নিখোঁজ
লিবিয়ায় বন্যা: নিহত ১১ হাজার ছাড়িয়েছে, আরও ১০ হাজার নিখোঁজের অনুসন্ধান চলছে
লিবিয়ার প্লাবিত শহরে অনুসন্ধানকারীরা ১০ হাজারেরও বেশি নিখোঁজদের সন্ধান করছে। এরই মধ্যে যেখানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজারে।
লিবিয়ার কর্তৃপক্ষ শুক্রবার বন্যাকবলিত দেরনা শহরে প্রবেশ সীমিত করেছে, যাতে অনুসন্ধানকারীরা এখনও নিখোঁজ এবং মৃত বলে ধারণা করা ১০ হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধারের জন্য কাদা সরিয়ে ফাঁকা ভবনগুলোতে সহজে অনুসন্ধান করতে পারে।
কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, পানিবাহিত রোগের বিস্তার এবং সোমবার ভোরে দুটি বাঁধ ধসে পড়ায় শহরের ভেতরে পানির স্রোতে ভেসে যাওয়া বিস্ফোরক অস্ত্রের কারণে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
আরও পড়ুন: ইথিওপিয়ার আমহারা অঞ্চলে জুলাই থেকে অস্থিরতায় নিহত ১৮৩: জাতিসংঘ
তেল সমৃদ্ধ লিবিয়ায় এই বিপর্যয় কিছু বিরল ঐক্য নিয়ে এসেছে। যা বছরের পর বছর যুদ্ধ এবং গৃহযুদ্ধের পর দেশের পূর্ব ও পশ্চিমে বিভিন্ন মিলিশিয়া বাহিনী এবং আন্তর্জাতিক পৃষ্ঠপোষকদের সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী সরকারের মধ্যে বিভক্ত। কিন্তু বিরোধী সরকারগুলো এই সঙ্কটের মোকাবিলায় লড়াই করেছে। তবে বিভ্রান্তিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে সহায়তা পেতে অসুবিধা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি সেতু সহ দেরনার অবকাঠামো ধ্বংসের কারণে পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছে।
সাহায্যদানকারী গোষ্ঠীগুলো শহরে তাদের প্রবেশের সুবিধার্থে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। যাতে তারা খারাপভাবে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে প্রয়োজনীয় খাবার, বিশুদ্ধ পানি এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম বিতরণ করতে পারে। সঙ্কটের চার দিন পরে কেন্দ্রীয় তদারকির অভাব স্পষ্ট ছিল। ডের্নার কিছু অংশের মানুষ কিছু সরবরাহ এবং সম্পদ পেয়েছিল। তবে অন্যগুলোতে তাদের নিজেদের রক্ষা করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
লিবিয়ায় ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্সের মেডিকেল কো-অর্ডিনেটর মানোয়েল কার্টন বলেন, শহরে প্রবেশের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় এবং ভেতরে প্রবেশের পর সারা দেশ থেকে স্বেচ্ছাসেবকদের খুঁজে পাওয়া যায়, যারা মাঝে মাঝে দের্নায় মানবিক কর্মীদের বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি বলেন, ‘সবাই সাহায্য করতে চায়। কিন্তু এটা বিশৃঙ্খল হয়ে উঠছে।’ ‘সমন্বয়ের একটি বড় প্রয়োজন আছে।’
পূর্ব লিবিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওথমান আব্দুলজালিল বলেছেন, দলগুলো শহরের বাইরে এবং আশেপাশের শহরগুলোতে গণকবরে লাশ দাফন করেছে।
তবে কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন যে আরও হাজার হাজার মানুষকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসের আফ্রিকা বিষয়ক আঞ্চলিক ফরেনসিক ম্যানেজার বিলাল সাবলুহ বলেন, 'লাশগুলো রাস্তায় পড়ে আছে, তীরে ভেসে যাচ্ছে এবং ধসে পড়া ভবন ও ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে আছে।
তিনি বলেন, ‘মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে আমার একজন সহকর্মী দেরনার কাছে সমুদ্র সৈকতে ২০০ টিরও বেশি মৃতদেহ গণনা করেছেন।’
ডুবুরিরা ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় শহরের পানিতেও অনুসন্ধান করছে।
আরও পড়ুন: মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৮০০, মারাকেচে ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
