স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা-পুনর্বাসনে একযোগে কাজ করতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে আমরা অনেক সন্তান হারিয়েছি। অনেক ছাত্র-জনতার অঙ্গহানি হয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, তাই আহতদের যথাযথ চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যাপারে আমাদের সবাইকেই একযোগে কাজ করতে হবে।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিংয়ের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আহতদের কয়েকজনকে রোবোটিকস ফিজিওথেরাপির জন্য ব্যাংককে পাঠানো হয়েছে। এই ব্যয়বহুল যন্ত্রপাতি আমাদের দেশে নেই।
তিনি আরও বলেন, আহতদের জন্য এক সেট রোবোটিকস ফিজিওথেরাপি যন্ত্রপাতি চীন থেকে বিনামূল্যে পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কার্যকরভাবে গড়ে তুলতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সেটা স্থাপন করলে দেশেই আহতদের রোবোটিকস ফিজিওথেরাপির চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানান নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, কানাডা আমাদের ডাক্তার, নার্স, ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে। হাসপাতালগুলোর ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানজনিত ব্যাপারে প্রশিক্ষণে সহযোগিতা করতে পারে।
কানাডার হাইকমিশনার অজিত সিং বলেন, কানাডা সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগিতা, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশেষ করে স্বাস্থ্য খাতে আইসিডিডিআরবি এবং ব্র্যাকের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। কানাডায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশির বসবাস রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশে যদি কিছু হয় সেটার প্রভাব কানাডাতেও পড়ে বলে জানান বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার।
সাক্ষাতকালে উপস্থিত ছিলেন কানাডিয়ান হাইকমিশনের কর্মকর্তা অ্যাডওয়ার্ড ক্যাবরেরা, ফারজানা সুলতানা ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্মসচিব মো. মামুনুর রশীদ।
আরও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
৪ দিন আগে
রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিতে হবে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য সেবায় ফিরে গেলে সামগ্রিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
তিনি বলেন, ‘আমরা খালি ওষুধের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছি, আসলে এটা কিন্তু স্বাস্থ্য সেবা না। এটা হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবসা। আমরা যদি সবাই রোগ প্রতিরোধে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্য সেবায় ফিরে যাই, তাহলে সামগ্রিকভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি সম্ভব।’
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) শাহবাগের বিএসএমএমইউ কনভেনশন হলে মেডিকেল ইকুইপমেন্ট ও ডিভাইস বিষয়ক সভায় উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা প্রেসার বা রক্তচাপের কথা বলি। কিন্তু প্রেসার কেন হয়, কি করলে প্রেসার হবে না, এজন্য জীবনযাত্রায় কি পরিবর্তন আনতে হবে এইগুলোর প্রতি আমাদের নজর দেওয়া উচিত।
এছাড়া প্রিভেনশন বা রোগ প্রতিরোধের প্রতি আমাদের খুবই গুরুত্ব দিতে হবে বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
আরও পড়ুন: বিদেশ গিয়ে ফিরে আসেননি ৪০ জনের বেশি চিকিৎসক: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সভায় সারাদেশের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সদর হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ, বিশেষায়িত হাসপাতালের যন্ত্রপাতির ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। এ সকল যন্ত্রপাতি ঠিকমত মেরামত, সংরক্ষনণ ও অকেজো যন্ত্রপাতি কাজের উপযোগী করার উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ডা. মো. সায়েদুর রহমান এবং স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব ডা. মো: সারোয়ার বারী।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশি আমেরিকান ব্যবসায়িক নির্বাহী উমর ইশরাক, মেডট্রনিক ল্যাবসের প্রেসিডেন্ট রুচিকা সিনঘাল, ঢাকার হাসপাতালগুলো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, পরিচালকরা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: তোপের মুখে পঙ্গু হাসপাতাল ছাড়লেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
