ফেররান তোরেস
অগ্নিঝরা ফাইনাল জিতে কোপা দেল রের শিরোপা পুনরুদ্ধার করল বার্সেলোনা
চার মৌসুম ধরে কোপা দেল রের শিরোপা খুঁজে চলা বার্সেলোনা মাঠে নামার আগেই রেফারিকাণ্ডে বিতর্ক ওঠে চরমে। তারপর খেলতে নেমে একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত, নাটকীয় পালাবদলের মধ্যে দিয়ে ম্যাচ যখন টাইব্রেকারের দিকে গড়াচ্ছে, তখনই কোথা হতে উড়ে এসে গোল করে বসলেন জুল কুন্দে, আর তাতেই দীর্ঘ দিনের অধরা শিরোপা নিয়ে উদযাপনে মাতল কাতালান জায়ান্টরা।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে সেভিলের লা কার্তুহা স্টেডিয়ামে রিয়াল মাদ্রিদকে ৩-২ গোলে হারিয়ে কোপা দেল রে শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে বার্সেলোনা। এর ফলে কোপার ৩২তম ট্রফি জয়ের উল্লাসে মেতেছে এই টুর্নামেন্টের রাজারা।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকে নিজেদের খুঁজে চলা রিয়ালের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে ২৭তম মিনিটে দুর্দান্ত এক বুলেট শটে বার্সাকে লিড এনে দেন পেদ্রি। গোলটির কারিগর ছিলেন বার্সার ১৭ বছর বয়সী তারকা উইঙ্গার লামিন ইয়ামাল।
গোল খেয়ে ম্যাচের আধঘণ্টা পার হওয়ার পর থেকে ঘুরে দাঁড়াতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। বিরতির সময় রদ্রিগোকে বসিয়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে মাঠে নামিয়ে দিলে দলটির আক্রমণে ধার আরও বাড়ে। তারপর ৫৫তম মিনিটে লুকা মদ্রিচ ও আর্দা গুলের দলে ভারসাম্য এনে দেয়। এর ফলস্বরূপ ৭০ ও ৭৭তম মিনিটে এমবাপ্পে ও অরেলিয়েঁ চুয়ামেনি দুই গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে নেন।
তবে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি সেই লিড। ৮৪তম মিনিটে লামিন ইয়ামালের আরও একটি অ্যাসিস্ট থেকে অসাধারণ এক গোল করে বার্সাকে ম্যাচে ফেরান ফেররান তোরেস।
এরপর ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে দুই দলই জয়সূচক গোলটির সন্ধানে জোর চেষ্টা চালায়, কিন্তু ১১৬তম মিনিটে মদ্রিচের দুর্বল পাস আর ব্রাহিম দিয়াসের গড়িমসির সুযোগ নেন কুন্দে। ছুটে গিয়ে বল লুফে নিয়ে খানিকটা এগিয়ে গিয়েই রিয়ালের ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেন চমৎকার একটি শট, আর তা ঝাঁপিয়ে পড়া থিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করে জালে আছড়ে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাস ছড়িয়ে যায় বার্সার ডাগআউট থেকে শুরু করে গ্যালারির অর্ধেক অংশে।
ওই গোলেই ম্যাচটি জিতে নেয় বার্সেলোনা। আর চরম হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের। অবশ্য ম্যাচের শেষদিকে বেঞ্চে থাকা আন্টোনিও রুয়েডিগার ও লুকাস ভাসকেসের পাওয়া দুটি লাল কার্ড সঙ্গী হয় তাদের।
ফলে সুপার কাপের পর কোপা দেল রের ফাইনালেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে বঞ্চিত করে টানা দুই শিরোপা ঘরে তুলল হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। সেইসঙ্গে চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিন বারের দেখায় তিনটি ম্যাচই বার্সেলোনার কাছে হেরে গেল আনচেলত্তির শিষ্যরা।
আর কোয়াড্রাপল মিশনে সুপার কাপের পর কোপা দেল রে জয় করে অর্ধেক পথ পাড়ি দিয়ে ফেলল কাতালান জায়ান্টরা। এখন তাদের সামনে কেবল লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
লা লিগাতেও অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদ ফাঁড়া কাটাতে হবে ফ্লিকের দলকে, তবে সেখানে চ্যালেঞ্জ অত কঠিন নয়। শুধু হার এড়িয়ে বাকি চারটি ম্যাচে আট পয়েন্ট সংগ্রহ করলেই চলবে। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠায় দীর্ঘদিন ধরে অধরা এলিট ওই ট্রফিটি জিততে তাদের প্রয়োজন তিনটি ম্যাচ ভালোভাবে উৎরে যাওয়া।
