৫ দিনের রিমান্ড
সাংবাদিক তুরাব হত্যা, পুলিশের এডিসির ৫ দিনের রিমান্ড
গত ১৯ জুলাই সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিক এটিএম তুরাবকে গুলি করে হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার সাদেক কাওসার দস্তগীরকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সোয়া ৫টায় তাকে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে তোলা হয়।
এ সময় সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুর রব জানান, সাদেক কাওসার দস্তগীরকে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) শেরপুর জেলার একটি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রার শর্ত শিথিল করল আইএমএফ
এর আগে ১৭ নভেম্বর রাতে এ মামলার আরেক আসামি পুলিশের কনস্টেবল উজ্জ্বলকে ঢাকা থেকে পিবিআই গ্রেপ্তার করে। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ১৯ আগস্ট সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আবুল হাসান মো. আজরফ (জাবুর)।
মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম- উত্তর) মো. সাদেক দস্তগীর কাউছার, উপকমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
৩ দিন আগে
হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে আ.লীগ নেতা মিন্টু ও বাবু
পৃথক দুটি হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা সাইদুল করিম মিন্টু ও কাজী কামাল আহমেদ বাবুকে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালতের বিচারক রোমানা আফরোজ এ আবেদন মঞ্জুর করেন।
সাইদুল করিম মিন্টু ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু আওয়ামী লীগের ত্রাণ সমাজকল্যাণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: দুই দিনের রিমান্ডে দেশ টিভির এমডি আরিফ
২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জেলা শহরের হাটের রাস্তায় জামায়াত নেতা আব্দুস সালাম নিহতের ঘটনায় চলতি বছরের ২৬ আগস্ট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলামসহ ৭০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০০ জনের নামে সদর থানায় মামলা হয়। এরপর, ২০১৫ সালের ২৯ জুন জেলা শহরের গুলশানপাড়া এলাকায় তরিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা করা হয়।
সিআইডির পক্ষ থেকে আদালতে সালাম হত্যা মামলায় ৭ দিন ও তরিকুল হত্যা মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে তাদের পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
সাইদুল করিম মিন্টু ও গ্যাস বাবু ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা মামলায় (কোলকাতার সঞ্জিভা গার্ডেনে হত্যার ঘটনা ঘটে) আগে থেকেই গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাইদুল করিম মিন্টুকে গত ১১ জুন বিকাল ৪টার দিকে ঢাকার ধানমণ্ডি এলাকা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল। অপরদিকে, একই ঘটনায় গত ৬ জুন রাতে ঝিনাইদহ শহরের আদর্শপাড়া এলাকা থেকে গ্যাস বাবুকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা মামলার অন্যতম আসামি শিমুল ভূঁইয়ার নিকটাত্মীয় কাজী কামাল আহম্মেদ বাবু।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক মন্ত্রী আমু
২ সপ্তাহ আগে
৫ দিনের রিমান্ডে আ. লীগ নেতা ডা. আবু সাঈদ
বিস্ফোরক ও নাশকতার মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. আবু সাঈদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন আহমেদ হ্যাপী এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে ব্যারিস্টার সুমন কারাগারে, জামিন নামঞ্জুর
ডা. আবু সাঈদ জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ও স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি।
এছাড়া তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ৪ আগস্ট বিস্ফোরণ ও নাশকতার দায়ে ২৫ অক্টোবর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শহরের শেরপুর এলাকার বাসিন্দা আনিছুর রহমান। মামলায় জেলার সাবেক দুই মন্ত্রীসহ ২৪০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়। সেই মামলায় ২৩ নম্বর আসামি ডা. মো. আবু সাঈদ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতের পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাঈদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আরও পড়ুন: রিমান্ড ও জামিন নামঞ্জুর, সাবেক এমপি দবিরুল কারাগারে
১ মাস আগে
দেশে ফিরেই আটক সাবেক এমপি সুলতান মনসুর; ৫ দিনের রিমান্ডে
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় সাবেক এমপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তন্ময় কুমার বিশ্বাসের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম রাগীব নূর এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকেই সুলতান মনসুরকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী
সেসময় ডিবিপ্রধান রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, কিছু অভিযোগের কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সুলতান মনসুর অনেকদিন ধরেই যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরুর অনেক আগে থেকেই দেশের বাইরে ছিলেন তিনি।
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে সংস্কারপন্থি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ায় আওয়ামী লীগ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাকে। পরে ড. কামাল হোসেনের দল গণফোরামে যুক্ত হয়ে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন তিনি।
২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে গণফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়েন। ওই জোটের হয়ে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে নির্বাচন করেন সুলতান মনসুর।
আরও পড়ুন: সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে ৪৮ কেজি গাঁজা জব্দ, গ্রেপ্তার ৩
২ মাস আগে
ফের ৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনু
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ট্রাকচালক সুজন হত্যা মামলায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর ফের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালত মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) শুনানি শেষে তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ৪ দিনের রিমান্ডে টিপু মুনশি
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক সবুজ রহমান ইনুকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
প্রথমে তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এর পর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়।
হাসানুল হক ইনুর পক্ষে তার আইনজীবী মোহাম্মদ সেলিম রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
শুনানির সময় ইনুর আইনজীবী আদালতে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ‘যৌক্তিক’ ছিল বলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানিয়েছিলেন হাসানুল হক ইনু।
আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানান, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন যৌক্তিক। তিনি আন্দোলনের দাবি-দাওয়া মেনে নিতে শেখ হাসিনাকে অনুরোধও করেন।
অপরদিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত তার রিমান্ডের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: হাজী সেলিমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
পলক, টুকুসহ ৬ জন আবারও রিমান্ডে
৩ মাস আগে