উপদেষ্টা নাহিদ
মোবাইলে কলরেট হ্রাস ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট চালুর আহ্বান উপদেষ্টা নাহিদের
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, টেলিকমিনিকেশন খাতে উন্নতির জন্য সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
যুব সমাজের আগ্রহ ও চাওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে মোবাইল কলরেট কমানো ও মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন: নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে: নাহিদ ইসলাম
রবিবার (৩ নভেম্বর) মোবাইল অপারেটর রবি এবং গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ট্রানজিশন পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সরকার এই সময়টা সফলভাবে পার করতে পারলে দেশ ঘুরে দাঁড়াবে ও সম্ভাবনার দরজা খুলে যাবে। আর যদি না হয় তাহলে দেশ পিছিয়ে যাবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, যেহেতু আন্দোলন হয়েছিল কর্মসংস্থানকে কেন্দ্র করে তাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
এসময় উপদেষ্টা নাহিদ জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসায় সহযোগিতার আহ্বান জানান।
পৃথক পৃথক বৈঠকে রবি আজিয়াটা পিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মো. শাহেদুল আলম, গ্রামীণফোনের নতুন চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার: নাহিদ ইসলাম
২ সপ্তাহ আগে
রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত আসবে: উপদেষ্টা নাহিদ
আইনি বা সাংবিধানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং রাজনৈতিকভাবে আলোচনা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গভবন বা অন্য কোথাও কোনো ধরনের বিক্ষোভের প্রয়োজন নেই। জনগণের বার্তা পেয়েছি, আলোচনা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে যেতে হবে। তাই সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার জন্য মেডিকেল টিম গঠন ‘রুটিন বিষয়’
উপদেষ্টা বলেন, ‘জনগণের সমর্থনে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা বিদ্যমান সংবিধান এবং রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেছিলাম। তবে যদি আমাদের মনে হয়, এই সেটআপে রাষ্ট্র পরিচালনার কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বা জনগণ অসন্তুষ্ট, তাহলে আমরা এ বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করব।’
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কী থাকবেন না, এটি আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়। এটি একেবারেই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনা চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আমরা আলোচনা করছি। আলোচনার মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত হয়তো আসবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার ওপর। এটি আমাদের এই মুহূর্তে অগ্রাধিকার। আমরা জনগণের প্রতি আহ্বান রাখছি যাতে সচেতন থাকি, শান্ত থাকি।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনো ধরনের সুবিধাভোগী গোষ্ঠী বা নানা ধরনের যে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে, এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি না হয় যাতে তারা সুবিধা নিতে পারে। সে বিষয়ে সচেতন এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে একটা আল্টিমেটাম দিয়েছে। আমরা আমাদের জায়গা থেকে একটা আলোচনা করছি। এ বিষয়ে কোনো নির্ধারিত সময় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আলোচনার মাধ্যমে আমরা একটা যৌক্তিক সিদ্ধান্তে যেতে পারব, যেটা আমাদের রাষ্ট্র ও জনগণের পক্ষে যাবে, সে সময় আমরা সিদ্ধান্ত নেব এবং সবাইকে জানিয়ে দেব।’
তিনি বলেন, ‘পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি তারা বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রসহ মিছিল করছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালাচ্ছে। পাশাপাশি চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের দূরত্ব বেড়েছে। আমরা যাতে সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখি। ফ্যাসিবাদী শক্তি যাতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটা প্রতিরোধ তৈরি করি।’
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক নয়, শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২৫২ এসআইকে অব্যাহতি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৪ সপ্তাহ আগে
মানুষ কেমন বাংলাদেশ চায় তা দেয়ালে দেয়ালে লেখা হয়ে গেছে: উপদেষ্টা নাহিদ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা নতুন সংবিধানের কথা বলছি, সংবিধান দেশের দেয়ালে দেয়ালে লেখা হয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ কেমন বাংলাদেশ দেখতে চায় তা গ্রাফিতির মাধ্যমে দেয়ালে দেয়ালে তুলে ধরেছেন তরুণরা।’
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) জাতীয় জাদুঘরে গ্রাফিতি প্রদর্শনী ও বিপ্লবের লাল কবিতা পাঠ আয়োজনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময়