মৌসুমের শেষভাগে এসে ক্লান্ত-বিধ্বস্ত দল নিয়ে তার কতটা পূরণ করতে পারবেন হান্সি ফ্লিক, তা এখন অজানা। তবে ওসব হিসাব আজ করছে বার্সেলোনা; কোপা দেল রে জিতে আজ কেবলই তাদের উদযাপনের সময়।
আরও পড়ুন: ফিরে আসা কাকে বলে, দেখিয়ে দিল বার্সেলোনা
ধ্রুপদী ফুটবলের রাতে গৌরবময় সময়ে ফেরার ইঙ্গিত বার্সেলোনার
রিয়ালকে ৫ গোল দিয়ে সুপার কাপ জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা
৭ দিন আগে
আতলেতিকোকে বিদায় করল বার্সেলোনা, কোপায় এল ক্লাসিকো ফাইনাল
সব প্রতিযোগিতা থেকে কার্যত ছিটকে যাওয়ায় কেবল কোপা দেল রে-ই ছিল আতলেতিকো মাদ্রিদের সামনে একমাত্র শিরোপা। ফলে ফাইনালে উঠতে যে দলটি চেষ্টার কোনো ত্রুটি রাখবে না, তা আগেই আন্দাজ করেছিলেন অনেকে। তবে চেষ্টা চালালেও ধারহীন ফিনিশিংয়ে সাফল্য পায়নি দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। হেরে বিদায় নিতে হয়েছে তাদের।
বুধবার রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোয় কোপা দেল রের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনার কাছে ১-০ গোলে হেরেছে লস রোহিব্লাঙ্কোসরা।
২৭তম মিনিটে ম্যাচের এক মাত্র গোলটি করেন ফেররান তোরেস। অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে একবার জালে বল পাঠান আতলেতিকোর অলেকসান্দার সোরলথ, কিন্তু অফসাইডের কারণে গোলটি আর গোনায় ধরা হয়নি। ফলে ৫-৪ অগ্রগামিতায় ফাইনাল নিশ্চিত করেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
আরও পড়ুন: ৮ গোলের রোমাঞ্চকর লড়াই ড্র করেও ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ
ম্যাচজুড়ে এদিন বেশ কয়েকবার বার্সেলোনার ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করলেও একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি আতলেতিকো মাদ্রিদ। তাদের নেওয়া মোট ৬টি শটের পাঁচটি ছিল পোস্টের বাইরে, অন্যটি রক্ষণে কাটা পড়ে। অপরদিকে, বার্সেলোনার ১৪টি শটের পাঁচটি লক্ষ্যে ছিল।
গত ফেব্রুয়ারিতে প্রথম লেগের ম্যাচে শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে ২ গোল খেয়ে বসা বার্সেলোনা ঘুরে দাঁড়িয়ে ৮৩ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ গোলে এগিয়ে ছিল। কিন্তু শেষ দিকে দুই গোল করে ম্যাচটি ৪-৪ গোলের সমতায় শেষ করে আতলেতিকো। ফলে ফিরতি এই লেগের ওপরই নির্ভর করছিল সেমিফাইনালের ভাগ্য। তাতে শেষ হাসি ফুটল কাতালান জায়ান্টদের মুখে।
এই জয়ে ২০২৫ সালে অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত রইল বার্সেলোনার। নতুন বছরে ২১টি ম্যাচ খেলে এখনও হারের মুখ দেখেনি দলটি। এর মধ্যে মাত্র দুটি ম্যাচ ড্র করেছে তারা, বাকি সবগুলোতে পেয়েছে জয়ের দেখা।
এছাড়া অবসর থেকে ফেরার পর বার্সেলোনার জার্সি গায়ে জড়িয়ে ১৯ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন গোলরক্ষক ভয়চিয়েখ স্টান্সনি, যার ১৭ জিতেছেন এবং দুটি ম্যাচ ড্র হয়। এর মধ্যে ১০ ম্যাচে ক্লিনশিট ধরে রেখেছেন এই পোলিশ গোলরক্ষক।
৩১ দিন আগে
আতলেতিকো-বার্সেলোনা: অবিশ্বাস্য সব ঘটনার জন্ম দিয়ে ম্যাচজুড়ে যা হলো
চলতি মৌসুমে ইউরোপের বদলে যাওয়া দলগুলোর মধ্যে অন্যতম দুটি নাম আতলেতিকো মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা। এক দল বিপুল অর্থ খরচ করে সাজিয়েছে দুর্দান্ত এক দল, অন্যটি টাকার অভাবে একাডেমির কিশোর ফুটবলারদের তুলে দিয়েছে নতুন এক কোচের হাতে।
আতলেতিকোর অর্থ আর হান্সি ফ্লিকের জাদুকরি ছোঁয়ায় দুই দলেই এসেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। চলতি মৌসুমে এই দুই দলের আগের দুই ম্যাচেও মিলেছিল ধ্রুপদী লড়াইয়ের দেখা। তবে তৃতীয়বারের দেখায় যা হলো তা রীতিমতো অবিশ্বাস্য।
দুপক্ষই ম্যাচে অবিশ্বাস্য সব ঘটনার জন্ম দিয়েছে। চলুন দেখে নেই উত্তেজনাকর এই ম্যাচটি শুরু হয়ে কীভাবে শেষ হলো।