১ সপ্তাহ আগে
বিদেশ গিয়ে ফিরে আসেননি ৪০ জনের বেশি চিকিৎসক: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, আমার কাছে ৪০ জনের বেশি চিকিৎসকের তালিকা আছে যারা বিদেশে গিয়ে দেশে আর ফিরে আসেননি। তাদেরকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও দেশে আসেননি।
তিনি বলেন, দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ নিক তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু ট্রেনিং করে তারা যাতে দেশে ফিরে আসে, এটাই আমার চাওয়া।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে বিশ্ব মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার দিবস উপলক্ষে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমাদের স্বাস্থ্যসেবাটা হয়ে গেছে চিকিৎসা ব্যবস্থাকেন্দ্রিক। রোগ যাতে না হয় সেজন্য যথাযথ প্রিভেন্টিভ ব্যবস্থা আমাদের নেওয়া উচিত। এজন্য আমাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা একান্ত জরুরি।
তিনি বলেন, আমি খুবই গর্বিত যে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার আগেই কোভিড পরিস্থিতিতে আমাদের চিকিৎসক, নার্স ও টেকনোলজিস্টরা কীভাবে চিকিৎসা দিয়েছেন। কাউকে দেশের বাইরে যেতে হয়নি। সবাই দেশে চিকিৎসাটা পেয়েছে। এই ধরনের মহাদুর্যোগগুলো যদি তারা সামলে নিতে পারেন, আশা করা যায় বাকি দুর্যোগগুলো তারা সামাল দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: তোপের মুখে পঙ্গু হাসপাতাল ছাড়লেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, সত্যিই খুব খুশি হব যদি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা করতে পারি। আমি চাই চিকিৎসকরা যতভাবে সম্ভব যেকোনো বিষয়ে যাতে প্রশিক্ষণ নিতে পারে এবং সেই শিক্ষাটা যাতে দেশেই থাকে। এতে এ দেশের মানুষ উপকার পাবে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে একটা কথা বলে রাখি- আমি মন্ত্রণালয়ের সভা বিবরণীতে দেখেছি যেখানে বলা আছে ২-৩ দিনে কোনো প্রশিক্ষণ হয় না। কথাটা কিন্তু ঠিক। তিনদিনের জন্য চিকিৎসকরা কী প্রশিক্ষণ নেবেন।
তিনি বলেন, তিনদিনের প্রোগ্রাম সভা, সিম্পোজিয়াম হতে পারে, তবে আমি মনে করি ট্রেনিংয়ের সময় আরও বাড়ানো উচিত। আমরা যাতে হাতে কলমে বিষয়গুলো শিখতে পারি সেসব বিষয়গুলো ট্রেনিংয়ে যাতে থাকে।
এছাড়া দীর্ঘ প্রশিক্ষণে আমার কোনো আপত্তি নেই, সেটা হোক এক সপ্তাহ কিংবা হোক দুই সপ্তাহ বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।
এদিকে ডিমেনশিয়ার এবং মুভমেন্ট ডিসঅর্ডার নিয়েও আমাদের দেশ থেকেই গবেষণা হওয়া উচিত বলেও মনে করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের আহ্বায়ক চিকিৎসক এম এ হান্নানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব নিউরোসায়েন্সেসের পরিচালক ডা. কাজী দীন মোহাম্মদ, সোসাইটি অব নিউরোলজিস্ট অব বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নাজমুল হুদা।
৩ সপ্তাহ আগে
আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবারের ন্য সরকারের একটা বরাদ্দ আছে, সেটা তারা পেয়ে যাবেন। যারা আহত হয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে তাদের সঠিক চিকিৎসাটা দেওয়া। সেটা নিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডাক্তারদের পরামর্শে আহত তিনজনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে। আরও দুইজনের কথা বলা হচ্ছে। এরপর আরও ২৫ জনকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো হবে। সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি পাচ্ছে সেটা হচ্ছে আহতদের চিকিৎসা।’
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে হাসপাতালের বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে নানা ধরনের বহুমুখী সমস্যা আছে। বিভিন্ন হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে পর্যাপ্ত চিকিৎসক নার্সের সংকট রয়েছে। যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। অনেক জায়গায় এম.আর.আই মেশিন, এক্সরে মেশিন নষ্ট। এসব সমস্যা সমাধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে হর্নমুক্ত ঘোষণা করা হবে ঢাকার ১০টি রাস্তা: উপদেষ্টা