উপদেষ্টা বলেন, যে ছাত্র-জনতা এই অভ্যুত্থান করেছে তাদের সংগঠিত হতে হবে। এই আন্দোলনের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষা তারাই ধারণ করে।
বাংলাদেশ গড়তে অভ্যুত্থানকারী ছাত্র-জনতাকে রাষ্ট্রের চালিকাশক্তি হতে হবে বলে মন্তব্য করেন নাহিদ ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববাসী অভ্যুত্থানকে বুঝতে চাচ্ছে। পৃথিবীর ইতিহাসে অভিনব অভ্যুত্থান হয়েছে যাকে বিপ্লবের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান জেন-জি প্রজন্মকে সবাই ভোগবাদী, স্বার্থবাদী হিসেবে ভেবেছে তারাই নিজের জীবন উৎসর্গ করে এই বিপ্লব সংঘটিত করেছে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম। এর ফলে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই বিপ্লব ছড়িয়ে পড়েছে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মানুষ দেখতে চায় আমরা এখন কী কাজ করি। দেশের জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই যে আমরা ভাঙতে পারি না আমরা গড়তেও পারি। যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রমাণ করব।’
তিনি আরও বলেন, যারা অভ্যুত্থানে ছিল, তারা অনেকে এখনও অবহেলিত। আমলাদের অনেক রদবদল হলেও সেভাবে সুফল মিলছে না।
অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে বিভক্ত না হয়ে সবাইকে এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
তথ্য উপদেষ্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হলে এ সরকারের বিরুদ্ধেও জনগণ অবস্থান নেবে। এ কথাটি যেন আমরা ভুলে না যাই।’
অভ্যুত্থানে গ্রাফিতির প্রয়োজন নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, কারফিউ ও অন্যান্য কারণে যখন মানুষ রাস্তা নামতে পারছিল না সেই সময়টাতে গ্রাফিতির মাধ্যমেই মানুষ তাদের কথাগুলো ছড়িয়ে দিয়েছে দেয়ালে দেয়ালে।
তিনি আরও বলেন, দেশের প্রতিটি দেয়াল এই অভ্যুত্থানের সাক্ষী। এই কথাগুলো আমরা সংরক্ষিত রাখব। এর মাধ্যমেই দেশের মর্মকথা বেরিয়ে আসবে।
প্রজন্ম শিল্প সাহিত্য ও সংস্কৃতি একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২৫ হাজারের বেশি গ্রাফিতির সংগ্রহ নিয়ে এই প্রদর্শনী আয়োজিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন শহীদ মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধসহ অন্যান্য ব্যক্তিরা।
আরও পড়ুন: ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার
১ মাস আগে
ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে: উপদেষ্টা নাহিদ
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, সংখ্যালঘু অত্যাচারের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনা হবে। এর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত সংখ্যালঘুদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে কয়েকটি জায়গায় সংখ্যালঘু অত্যাচারের ঘটনা ঘটলেও তাকে বড় করে বহির্বিশ্বের মিডিয়ার প্রচার করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের আন্দোলন ও বর্তমান সরকার নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ট্রাইব্যুনালের সংস্কার কাজ দ্রুত শেষ করার তাগিদ আইন উপদেষ্টার
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকে বিতর্কিত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে এ অপপ্রচার। তিনি এই বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
ইউনেস্কোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সুসান ভাইজ বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
এসময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম (এআই আরএএম) প্রকল্প চলমান রাখার বিষয়ে তিনি উপদেষ্টার সম্মতি চান।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের জনগণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগে কতটুকু সক্ষম তা যাচাই করা হয়।
নাহিদ ইসলাম বলেন, কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও যুগের সঙ্গে তাল মিলাতে তা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিষয়ক গবেষণা কার্যক্রম (এআই আরএএম) প্রকল্পের কাজ চলমান রাখার পাশাপাশি এ বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
এছাড়া ন্যাশনাল স্টিয়ারিং কমিটি পর্যালোচনা করা হবে বলেও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেন।
উপদেষ্টা আর বলেন, আন্দোলনে বেশ কিছু সাংবাদিক হতাহত হয়েছেন। তাদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। সাংবাদিকদের একটি অংশ ফ্যাসিস্ট সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশের জনগণ সংক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় মামলা করছে। সে মামলায় অনেকেই গ্রেপ্তার হচ্ছে। তবে সবার আইনি অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় একটি কমিটি করেছে। ফলে তারা আইনি সহায়তা পাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউনেস্কোর নীতি বিশ্লেষক আফজাল হোসেন সরোয়ার, এটুআই প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক মামুনুর রশিদ ভূঁইয়া, ইউএনডিপি বাংলাদেশের সিনিয়র গভর্নেন্স স্পেশালিস্ট শিলা তাসনিম হক।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপদ করতে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার কমানোর আহ্বান উপদেষ্টার