এদিন মাঠে নেমেই দুর্লভ এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন আতলেতিকো মাদ্রিদ, এরপর বার্সেলোনা এবং পরে আবারও লস রোহিব্লাঙ্কোসদের জার্সি গায়ে চাপানো ফরাসি ফরোয়ার্ড আন্তোয়ান গ্রিজমান। লা লিগায় ৫২০তম ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তিনি। আর এতে করে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা খেলোয়াড় বনে গেছেন সোনালি চুলের এই ফুটবল তারকা।
এই কীর্তি আছে মাত্র আর একজনের। আর্জেন্টিনা থেকে শৈশবে স্পেনে পাড়ি জমিয়ে সে দেশটিকেই নিজের ঘরবাড়ি বানিয়ে ফেলা লিওনেল মেসির। তবে শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও আর এক ম্যাচ মাঠে নামলে মেসিকে ছাড়িয়ে যাবেন গ্রিজমান।
সেইসঙ্গে চলতি মৌসুম তো বটেই আরও কয়েক বছর সিমিওনের অধীনে খেলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না এই আতলেতিকো কিংবদন্তির। সেক্ষেত্রে মেসিকে ছাড়িয়ে বহুদূর এগিয়ে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করতে পারেন ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী এই ফরাসি তারকা।
৪৮ দিন আগে
আরও একটি প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে শীর্ষে ফিরল বার্সেলোনা
অসাধারণ পারফর্ম করেও ভাগ্যের ফেরে ২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে দুর্দান্ত আতলেতিকো যখন জয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে, তার মাঝেই প্রায় অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করে বার্সেলোনাকে পথ দেখালেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। আর সেই পথে এগিয়ে গিয়েই দিয়েগো সিমিওনের রক্ষণাত্মক ফুটবল ভেঙেচুরে একাকার করে অবিশ্বাস্য এক জয় তুলে নিল বার্সেলোনা।
রিয়াদ এয়ার মেত্রোপলিতানোয় রবিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ৪-২ গোলে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
ম্যাচের ৪৫ ও ৭০তম মিনিটে আতলেতিকোকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন হুলিয়ান আলভারেস ও আলেকজান্ডার সোরলথ। এর পরপরই আরও জ্বলে ওঠে বার্সেলোনা। ৭২তম মিনিটে সেই আক্রমণের সুর বেঁধে দেন লেভানডোভস্কি। এরপর ৭৮তম মিনিটে ফেররান তোরেস দলকে সমতায় ফেরানোর পর যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে বার্সাকে প্রথমবার এগিয়ে নেন লামিন ইয়ামাল। শেষ মুহূর্তে ফেররানের আরও এক গোলে জয় নিশ্চিত করে সফরকারীরা।
এই জয়ে ২৭ ম্যাচে ১৯ জয় ও তিন ড্রয়ে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে উঠল কাতালান দলটি। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ বেশি খেলা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্টও ৬০, তবে মুখোমুখি লড়াই ও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থাকায় দ্বিতীয় স্থানে নেমে যেতে হয়েছে কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের।
অন্যদিকে, লিগে টানা দুই ম্যাচ হেরে শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা অনেকটা ফিকে হয়ে গেছে আতলেতিকো মাদ্রিদের। রিয়ালের সমান ২৮ ম্যাচে দলটির সংগ্রহ ৫৬ পয়েন্ট। তবে ওসাসুনার বিপক্ষে নিজেদের বাকি থাকা ম্যাচটি জিতে দলটির সঙ্গে ব্যবধান ৭ পয়েন্ট এবং রিয়ালের সঙ্গে ৩ পয়েন্ট বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকবে বার্সেলোনার।
আরও পড়ুন: প্রথমে গোল পেয়েও হেরে সুযোগ হাতছাড়া করল আতলেতিকো
লিগের মাঝামাঝি সময় থেকে বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদকে সমানে টক্কর দিয়ে এলেও মাত্র ১০ ম্যাচ বাকি থাকতে পরপর দুই ম্যাচ থেকে কোনো পয়েন্ট সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হলো দিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা। এছাড়া সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চার ম্যাচ হারল দলটি। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর দুই লেগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে প্রতিযোগিতাটি থেকে ছিটকে গেছে তারা।