কার্টন শুক্রবার বলেন, ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস টিমমের পরিদর্শন করা এলাকার রাস্তা থেকে বেশিরভাগ মৃতদেহ পরিষ্কার করা হয়েছে। তবে অন্যান্য গুরুতর লক্ষণও দেখা গেছে, যার মধ্যে রয়েছে যে তিনটি মেডিকেল সেন্টারের মধ্যে একটিতে তারা গিয়েছিল ‘কারণ প্রায় সমস্ত চিকিৎসা কর্মী মারা গিয়েছিল।’ তিনি বলেন, বন্যায় বাস্তুচ্যুত হাজার হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে বা বন্ধু বা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে অবস্থান করছে।
বন্যা থেকে বেঁচে যাওয়া আদেল আয়াদ তার ভবনের চতুর্থ তলায় পানি উঠার সময় দেখার বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘ঢেউগুলো মানুষকে ভবনের ওপর থেকে ভাসিয়ে নিয়ে গেছে, এবং আমরা দেখতে পেলাম মানুষ বন্যার পানিতে ভাসছে।’ তাদের মধ্যে প্রতিবেশীও ছিল।
পূর্ব লিবিয়ার অ্যাম্বুলেন্স ও জরুরি সেবার মহাপরিচালক সালাম আল-ফারগানি বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, দেরনা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হবে এবং কেবল অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলকেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে শুক্রবার এ ধরনের প্রত্যাবাসনের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জমে থাকা পানিবাহিত রোগ বিস্তারের পথ খুলে দেয়। তবে তিনি বলেছেন, মৃতদেহগুলো তাড়াহুড়ো করে দাফন বা গণকবরে রাখার দরকার নেই। কারণ এই জাতীয় ক্ষেত্রে মৃতদেহগুলো সাধারণত ঝুঁকি তৈরি করে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ডাঃ মার্গারেট হ্যারিস জেনেভায় সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আপনার কাছে প্রচুর জমে থাকা পানি রয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে মৃতদেহগুলো একটি ঝুঁকি তৈরি করে, তবে এর অর্থ এই যে পানি নিজেই সমস্ত কিছু দ্বারা দূষিত।’ ‘সুতরাং আপনাকে সত্যিই নিশ্চিত করতে হবে যে মানুষের জন্য নিরাপদ পানির সরবরাহ রয়েছে।’
ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অব দ্য রেড ক্রসের মুখপাত্র আইমিন ট্রাবেলসি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, কাদায় আরেকটি বিপদ লুকিয়ে আছে। আর তা হলো দেশটির দীর্ঘায়িত সংঘাতের কারণে ফেলে যাওয়া ল্যান্ডমাইন ও অন্যান্য বিস্ফোরক।
লিবিয়ায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে অবশিষ্ট বিস্ফোরক রয়েছে, তবে বেশিরভাগই ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধের। আন্তর্জাতিক ল্যান্ডমাইন অ্যান্ড ক্লাস্টার মিউনিশন মনিটরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে লিবিয়ায় ল্যান্ডমাইন বা অন্যান্য অবশিষ্ট বিস্ফোরক অস্ত্রের আঘাতে প্রায় তিন হাজার ৪৫৭ জন নিহত বা আহত হয়েছেন।
বন্যার আগেও, ট্রাবেলসি বলেছিল যে এলাকাগুলো থেকে মাইন শনাক্ত এবং অপসারণের ক্ষমতা সীমিত ছিল। বন্যার পরে তিনি বলেছিলেন, বিস্ফোরক ডিভাইসগুলো ‘নতুন, অনাবিষ্কৃত এলাকায়’ নিয়ে যাওয়া হতে পারে। যেখানে তারা অনুসন্ধান দলগুলোর জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি এবং বেসামরিক নাগরিকদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী হুমকি তৈরি করতে পারে।
কার্টন শহরে পানি-সম্পর্কিত রোগের প্রাদুর্ভাবের উদ্বেগের প্রতিধ্বনি করেছে। এর বাইরে, তিনি বলেছিলেন, বেঁচে থাকা, প্রত্যক্ষদর্শী এবং চিকিৎসা কর্মীদের মধ্যে ‘মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার বিশাল প্রয়োজন’ রয়েছে।
লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্টের মতে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেরনায় বন্যায় ১১ হাজার ৩০০ জন মারা গেছে। আরও ১০ হাজার ১০০ জন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যদিও তাদের মধ্যে অনেককে জীবিত পাওয়া যাবে এমন আশা নেই বলে জানিয়েছে সাহায্যকারী দলটি। ঝড়টিতে দেশের অন্যান্য স্থানেও প্রায় ১৭০ জন নিহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় বন্যায় ২ হাজার মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কা
