সার কাছে বিধ্বস্ত হওয়ার ওই রাতে ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে রাফিনিয়ার অ্যাসিস্টে তৃতীয় গোলটি করেন বার্সেলোনার ১৭ বছর বয়সী প্রতিভাবান উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল।
এল ক্লাসিকোতে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোলের রেকর্ড করে মাঠেই উদযাপন শুরু করেন তিনি। এ সময় গ্যালারি থেকে তার উদ্দেশে বর্ণবাদী স্লোগান দিতে শুরু করে রিয়ালের কিছু সমর্থক। এমনকি ম্যাচের শেষ দিকে যখন রাফিনিয়ার সঙ্গে কর্নার কিক নিতে যান লামিন, তখন উচ্ছৃঙ্খল সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
ম্যাচের পর স্পেনের ক্রীড়াবিষয়ক সংবাদমাধ্যম রেলেভো জানায়, শুধু লামিন নন; আনসু ফাতি ও আলেহান্দ্রো বালদেও গ্যালারি থেকে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হয়েছেন।
এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে গোটা স্প্যানিশ প্রশাসন। সমর্থকদের এমন আচরণে লজ্জা প্রকাশ করে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এছাড়া এ ঘটনার পেছনের কারিগরদের চিহ্নিত করতে ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে ক্লাবটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বর্ণবাদ পরিস্থিতির উন্নতি না হলে স্পেনে বিশ্বকাপ চান না ভিনিসিউস
এ ঘটনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে লা লিগা কর্তৃপক্ষও তাদের কার্যক্রম শুরু করেছে। স্পেনের বর্ণবাদবিরোধী সংস্থার কাছে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
লা লিগা তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের উদ্দেশে ওঠা বর্ণবাদী স্লোগান নিয়ে স্পেনের জাতীয় পুলিশের হেট ক্রাইম ইউনিটে অভিযোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে লা লিগা। পাশাপাশি স্টেট অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসের হেট ক্রাইমস অ্যান্ড ডিসক্রিমিনেশন ইউনিটের সমন্বয়কারী প্রসিকিউটরকেও এ বিষয়ে অবহিত করা হবে।’
‘লা লিগা সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে যেকোনো ধরনের বর্ণবাদী আচরণ ও ঘৃণা দূর করতে নিজেদের অঙ্গীকারে অটল রয়েছে।’
১ মাস আগে
হেরে বার্সেলোনার রেকর্ড ভাঙার স্বপ্ন ধূলিসাৎ রিয়ালের
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে খেলা শুরুর পর থেকে প্রায় ৭৮ হাজার রিয়াল মাদ্রিদ সমর্থকের যে বিশাল গর্জনে বুক কেঁপে কেঁপে উঠছিল বার্সেলোনার তরুণ খেলোয়াড়দের, দ্বিতীয়ার্ধের কিছুক্ষণ পর থেকে সেই উল্লাস কোথায় যেন মিলিয়ে গেল, আর এক কোনায় থাকা মাত্র ৪০০ ব্লাউগ্রানা সমর্থকের চিৎকার ছাপিয়ে গেল গোটা গ্যালারির স্তব্ধতা। বার্সেলোনাকে আরও একবার হারিয়ে, কিংবা অন্তত হার এড়িয়ে বার্সারই টানা জয়ের রেকর্ড ভাঙার যে স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন ভিনিসিউস-এমবাপ্পে-বেলিংহ্যামরা, ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই সেই স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে গেল।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে লা লিগায় মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের মাঠেই বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করেছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
২০২২ সালের ২০ মার্চের পর ঘরের মাঠে এটিই রিয়ালের সবচেয়ে বড় হার। ওই ম্যাচটিও তারা হেরেছিল বার্সেলোনার কাছেই, একই ব্যবধানে।