এখন কোপা দেল রের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এই বার্সেলোনাকেই তাদের মাঠে ৪-৪ গোলে রুখে দিয়ে প্রতিযোগিতাটিতে এখনও নিজেদের ধরে রেখেছে আতলেতিকো। আর লা লিগায় নিভু নিভু করে জ্বলছে তাদের শিরোপাস্বপ্ন।
অপরদিকে, নতুন বছরে বার্সেলোনার অপরাজেয় যাত্রা অব্যাহত রইল। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ ম্যাচে (১৫ জয়, ৩ ড্র)। এছাড়া চলতি মৌসুমে ঘরের মাঠে লিগের প্রথম ম্যাচে ২-১ গোলে হারের পর কোপা দেল রের সেমিফাইনালে ৪ গোল করেও ড্র করতে হয় ফ্লিকের শিষ্যদের; দুই ম্যাচ জয়বঞ্চিত থাকার পর আতলেতিকোর মাঠে এসে অবশেষে দলটির বিপক্ষে জয়ের দেখা পেল তারা।
শুধু তা-ই নয়, বার্সেলোনার দায়িত্ব নেওয়ার পর সিমিওনের দলের বিপক্ষে হান্সি ফ্লিকেরও প্রথম জয় এটি।
শনিবার রাতে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়া গোলে ভিয়ারিয়ালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
আরও পড়ুন: ২৭ সেকেন্ডের গোলে ম্যাচ জিতেও টাইব্রেকারে আতলেতিকোর হার, কোয়ার্টারে রিয়াল
আতলেতিকো-বার্সা ম্যাচের মধ্যে দিয়ে দুই সপ্তাহের আন্তর্জাতিক বিরতিতে গেল লা লিগা। আগামী ৩০ মার্চ আরেক কাতালান দল জিরোনার বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরবে বার্সেলোনা। তার এক দিন আগে আরও এক কাতালান ক্লাব এস্পানিওলের মুখোমুখি হবে আতলেতিকো মাদ্রিদ।
এরপর আগামী ২ এপ্রিল একই ভেন্যুতে কোপা দেল রের সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে মাঠে নামবে এই দুই দল।
৪৮ দিন আগে
কষ্টের জয়ে শীর্ষেই রইল বার্সেলোনা
বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে প্রথম লেগে জমাট রক্ষণের যে কৌশল দিয়ে দলটিকে হারিয়েছিল লাস পালমাস, সেই একই কৌশলে দ্বিতীয় লেগেও তাদের আটকে রাখার চেষ্টা করে দলটি। তবে বার্সার মাঠে পারলেও নিজেদের মাঠে আর কাতালানদের সঙ্গে পেরে উঠল না তারা। ফলে জিততে ঘাম ছুটে গেলেও জয়ের স্বস্তি নিয়েই ঘরে ফিরেছে বার্সেলোনা।
কানারি দ্বীপের গ্রান কানারি স্টেডিয়ামে লা লিগার ২৫তম রাউন্ডের ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে হান্সি ফ্লিকের দল।
ম্যাচের ৬২তম মিনিটে বার্সেলোনাকে প্রথম এগিয়ে নেন দানি অলমো। এরপর যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করে লাস পালমাসের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ফেররান তোরেস। মজার বিষয় হচ্ছে, দুই গোলদাতাই বদলি হিসেবে মাঠ নেমে বাজিমাত করেছেন।
এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেও স্বাগতিকদের রক্ষণে চিড় ধরাতে ব্যর্থ হন বার্সেলোনার খেলোয়াড়রা। অবশ্য সুযোগ যে একেবারে আসেনি তা নয়, তবে দুটি পরিষ্কার গোলের সুযোগ নষ্ট করে স্কোরবোর্ডে কোনো পরিবর্তন না এনেই বিরতিতে যায় বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে গেম ডেভেলপমেন্টে তেমন গতি ও মাঝমাঠ তেমন ধারালো পারফরম্যান্স করতে না পারায় ফলস নাইন পজিশনে খেলা ফেরমিন লোপেসকে রেখে দানি অলমোকে নামিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করেন ফ্লিক।
আরও পড়ুন: রেফারিং নিয়ে ফের বিতর্ক, তবে জিতে দুই মাদ্রিদকে টপকে শীর্ষে বার্সেলোনা
খেলা শুরুর পর থেকেই দেখা যায় অলমোর প্রভাব। দুর্দান্ত সব পাস দিয়ে লাস পালমাসের রক্ষণে ভীতি ছড়াতে থাকেন তিনি। ফলে দলটির ডিফেন্ডাররাও কিছুটা মনোযাগ হারায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ৬২তম মিনিটে লাস পালমাসের ডেডলক ভাঙেন অলেমো নিজেই।
এ সময় লামিন ইয়ামাল ও অলমোর দারুণ যুগলবন্দী দেখে সমর্থকরা, যার পরিণতিতে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় সফরকারীরা।