লিবিয়ার গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই দুর্যোগে কয়েক ডজন সুদানী অভিবাসী নিহত হয়েছে। দেশটি মধ্যপ্রাচ্য এবং আফ্রিকান অভিবাসীদের জন্য একটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট হয়ে উঠেছে। যারা সংঘর্ষ এবং দারিদ্র্য থেকে পালিয়ে ইউরোপে একটি উন্নত জীবন খোঁজার জন্য পাড়ি জমায়।
বর্ষাকালে লিবিয়ায় প্রায়ই বন্যা দেখা দেয়। তবে খুব কমই এত ধ্বংসের ঘটনা ঘটে। বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ঝড়টি জলবায়ু পরিবর্তনের কিছু বৈশিষ্ট্য বহন করে এবং অত্যন্ত উষ্ণ সমুদ্রের পানি ঝড়টিকে আরও শক্তি দিতে পারে। এটি আরও ধীরে ধীরে চলতে পারত বলেও মনে করেন তারা।
কর্মকর্তারা বলেছেন, লিবিয়ার রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলাও প্রাণহানির জন্য ভূমিকা রেখেছে। দেরনার বাসিন্দা খলিফা ওথমান বলেছেন, তিনি বিপর্যয়ের মাত্রার জন্য কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন।
ওথমান বলেছিলেন, ‘আমার ছেলে এই বছরেই ডাক্তার হিসেবে স্নাতক হয়েছেন। আমার ভাগ্নে এবং তার সমস্ত পরিবার, আমার নাতি, আমার মেয়ে এবং তার স্বামী সবাই নিখোঁজ, এবং আমরা এখনও তাদের সন্ধান করছি।’ ‘কোনো প্রস্তুতি না থাকায় সকল মানুষ বিরক্ত এবং ক্ষুব্ধ।’
আরও পড়ুন: লিবিয়ার উপকূলীয় শহর দেরনায় বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১,৩০০: রেড ক্রিসেন্ট
শৈলকুপায় নিখোঁজের ৮ ঘণ্টা পর পুকুরে মিলল শিশুর লাশ
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় নিখোঁজের ৮ ঘণ্টা পর জান্নাতি খাতুন নামে ৬ বছর বয়সী শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার বাগুটিয়া গ্রাম থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
জান্নাতি উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের খোকন ভুঁইয়ার মেয়ে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ডোবা থেকে ১৯ মাসের শিশুর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় জান্নাতি খাতুন। পরে প্রতিবেশিদের সহযোগিতায় গ্রামের প্রায় সবখানে খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া যায়নি তাকে। পরে রাতে হঠাৎ বাড়ির পাশের পুকুরে তার লাশ পাওয়া যায়। শিশু জান্নাতির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাতেই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি আরও বলেন, শিশুটির হাতে কাটার চিহ্ন আছে। তার পরিবার অভিযোগ করেছে ধর্ষনের পর জান্নাতিকে হত্যা করা হতে পারে। আমরা লাশের সুরাতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় ধর্ষণের কোনো আলামত পায়নি। এখন ডাক্তারের মতামত নিয়ে অগ্রসর হব।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত শৈলকুপা থানায় কোন মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় নিখোঁজের ৪ ঘণ্টা পর পুকুরে মিলল শিশুর লাশ
নিখোঁজের একদিন পর ভাই-বোনের লাশ মিলল শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর পাড় থেকে ভাই-বোনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের একদিন পর শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের একটি ডোবা থেকে ভাই-বোনের লাশ উদ্ধার করেছে নৌ-পুলিশ।
