১৯৪ কর্মকর্তা
শাস্তিমূলক ব্যবস্থায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ১৯৪ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
এস আলম গ্রুপকে অর্থ পাচার ও প্রতারণামূলক ঋণ প্রদানে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক (এফএসআইবি)।
অনিয়ম নিরসনে ব্যাংকটির চট্টগ্রাম অঞ্চলের ২৪ শাখা ব্যবস্থাপকসহ ১৯৪ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এফএসআইবির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নতুন পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের অনিয়ম উদঘাটন করে তাদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন: এডিবি-বিশ্বব্যাংক থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ১১০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ: অর্থসচিব
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এফএসআইবির এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে চট্টগ্রামের শাখা থেকে উল্লেখযোগ্য ঋণ বিতরণে অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে।
তার নামে ও ভুয়া পরিচয়ে প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বিপুল পরিমাণ ঋণ উত্তোলন করা হয়। ব্যাংকটির পতন ঠেকাতে দোষী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে নতুন পরিচালনা পর্ষদ।
আরও পড়ুন: কোনো ব্যাংক বন্ধ হবে না: অর্থ উপদেষ্টা
ব্যাংকে তারল্য সংকট: টাকা উত্তোলনে ভোগান্তিতে ৬ ব্যাংকের গ্রাহক
১ মাস আগে
যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি চান ২৫ ক্যাডারের ‘বঞ্চিত’ ১৯৪ কর্মকর্তা
যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি চান প্রশাসন ক্যাডারের বাইরের ২৫ ক্যাডারের ১৯৪ জন ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তারা।
এসময় ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তারা জানান, প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দফায় দফায় পদোন্নতি দেওয়া হলেও তাদের শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা পদোন্নতি নিয়ে নানা টালবাহানা করছেন।
আরও পড়ুন: ২২ উপসচিবকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নুরুল আমিন বলেন, আমরা বিসিএস ১৩ থেকে ২২তম ব্যাচের প্রশাসন ক্যাডার ছাড়া অন্য ২৫ ক্যাডারের ১৯৪ জন বঞ্চিত উপসচিব। আমাদের সঙ্গে যারা উপসচিব হয়েছিলেন তারা অনেকেই যুগ্মসচিব ও অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিক মিটিং করেছি। আমাদের পদোন্নতির যৌক্তিকতা বুঝিয়েছি তারাও রাজি হয়েছেন। সব প্রস্তুত থাকলেও এসএসবি সভা ডাকা নিয়ে টালবাহানা করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
অর্থ বিভাগের উপসচিব জাহিদ হোসেন বলেন, আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব স্যারের কাছে গেছি, তাকে সবকিছু বলেছি। উনি তখন বললেন, এসএসবির সভাপতি মন্ত্রিপরিষদ সচিব। যদি তারিখ দেন তবে আমি সেদিন মিটিং আয়োজন করব।
উপসচিব বলেন, এরপর আমরা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের কাছে যাই। তিনি বলেন, জনপ্রশাসন সচিব চাইলেই আমি সময় দেব। এটা যখন আবার জনপ্রশাসন সচিবকে বললাম, তিনি বললেন তোমরা তো সিস্টেমই জানো না। আমরা আবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে এটা বললে তিনি বলেন, আমি যেটা বলেছি সেটাইতো নিয়ম। আমিতো জানি না উনি রেডি কি না, সময় চাইলেই সময় দেব। আমরা এভাবেই ইনি এবং উনির মধ্যে আছি।
উপসচিব আরও বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব পরামর্শ দিয়েছেন যে, তোমাদের বিষয়গুলো নিয়ে আবার জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে কথা বলব। তাকে বুঝিয়ে বলব। আমি রেডি সময় দেওয়ার জন্য, উনি সময় চাইলেই দেব।
আরও পড়ুন: ২০১ জন উপসচিবকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি
শিগগিরই পদোন্নতি পাচ্ছেন বঞ্চিত উপসচিব ও যুগ্মসচিবরা
৩ মাস আগে