বল ধরে বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়ে বক্সের বেশ বাইরে থাকা অবস্থায় বিপরীত পাশে থাকা লামিনকে পাস দিয়ে বক্সের ভেতরে এগিয়ে যান অলমো। বল পেয়ে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়কে ড্রিবল করে অলমোর উদ্দেশে বক্সের ভেতর থ্রু বল বাড়ান লামিন। এরপর তা ধরে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে উড়ন্ত শট নেন অলমো, আর বল ক্রসবারে লেগে গোলের ভেতরে আছড়ে পড়ে।
৭০ দিন আগে
বেতিসকেও ৫ গোল দিয়ে কোপা দেল রের কোয়ার্টারে বার্সেলোনা
স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে গত রবিবার রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে যেখানে শেষ করেছিল বার্সেলোনা, কোপা দেল রের ম্যাচে বেতিসের বিপক্ষে যেন সেখান থেকেই শুরু করল তারা। আর কাতালানদের পারফরম্যান্সের আগুনে রিয়ালের মতো পুড়ে ছাই হলো মানুয়েল পেল্লেগ্রিনির শিষ্যরা।
বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে কোপা দেল রের শেষ ষোলোর ম্যাচে রিয়াল বেতিসকে ৫-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ফলে টানা দুই ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ৫ গোল পাঠাল দলটি।
এদিন বার্সেলোনার হয়ে গোলের দেখা পেয়েছেন পৃথক পাঁচ ফুটবলার— গাভি, জুল কুন্দে, রাফিনিয়া, ফেররান তোরেস ও লামিন ইয়ামাল। অন্যদিকে, পেনাল্টি থেকে বেতিসের একমাত্র গোলটি করেন বার্সা থেকে ধারে খেলা ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড ভিতর রকে।
সুপার কাপ এল ক্লাসিকোর পর এদিন আরও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন লামিন ইয়ামাল। ম্যাচসেরার পুরস্কারও তাই উঠেছে তার হাতেই।
আরও পড়ুন: রিয়ালকে ৫ গোল দিয়ে সুপার কাপ জিতল ১০ জনের বার্সেলোনা
গাভির গোলে ম্যাচের শুরুতেই এদিন এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। তৃতীয় মিনিটে মাঝমাঠ থেকে দানি অলমোকে দারুণ একটি পাস বাড়ান পেদ্রি, বক্সের সামান্য বাইরে থেকে ভেতরে ঢুকতে থাকা গাভিকে ডিফেন্সচেরা পাস দেন সম্প্রতি নিবন্ধন জটিলতায় পড়া এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার, আর তা থেকে গোল করে দলকে লিড এনে দেন ২০ বছর বয়সী গাভি।
তিন মিডফিল্ডারের নৈপুণ্যে গোল পেয়ে আরও আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে বার্সেলোনা। অষ্টম মিনিটে জুল কুন্দের বক্সের মধ্যে পাঠানো বল ধরে পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে শট নেন অলমো। তবে অসাধারণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে পড়ে তা ঠেকিয়ে দেন বেতিস গোলরক্ষক ফ্রান ভিয়েইতেস।
আক্রমণের মালা গাঁথার একপর্যায়ে অলমোর আরও একটি শট গোলপোস্টে লেগে ফিরে আসে। ২০তম মিনিটে নেওয়া ওই শটটি ফিরে এলে তা পেয়ে যান রাফিনিয়া, কিন্তু তিনিও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন।
তবে এর সাত মিনিট পর দুর্দান্ত বার্সেলোনাকে আর আটকে রাখতে পারেনি বেতিসের ডিফেন্ডাররা। এবারও গোলের কারিগর সেই পেদ্রি।
মাঝমাঠের কিছুটা সামনে থেকে এগোতে থাকা কুন্দের উদ্দেশে পাস দেন পেদ্রি, তবে তা না ধরে ডামি দিয়ে দ্রুত বক্সে ঢুকে পড়েন এই উইংব্যাক। আর পেছনে থাকা লামিন ইয়ামাল প্রথম ছোঁয়াতেই দারুণ এক ফ্লিকে কুন্দের কাছে পাঠিয়ে দেন বল। তা নামিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ২৬ বছর বয়সী ফরাসি ডিফেন্ডার।
এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা চার মিনিটের প্রথম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ তৈরি করে বেতিস। তবে সেই শটটি দিক পরিবর্তন করলেও বিপরীত দিকে পড়তে পড়তে হাত উঁচু করে কোনোরকমে তা ফিরিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক ইনিয়াকি পেনিয়া।