এছাড়া সব মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ জেতার পর এদিন বার্সার কাছে হারল রিয়াল মাদ্রিদ। ২০২৩ সালের ২৯ জুলাই সর্বশেষ রিয়ালকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল শাভি এরনান্দেসের শিষ্যরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চলতি মৌসুমে ভালো শুরু না পেলেও নানাভাবে হার এড়িয়ে লা লিগায় টানা ৪২ ম্যাচ অপরাজিত ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সর্বশেষ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘরে দাঁড়িয়ে ৫-২ গোলে জিতে দারুণভাবে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতিও সারে কার্লো আনচেলত্তির দল। তবে ক্লাসিকোতে বড় হারে সব প্রস্তুতি ধূলায় মিশে গেছে দলটির। অন্যদিকে, রিয়ালকে হারিয়ে নিজেদের রেকর্ড অক্ষত রেখেছে বার্সেলোনা।
এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে ভিনিসিউস-এমবাপ্পের মতো ক্ষিপ্র গতির খেলোয়াড়দের আটকানোর কৌশল বাতলে দিয়েছিলেন বার্সা বস ফ্লিক। সেই কৌশল অবলম্বন করেই রিয়ালের বিষদাঁত বের করতে দেননি এই জার্মান।
ম্যাচে শুধু এমবাপ্পেই ৮ বার বার্সার অফসাইডের ফাঁদে পড়েছেন। ফরাসি এই স্ট্রাইকারের নৈপুণ্যে ম্যাচের ৩০তম মিনিটে এগিয়েও গিয়েছিল রিয়াল, তবে অফসাইডে কাটা পড়ে তার গোলটি।
আরও পড়ুন: রিয়ালের অগ্নিঝরা ফুটবলে পুড়ে ছাই ডর্টমুন্ড
প্রথমার্ধে মাঠে তেমনভাবে প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই নিজেদের জাত চেনাতে শুরু করে রিয়ালের খেলোয়াড়রা। তবে বলের দখল, গতি নিয়ন্ত্রণ, রক্ষণ, কাউন্টার প্রেসিং ও ফিনিশিংয়ে তাদের চেয়ে পরিষ্কারভাবে এগিয়ে ছিল বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা; আর এর ফলও পেয়েছে তারা।
১ মাস আগে
রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে সবশেষ বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েছিল বার্সেলোনা। তারপর থেকে এই বায়ার্নই হয়ে ছিল দলটির কাছে এক আতঙ্কের নাম। পরে যতবার দেখা হয়েছে, বড় ব্যবধানে বার্সাকে হারিয়ে জয়োল্লাস করেছে বাভারিয়ানরা। তবে ৯ বছর পর দুর্দান্তভাবে জিতে সেইসব ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বুধবার রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
এদিন রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি অন্য গোলটি করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। আর বায়ার্নের একমাত্র গোলটি আসে হ্যারি কেইনের পা থেকে।
ইউরোপ সেরার এ প্রতিযোগিতায় বায়ার্নের বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচ হারের পর জয়ের মুখ দেখল বার্সেলোনা। তাদের সবশেষ জয়টি ছিল প্রায় সাড়ে ৯ বছর আগে; ২০১৫ সালের মে মাসে কাম্প নউয়ে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নেইমারের একটি ও লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল কাতালানরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সব মিলিয়ে বায়ার্নের সঙ্গে ১৪ বারের দেখায় বার্সেলোনার মাত্র তৃতীয় জয় এটি; এছাড়া একটি ম্যাচ ড্র এবং হেরেছে ১০টি।
ম্যাচের তখনও এক মিনিট পার হয়নি, এর আগেই গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।
মাঝমাঠ থেকে ফের্মিন লোপেসের বাড়ানো বল ধরে বায়ার্নের হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙে এগিয়ে যান রাফিনিয়া। এরপর ম্যাচের ৫৭তম সেকেন্ডে মানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করেন তিনি।
১ মাস আগে
লেভানডোভস্কির হ্যাটট্রিকে দারুণ জয় বার্সেলোনার
হান্সি ফ্লিকের তত্ত্বাবধায়নে উড়তে থাকা বার্সোনার প্রতাপ দেখল এবার আলাভেস। রবের্ট লেভানডোভস্কির হ্যাটট্রিকে ক্লাবটিকে উড়ে দিয়েছে বার্সা।
লা লিগায় রবিবার আলাভেসকে তাদের মাঠেই ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সেলোনা। দলের হয়ে প্রথম ৩২ মিনিটের মধ্যে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন লেভানডোভস্কি।