নিহত দুই ভাই ও বোন হলো- সামির (৯) ও তিশা (৮)। তারা ওই এলাকার অটোরিকশাচালক কামাল হোসেনের ছেলে-মেয়ে। হাসান হোসেনের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন কামাল হোসেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে খেলার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে তারা নিখোঁজ হয়। শুক্রবার সকালে বন্দর আমিন এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ের একটি ডোবায় লাশ দুটি ভাসতে দেখে স্থানীয়রা নৌ-পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ দুটি উদ্ধার করে।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে নদীর তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য কাটা মাটির গর্তের পাশে খেলা করতে নেমে গর্তে জমে থাকা পানিতে পড়ে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় পরিবারের কাছে লাশ দুটি হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: শীতলক্ষ্যায় জাহাজের ট্যাংক বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬
নারায়ণগঞ্জে শীতলক্ষ্যায় নৌকাডুবে নিহত ৩
চট্টগ্রামে নালায় পড়ে শিশু নিখোঁজ: ১৭ ঘন্টা পর লাশ উদ্ধার
চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদ রঙ্গীপাড়ায় নালায় পড়ে নিখোঁজ শিশু ইয়াছিন আরাফাতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিখোঁজের ১৭ ঘন্টা পর সোমবার (২৮ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) কর্মীরা লাশটি উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর অটোচালকের লাশ উদ্ধার
আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা কপিল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রবিবার (২৭ আগস্ট) নালায় পড়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সকাল ৯টার দিকে ঘরের সামনে নালা থেকে একটু দূরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও চসিকের কর্মীদের অভিযানে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
লাশটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, রবিবার বিকাল ৫টার দিকে দেড় বছরের শিশু ইয়াছিন আরাফাত খেলতে গিয়ে বাড়ির সামনে কেএম হাশিম টাওয়ার এলাকায় নালায় পড়ে নিখোঁজ হয়। এর পরপরই সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এর আগে গত ৭ আগস্ট চসিকের ইসলামিয়াহাট বাদামতল এলাকায় খোলা নালায় পড়ে নিপা পালিত নামে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে।
২০২১ সালের ২৫ আগস্ট সকালে মহানগরীর মুরাদপুরে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ হন ব্যবসায়ী সালেহ আহমেদ। আজও তার লাশের হদিস পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে নিখোঁজের একদিন পর শিশুর লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে নদীতে ডুবে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামে নদীতে ডুবে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়নে নদীতে নিখোঁজ কৃষকের লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে ওই ইউনিয়নের ফকিরের হাট এলাকা থেকে প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর অটোচালকের লাশ উদ্ধার
নিহত কৃষকের নাম আব্দুস শফি (৭০)। তিনি ফকিরের টাড়ী গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয়রা জানায়, ফকিরের টাড়ী গ্রামের আব্দুস শাফি সারাদিন আমন ধান খেতে নিড়ানির কাজ শেষে ঘাসের বোঝা নিয়ে ফকিরের হাট বাজারের দক্ষিণের ব্রিজের পাশ দিয়ে সঁতার খাওয়া নদী সাঁতরে পার হওয়ার চেষ্টা করেন।
এসময় তিনি পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। কিছুক্ষণ পর ওই কৃষক ভেসে না উঠায় এলাকায় হই-চই পড়ে যায়। প্রথমে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন।
পরে সংবাদ পেয়ে নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর তার লাশ উদ্ধার করে।
নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. ইমন মিয়া বলেন, নিখোঁজ কৃষকের লাশ সকালে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ বিষয়ে নাগেশ্বরী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম। খোঁজ খবর নিয়ে পরে জানাতে পারব।’
আরও পড়ুন: ঢাবি হল থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের হোটেল থেকে আ.লীগ নেতার লাশ উদ্ধার
৭২ ঘণ্টা পরও খোঁজ মিলেনি খুলনার ৪ চিকিৎসকের