শেষ মিনিটে লামিন-কুন্দে যুগলবন্দীতে আরও একটি গোল পায় বার্সেলোনা, তবে ভিএআর রিভিউতে অফসাইড ধরা পড়লে ব্যবধান ২-০ রেখেই বিরতিতে যায় সদ্য স্প্যানিশ সুপার কাপ চ্যাম্পিয়নরা।
১০৮ দিন আগে
দ্বিতীয়ার্ধের চরম নাটকীয়তা শেষে ডর্টমুন্ড বধ বার্সেলোনার
বার্সেলোনা-ডর্টমুন্ড ম্যাচ মানেই যেন সুন্দর ফুটবল, আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ পসরা ও গোলের উচ্ছ্বাসের সমন্বয়ে জমজমাট এক লড়াই। এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। তবে উপভোগ্য ফুটবল উপহার দিয়েও নিয়তি মেনে শেষ পর্যন্ত ব্যথার মালা গলায় পরতে হয়েছে কালো-হলুদ জার্সিধারীদেরই।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনা ও ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি হওয়া সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোতে নিয়মিত ঘটনা হয়ে গেছে। এরই ধারাবাহিকতায় জিগনাল ইদুনা পার্কে স্বাগকিতদের ৩-২ গোলে হারিয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।
ম্যাচের নাটক, উত্তেজনা, উল্লাস- সবই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। তাই বলে প্রথমার্ধ যে ম্যাড়মেড়ে ছিল, মোটেও তা নয়।
এদিন ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই পরপর দুটি দারুণ সুযোগ পায় বার্সেলোনা। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে সুযোগগুলো মাঠে মারা যায়।
আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ম্যাচ এগিয়ে যাওয়ার মাঝে ত্রয়োদশ মিনিটে ফের আরেকটি সুযোগ তৈরি করে কাতালানরা। পাল্টা আক্রমণে উঠে বিপরীত পাশ ধরে অনেকটা ফাঁকায় এগোতে থাকা রাফিনিয়ার উদ্দেশে পায়ের পাতা দিয়ে বাঁকানো সিগনেচার পাস দেন লামিন ইয়ামাল। তবে সেবারও ফিনিংশের অভাবে সুযোগ হারায় দলটি।
চার মিনিট পর গোল করতে পারতেন মার্সেল জাবিৎসার, তবে সতীর্থের পাসে গতি থাকায় সুবিধা করতে পারেননি ডর্টমুন্ডের এই অস্ট্রিয়ান মিডফিল্ডার।
ম্যাচের শুরুতে বার্সাকে চেপে ধরার চেষ্টা করলেও সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। আর তটস্থ হয়ে তাদের স্পেস কমিয়ে দিতে এবং সুযোগ পেলেই ক্ষিপ্র গতিতে আক্রমণে ওঠার চেষ্টায় থাকে নুরি সাহিনের শিষ্যরা।
ভুগতে ভুগতে ৪০তম মিনিটের শুরুতে দারুণ একটি আক্রমণে উঠে গোল পেয়েই গিয়েছিল ডর্টমুন্ড, কিন্তু সতীর্থের কাছ থেকে আসা উড়ন্ত ক্রসে মাথা লাগিয়েও ইনিয়াকি পেনিয়াকে পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন সেরহু গিরাসি।
প্রথমার্ধে বলের ওপর একক আধিপত্য ধরে রাখলেও আক্রমণে খানিকটা নিষ্প্রভ ছিল বার্সা। ফলে গোলের উদ্দেশ্যে ৮টি শট নিয়ে তার তিনটি লক্ষ্যে রেখেও কাজের কাজ করতে ব্যর্থ হয় তারা।
অপরদিকে, প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে রক্ষণ সামলানো ডর্টমুন্ড মাঝেমধ্যে দুয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও বার্সার অফসাইড ফাঁদ কিংবা ডিফেন্ডারদের নৈপুণ্যে বারবারই হতাশ হয়। ফলে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন না আনতে পেরেই বিরতিতে যায় দুদল।
১৪৩ দিন আগে
এক ম্যাচ পর ফের বার্সেলোনার হোঁচট
লা লিগায় টানা তিন ম্যাচ অপরাজিত থেকে শীর্ষস্থান নড়বড়ে করার পর মায়োর্কার বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছিল বার্সেলোনা। তবে পরের ম্যাচেই রিয়াল বেতিসের মাঠে গিয়ে পয়েন্ট খুইয়েছে কাতালান জায়ান্টরা।
শনিবার বেনিতো ভিয়ামারিন স্টেডিয়ামে লা লিগায় নিজেদের ১৭তম ম্যাচটি রিয়াল বেতিসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করেছে বার্সেলোনা।
