শহীদুল হক
হত্যা মামলায় সাবেক আইজিপি শহীদুল হকসহ ৩ জন রিমান্ডে
বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক ও যুগ্ম সচিব কিবরিয়াসহ ৩ জনকে ২ দিন করে রিমান্ডে দিয়েছেন আদালত।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ৮ বাসযাত্রীকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় সোমবার কুমিল্লা সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা সুলতানা এ রায় দেন।
আদালতে জেলা পিপি কায়মুল হক রিংকুর নেতৃত্বে ২০০ জন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীর উপস্থিতিতে শহিদুল হক, কিবরিয়া মজুমদার ও জহিরুল ইসলাম সেলিমকে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুন: রিমান্ডে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি পলক
আদালত থেকে ২ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় আসামি পক্ষে ছিলেন এইচ এম আবেদ নামের একজন আইনজীবী।
পিপি কায়মুল হক রিংকু বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে তার বাসায় বালুর ট্রাক দিয়ে আটকে চৌদ্দগ্রামে এই হামলার পরিকল্পনা করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এসবের সহযোগিতায় ছিল এই পুলিশ কর্মকর্তাসহ কতিপয় সরকারের সহযোগীরা। তারা ৮ জন নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছে। পরে আবার আমাদের মামলার হয়রানি করেছে। আদালতকে আমরা বুঝিয়েছি তাই মামলায় তাদের ২ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেছে। আমরা মামলার বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে ৩ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুরে আইকন পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আটজন নিহত হয়। এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ ৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে মামলা করে তৎকালীন পুলিশ।
তবে ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ১১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা আদালতে একই ঘটনায় পাল্টা মামলা দায়ের করেন নাশকতা কবলিত ওই বাসটির তত্ত্বাবধায়ক পরিচয়দানকারী আবুল খায়ের।
বর্তমান মামলাটিতে সাবেক রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক, সাবেক আইজিপি শহিদুল হক, র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, কুমিল্লার সাবেক পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীসসহ ১৩০ জনের নামোল্লেখসহ অন্তত ১৯০ জন আসামি রয়েছে।
এই মামলায় আজ কুমিল্লা আদালতে তাদেরকে হাজির করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় রিমান্ড শেষে কারাগারে মেনন, ইনু ও পলক
১ সপ্তাহ আগে
পৃথক হত্যা মামলায় আবদুল্লাহ আল–মামুন ও শহীদুল হক রিমান্ডে
পৃথক হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও শহীদুল হকের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আকতারুজ্জামানের আদালত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের ৮ দিন ও শহীদুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলন চলাকালে নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় শহীদুল হকের ও মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলায় মামুনের এ রিমান্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পলক, টুকুসহ ৬ জন আবারও রিমান্ডে
রিমান্ড শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক।
তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলেছি। হত্যা তো দূরের কথা, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি ন্যায়বিচার চাই।’
শহীদুল হকের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোরাদ খান। মামুনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোক্তারুজ্জামান। তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন: সাবেক অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ হিল কাফী ৮ দিনের রিমান্ডে
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে গত ১৯ জুলাই বছিলায় ৪০ ফিট চৌরাস্তায় আবু সায়েদ নিহত হন। এ ঘটনায় ১৩ আগস্ট এস এম আমীর হামজা নামে তার এক স্বজন আদালতে মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই নিউমার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রহমান শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ফের ৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক তথ্যমন্ত্রী ইনু
২ মাস আগে