নিখোঁজের ৭২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও খুলনার তিন নারী চিকিৎসকসহ নিখোঁজ চার চিকিৎসকের। এ ঘটনয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা।
সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুরে খুলনা বিএমএ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য চিকিৎসকদের পরিবারের সদস্যরা এ অভিযোগ করেন। এ সময় তারা তাদের ছেলে-মেয়েদের দ্রুত খুঁজে বের করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের সদস্যরা জানান, তারা ঢাকায় সিআইডি সদর দপ্তরে গেলেও তারা কোথায় আছেন এবং কেন তাদের আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে কর্মকর্তারা কোনো তথ্য দেননি।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁস: খুলনার থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টার এর মালিক আটক
এদিকে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের খুলনা জেলা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মেহেদী নেওয়াজ খুলনা পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লিখে নিখোঁজ চিকিৎসকদের বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন।
গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) খুলনা জেলার চার চিকিৎসক ডা. লুইস, ডা. তিশা, ডা. শর্মিষ্ঠা ও ডা. লামিয়া নিখোঁজ হন।
গত ১৯ আগস্ট মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে 'থ্রি ডক্টরস' কোচিং সেন্টারের মালিক ড. ইউনুস খান তারিমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
প্রশ্ন ফাঁসের জন্য দায়ী গ্রুপের সঙ্গে নিখোঁজ চিকিৎসকরা জড়িত বলে সন্দেহ করা হলেও তাদের বাবা-মা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আরও পড়ুন: শুক্রবার থেকে খুমেক হাসপাতালের ৩ চিকিৎসক নিখোঁজ
কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৪ দিন পর অটোচালকের লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের চারদিন পর অটোরিকশার চালক রকিবুল হাসান রকির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) সকালে উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের বানিয়াকান্দি এলাকার নরসুন্দা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে নিজ ঘর থেকে আরেক বৃদ্ধের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
নিহত রকিবুল হাসান রকি (২০) যশোদল ইউনিয়নের কোনামাটি গ্রামের শাহিন মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার রকি নিখোঁজ হন। পরিবারের লোকজন একই দিনে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করেন। সোমবার সকালে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পেছনে নরসুন্দা নদীতে লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে রকির পরিবারের লোকজন গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার করল পিবিআই
তুরস্কে আরও ৪ জনের লাশ উদ্ধার করল বাংলাদেশ সম্মিলিত দল
শুক্রবার থেকে খুমেক হাসপাতালের ৩ চিকিৎসক নিখোঁজ
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের তিন চিকিৎসক গত দুই দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
খুলনা জেলা স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম জানান, গত শুক্রবার (১৮ আগস্ট) থেকে তাদের পাওয়া যাচ্ছে না।
নিখোঁজ তিন চিকিৎসক হলেন- ডা. লুইস, ডা.তিশা ও ডা.শর্মিষ্ঠা
উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট মেডিকেলের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টারের মালিক ও খুলনা জেলা স্বাচিপের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউনুস খান তারিমকে আটক করে ঢাকায় নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজ চিকিৎসকরা ডা. তারিমের মেডিকেলের প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত।