প্রথমার্ধে ৩৯তম মিনিটে লেভানডোভস্কির গোলে এগিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই লিড হারায় বার্সেলোনা। ম্যাচের ৬৮তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল আদায় করে স্বাগতিকদের সমতায় ফেরান জিওভানি লো সেলসো। এরপর ম্যাচের ৮২তম মিনিটে ফেররান তোরেসের গোলে বার্সেলোনা এগিয়ে গেলেও অতিরিক্ত যোগ করা সময়ে ফের ম্যাচে সমতা টানেন বেতিসের বদলি নামা ফরোয়ার্ড আসানে দিয়াও।
এদিন ম্যাচের শুরু থেকেই মুহুর্মুহু আক্রমণে বার্সার রক্ষণে কাঁপুনি ধরিয়ে দেয় বেতিস। এর মধ্যে ম্যাচের প্রথম দুই মিনিটেই গোল করার দুটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে তারা। তবে বার্সার রক্ষণভাগ ও গোলরক্ষকের কল্যাণে শুরুতেই পিছিয়ে পড়া থেকে বেঁচে যায় সফরকারীরা।
শুরু ধাক্কা সামলে দ্রুতই খোলস ছেড়ে বেরিয়ে ছন্দে ফেরে বার্সেলোনা। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে ম্যাচের ৩৯তম মিনিটে গোলের খাতাও খোলে তারা।ডান দিকে দিয়ে আক্রমণে উঠে লামিন, পেদ্রির পা ঘুরে বল আসে এগোতে থাকা জুল কুন্দের কাছে। তিনি খানিকটা এগিয়ে গিয়ে গোলমুখে সতীর্থের উদ্দেশে ক্রস দেন, আলতো টোকায় তার নিচু ক্রস থেকে ঠিকানা খুঁজে নেন রবের্ট লেভানডোভস্কি।
এর ফলে লা লিগায় ১৬ ম্যাচে তার গোলসংখ্যা বেড়ে হলো ১৬টি। এছাড়া সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ২১ ম্যাচে ২৩ গোল করলেন এই পোলিশ স্ট্রাইকার। শুধু তা-ই নয়, ২০১৮/১৯ মৌসুমে লিওনেল মেসির পর লা লিগায় এই প্রথম কোনো খেলোয়াড় মৌসুমের প্রথম ১৬ ম্যাচে ১৬ বা তার বেশি গোল করলেন। চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের দুই তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিউস জুনিয়র ও কিলিয়ান এমবাপ্পে যৌথভাবে গোল করেছেন ১৬টি।
১৪৭ দিন আগে
প্রায় পুরো ম্যাচ ১০ জনে খেলা স্পেনে বিধ্বস্ত সুইজারল্যান্ড
স্পেন কেন বর্তমানে ইউরোপের সেরা দল, আজ তার সবচেয়ে পরিষ্কার প্রমাণ দেখল বিশ্ব। ম্যাচের ৭০ মিনিটের বেশি সময় দশ খেলোয়াড় নিয়ে খেলে, রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলে কোনোমতে প্রতিপক্ষকে ঠেকিয়ে, চকিতে পাওয়া সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলা সুইজারল্যান্ডের ঘরের মাঠ থেকে ৪-১ ব্যবধানের জয় তুলে নিয়েছে তারা।
জেনেভায় নেশন্স লিগের ‘এ’ লিগের চতুর্থ গ্রুপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে রবিবার রাতে স্বাগতিক সুইসদের বিপক্ষে বড় জয়ে নকআউটে যাওয়ার পথে ফিরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
দলের হয়ে মাঝের দুটি গোল করেন মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইস এবং বাকি গোলদুটি থেকে ম্যাচের প্রথম গোলটি করেন রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ড হোসেলু এবং শেষেরটি বার্সেলোনা স্ট্রাইকার ফেররান তোরেস। অপরদিকে, সুইসদের একমাত্র গোলটি করেন জেকি আমদুনি।
প্রথম ম্যাচে সার্বিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর এদিন পুরোনো ধ্বংসাত্মক চেহারায় ফেরে লুইস দে লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা। ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের পর আক্রমণ চালাতে থাকে তারা।
এরই ধারাবাহিকতায় তৃতীয় মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় স্পেন এবং দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতেই গোল পেয়ে যায় তারা।
আরও পড়ুন: সার্বিয়ার ‘রক্ষণ দুর্গ’ ভাঙতে ব্যর্থ চ্যাম্পিয়নরা
পাল্টা আক্রমণে উঠে বক্সের ভেতর থেকে শট নিলে হোসেলুর সেই শট ঠেকিয়ে কর্নারে পরিণত করেন ইয়ান জমারের অবসরের কারণে সুইসদের গোলপোস্ট সামলানো গ্রেগর কোবেল। এরপর শর্ট কর্নারের পর ডান দিক থেকে প্রতিপেক্ষর একাধিক ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে ভেতরে ঢুকে গোলমুখে ক্রস দেন লামিন ইয়ামাল। সেখান থেকে হেডারে বল লক্ষ্যে পাঠান হোসেলু। শূন্যে ভাসা অবস্থায় কোবেল বল ক্লিয়ার করলেও ভিএআর রিভিউতে দেখা যায় ততক্ষণে গোললাইন অতিক্রম করেছে বল। ফলে গোল পেয়ে ম্যাচে এগিয়ে যায় স্পেন।