নূরজাহান বেগম বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য চায়না, নেপাল, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এসেছে। নেপাল ৫০ জনের চোখের কর্নিয়া স্থাপনের ব্যবস্থা করছে। এরইমধ্যে দুইজনের চোখে সফলভাবে কর্নিয়া প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা আরও বলেন, আন্দোলনে যারা আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেক শ্রেণির পেশার মানুষ আছেন। অনেকে হাত হারিয়েছেন, অনেকে পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। আহতদের অনেকে নানা ট্রমার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। এটা শুধু মন্ত্রণালয়ের না, পুরো জাতির বিষয়।
কোভিডকালীন সময়ে ডাক্তারদের অবদানের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, কোভিডকালীন পরিস্থিতিতে ডাক্তাররা যে সেবাটা দিয়েছেন, অনেক ডাক্তারও কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আমরা তাদের স্মরণ করি না। কিন্তু তারা অনেক দিয়েছেন জাতির জন্য। বৈষম্যের যে কথা উঠে এসেছে সেটা নিয়ে আমি বলব শুধু ডাক্তাররা নয়, নার্সরাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হয়েছেন।
পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ, শিশু বিভাগ, আইসিইউ, ইসিজি রুম, এডাল্ট রিসাসিটেশন রুম, অবজারভেশন রুম, ল্যাবরেটরিসহ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ পরিদর্শন করেন এবং হাসপাতালের ভর্তি রোগীদের সঙ্গে চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অং সুই প্রু মারমাসহ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সবসময় ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে আছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
১ মাস আগে
জরায়ু ক্যানসার রোধে কার্যকরী এইচপিভি টিকা নিয়ে নানা রকম অপপ্রচার চলছে: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেছেন, জরায়ু ক্যানসার রোধে এইচপিভি টিকা নিয়ে নানা রকম অপপ্রচার চলছে, নানা রকম কথাবার্তা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, অপপ্রচার সবসময় থাকে। এছাড়া মানুষ যদি সচেতন হয়, যে যে দিক থেকে বাধা দিক, তা অতিক্রম করা সম্ভব।
রবিবার (৩ নভেম্বর) এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৪ উপলক্ষে চট্টগ্রাম জাতীয় পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মোবাইলে কলরেট হ্রাস ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
তিনি বলেন, একসময় আমরা ফ্যামিলি প্লানিং ও ডায়রিয়া নিয়ে কাজ করেছি, তখনো অপপ্রচার ছিল। অপপ্রচার বন্ধের শক্তি হচ্ছে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। এটার ওপর আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সিটি করপোরেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, কওমি মাদরাসার প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিভাগের কর্মকর্তা, শিক্ষক সমাজসহ বিভিন্ন স্তরের অংশীদারদের সঙ্গে সভা করেছি, যাতে সবার অংশগ্রহণে এইচপিভি টিকা কার্যক্রমটা আমরা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন করতে পারি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, এইচপিভি টিকা কার্যক্রমে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। ইতোমধ্যে ২৫ লাখ টিকা দেওয়া হয়েছে। আশা করি সবার সহযোগিতায় বাকি সময়ের মধ্যে আমরা ৯০ শতাংশ টিকা দেওয়া সম্পূর্ণ করতে পারব।
উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আমরা দেশের প্রত্যেকটা হাসপাতালে, ক্লিনিকে বিশেষভাবে ডাক্তারদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। প্রত্যেকটা হাসপাতালে ডেঙ্গু বিষয়ে ফোকাল কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে এবং আলাদা ইউনিট গঠন করা হয়েছে। আপনারা যদি তুলনা করে দেখেন গত বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অনেক কম।
নূরজাহান বেগম আরও বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে ডেঙ্গু সংক্রমণ এবং মৃত্যু আরও কমানো যায়। এটা শুধু সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না। আমরা ছাত্র-জনতা প্রত্যেকেই যদি ডেঙ্গু প্রতিরোধে এগিয়ে আসি, তাহলে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারব।
অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ পর্যালোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অফিসার ডা. চিরঞ্জিত দাস, ইউনিসেফের চিফ এসবিসি সেকশন প্রতিনিধি ব্রিজেত জব জনসন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) অং সুই প্রু মারমাসহ আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: আসিয়ানের সদস্যপদ পেতে ইন্দোনেশিয়ার সমর্থন চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
১ মাস আগে
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৭৩৭, আহত ২৩ হাজার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেছেন, জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৭৩৭ জন নিহত হয়েছেন।
আহত হয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি মানুষ।
আরও পড়ুন: মেরিটাইম সেক্টর অসীম সম্ভাবনার এক বিরাট ক্ষেত্র: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
সোমবার (৭ অক্টোবর) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আন্দোলনে ৭৩৭ জন নিহত, এটা ভেরিফায়েড নয়। ছাত্রদের একটা তালিকা আছে। সেখানে বলা হয়েছে, নিহত ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি। ছাত্ররা তাদের তালিকা দিলে আমরা ক্রস চেক করে দেখব।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে আহত হয়েছেন ২৩ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ৪০০ জন চোখ হারিয়েছেন। আর দুই চোখ হারিয়েছেন ৩৫ জন।
আরও পড়ুন: সংখ্যালঘু বা গরিষ্ঠ নয়, সবাই আমরা একই পরিবারের: উপদেষ্টা
২ মাস আগে
ছাত্র আন্দোলনে আহত ১৪ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম বলেছেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ৬৭ জন চিকিৎসা নিয়েছেন, তারা অনেকে চলে গেছেন আবার হয়তো ফলোআপে আসবেন।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, বর্তমানে ১৪ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাকে বিদেশে নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গেলে সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: সারাদেশে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ ২২ দিন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন একজনের অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় এখানে আর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো হবে। আমরা রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।
তিনি আরও বলেন, আপনারা তো বুঝতে পারছেন, এখানে চিকিৎসার ব্যাপারে অনেক ব্যয় ছিল, সেগুলো নিয়ে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা এই চিকিৎসার টাকা নেবে না বলে আমাদের জানিয়েছেন। দেশের বাইরে আমাদের তাকে পাঠানোর আলোচনা চলছে, তবে কোন দেশে পাঠানো হবে সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, আপনারা জানেন কয়েকদিন আগে চীনের একটি চিকিৎসক দল বাংলাদেশে এসেছিল, তাদের কয়েকজনের ব্যাপারে অবজারভেশন ছিল, তারা আবার সেটি চীনে গিয়ে আমাদের জানাবে। চীনের চিকিৎসক দল জানিয়েছে, বাংলাদেশের চিকিৎসকরা তাদের ভালোমানের চিকিৎসা দিয়েছে। নেপালের ৩ সদস্যের একটি চক্ষু চিকিৎসক দল আমাদের দেশে আছে।
আন্দোলনে আহত অনেকে চিকিৎসার টাকা পাচ্ছে না বলে অভিযোগে আসছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মনে হয় এই কথা ঠিক নয়। আমরা ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘোষণা দিয়েছি অর্থাৎ সরকার বলেছে আপাতত সব চিকিৎসার ব্যয় সরকার নেবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা সব হাসপাতাল থেকে তালিকা নিয়ে সেই অনুযায়ী আহত রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। তাদের কাছে জিজ্ঞেস করুন, চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় কারো কোনো টাকা পয়সা দিতে হয়েছে কি না। আমাদের কাছে এমন কোনো কমপ্লেইন নেই, যদি কোনো কমপ্লেইন থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা স্থানীয় সরকার বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি এবং কয়েক দফা বৈঠক করেছি। এখানে দুইটি বিষয় আছে, একটি হচ্ছে চিকিৎসা সেবা দেওয়া, আরেকটি হচ্ছে সচেতনতা। কুর্মিটোলা হাসপাতাল, ডিএনসিসি হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং এখানে অতিরিক্ত চিকিৎসকও দেওয়া হয়েছে। এখানে কয়েকটি টিম করে দেওয়া হয়েছে। জনগণ যদি সচেতন হয় তাহলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অপরিকল্পিত: শিক্ষা উপদেষ্টা