এর ফলে চলতি মৌসুমে লিগে ৯ ম্যাচে ১০ গোল ও ২ অ্যাসিস্টসহ মোট ১২ গোলে অবদান রাখলেন তিনি। এছাড়া পিচিচির দৌড়ে নিজেকে আরও উপরে তুললেন ৩৬ বছর বয়সী এই পোলিশ স্ট্রাইকার।
দুই অর্ধে অবশ্য দুটি গোল পেয়েছিল আলাভেস, তবে অফসাইডের কারণে দুবারই হতাশ হতে হয় তাদের। অবশ্য বার্সেলোনার একটি গোলও অফসাউডে কাটা পড়ে।
এদিন বল দখলের লড়াইয়ে পরিষ্কার এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা। ৭২ শতাংশ সময় নিজেদের দখলে বল রেখে মোট ১৫টি শট নেয় তারা যার ৯টিই ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে, প্রথমার্ধে একবারও লক্ষ্যে রাখতে না পারা আলাভেসের ১১টি শটের মধ্যে লক্ষ্যে ছিল মাত্র দুটি।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনাকে খুশি করে সমতায় শেষ মাদ্রিদ ডার্বি
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণে উঠতে থাকে বার্সেলোনা। এরই ধারাবাহিকতায় রাফিনিয়ার গোলে চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যায় কাতালানরা। তবে মাঝমাঠ থেকে লং পাস ধরে রাফিনিয়াকে বাড়ানোর আগে অফসাইডে ছিলেন লামিন ইয়ামাল। ফলে গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
তবে এর দুই মিনিট পর পায়ের পেশিতে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় বার্সা উইঙ্গার ফেররান তোরসকে। তার বদলি হিসেবে এরিক গার্সিয়াকে মাঠে নামান হান্সি ফ্লিক।
এরপর সপ্তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় বার্সা। ডান পাশে প্রতিপক্ষের বক্সের অনেকটা বাইরে ফ্রি কিক আদায় করেন লামিন, তা থেকে গোলমুখে দারুণ একটি ক্রস দেন রাফিনিয়া। এরপর লাফিয়ে উঠে চমৎকার হেডারে ঠিকানা খুঁজে নেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
ম্যাচের ২২তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে ব্যবধান বাড়ান লেভানডোভস্কি। বাঁ পাশ দিয়ে বক্সে ঢুকেই পেনাল্টি স্পটের সামনে থ্রু বল বাড়ান রাফিনিয়া, এরপর এগিয়ে গিয়ে গোলরক্ষককে বোকা বানান লেভানডোভস্কি।
দুই মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়াতে পারতেন রাফিনিয়া। তবে বাঁ পাশ থেকে কাছের পোস্টে তিনি নিচু শট নিলে গোলরক্ষক তা ঠেকিয়ে দেন।
৩২তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন লেভানডোভস্কি। লেভাকে বক্সে ঢুকতে দেখে রক্ষণচেরা অসাধারণ একটি পাস দেন এরিক গার্সিয়া, তা ধরে কিছুটা ডান দিকে সরে গিয়ে পড়ে যাওয়ার মুখে দূরের পোস্টের দিকে আচমকা বল ঠেলে দেন লেভানডোভস্কি। গোলরক্ষক বিষয়টি একেবারেই আঁচ করতে না পেরে কাছের পোস্টের দিকে এগিয়ে এসেছিলেন। ফলে শটে গতি না থাকলেও বলের গড়িয়ে গড়িয়ে জালে জড়িয়ে যাওয়া দেখতে হয় তাকে।
এর ফলে প্রথম গোল করার ২৫ মিনিটের মধ্যে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ৩৬ বছর বয়সী এই পোলিশ।
৩৯তম মিনিটে ড্রিবল করে এগিয়ে গিয়ে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন পেদ্রি, তবে সহজেই তা লুফে নেন আলাভেস গোলরক্ষক আন্তনিও সিভেরা।
দুই মিনিট পর চতুর্থ গোল পেতে পারতেন লেভানডোভস্কি, তবে সতীর্থের বাড়ানো পাসে গতি বেশি থাকায় এগিয়ে এসে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন সিভেরা।
প্রথমার্ধের এক মিনিট বাকি থাকতে আক্রমণে ওঠে আলাভেস। এরপর দুই কর্নারের পর ৪৫তম মিনিটে একটি গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা, কিন্তু অফসাইডে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। ফলে হতাশ হয়ে ৩-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় আলাভেস।
২ মাস আগে
ইয়াং বয়েজের বিপক্ষে বার্সেলোনার দাপুটে জয়