চার মিনিট পরই অবশ্য চমৎকার এক পাল্টা আক্রমণে উঠে সমতায় ফেরে সুইজারল্যান্ড। তবে অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়ে যায়। বাঁ পাশ ধরে উঠে গিয়ে গোলমুখে ক্রস দেন ব্রাইল এম্বলো, কিন্তু বেসির ওমেরাজিক বল জালে পাঠালেও ভিএআর রিভিউতে দেখা যায়, অফসাইড ছিলেন তিনি।
ত্রয়োদশ মিনিটে লামিন ইয়ামালের নৈপুণ্যে ব্যবধান বাড়ায় স্পেন। নিজেদের অর্ধ থেকে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে চ্যালেঞ্জ করে বল কেড়ে নেন ১৭ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান তরুণ। এরপর দ্রুতগতিতে বল নিয়ে উঠে গিয়ে বক্সের কিছুটা বাইরে থেকে তারই সঙ্গে দ্রুত গতিতে এগিয়ে আসা নিকো উইলিয়ামসকে পাস বাড়ান লামিন। নিকো সেখান থেকে এক ডিফেন্ডারকে ড্রিবল করে গোলে শট নিলেও তার প্রচেষ্টা ফিরিয়ে দেন কোবেল। কিন্তু ভাগ্য সহায় না থাকলে যা হয়; বল এসে পড়ে ছয় বক্সের বাইরে থাকা ফাবিয়ান রুইসের সামনে। সময় নষ্ট না করে সেখান থেকে জোরালো শটে ঠিকানা খুঁজে নেন এই মিডফিল্ডার।
২৩৭ দিন আগে
রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিক, ৭-০ ব্যবধানে জিতল বার্সেলোনা
হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় নতুন দিনের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছে বার্সেলোনা সমর্থকরা। আর্থিক সংকটের কারণে চাহিদামতো খেলোয়াড় কিনতে না পারা এবং চোটজর্জর দল নিয়েও লিগের প্রথম চার ম্যাচে জয় পেয়েছে ক্লাবটি। তবে চতুর্থ ম্যাচে বিরাট জয়ে ভক্তেদের প্রত্যাশা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে তার দল।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বার্সেলোনার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রিয়াল ভায়াদোলিদের বিপক্ষে ৭-০ গোলের বিশাল জয় পেয়েছে কাতালুনিয়ার ক্লাবটি।
এই ম্যাচে ক্যারিয়ারের প্রথম হ্যাটট্রিক করেছেন বার্সার ব্রাজিল ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া। এছাড়া শুরুতেই পিচিচির দৌড়ে থাকা রবের্ট লেভানডোভস্কি, দানি অলমো, ফেররান তোরেস ও জুল কুন্দে পেয়েছেন একটি করে গোলের দেখা। তবে গোল না পেলেও এদিন দুটি অ্যাসিস্ট করে নিজের প্রতিভার সাক্ষর রেখেছেন লামিন ইয়ামাল।
আরও পড়ুন: বার্সার দায়িত্ব নিয়ে শিরোপা জিততে বদ্ধপরিকর ফ্লিক
এদিন ম্যাচের ২০তম মিনিটে রাফিনিয়ার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ৩-০ ব্যবধান গড়ে বিরতিতে যায় বার্সেলোনা। বিরতির পর তারা প্রতিপক্ষের জালে আরও চারবার বল পাঠায়।
ম্যাচের দশম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত বার্সেলোনা, কিন্তু অফসাইডের কারণে দানি অলমোর গোলটি বাতিল হয়ে যায়।
বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া রাফিনিয়ার বুলেট শট প্রতিহত করলেও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন ভায়াদোলিদ গোলরক্ষক কার্ল হাইন। বল তার কাছ থেকে সামনে চলে আসলে এগিয়ে গিয়ে তা জালে জড়িয়ে দেন অলমো, কিন্তু ভিএআর রিভিউতে রেফারির অফসাইডের সিন্ধান্ত বহাল থাকলে হতাশ হয় বার্সার সমর্থকরা।
চতুর্দশ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রবের্ট লেভানডোভস্কির শট ঠেকিয়ে দেন হাইন। ষোড়শ মিনিটে তার আরও একটি হেডার পোস্টের বাইরে বেরিয়ে যায়। তবে ২০তম মিনিটে রাফিনিয়ার চমৎকার এক গোলে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা।
মাঝ মাঠ থেকে রাফিনিয়ার দৌড় দেখেই শূন্যে ভাসিয়ে লং পাস দেন পাউ কুবারসি। এরপর প্রতিপেক্ষের বক্সের বেশ বাইরে থেকে বুক দিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনাকুনি এগিয়ে গিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড।
২৪৫ দিন আগে