পৃথক হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন ও শহীদুল হকের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আকতারুজ্জামানের আদালত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) আইজিপি আবদুল্লাহ আল মামুনের ৮ দিন ও শহীদুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলন চলাকালে নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় শহীদুল হকের ও মোহাম্মদপুরে মুদি দোকানদার আবু সায়েদ হত্যা মামলায় মামুনের এ রিমান্ড দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পলক, টুকুসহ ৬ জন আবারও রিমান্ডে
রিমান্ড শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চেয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হক।
তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমি পুলিশকে জনগণের পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলেছি। হত্যা তো দূরের কথা, আমি এসব বিষয়ে কিছুই জানি না। আমি ন্যায়বিচার চাই।’
শহীদুল হকের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন নিউমার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোরাদ খান। মামুনের রিমান্ড আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোক্তারুজ্জামান। তাদের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন: সাবেক অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ হিল কাফী ৮ দিনের রিমান্ডে
কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে গত ১৯ জুলাই বছিলায় ৪০ ফিট চৌরাস্তায় আবু সায়েদ নিহত হন। এ ঘটনায় ১৩ আগস্ট এস এম আমীর হামজা নামে তার এক স্বজন আদালতে মামলা করেন। মামলায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানাকে নির্দেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই নিউমার্কেট থানাধীন নীলক্ষেত এলাকায় পুলিশের গুলিতে ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ মারা যান। এ ঘটনায় তার শ্যালক আব্দুর রহমান শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।