প্রথম ম্যাচে মোনাকোর বিপক্ষে নিজেদের ছায়া হয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ম্যাচেই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এল বার্সেলোনা। আর নিজেদের স্বভাবজাত ফুটবল খেলে ইয়াং বয়েজকে উড়িয়ে দিয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাাঁড়াল দলটি।
অলিম্পিক স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে সুইস ক্লাবটিকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
এদিন জোড়া গোল করেন হান্সি ফ্লিকের তত্ত্বাবধায়নে চলতি মৌসুমে উড়তে থাকা রবের্ট লেভানডোভস্কি। বাকি দুটি গোল করেন রাফিনিয়া ও ইনিগো মার্তিনেস এবং আত্মঘাতী গোল হিসেবে আসে পঞ্চম গোলটি।
ম্যাচজুড়ে বল দখলের লড়াই দাপট দেখায় বার্সেলোনা। ৭০ শতাংশ সময় বল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে মোট ২০টি শট নেয় তারা, যার আটটি লক্ষ্যে ছিল। অন্যদিকে, ম্যাচজুড়ে মোট পাঁচটি শট একটি লক্ষ্যে রাখতে সমর্থ হয় ইয়াং বয়েজ, ওই শটটি থেকে গোল পেলেও অফসাইডে তা বাতিল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: শুরুতেই লাল কার্ড, হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু বার্সেলোনার
তুলনামূলক দুর্বল দল পেয়ে ম্যাচের শুরুতেই ইয়াং বয়েজকে চেপে ধরে বার্সেলোনা। চতুর্থ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শটে গোল খোঁজেন লামিন ইয়ামাল, কিন্তু শটে জোর না থাকায় সহজেই বল তালুবন্দি করেন ইয়াং বয়েজ গোলরক্ষক মারভিন কেলার।
এরপর অষ্টম মিনিটে অসাধারণ দলীয় ফুটবল প্রদর্শন শেষে গোলের খাতা খোলে বার্সেলোনা। ডান পাশ থেকে গোলমুখে রাফিনিয়ার বাড়ানো নিচু ক্রস থেকে প্রথম ছোঁয়াতেই লক্ষ্যভেদ করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
গোল খেয়ে আরও রক্ষণাত্মক খেলা শুরু করে ইয়াং বয়েজ। ফলে তাদের দুই স্তরের জমাট রক্ষণ ভেদ করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছিল কাতালানদের।
২ মাস আগে
বড় জয়ে অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত বার্সেলোনার
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর লিগ ম্যাচে ফের জ্বলে উঠল বার্সেলোনা। হারের হতাশা ভুলে ভিয়ারিয়ালের মাঠ থেকে বড় জয় নিয়ে ফিরল হান্সি ফ্লিকের দল।
এস্তাদিও দে লা সিরামিকায় স্থানীয় সময় রবিবার রাতে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ৫-১ ব্যবধানে জিতেছে বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে রবের্ট লেভানডোভস্কি জোড়া গোল করে দলকে এগিয়ে নিলে বিরতির পরই ব্যবধান বাড়ান চলতি মৌসুমে প্রথমবার শুরুর একাদশে জায়গা পাওয়া বার্সেলোনা মিডফিল্ডার পাবলো তোরে। এরপর আরও দুই গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন পুরো ম্যাচজুড়ে আলো ছড়ানো রাফিনিয়া। অন্যদিকে, প্রথমার্থে ভিয়ারিয়ালের একমাত্র গোলটি করেন আয়োসে পেরেস।
অবশ্য হ্যাটট্রিক করতে পারতেন লেভানডোভস্কি, তবে পেনাল্টি মিস করায় সে গৌরব থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এই পোলিশ তারকা। দুই গোলে লা লিগায় ৬ ম্যাচে ৬ গোল ও দুটি অ্যাসিস্ট হলো তার। এছাড়া পাঁচ গোল করে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠেছেন রাফিনিয়া।
আরও পড়ুন: শুরুতেই লাল কার্ড, হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শুরু বার্সেলোনার
এই দুজনের পাশাপাশি লামিন ইয়ামালের কথা উল্লেখ না করলেই নয়; চলতি মৌসুমে সব মিলিয়ে ৭ ম্যাচ খেলে প্রতি ম্যাচে অন্তত একটি গোলে অবদান রেখেছেন ১৭ বছরে পা দেওয়া এই স্প্যানিশ তরুণ। গোল-অ্যাসিস্ট মিলিয়ে (লেভানডোভস্কির সমান আটটি) সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছেন তিনি। লিগে এখন পর্যন্ত তিন গোলের পাশাপাশি পাঁচটি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি।