২ মাস আগে
শাটডাউন তুলে নিতে চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ স্বাস্থ্য উপদেষ্টার
ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) চিকিৎসকদের মারধর ও ভাঙচুরের ঘটনায় সারাদেশে চিকিৎসকদের ডাকা শাটডাউন তুলে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
এসময় উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে দুইটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা অভিযোগ করেছেন চিকিৎসা ঠিক মতো হয়নি তাদের জন্য একটা। আর যারা ডাক্তারদের গায়ে হাত তুলেছে, সেটা দেখার জন্য আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দায়ীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের স্বজনদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে চিকিৎসকরা সারাদেশের শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বিজ্ঞান গবেষণায় দেশকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে চাই: উপদেষ্টা
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, ‘তোমরা আমার সন্তানের মতো। শাটডাউন তুলে নাও। মানুষের সেবা করার জন্য এসেছ। নিজেকে উজাড় করে দিয়েছ। আবারও উজাড় করে দাও। এছাড়া তোমরা প্রমাণ কর, মানুষের সেবার জন্য এসেছ। মানুষের দুঃখে তোমাদের মন কাঁদে, তাদের জন্য তোমরা আছ। এটাই তোমাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ।’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, প্রথমে ঢামেকে একজন ছাত্র মারা যায়। যেকোনো মৃত্যু মানুষের জন্য সত্যি পীড়াদায়ক। ডাক্তাররা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি। কারণ তার মাথায় বড় আঘাত ছিল। ছাত্রটি মারা যাওয়ার পর তার আত্মীয়-স্বজন সেখানে গণ্ডগোল শুরু করেন। হাসপাতালের পরিচালক তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন- এখানে আমাদের গাফিলতি থাকলে আমরা সুস্থ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। তারা এই কথায় কর্ণপাত না করে আমাদের ডাক্তারদের ওপর হাত তোলে। এভাবে আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক হয়নি। এটা অন্যায়।
তিনি বলেন, এরপর কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। কিন্তু অন্য গ্রুপ তার চিকিৎসা দিতে বাধা দেয়। কিন্তু পরে সেও মারা যায়। এরপর বিষ খাওয়া রোগী একজন ঢাকা মেডিকেলে মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ভুলে গেলে চলবে না কোভিডের সময় ডাক্তাররা দিন নেই, রাত নেই সেবা করে গেছে। এখন যে বন্যা দেখা দিয়েছে সেখানেও ডাক্তাররা দিনরাত খেটে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কথায় কথায় তাদের গায়ে হাত তোলা এটা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
নুরজাহান বেগম বলেন, যারা এ কাজ করেছে, আমি এ ঘটনায় নিন্দা জানাই। আমি আমার সব ডাক্তারকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, নিশ্চয়ই সিসিটিভি ফুটেজে এগুলো আছে, সেই ফুটেজ বিশ্লেষণ করে আমি তাদের আইনের আওতায় আনব এটা আমার অঙ্গীকার।
তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে বলব- এই ডাক্তাররা আপনার সন্তানের মত। কারো ছেলে, কারো ভাই, তাদের জন্য একটু মানবিক হন। আবেগের বশে আমি কারো গায়ে হাত তুলে দিলাম, এটা ঠিক নয়। আইনটা নিজের হাতে তুলে নিলে দেশ আর দেশ থাকে না। বিশৃঙ্খল হয়ে যায়।’
স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘ডাক্তাররা শাটডাউন ঘোষণা করেছে। চিকিৎসা সেবা না পেলে কেউ টিকতে পারবে? দেশ ঠিক থাকবে? থাকবে না। আমি সবাইকে অনুরোধ করব আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।’
যারা শাটডাউন ডেকেছে তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য যাবেন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আমি আশা করি তারা আমার কথা শুনবেন।
আরও পড়ুন: ৭ ইসলামি দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনায় বেশির ভাগ দলের দাবি নির্বাচনের সময়সীমা
৩ মাস আগে