১ মাস আগে
বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য: উপদেষ্টা নাহিদ
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য।
রবিবার (৬ অক্টোবর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুছি তোমোহিদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংস্কার ছাড়া নির্বাচন গ্রহণ করতে পারবেন: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার প্রশ্ন
উপদেষ্টা বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য। কারণ এ কর্মসংস্থানের কারণেই আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। কর্মসংস্থান তৈরিতে জাইকার যেকোনো বিনিয়োগকে আমরা স্বাগত জানাই। এছাড়া সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকলে তা বিবেচনা করা হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জাপান ও জাইকার কাছে বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে সরকার কাজ করছে। এছাড়া বাংলাদেশ জাইকার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। বাংলাদেশে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ কীভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারেও সরকার কাজ করছে।
ইচিগুছি তোমোহিদে বলেন, বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বড় সম্ভাবনাময় দেশ। কিন্তু বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভালো চাকরির সুযোগ নেই। তাই আমরা বাংলাদেশে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করতে চাই। পাশাপাশি ১ হাজার তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলীকে প্রশিক্ষণ দিতে চাই। বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও জনপ্রশাসন সংস্কার এদুটি এজেন্ডা নিয়ে আমরা কাজ করতে আগ্রহী।
এছাড়া পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তারা এই বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চান এবং বাংলাদেশ জাইকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী দেশ বলেও মন্তব্য করেন ইচিগুছি তোমোহিদে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, জাইকা বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি কমোরি তাকাশি, প্রতিনিধি কুককামী মিনামি ও জাইকা বিশেষজ্ঞ সোজি আকিহিরো।
আরও পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানে নিহত শিশুদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ
১ মাস আগে
এটুআইয়ের অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প দ্রুত বাদ দিন: উপদেষ্টা নাহিদ
অ্যাকসেস টু ইনফরমেশনের (এটুআই) অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প দ্রুত বাদ দিতে বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আইসিটি টাওয়ারে এটুআইয়ের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা এই নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। সেই রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কাজ করতে হবে। এটুআইয়ের কাজের ব্যাপারে যেন কোনো অভিযোগ না আসে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর দাতা সংস্থাগুলো পুনর্বাসনে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে: ত্রাণ উপদেষ্টা
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, এটুআইয়ের নেওয়া উদ্যোগগুলো দেশের মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগাতে হবে।
বাংলাদেশের যুবসমাজকে তথ্য প্রযুক্তি খাতে সম্পৃক্ত করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে সকল বাংলাদেশি তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করছে তাদের সমন্বয়ে অ্যাডভাইজারি টিম করা হবে। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী তরুণদের কাজে লাগানো হবে।
দেশে যে রাজনৈতিক ধারা অব্যাহত আছে তা সংস্কার প্রয়োজন জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের রাষ্ট্র কাঠামো একব্যক্তি কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। তাই রাষ্ট্র কাঠামোর সংস্কার করতে হবে। আমরা সকলের সঙ্গে আলোচনা করে এ ধারা পরিবর্তন করতে চাই।
ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত নতুন বাংলাদেশে শহীদের রক্তের প্রতি সম্মান রেখে কাজ করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, এ আন্দোলনে সাধারণ মানুষ রক্ত দিয়েছে, শহীদ হয়েছে। তাদের এ আত্মত্যাগের কথা মাথায় রেখেই কাজ করে যেতে হবে।
অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে বা গ্রুপ ভিত্তিক ভালো উদ্ভাবনী কাজ করছে তারা পরামর্শ দিলে সেটাও আমাদের কাজে আসবে বলে মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।
নাহিদ ইসলাম বলেন, এটুআইয়ের অনিয়ম দুর্নীতি নিয়ে একাধিক তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, সেই তদন্ত প্রক্রিয়া যেন নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হয়।
আলোচনাকালে তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। আলোচনায় এটুআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত হলেন লুৎফে সিদ্দিকী
শ্রমিক অসন্তোষ উসকে দেওয়ায় ‘বহিরাগতদের’ সতর্ক করেছেন উপদেষ্টা হাসান আরিফ
২ মাস আগে