স্কোরলাইন দেখে ম্যাচটি একপেশে মনে হলেও পুরো ম্যাচজুড়ে এক মুহূর্তের জন্যেও বার্সেলোনাকে ছেড়ে কথা বলেনি ভিয়ারিয়াল। বার্সা একবার আক্রমণে উঠলে পরমুহূর্তে আক্রমণে উঠেছে মার্সেলিনোর শিষ্যরা। তবে অফসাইড আর ভাগ্যের ফেরে বল পোস্টে লাগায় বেশ কয়েকটি গোলবঞ্চিত হয়েছে তারা।
ম্যাচজুড়ে বার্সেলোনার ১৬টি শটের বিপরীতে ১৪টি শট নেয় ভিয়ারিয়াল। তবে শট লক্ষ্যে রাখার ক্ষেত্রে ভিয়ারিয়ালকে পেছনে ফেলেছে বার্সেলোনা; তাদের ১০ শট লক্ষ্যে থাকলেও মাত্র চারটি শট গোলমুখে রাখতে পারে ভিয়ারিয়াল।
শুক্রবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে বড় ভুলের পর ম্যাচ হারায় টের স্টেগেনকে অনেকে কাঠগড়ায় তুললেও এ ম্যাচের শুরু থেকেই চমক দেখাতে থাকেন এই গোলরক্ষক। তবে প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে দলকে নিশ্চিত গোল খাওয়া থেকে বাঁচাতে গিয়ে চোট পান তিনি। মাঠে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে সুস্থ না হওয়ায় পরে স্ট্রেচারে শুয়ে তাকে মাঠ ছাড়তে হয়।
২ মাস আগে
রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিক, ৭-০ ব্যবধানে জিতল বার্সেলোনা
হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় নতুন দিনের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে বার্সেলোনা সমর্থকরা। আর্থিক সংকটের কারণে চাহিদামতো খেলোয়াড় কিনতে না পারা এবং চোটজর্জর দল নিয়েও লিগের প্রথম চার ম্যাচে জয় পেয়েছে ক্লাবটি। তবে চতুর্থ ম্যাচে বিরাট জয়ে ভক্তেদের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তার দল।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ৭-০ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে কাতালুনিয়ার ক্লাবটি।
এই ম্যাচে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন বার্সার ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। এছাড়া শুরুতেই পিচিচির দৌড়ে থাকা রবের্ট লেভানডোভস্কি, দানি অলমো, ফেররান তোরেস ও জুল কুন্দে পেয়েছেন একটি করে গোলের দেখা। তবে গোল না পেলেও এদিন দুটি অ্যাসিস্ট করে নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন লামিন ইয়ামাল।
আরও পড়ুন: বার্সার দায়িত্ব নিয়ে শিরোপা জিততে বদ্ধপরিকর ফ্লিক
এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৩-০ ব্যবধান গড়ে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা। বিরতির পর তারা প্রতিপক্ষের জালে আরও চারবার বল পাঠায়।
ম্যাচের দশম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বার্সেলোনা, কিন্তু অফসাইডের কারণে দানি অলমোর গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া রাফিনিয়ার বুলেট শট প্রতিহত করলেও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন ভায়াদোলিদ গোলরক্ষক কার্ল হাইন। বল তার কাছ থেকে সামনে চলে আসলে এগিয়ে গিয়ে তা জালে জড়িয়ে দেন অলমো, কিন্তু ভিএআর রিভিউতে রেফারির অফসাইডের সিন্ধান্ত বহাল থাকলে হতাশ হয় বার্সার সমর্থকরা।
চতুর্দশ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রবের্ট লেভানডোভস্কির শট ঠেকিয়ে দেন হাইন। ষোড়শ মিনিটে তার আরও একটি হেডার পোস্টের বাইরে বেরিয়ে যায়। তবে ২০তম মিনিটে রাফিনিয়ার চমৎকার এক গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
মাঝ মাঠ থেকে রাফিনিয়ার দৌড় দেখেই শূন্যে ভাসিয়ে লং পাস দেন পাউ কুবারসি। এরপর প্রতিপেক্ষের বক্সের বেশ বাইরে থেকে বুক দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনাকুনি এগিয়ে গিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
৩ মাস আগে