উপদেষ্টা হাসান আরিফ
উপদেষ্টা হাসান আরিফের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের দ্বিতীয় জানাজা শনিবার সকালে হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আরিফ শুক্রবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
শুক্রবার বাদ এশা ধানমন্ডি ৭ নম্বর রোডের বায়তুল আমান মসজিদে আরিফের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা আরিফের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাতে বিমানবন্দর থেকে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে ছুটে যান এবং তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
ভূমিমন্ত্রীর জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান করিম জানান, দুপুর ১২টায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও ভূমি ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
তার মেয়ে বিদেশ থেকে আসার পর তার দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গত ৮ আগস্ট আরিফকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরদিন তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
গত ২৭ আগস্ট তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
১০ নভেম্বর তাকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।
১ দিন আগে
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীও যেন মারা না যায়: উপদেষ্টা হাসান আরিফ
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, গত বছর এই দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৭ জন রোগী মৃত্যুবরণ করেন। আজ মৃতের সংখ্যা একজন। এতে আমাদের সন্তুষ্ট হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের লক্ষ্য হবে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজন রোগীও যেন মারা না যায়।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যুদ্ধের আশঙ্কা নেই: রাজনাথের মন্তব্য প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
রবিবার সচিবালয়ে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ডেঙ্গু যাতে না বাড়ে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা ও সচেতনতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সচেতনতা বাড়াতে প্রতি শুক্রবার মসজিদ, মন্দিরসহ সব ধর্মীয় উপাসনালয়গুলোতে প্রচারণা চালানো হবে।
আরও পড়ুন: ২০২৫ সালের বাণিজ্য মেলা জানুয়ারি মাসেই অনুষ্ঠিত হবে: উপদেষ্টা
তিনি বলেন, উন্নত দেশের ন্যায় দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গবেষণামূলক কার্যক্রম নেওয়া হবে। ডেঙ্গুবিষয়ক সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সংস্কৃতি কর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: সমন্বয়কদের প্রত্যাশা বাস্তবায়ন করবে উপদেষ্টা পরিষদ: উপদেষ্টা
৩ মাস আগে
শ্রমিক অসন্তোষ উসকে দেওয়ায় ‘বহিরাগতদের’ সতর্ক করেছেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ
সাভারের আশুলিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক অসন্তোষে বেশিরভাগই বহিরাগত উল্লেখ করে দেশের অর্থনীতি ও শ্রমিকদের রক্ষায় কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ. এফ. হাসান আরিফ।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি বৈঠক শেষে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষকদের জোরপূর্বক পদত্যাগ ও হয়রানি বন্ধের আহ্বান শিক্ষা উপদেষ্টার
মিটিংয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, মৎস্য ও প্রাণী উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
হাসান আরিফ বলেন, ‘চারদিকে যে শ্রমিক অসন্তোষ হচ্ছে, তা নিয়ে আজ আমরা বৈঠক করেছি। আমরা খবর পাচ্ছি প্রকৃত শ্রমিক যারা, তারা কেউ নিজের বাড়ি পোড়াবে না, কারণ এখানে তার জীবিকা। এটা বহিরাগতরা এসে করেছে। তাদের আপনারা (শ্রমিকরা) বাধা দেন, আপনারা তাদের বাধা দিলে আমরাও আপনাদের সঙ্গে থাকব। এমনভাবে তারা মিশে আছে, যে তাদের আলাদা করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও মাদক নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
‘প্রকৃত শ্রমিকরা এ ধরনের কোনো বিশৃঙ্খলা করছেন না। যেখানে তার জীবিকা, সে স্থান সে (শ্রমিক) ধ্বংস করবে না। আপনারা খেয়াল করে থাকবেন, যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ কারখানা, কুমিল্লায় প্রাণ কোম্পানির কারখানা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাণ কোম্পানিতে কোনোদিন শ্রমিক বিশৃঙ্খলা ছিল না। কিন্তু এই কোম্পানি যেহেতু দিনকে দিন বিশ্ব ছেয়ে ফেলছে, তাহলে এটা যদি নষ্ট হয়, তাহলে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার অর্জন বন্ধ হয়ে যাবে,’ যোগ করেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় কারখানা নষ্ট হয়ে যাবে, তাহলে কার লাভ হবে? কাজেই শ্রমিকরা কোনো বিশৃঙ্খলা করছেন না। যারা করছেন, তাদের অধিকাংশই বহিরাগত। তাদের কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে কারণে আমাদের একটু কঠিন হতে হবে। আমরা মনে রেখেছি, সরকার কোনো সময় তার নাগরিকের বিরুদ্ধে বলপ্রয়োগ করবে না, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এখন এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, কারখানা, শ্রমিক ও দেশের অর্থনীতি বাঁচাতে গেলে কিছু সংখ্যকের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। সে ব্যাপারে আমাদের আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক জনকেন্দ্রিক হোক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ
কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে বিষয়ে আরও চিন্তাভাবনা করতে হবে। তারা গ্রেপ্তার কিংবা আটক হতে পারেন।’
৩ মাস আগে