আরও পড়ুন: প্রশ্ন ফাঁস: খুলনার থ্রি ডক্টরস কোচিং সেন্টার এর মালিক আটক
এ বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান বলেন, বর্তমানে আমি ছুটিতে রয়েছি। শুনেছি প্রশ্নপ্রত্র ফাঁসের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনায় নারী ফুটবলারদের উপর হামলা: ৩ আসামির জামিন বাতিল
মিঠামইনে নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর জেলের লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে নিখোঁজ হওয়ার ২৬ ঘণ্টা পর সৈয়দ মিয়ার (৬০) ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছেন জেলেরা।
আজ শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মিঠামইন সদর ইউনিয়নের মেষ্টা গ্রামের পাশে হাওরে ভাসমান লাশ দেখতে পেয়ে জেলেরা উদ্ধার করেন। এ সময়, নিহতের স্বজনরা এসে লাশ বাড়ি নিয়ে যান।
নিহত জেলে সৈয়দ মিয়া একই ইউনিয়নের আতপাশা (নয়াবাড়ি) গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে সৈয়দ মিয়া উপজেলার ঢাকী ইউনিয়নের মাহমুদপুর বাজার সংলগ্ন খালে স্রোতের পানিতে কুণি জাল (তেওড়া জাল) দিয়ে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার এক পর্যায়ে খালের গভীরে জাল আটকা পড়ে।
আরও পড়ুন: মহেশপুরে বাওড় থেকে কৃষকের লাশ উদ্ধার
তখন জাল ছাড়ানোর জন্য পানিতে ডুব দিয়ে চেষ্টা করেন তিনি। জাল ছাড়াতে না পেড়ে একাধিকবার ডুব দেন। এক পর্যায়ে তিনি আর পানি থেকে উঠে আসতে পারেননি।
পরে, খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের ডুবুরি দল দুপুর সোয়া ৩টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। তার আগে, স্থানীয়রা উদ্ধার কাজ শুরু করেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা দিকে উদ্ধার কাজ বন্ধ করার সময় নিখোঁজ সৈয়দ মিয়ার কোনো সন্ধান মেলেনি। রাতের অন্ধকার ও স্রোতের কারণে উদ্ধার কাজ বন্ধ রাখে ফায়ার সার্ভিস।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কলিন্দ্র নাথ গোলদার।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে নবদম্পতির লাশ উদ্ধার
নওগাঁয় বাগান থেকে প্রেমিক যুগলের লাশ উদ্ধার
মিয়ানমারে জেড পাথরের খনি ধসে নিহত ২, নিখোঁজ ৩০
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের কাচিন রাজ্যে একটি জেড পাথরের খনির ভূমিধসে দুজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখনো ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
স্থানীয় পুলিশ সোমবার (১৪ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে স্থানীয় সময় রবিবার (১৩ আগস্ট) বিকাল ৩টার দিকে এ ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
এইচপাকান্ট টাউনশিপ পুলিশ কর্মকর্তা সিনহুয়াকে জানিয়েছেন, কাচিন রাজ্যের হাপাকান্ত উপশহরের মা না গ্রামের কাছে একটি জেড খনিতে এই ভূমিধসের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যরা নিখোঁজ রয়েছে। প্রায় আটজন আহত হয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বন্যার কারণে ২ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে রাশিয়া
হপাকান্ত উপশহরের একজন উদ্ধারকর্মী কো থেইন থান টাইকে সিনহুয়াকে বলেছেন, নিখোঁজদের সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন, কারণ তারা অভিবাসী শ্রমিক।
কাচিন রাজ্যে, বিশেষ করে হপাকান্ত খনির অঞ্চলে প্রায়ই মারাত্মক ভূমিধস হয়।
অনেক স্থানীয় এই অঞ্চলে জেড পাথর আহরণ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে।
২০২০ সালের জুলাই মাসে হপাকান্ত উপশহরের একটি জেড খনির সাইটে একটি মারাত্মক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এতে ১৭৪ জন মারা যায় এবং ৫৪ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: মাউই দাবানল: মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৯
কঙ্গোতে ভূমি অধিকার ও কর নিয়ে আন্তঃসাম্প্রদায়িক সহিংসতায় নিহত ১০